এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • অলৌকিক ইস্টিমার~

    বিপ্লব রহমান লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ৮৮৪ বার পঠিত
  • ফরাসী নৌ - স্থপতি ইভ মার একাই ছোট্ট একটি জাহাজ চালিয়ে এ দেশে এসেছিলেন প্রায় আড়াই দশক আগে। এর পর এ দেশের মানুষকে ভালোবেসে থেকে গেছেন এখানেই স্থায়ীভাবে। তার স্ত্রী রুনা খান মার টাঙ্গাইলের মেয়ে, অশোকা ফেলো। আশ্চর্য এই জুটি গত বছর পনের ধরে উত্তরের চরে চালিয়ে আসছেন একটি নিরখরচের জাহাজ হাসপাতাল 'লাইফবয় ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল'।

    বৃহত্তর রংপুরের মঙ্গা পীড়িত চরাঞ্চলে এই জাহাজ - হাসপাতাল যমুনায় ভেসে ক্যাম্প করে গরীব মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে। তারা অনুসন্ধানে দেখেছেন, দরিদ্র বাংলাদেশের সবচেয়ে হতদরিদ্র মানুষের বাস এই সব চরাঞ্চলে। ...

    সাংবাদিকতার সুবাদে বেশ আগে রুনা খানের সঙ্গে আমার পরিচয়। কুড়িগ্রামের চরে জাহাজ হাসপাতালের ভেতরে বসে কথা হয় আমাদের।

    রুনা আপা বলেন, বিপ্লব, আপনি কল্পনা করতে পারেন, সরকারি হাসপাতালে ১০ টাকার টিকিট কিনে চিকিৎসা তো দূরের কথা, মাত্র তিন টাকা নৌকা ভাড়া দিয়ে আমাদের এই হাসপাতালে এসে রোগি দেখাতে পারেন না, এমন মানুষও এইসব চরগুলোতে বাস করে!

    *

    আমি বিস্ময়ের সঙ্গে রুনা আপার সঙ্গে ঘুরে ঘুরে দেখি 'ফ্রেন্ডশিপ' এর ব্যানারে জাহাজ হাসপাতালটির কর্মকাণ্ড। ইউনিলিভার এর অর্থদাতা। ফরাসি সরকারের কিছু অনুদানও আছে।

    ইভ মার পুরো জাহাজটির কক্ষগুলোকে আউটডোর হাসপাতালে পরিনত করেছেন। সেখানে একেবারে বিনে পয়সায় সাধারণ সব ধরণের রোগিদের চিকিৎসা সেবা ও অষুধ দেওয়া হয়। সকাল থেকে জাহাজ ঘিরে রোগিদের দীর্ঘ লাইন, সবার হাতে হাতে কার্ড। এই কার্ডে রোগির নামধাম লিখে চিকিৎসা পত্র দেওয়া হয়। জটিল রোগিদের ফ্রেন্ডশিপ এর খরচে পাঠানো হয় গাইবান্ধা বা রংপুর বা লালমনিরহাট হাসপাতালে।

    জাহাজ হাসপাতালে রয়েছে দাঁত, চোখ ও ছোটখাট কাঁটাছেড়ার রোগিদের অপারেশন করার ব্যবস্থা। গুরুতর রোগিদের জন্য রয়েছে চারটি বেড। আর দুর্গম চরাঞ্চল থেকে জাহাজ হাসপাতালে রোগি নিয়ে আসার জন্য রয়েছে কয়েকটি 'রিভার অ্যাম্বুলেন্স'।

    রুনা আপা বললেন, এই রিভার অ্যাম্বুলেন্সটির ধারণা ইভের। ও নিজেই কাঠের কয়েকটি ডিঙ্গি নৌকার নকশা করে এতে ছোট্ট ইঞ্জিন বসিয়ে তৈরি করেছে এ সব অ্যাম্বুলেন্স তৈরি করেছে।

    কিন্তু দূর্গম চর থেকে রোগি আনতে হবে, এই খবর আপনারা জানতে পারেন কি ভাবে? আমি জানতে চাই।

    রুনা আপা মুচকি হেসে বলেন, চলুন আপনাকে সরেজমিনে ঘুরে দেখাই।

    *

    আমরা জাহাজ লাগোয়া একটি রিভার অ্যাম্বুলেন্সে করে রওনা দেই যমুনার ঘোলা জল ভেঙে। নাম বিস্মৃত এক চরে পৌঁছে দেখি এক গ্রামে একটি ঘরের ভেতরে হেল্থ ক্যাম্প করে স্বাস্থ্য জ্ঞান দিচ্ছেন অল্প বয়সী একজন মেয়ে। তিনি একজন স্বাস্থ্য কর্মী। নাম মাত্র বেতনে জাহাজ হাসপাতালের জন্য কাজ করেন। জাহাজের দুজন চিকিৎসকের বেতনও অবশ্য তাই। পুরোটাই প্রায় স্বেচ্ছাশ্রম।

