এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • h | 213.132.214.88 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৬ ০১:২৮58838
  • এই আলোচোনা টা টোটাল খোরাক হয়ে গেল, প্রবন্ধটা দুর্বল ছিল, তদুপরি এরকম বকোয়াজ কমেন্ট ঃ-))))
  • h | 213.132.214.88 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৬ ০১:৩১58839
  • আর যে যা বলছেন বলুন, বলতে পয়সা লাগে না, একটু সোর্স টোর্স দিয়ে বল্লে ভালো হয়, নইলে ক্রমশঃ রোমাঞ্চকর উপন্যাস হয়ে যাচ্ছে মাইরি।
  • h | 213.132.214.88 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৬ ০১:৩৫58840
  • তবু বিপ্লবে র মন্তব্য টা বেটার , অন্তত বিপর জেনেরাল প্রবন্ধ গুলোর থেকে বেটার। একেবারে মনের মাধুরী না।
  • দেবব্রত | 212.142.91.185 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৬ ০২:৫৪58832
  • এত স্বল্প পরিসরে এই ব্যাপক বিষয় নিয়ে নিবন্ধ না লেখাই ভালো , আখেরে তা কেবল স্টেটমেন্ট হয়ে দাঁড়ায় -যেমন লেখক লিখছেন " কংগ্রেসের সঙ্গে কোয়ালিশন সরকার গঠন না হওয়ায় ফজলুল হক বাধ্য হয়ে মুসলিম লীগের দিকে ঝোঁকেন এবং এই নতুন বিন্যাস মুসলিম লীগের জমিকে বাংলায় দৃঢ়তর করে।" ১৯৩৭ এর সময়ে বাঙলায় মুসলিম লীগ কেবলমাত্র জমিদার /নবাব দের ক্লাব গোত্রের পার্টি ছিল ,সাধারণ মুসলমান এবং উঠতি রায়ত গোষ্ঠী মুসলিম লীগ কে তাঁদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারবে বলে মনে করতনা । আর সেই কারনেই বাঙলায় ১১৯ টি সিটের মধ্যে মাত্র ৪০ টি সিট নিয়েই তাঁদের সন্তুষ্ট থাকতে হয় । কিন্তু ১৯৪৩-১৯৪৫ এর সময়ের মধ্যে বাঙলার মুসলিম লীগ জমিদার /নবাব দের ক্লাব গোত্রের পার্টি থেকে মাস পার্টির আকার ধারণ করে ,তার সাথে ফজলুল হকের ভুমিকা'র বিশেষ কোন সম্বন্ধ নেই উল্টে ১৯৪৬ এর নির্বাচনে ফজলুল হক এবং তার পার্টি মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে নির্বাচনে দাঁড়ান এবং তার পার্টি মাত্র তিনটে সিটে জয়লাভ করে । ফজলুল হকের মুসলিম লীগে যোগদান ,বহিষ্কার ,বিরোধিতা এর কোনটাই বাঙলায় মুসলিম লীগের জমিকে বাংলায় দৃঢ়তর অথবা দুর্বল করার ক্ষেত্রে মূল কারন নয় । তার নানাবিধ কারন বর্তমান । কি ভাবে এবং কোন রাজনৈতিক /অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে অভিজাত মুসলমানদের একটি ক্লাব গোত্রের পার্টি মুসলিম লীগ -বাঙলায় মুসলমানদের মাস পার্টি হয়ে দাঁড়ালো তার কিছুটা বিবরণ মুসলিম সেই সময়ের পার্টি সেক্রেটারি - আবুল হাসিমের নানাবিধ লেখায় বর্তমান ।
  • d | 144.159.168.72 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৬ ০৪:১৯58833
  • একেবারেই হাবিজাবি লেখা। জাস্ট খানিকটা লিখতে হবে বলেই কয়েকটা বাক্য সাজানো। এবং দেবব্রতর সাথে একমত, "এত স্বল্প পরিসরে এই ব্যাপক বিষয় নিয়ে নিবন্ধ না লেখাই ভালো "
  • bip | 183.67.5.178 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৬ ০৪:২২58834
  • এটা সত্যিই বিশাল অধ্যায়। এত সার সংক্ষেপ সম্ভব না। এই নিয়ে অতীতে লিখেছিলাম মুক্তমনাতে
    https://blog.mukto-mona.com/2009/08/23/2196/
    ***************
    জিন্নার ভূত ভারতের ঘারে চিরকুমার। কায়েদ-ই-আজমকে ধর্ম নিরেপেক্ষ বলে দাবী করে ভারতের প্রাত্তন বিদেশমন্ত্রী যশোবন্ত সিং বিজেপি থেকে বিতাড়িত হলেন। যশোবন্ত বিজেপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রাণপুরুষ। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং থেকে নির্বাচিত সাংসদ। এর আগে আদবানী জিন্নাকে ধর্ম নিরেপেক্ষ বলায় বিপাকে ছিলেন কিছুদিন। এসব কথা যাক। ভারতে বিজেপি এবং সিপিএম-সাংঘাতিক ভাবেই ফ্যাসিস্ট পার্টি। পার্টি মেম্বারদের আদর্শগত ভিন্নমত প্রকাশের অনুমতি নেই। এর আগে সিপিএম স্পীকার সোমনাথ মুখার্জিকে একই ভাবে তাড়িয়েছে। উদার গণতন্ত্রের শত্রু এইসব পার্টিগুলি এমনিতেই এখন ডুবন্ত নৌকা। ভারতীয় ভোটারদের কাছে প্রত্যাখ্যাত। তাই সাক্ষাত সলিলে ডুবন্ত ফ্যাসিস্ট পার্টিগুলির হারিকিরির ওপর টর্চলাইট ফেলার জন্যে এই লেখা নয়। মহম্মদ আলি জিন্না এবং ভারতভাগ-সেটা নিয়ে নিজের মত প্রকাশ করতে চাইছি মাত্র।

    কায়েদি আজম জিন্না দক্ষিন এশিয়ার সম্ভবত সব থেকে জটিল রাজনৈতিক চরিত্র। আর ধর্ম নিরেপেক্ষতা, আমাদের অভিধানের সর্বাধিক বিতর্কিত শব্দ। সুতরাং এই দুটি ককটেলকে একত্রিত করলে যে জটিল বিশ্লেষন পাওয়া যাবে-সেটা ব্যাক্তিনিরেপেক্ষ হওয়া অসম্ভব। তাই এই ব্যাপারে ভিন্নমত থাকবেই-এবং সেটা ধরে নিয়েই আমি নিজের দৃষ্টিভংগীতে জিন্নার রাজনৈতিক দর্শনের ওপর আলোকপাত করব।

    কোন মানুষের জীবনেই তার রাজনৈতিক দর্শন স্থিতিশীল না। ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে তা বিবর্তিত হতে থাকে। এই বিবর্তনের মূলে থাকে অর্জিত জ্ঞানের সাথে বাস্তবতার পার্থক্য। জিন্নার জীবনে এটা হয়েছে সব থেকে বেশী। এবং সেই দৃষ্টিতে জিন্নাকে না বুঝলে কোন সত্যে উপনীত হওয়া খুব কঠিন।