    এ রকম আরো দু একটি চর ঘুরে জানতে পারি, একেকটি চরে এরকম হেল্থ ক্যম্প করে জাহাজ হাসপাতালের তালিকাভুক্ত স্বাস্থ্য কর্মীরা চরের মানুষকে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করেন। তারা ছোটখাটো অসুখের চিকিৎসাও দেন। বাকি রোগিদের হয় জাহাজ হাসপাতালে, না হয় ধারেকাছের সরকারি হাসপাতালে পাঠান। আর এ সব হাসপাতালে রোগি পৌঁছে দেয় রিভার অ্যাম্বুলেন্স।

    পুরো নেটওয়ার্কটি জাহাজ থেকে পরিচালনা করা হয় মোবাইল টেলিফোনের মাধ্যমে। প্রত্যেক স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে রয়েছে একটি করে মোবাইল ফোন।

    জাহাজ হাসপাতাল কিম্বা হেল্থ ক্যাম্পের নিরাপত্তা? কোনো সমস্যা হয় না?

    এই প্রশ্নের জবাবে রুনা আপা বলেন, দেখুন বিপ্লব, আমি তো এ দেশেরই মেয়ে। আমি গ্রামের মানুষকে খুব ভালো করে চিনি। গ্রামের গরীব মানুষেরা এখনো খাঁটি আছে, নির্লোভ রয়েছে। তারা ভালোবাসার দাম দিতে জানে। যত সমস্যা আমাদের মতো শহুরে শিক্ষিতদের নিয়ে। ...আমার শক্তি এই সব গ্রামের সাধারণ মানুষ; যারা হয়তো দুবেলা পেট পুরে খেতে পায় না, যাদের পরনে হয়তো ভালো কাপড় নেই, কিন্তু তাদের ভেতরটা একদম সাদা। ...আমরা এখনো গ্রামের মানুষের দিক থেকে কোনো সমস্যা বা বাধার মুখোমুখি হয়নি।

    *

    এর পর আমি ঢাকায় ফিরে তখনকার কর্মস্থল দৈনিক যুগান্তরে 'উত্তরের চরে এক অলৌকিক ইস্টিমার' শিরোনামে সচিত্র ফিচার সংবাদ করি জাহাজ হাসপাতালের ওপর।

    এই সংবাদটির সূত্রে ইভ - রুনা মারের সঙ্গে আমার সখ্যতা বাড়ে। পরে আমি যুগান্তরে আরেকটি ব্রেকিং নিউজ করি এই দম্পত্তির নৌকার ওপর গবেষণা নিয়ে।

    সেই খবরটি হচ্ছে, মসলিন বা জামদানি নয়। বাংলাদেশের বাঙালির সবচেয়ে প্রাচীন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হচ্ছে কাঠের নৌকা!

    এই নৌকা শিল্পটি গত প্রায় পাঁচ হাজার বছর ধরে এখনো অনেকটাই অকৃত্রিম নকশায় টিকে আছে, যা ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে ইঞ্জিন নৌকা বা শ্যালো বোট এর কল্যাণে। এর পরেও নৌকার কারিগররা এখনো তৈরি করে চলেছেন বজরা, ছিপ, পানসি, ডিঙ্গি বা সাম্পন। ...

    মজার তথ্য হচ্ছে, পশ্চিমায় যখন ধাতব গজাল বা তারকাটা ব্যবহার করা হতো কাঠের নৌকায়, তখনো এ দেশে নৌকার কারিগররা ব্যবহার করতেন কাঠের খিল বা গজাল, যা চুইয়ে পানি প্রবেশ করে না। আর গাবের আঠায় নৌকাগুলোকে পানি প্রতিরোধক ও টেকসই করা হতো।

    ইভ - রুনা মার গবেষণায় জেনেছেন, নৌকার এই কারিগররা এখনো এই কৌশল অবলম্বন করে পুরোনো ঐতিহ্যের নৌকা তৈরি করছেন।