    প্রথমেই যে প্রশ্নটি আমাদের গভীর ভাবে বিশ্লেষন করতে হবে সেটা হচ্ছে ১৯০৬ সালে যখন মুসলীম লীগের জন্ম হল-জিন্না সেখানে যোগদানের বদলে-তাদের খুব অবজ্ঞার চোখে দেখেছিলেন।লীগের নেতাদের সম্মন্ধে তার উক্তি ” ওরা অত্যন্ত বেশী মুসলমান”। অর্থাৎ ১৯০৬ সালে জিন্না নিজেই বলেছিলেন, তার মতন আধুনিক লিব্যারাল ডেমোক্রাটদের জন্যে লীগের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি বেমানান। প্রশ্ন হচ্ছে পরবর্তী দশকে কি এমন ঘটল তার জীবনে এবং ভারতের রাজনীতির প্রেক্ষাপটে যে তিনি লীগে যোগ দিলেন (১৯১৩) এবং তার প্রেসিডেন্ট ও হলেন লখনো অধিবেশনে (১৯১৬)। পাশাপাশি এটাও মনে রাখতে হবে তিনি ১৮৯৬ সালে কংগ্রেসে যোগ দেন। কংগ্রেসে ফিরোজ শা মেহেতা, সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি এবং গোপাল কৃষ্ণ গোখলে -এরাই ছিলেন জিন্নার ঘনিষ্ট রাজনৈতিক সহচর। বৃটেনের তার ছাত্র জীবন থেকে তিনি মূলত হিন্দু এবং পার্শী জাতিয়তাবাদি নেতাদের সাথেই ওঠাবসা করেছেন। ব্যারিষ্টার হিসাবে তার ক্লায়েন্ট বেস ছিল মুম্বাই এর পার্শীরা। জিন্নার সামাজিক জীবনে কোন মুসলিম বন্ধুর পর্যন্ত দেখা পাওয়া যাচ্ছে না এই সময়। পোষাকে এবং খাদ্যে ১০০% সাহেব ছিলেন জিন্না। ইসলামে নিশিদ্ধ শুয়োরের মাংস এবং দৈনিক মদ্যপান-কোন কিছুতেই অরুচি ছিল না জিন্নার। এই সময় মুসলিমদের জন্যে একটি কাজই করেছেন। ওয়াকফ বা ধর্মীয় কারনে মুসলিমরা যে জমিদান করে-সেটাকে আইনসিদ্ধ করিয়েছেন। কিন্ত তার থেকেও তিনি বেশী সক্রিয় ছিলেন বাল্যবিবাহ নিরোধক আইন আনতে। মনে রাখতে হবে এটা সেই সময়- যখন রবীন্দ্রনাথ অক্লেশে তার কন্যাদের বাল্যবিবাহ দিয়েছেন। জিন্নার হিন্দু মক্কেলরা যথা গোখলে বা তিলক, আধুনিকতার প্রশ্নে তার থেকে অনেক পিছিয়ে-এরা বাল্যবিবাহের সমর্থক ছিলেন। তাহলে কি এমন ঘটল জিন্নার মতন একজন আধুনিক এবং ইসলাম থেকে শত যোজনদূরে অবস্থান করা সাংঘাতিক বুদ্ধিমান ব্যাক্তিত্ব লীগের সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পাঁকে ডুবলেন?

    দ্বিতীয় যে প্রশ্নটি আমরা কোনদিন করি নি-সেটা হচ্ছে আবুল কালাম আজাদের সাথে জিন্নার রাজনৈতিক দর্শনের পার্থক্যের উৎস কি? এটাত আমার কাছে বিরাট ধাঁধা। জিন্না ছিলেন ১০০% বৃটিশ। মনে, প্রানে এবং দর্শনে। সেখানে আবুল কালাম আজাদ ছিলেন ১০০% ধর্মভীরু মুসলমান। আজাদের পরিবার ছিল কলকাতার বিখ্যাত ইসলামিক শিক্ষকদের পরিবার। বলতে গেলে একরকম মসজিদেই মানুষ হয়েছেন তিনি। সুতরাং আজাদের মতন মুসলীমরা লীগের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করবে এবং জিন্নার মতন বৃটিশ শিক্ষিত মুসলিমরা কংগ্রেসের ধর্ম নিরেপেক্ষতাকে গ্রহন করবে, এটাই স্বাভাবিক প্রত্যাশা। কিন্ত হল উলটো। মৌলনা আজাদ হয়ে উঠলেন হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের কান্ডারী। আর জিন্না হিন্দু-মুসলমানে ভারত ভাগের ভগীরথ। এই ধাঁধার সমাধান কি? এদের দুজনেরই ব্যাক্তিগত জীবনের অলিগলিতে না ঢুকলে, আমরা বুঝবো না জিন্না কেন লীগ রাজনীতিতে ঢুকলেন। যাদের সম্মন্ধে প্রথমদিকে তার একছত্র অবজ্ঞা ছাড়া আর কিছুই ছিল না।

    প্রথম প্রশ্নের উত্তরে পাকিস্থান বা বাংলাদেশের ইতিহাস যেভাবে লেখা হয় সেটা হচ্ছে, জিন্না কংগ্রেসকে হিন্দুদের সংগঠন বলে মনে করতেন। হিন্দুদের কাছ থেকে তিনি প্রাপ্য মর্যাদা পান নি। এটাও একধরনের সরলীকরন। তিলকের মতন হিন্দুজাতিয়তাবাদি নেতা জিন্নাকেই বৃটিশদের বিরুদ্ধে তার উকিল হিসাবে নিয়োগ করেছেন। মুসলীম লীগ এবং কংগ্রেস যাতে একসাথে বৃটিশদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার সংগ্রাম করতে পারে তার জন্যে জিন্না ১৯৩০ সাল পর্যন্ত চেষ্টা করেছেন অক্লান্ত।

    কিন্ত আসল ফাটলটা এসেছে কংগ্রেসের হিন্দু নেতাদের কীর্তিকলাপে। কংগ্রেস নিয়ে জিন্নার মোহভঙ্গের প্রথম এবং প্রধান কারন অবশ্যই গান্ধী। এবং এর সুত্রপাত গান্ধীর খিলাফত আন্দোলনের সমর্থনের মধ্যে দিয়ে।

    তাহলে জিন্নাকি ভারতীয় মুসলিমদের খিলাফত আন্দোলন (১৯২১) সমর্থন করতেন না? প্রশ্নই ওঠে না। জিন্না খুব পরিষ্কার ভাবেই বুঝেছিলেন এ আসলে ইসলামিক মৌলবাদিদের বৃটিশ বিরোধিতা যা হবে ইসলামিক সমাজের আধুনিকরনের অন্তরায়। গান্ধী এসব কিছু না বুঝেই কুখ্যাত আলি ভাতৃদ্বয়কে ( মৌলনা মহম্মদ আলি এবং সৈকত আলি) সমর্থন জানালেন। জিন্নার অমত স্বত্ত্বেও তিলক স্বরাজ ফান্ড থেকে গান্ধী এই আলি ভাতৃদ্বয়কে টাকা জোগালেন আন্দোলন শুরু করার জন্যে।

    যে খিলাফত আন্দোলন ছিল বৃটিশদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের আন্দোলন, তা অচিরেই হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গার রূপ নিল মালাবারে এবং নোয়াখালিতে। আসলে খিলাফত আন্দোলন হয়ে উঠল মুসলমান প্রজাবিদ্রোহ। হিন্দু জমিদারদের বিরুদ্ধে। আলি ভাতৃদ্বয় হিন্দু নিধনের ডাক দিলেন এবং গান্ধীকেও হিন্দুনেতা বলে অবজ্ঞা করার উপদেশ দিলেন। গান্ধীকে ত এবার গিলতে হয়। ফলে গান্ধী তার মহান সত্যবাদি ঢ্যামনামো অব্যাহত রাখলেন–” আলি ভাতৃদ্বয়ের কীর্তি জিহাদের অপব্যাখ্যা” বলে দুবাটি কেঁদে নিলেন।

    খিলাফত আন্দোলন যে হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গার রুপ নেবে, তা নিয়ে জিন্না আগেই গান্ধীকে সাবধান করেছিলেন। কারন জিন্নার ঘটে বুদ্ধিসুদ্ধি ছিল গান্ধীর চেয়ে কিছু বেশী। যাইহোক জিন্না বুঝলেন গান্ধী এবং কংগ্রেস ইসলামিক মৌলবাদকে নিজের সন্তানের মতন করে লালন করতে চাইছে। মৌলবাদিদের ইসলামিক সমাজের নেতা বানাতে চাইছে কংগ্রেস যা মুসলিমদের হিন্দুদের থেকে পিছিয়ে দেবে। কংগ্রেসের ইসলামিক মৌলবাদি তোষনের সেই ট্রাডিশন আজও চলছে। এবং কি আশ্চর্য্য কংগ্রেসের এই মৌলবাদি তোষন যে মুসলমান সমাজের জন্য ভয়ংকর এবং ক্ষতিকর তা প্রথম বলেন জিন্না-কোন হিন্দু নেতা না। এবং ধর্মনিরেপেক্ষতার প্রতীক মৌলনা আবুল কালাম আজাদও কংগ্রেসের মৌলবাদি তোষনের বিরুদ্ধে কিছু বলেন নি। কারন মৌলনা আজাদ ছিলেন ভারতীয় মুসলমানদের রক্ষনশীল অংশেরই প্রতিনিধি। আহা করি ধাঁধাটি পাঠকদের কাছে কিছুটা পরিষ্কার হচ্ছে।