    *

    এরপর একাধিকবার রুনা আপার আমন্ত্রণে গিয়েছি, সেই অলৌকিক ইস্টিমারে। মঙ্গা বা রিভার অ্যাম্বুলেন্স, হেল্থ ক্যাম্প অথবা তাদের 'নৌকার জাদুঘর' এর ওপরে একাধিক প্রতিবেদন করি। অংশ নেই তাদের একাধিক সংবাদ সম্মেলন ও প্রদর্শনীতে।

    ছোট ছোট নৌকার মডেল তৈরি করে কিছুদিন আগে ইভ - রুনা মার ধানমণ্ডির বেঙ্গল ফাউন্ডেশনে তুলে ধরেন নদী মাতৃক এক অবাক করা বাংলাদেশকে। এই প্রদর্শনীতে একই সঙ্গে দেখানো হয়, নৌকা তৈরির বিভিন্ন সাজ - সরঞ্জাম। কৌতুহলি দর্শকদের প্রশ্নের জবাব দিতে আয়োজনে হাজির ছিলেন কয়েকজন নৌকার কারিগর।

    সাভারে স্পেকট্রাম গার্মেন্টস ধবসে ক্ষতিগ্রস্ত বা বন্যা, ঝড় ও সিডর বা এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্তদের ত্রাণ দেওয়ার পাশাপাশি ইভ - রুনা মার এখন ব্যস্ত তাদের 'নৌকার জাদুঘর' প্রতিষ্ঠার এক দক্ষযজ্ঞ আয়োজন নিয়ে।

    প্রথমে তাদের পরিকল্পনায় ছিলো সোনারগাঁও এর কোল ঘেঁষে শীতলক্ষ্যার পাড়ে বসানো হবে এই জাদুঘর। সেখানে কাঠের তৈরি বিভিন্ন মডেল নৌকা, নৌকার ছবি, নৌকায় ব্যবহৃত সাজ - সরজ্ঞাম ছাড়াও দর্শনার্থীদের নৌ ভ্রমণের সুযোগ থাকবে।

    কিন্তু সোনারগাঁয় জমির দাম বেশ চড়া। তাছাড়া ঢাকা থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থার দিকটিও খুব সহজ সাধ্য হবে না। এখন স্থান পরিবর্তন করে আশুলিয়ার কাছাকাছি তৈরি হচ্ছে এই জাদুঘর।

    পরে জানতে পারি, তাদের সে পরিকল্পনাও সফল হয়নি। গোপালগঞ্জের দিকেও এই নৌকার জাদুঘর করার কথা ভেবেছেন তারা। আসলে এক সাথে এতগুলো জমি, জাদুঘর নির্মাণ, প্রতিদিনের খরচ জোগানো, আবার জাদুঘরটিকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা, সে এক দক্ষযজ্ঞ ব্যাপারই বটে।

    ইভ - রুনা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এই জাদুঘরের জন্য অর্থের যোগান সংগ্রহ করতে।

    এদিকে, বছর পাঁচেক আগে বরিশাল-পটুয়াখালি দক্ষিনাঞ্চলে অবহেলিত মানুষের জন্য এই দম্পতি খুলেছেন আরো একটি "ফ্রেন্ডশিপ" হাসপাতাল। দৈনিক যুগান্তরের পরে নিউজ পোর্টাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, দৈনিক কালের কণ্ঠে এই দম্পতির কর্মকাণ্ড নিয়ে বেশ কিছু ফিচার স্টোরি করেছি, ব্লগ লিখেছি। যতবারই তাদের সান্নিধ্যে গিয়েছি, ততোবারই বিস্মিত হয়েছি সাধারণ মানুষের প্রতি তাদের অগাধ শ্রদ্ধা আর কর্মস্পৃহা দেখে।...


    *সংযুক্তঃ "ফ্রেণ্ডশিপ " এর কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত ভিডিও ক্লিপ:

    *বিডিনিউজের আর্কাইভ থেকে এ সংক্রান্ত কিছু পুরনো খবর:
    A unique museum: Museum of boats
    https://bdnews24.com/bangladesh/2005/03/03/a-unique-museum-museum-of-boats2
    River ambulance to provide medical services to char people of North Bengal
    https://bdnews24.com/bangladesh/2006/08/20/river-ambulance-to-provide-medical-services-to-char-people-of-north-bengal
    19-day boat exhibition begins in city Saturday
    https://bdnews24.com/bangladesh/2005/03/16/19-day-boat-exhibition-begins-in-city-saturday
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ৮৮৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Du | 7845.184.1256.215 (*) | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১১:১৩61857
  • জেনে ভলো লাগলো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে প্রতিক্রিয়া দিন