    সংখ্যালঘুদের জন্যে আলাদা আইন-একমাত্র সংখ্যালঘু মৌলবাদিদের মুসলীম সমাজের প্রতিনিধি হিসাবে গণ্য করার দীর্ঘ ভারতীয় ট্রাডিশন গান্ধীই শুরু করেন। ভারতীয় বল্লাম এই কারনে, ভারতের প্রতিটি পার্টি-সিপিএম থেকে কংগ্রেস-এই দোষে দুষ্ট। জিন্না স্বাধীনত্তোর ভারতে কংগ্রেসের এই ধরনের সংখ্যালঘু নীতির জন্যে মুসলীমদের কি সাংঘাতিক ক্ষতি হবে সেই নিয়ে নিশ্চিত ভাবেই চিন্তিত ছিলেন।

    তবে ১৯২৯ সালেও জিন্না মোটেও পাকিস্থানের কথা ভাবছেন না। বরং ঐক্যবদ্ধ ভারতে মুসলীমদের স্বার্থরক্ষার জন্যে ১৪ দফা দাবী জানালেন। কংগ্রেস সেই দাবীগুলি প্রত্যাখ্যাত করলে, পাকিস্থানের দাবী করা ব্যাতীত জিন্নার হাতে আর কোন উপায় থাকল না।

    কিন্ত কংগ্রেস কেন মানল না সেই ১৪ দফা দাবী? ১৪ টি দাবীর মধ্যে ১১ টি দাবী ছিল সাম্প্রদায়িক। কিন্ত সেগুলি সবই স্বাধীনত্তোর ভারত বর্ষে মুসলমানদের জন্যে মানা হয়েছে। তাহলে মুসলিমদের স্বার্থ রক্ষার জন্যে স্পেসিফিক দাবীগুলিতে কংগ্রেসের আপত্তি ছিল না। ছিল প্রথম তিনটি দাবী নিয়ে যা মূলত ভারতে কেন্দ্র বনাম রাজ্যের ভূমিকা কি হবে তাই নিয়ে। সেখানে জিন্না খুব পরিষ্কার ভাবেই রাজ্যগুলির হাতে অধিক ক্ষমতা দাবী করলেন। যা ভারতের মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্যান্য পার্টি বহুদিন থেকে করে এসেছে এবং ১৯৯০ সালের আগেও কংগ্রেস শক্তিশালী যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর দোহাই দিয়ে বিকেন্দ্রীকরনের দাবী মানে নি। ১৯৯০ সালের পরে কংগ্রেস দুর্বল হতে থাকে। ফলত আস্তে আস্তে রাজ্যের হাতে অধিক ক্ষমতা আসতে থাকে। অবশ্য আমেরিকার কাঠামোর সাথে তুলনা করলে ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে, আরো অনেক বেশী বিকেন্দ্রীকরন হওয়া উচিত।

    প্রশ্ন হচ্ছে কেন কংগ্রেস বিকেন্দ্রীকরনের দাবীগুলি মানল না? এর পেছনে নেহেরুর ভূমিকা কি?
    আসল গল্পটা হল নেহেরু ১৯২৮ সালে ডমিনিয়ান স্ট্যাটাসের জন্যে ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো কি হবে তার একটা খসরা পেশ করেছিলেন। সেখানে রাজ্যগুলির হাতে সীমিত ক্ষমতা দেওয়ার কথা ছিল যা পরবর্ত্তীকালে ভারতের সংবিধান স্বীকৃত হয়। ভারতে ক্ষমতা এবং প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরন হলে কংগ্রেসের নেতাদের ক্ষমতা নিশ্চিত ভাবেই হ্রাস পেত। একালেও যেমন-সেকালেও কংগ্রেসের অনেক বড় নেতারই কোন প্রদেশিক ভিত্তি ছিল না। তারা ছিল দিল্লীকেন্দ্রীক রাজনীতি করে গোটা ভারতের ওপর ছড়ি ঘোরানোর লোক। সুতরাং সম্পূর্ণ ভাবে নিজেদের স্বার্থের জন্যেই নেহেরু এবং তার অনুগামীরা জিন্নার দাবীগুলি প্রত্যাখ্যান করলেন ও জিন্নাকে পাকিস্থানের দাবী তুলতে বাধ্য করালেন। যশোবন্ত সিং এর বইটিতে নেহেরু বনাম জিন্নার এই দ্বৈরথকেই পাকিস্থান সৃষ্টির ভিত্তিভূমি বলে দাবী করা হয়েছে। এবং এই দৃষ্টি ভংগী মেনে নিলে, দেখা যাচ্ছে পাকিস্থান সৃষ্টির জন্যে নেহেরুর ক্ষমতার লোভই মূলত দায়ী।

    জিন্না পাকিস্থান চান নি। নেহেরু তাকে বাধ্য করেছিলেন। ঠিক এই কথাটাই যশোবন্ত সিং লিখেছেন।আমি যতটুকু ইতিহাস পড়েছি, তাতে এই দাবীর কোন ত্রুটি দেখছি না। কারন ১৯৩০ সালের পর লীগ বা জিন্নার ইতিহাস থেকে বোঝা যাবে না, জিন্না কেন পাকিস্থান চাইতে বাধ্য হলেন। তার ডিরেক্ট একশন বা ডেলিভারেন্স ডে ছিল কংগ্রেসের কেন্দ্রীকতা রাজনীতির বিরুদ্ধে লড়াই। যা হয়ে উঠলো হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা। হতে পারে দাঙ্গায় অনেক হিন্দু প্রান হারিয়েছিলেন-এবং সেই দায়ভার জিন্না কখনোই এড়াতে পারেন না। কিন্ত যে নেহেরু-কংগ্রেস তাকে এই কাজে বাধ্য করেছিল, তাদের কি কোন দায় নেই??

    ভাগ্যের কি পরিহাস। আজ ২০০৯ সালে দেখতে পাচ্ছি জিন্নার ১৪ দফা দাবীর সব কিছুই স্বাধীন ভারতে মানা হচ্ছে, কারন ভারতে কেন্দ্রীয় পার্টিগুলি এখন অনেক দুর্বল। আঞ্চলিক দলগুলির ওপর নির্ভরশীল। অথচ ১৯২৯ সালে নেহেরু মানলেন না জিন্নার দাবী। নিজের ক্ষমতার লোভকে সরিয়ে যদি ভারত বর্ষের ভবিষ্যতের কথা ভাবতেন নেহেরু, তাহলে পাকিস্থানের জন্মই হয় না আজ।

    এই কঠোর সত্যটি ভারতবাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যে যশোবন্ত সিং কে জানাই অশেষ ধন্যবাদ। দেশভাগের জন্যে গান্ধী এবং নেহেরুকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ঐতিহাসিক বিচার করা উচিত আপামর ভারতীয়দের।
  • সিকি | 165.136.80.81 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৬ ০৪:৫৯58835
  • রোবু ভেবে দেখিস এর পরে আর আমাকে বুগু বলবি কিনা।
  • PM | 149.5.231.253 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৬ ০৫:০২58841
  • "জানতে হলে বুঝতে হবে " --সে তো বুঝলাম, কিন্তু আপনি আমার পোস্ট-টা ঠিক ঠাক বুঝেছেন বলে মনে হলো না।

    বাঙালী মুসলিম জাতিয়তা বাদের উত্থান, ১৯৪৭ এর বনংগ ভংগ নিয়ে একটা শব্দ-ও তো খরচ করি নি ঃ) যা বলি নি তা নিয়ে আমার পড়শোনার হিসেব নাই নিলেন ঃ)

    আমি পাকিস্তান তৈরীর পটভুমী অর জিন্নার উত্থানের কথা বলছিলাম । বাঙালী মুসলিম জাতিয়তাবাদের উত্থান আর ৪২ পরবর্ত্তী ঘটনাবলী পাকিস্তান তৈরীতে উত্তর ভারতীয় মুসলিমদের থেকে অনেক বেশী ভুমিকা রেখেছিলো, কিন্তু তা সত্ত্বেও আমার ধারনা পুর্ব পাকিস্তানের পাকিস্তান নামক কনসেপ্টে অন্তর্ভুক্তি পাকিস্তান তৈরীর অবজেকটিভের সাথে সাযুজ্য পূর্ন নয় মোটেই, নিতান্ত বাধ্য হয়ে মেনে নেওয়া ঘটনা উত্তর ভারতের মুসলিম সামন্তদের। ১৯৩৩ সালে রহমত আলি প্রথম "পাকিস্তান" শব্দ টা ব্যবহার করেন--আর তাতে "বেঙ্গাল"এর কোনো নামগন্ধ ছিলো না ( ছিলো পান্জব, ফ্রন্টিয়্যার, কাশমির, বলুচিস্তন, সিন্ধ) ।
    স্বাধীনতার ঠিক পরে ১৯৪৮ সালে ঢাকায় গিয়ে সংখ্যাগুরু মানুষের ভাষা বাংলা কে সম্পুর্ন অগ্রাহ্য করে ঊর্দু কে জাতীয় ভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেবার ঔদ্ধত্য পাকিস্তান নামক সদ্য জন্মানো রাষ্ট্রে বাঙালী মুসলিমদের পার্সিভ্ড ভ্যালু কে বোল্ড আর আন্ডার্লাইন করে দেখিয়ে দেয়।

    পাকিস্তান নামক কনসেপ্টটার রিয়েলাইসেসনের জন্য বাঙ্গালি মুস্লিম জীবন দিয়েছে, নিয়েওছে, ইন্ফ্যাক্ট তাদের সক্রিয় অংশ ছাড়া পাকিস্তান আন্দোলন দানাই বাঁধতো না। ডাইরেক্ট অ্যাকসন ডে তে বাংলা বিহারের থেকে সিন্ধ, বালুচিস্তান এমনকি পন্জাব ( পিন্ডি ছাড়া) অনেক শান্ত ছিলো। কিন্তু তা সত্ত্বেও বাংগালী মুসলিম পুরো নাটকের পার্শ্ব চরিত্র মাত্র। অল্প সল্প পড়শোনা করে এই ধারনাই হয়েছে আমার।

    এ ব্যাপারে আমার প্রতিপাদ্য হলো পাকিস্তানের ( মানে পঃ পাক) জন্ম আর জিন্নার উত্থান মুলতঃ ভারত আর সোভিয়েত/আফগানিস্তানের মাঝে এক বাফার স্টেট তৈরির পরিকল্পনার অংশ মাত্র ( যেখানে বাঙ্গালী মুসলিমের ভুমিকা কেবলমাত্র অনুঘটকের)

    আমার বক্তব্য এই টুকুই আপাতত।

    এখন বাঙালী মুসলিম সমাজ কিভাবে আর কেনো এই উগ্র জাতীয়তাবাদের দিকে ঝুকলো, তাতে বাঙালী হিন্দু বুদ্ধিজীবি, ভুস্বামী দের কি ভুমিকা ছিলো-- এটা নিয়ে আমি কোনো বক্তব্য জানাই নি কারন এই টই এর টপিক "জিন্নার অপ্রতিহত উত্থান "
  • PM | 149.5.231.253 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৬ ০৫:২৯58842
  • পাকিস্তান তৈরী হবার সাথে সাথে জিন্না, লিয়াকতের প্রয়োজন ফুরোয়। জিন্না (বাবা- এ কউম/father of nation) , ওনার বোন ফতিমা জিন্না ( মাদার এ মিল্লত/Mother of the nation), লিয়াকত আলি -- এদের পরিনতি গুলো ও একটু দেখবেন।

    এটা শুনে দেখতে পারেন, জিন্না পরিবারের গুরুত্ব পাকিস্তানের রুলিং এলিটের কাছে ( সাধারন পাকিস্তানী নয় কিন্তু) ক্লিয়ার হবে --

  • PM | 116.78.84.25 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৬ ০৫:৩১58836
  • মুসলিম লীগের উথানেটিতে পরাধীন ভারতের রাজনীতি দায়ী অথবা নেহেরু দায়ী -- এটা অতিরন্জিত স্টেটমেন্ট। পাকিস্তান জিন্নার আন্দোলনের ফলে তইরী হয়েছিলো এটাও ওনাকে প্রাপ্যের থেকে বেশী গুরুত্ব দেয়া।

    মুসলিম লিগের দ্বারা কাজ না হলে X বা Y দল বানানো হতো পারপাস সার্ভ করার জন্য। জিন্না কাজ করতে না পারলে লিয়াকাত আলি, ফজলুর রহমান না হলে অন্য কেউ করতো কাজটা।

    রাশিয়ার সাথে ডাইরেক্ট কনট্যাক্ট বন্ধ নিশ্চিত করার জন্য ততকালীন সোভিয়েত ঘেষা আফগান আর নেহরুর দেশের মাঝে একটা পেটোয়া বাফার স্টেট তৈরী করার সিদ্ধান্ত হয়েছিলো ব্রিটেন আমেরিকার মধ্যে। মুসলিম লিগ, জিন্না কেবল সেই সিদ্ধান্ত ইম্প্লিমেন্ট করার টুল মাত্র, তার বেশী কিছু নয়। মুসলিম রাজা গজারা নিশ্চিত ছিলো যে ভারতে জমিদারী থকবে না, সামন্ত তান্ত্রিক কাঠামো ধরে রাখতে তারা প্রো আমেরিকা পাকিস্তান কে সমর্থনও করেছিলো।

    পাকিস্তান সৃস্টির দুটো অবজেকটিভ আজও ভ্যালিড--

    ১। ঠান্ডা যুদ্ধের সময় ভারত সোভিয়েত স্থলপথ বানিজ্য, রাজনৈতিক লেনদেন সফল ভাবে আটকানো গেছিলো--- আজও ভারত আফগানিস্তানের মধ্যে দিয়ে বধ্য এসিয়ায় বানিজ্যের জন্য মাথা খুড়ছে।
    ২। পঃ হক্তি পাকিস্তান কে ব্যবহার করে সোভিয়েতের পতন তরান্নিত করে আফগান যুদ্ধের মাধ্যমে।
    ৩। জামিদারী প্রথা আজো বহাল পাকিস্তানে। বেশিরভাগই ভারত থেকে পাকিস্তানে যাওয়া ভুস্স্বামীরা ওখানে রাজত্ব করছে

    জিন্না, মুসলিম লিগ এক্ষেত্রে বোরে মাত্র। নেহরুর ও খুব একটা অন্য কিছু করার স্কোপ ছিলো না ঃ)
  • PM | 149.5.231.253 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৬ ০৬:৩৮58843
  • ১৯৪৬ সালের লেবার কনভেনসনে ভারতের পার্টিসন নিয়ে প্রশ্নের উত্তোরে বিদেশ সচিব আর্নস্ট বেভিনের বক্তব্য, ঐ বছরেই জুলাইতে ( ডাইরেক্ট অ্যাকসান ডে র আগে) কম্যানডার ইন চিফ Auchinleck এর মন্তব্য বাফার স্টেট এর প্রয়োজনিয়তা নিয়ে, সম্ভাবিত পাকিস্তানে ব্রিটিশ /আমেরিকান মিলিটারি বেসের ব্যাপারে জিন্নার সাথে পত্রবিনিময় এসব নিয়েও কেউ আলোকপাত করতে পারেন।
  • জানতে হলে বুঝতে হবে | 172.243.164.151 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৬ ১২:২৯58837
  • পত্রিকা পড়েন।

    পুরনো পত্রিকাগুলো 'প্রবাসী' 'ভারতবর্ষ' 'শনিবারের চিঠি' বান্ডিলগুলো আর্কাইভ থেকে নামিয়ে পড়েন। ইন্টেলেকচুয়াল বাবু ভদ্রলোকরা ১৮৭০ অনওয়ার্ডস কী ধরনের মিথিক্যাল 'আর্যকেন্দ্রিক' সমাজের স্বপ্ন দেখতেন, কী অপরিসীম গোঁয়ার্তুির সাথে পূর্ববঙ্গে একটী আলাদা প্রদেশ হবার বিরোধিতা করেছিলেন, (এবং ওড়িশা বিহার আলাদা হয়ে গেলে মুখে কুলুপ এটে বসেছিলেন) কীভাবে ভারতীয়ত্বের সংজ্ঞা নির‌্ধারণ করেছিলেন, এবং অন্যদের সেই সমাজ থেকে এক্সক্লুড করেছিলেন। বুঝবেন। অবশ্য যদি বুঝতে চান।

    তা না হলে সেই বর্ণ হিন্দু অহংকারে (যেটা লিব্রেল সিপিয়েমেও বিপুল পরিমানে আছে) সব রাজাগজার চাল আর ব্রিটিশের বাফার স্টেট কনস্পিরেসি ছাড়া আর কোনো ধারণা মাথায় ঢুকবে না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন