এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • বর্ণমালা, আমার দুঃখিনী বর্ণমালা

    এবড়োখেবড়ো লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৯ মে ২০১৯ | ১১০০ বার পঠিত
  • ‘কেন? আমরা ভাষাটা, হেসে ছেড়ে দেবো?
    যে ভাষা চাপাবে, চাপে শিখে নেবো?
    আমি কি ময়না?
    যে ভাষা শেখাবে শিখে শোভা হবো পিঞ্জরের?’ — করুণারঞ্জন ভট্টাচার্য

    স্বাধীনতা-পূর্ব সরকারি লোকগণনা অনুযায়ী অসমের একক সংখ্যাগরিষ্ঠ ভাষাভাষী মানুষ ছিলেন বাঙালি। দেশভাগের পরেও অসমে বাঙালি ছিলেন মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ। স্বাভাবিক কারণেই সেই সময় অসমিয়া প্রধান সরকারি ভাষা ঘোষিত হলেও সমগ্র অসমে সরকারি স্তরে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে চালু ছিল বাংলা। কিন্তু তার পর শুরু হয় ঠান্ডা মাথায় ছক কষার কাজ। অসমের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী গোপীনাথ বরদলৈ ঘোষণা করেন ‘Undoubtedly Assam is for Assamese’। তারই সুর ধরে অসম ট্রিবিউন পত্রিকা লেখে ‘Culturally, racially and linguistically every non-Assamese is a foreigner in Assam’.

    এই পরিবেশে ১৯৫১ সালের লোকগণনায় ঘটানো হয় বিরাট কারচুপি, অসমিয়ার সংখ্যা বেড়ে হয় শতকরা ৫৫ ভাগ আর বাঙালি শতকরা ১৭ জন। এই ব্যাপক সংখ্যক অসমিয়াভাষী মানুষের বৃদ্ধি ও বাংলাভাষী মানুষের হ্রাসকে তৎকালীন লোকগণনার অধীক্ষক আর বি ভাগাইওয়ালা চিহ্নিত করেন ‘Biological Miracle’ হিসাবে। এই ‘মির‍্যাকল’কে বাস্তবে রূপ দিতে ১৯৫১ সালের শেষ দিকে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় সংঘটিত হয় ব্যাপক ‘বঙাল খেদা আন্দোলন’, ভাষা বিদ্বেষ পৌঁছয় চূড়ান্ত পর্যায়ে। প্রাণ বাঁচাতে বাঙালি পালায় শিলং, উত্তরবঙ্গ, কলকাতা। ১০ অক্টোবর, ১৯৬০ সালে তৎকালীন অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিমলাপ্রসাদ চালিহা অসমিয়াকে অসমের একমাত্র সরকারি ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব উত্থাপন করেন। উত্তর করিমগঞ্জ-এর বিধায়ক রণেন্দ্রমোহন দাস-এর তীব্র বিরোধিতাকে উপেক্ষা করে অসম বিধানসভায় ১৯৬০ এর ২৪ অক্টোবর পাস হয় রাজ্যভাষা বিল – অসমের একমাত্র সরকারি ভাষা হয় অসমিয়া।

    এই ঘোষণার বিরুদ্ধে বাংলা ও অন্যান্য স্থানীয় ভাষার স্বীকৃতির দাবিতে বরাক উপত্যকাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে এক প্রবল ভাষা আন্দোলন। ’৫২-র চেতনায় উদ্দীপ্ত হয়ে প্রথমে বাংলা ভাষাভাষীরা ১৯৬১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি গঠন করেন ‘কাছাড় গণসংগ্রাম পরিষদ’। তার পর নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে দাবি আদায়ের জন্য ১৪ এপ্রিল শিলচর, করিমগঞ্জ এবং হাইলাকান্দিতে পালিত হয় ‘সংকল্প দিবস’। এই কর্মসূচীর ব্যাপক সাফল্যের পর পরিষদ উপত্যকা জুড়ে ২৪ এপ্রিল পক্ষকাল ব্যাপী এক পদযাত্রার সূচনা করে। পদযাত্রা শেষে ঘোষণা করা হয় ১৩ এপ্রিল, ১৯৬১ সালের মধ্যে বাংলাকে অন্যতম সরকারি ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি না দিলে ১৯ মে সমগ্র কাছাড়ে ধর্মঘট পালন করা হবে। অসম সরকার এই দাবির প্রতি কর্ণপাত না করে দমননীতি গ্রহণ করে। ১৮ মে আনন্দবাজারের শিলচর প্রতিনিধি লেখেন, “কাছাড় গণসংগ্রাম পরিষদ আহূত কাছাড়ে আসন্ন ভাষা আন্দোলন দমনের জন্য সরকার পক্ষের বিরাট ‘সমর প্রস্তুতি’ সম্পূর্ণ প্রায়।”

    পূর্ব সিদ্ধান্ত মতো ১৯৬১ সালের ১৯ মে বিভিন্ন বয়সের মানুষ শিলচর রেলস্টেশনে অহিংস অবস্থান ধর্মঘট করার জন্য সমবেত হতে থাকেন। ১৯ মে ভোর ৫ টা ৪০ মিনিটে শিলচর থেকে যে ট্রেনটি ছেড়ে যাবার কথা ছিল, একটি টিকিটও বিক্রি না হওয়ায় সেটি এবং পরবর্তী সব ক’টি ট্রেন বাতিল করা হয়। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে দুপুরের পর অসম রাইফেলস ও পুলিশ অবস্থান ধর্মঘট পালনকারীদের গ্রেফতার শুরু করলে চারদিকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হতে শুরু করে।

    আনুমানিক দুপুর আড়াইটে নাগাদ পুলিশের একটি দল ট্রাকে করে ন’জন ধর্মঘটি বাঙালিকে কাটিগোড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে স্টেশনের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় অজ্ঞাত কারণে স্টেশনের সন্নিকটে তারাপুর জনসমাবেশের পাশে হঠাৎ থেমে যায়। উৎসুক জনতা ট্রাকটির কাছে পৌঁছতেই ড্রাইভারের পাশে উপবিষ্ট জনৈক অসমিয়া পুলিশ কর্মচারী ট্রাকের পেট্রোল ট্যাঙ্কে জ্বলন্ত দেশলাই ছুঁড়ে দ্রুত ট্রাক থেকে নেমে যান। স্বেচ্ছাকৃত দুষ্কর্মকে আড়াল করা এবং সুযোগের অপেক্ষায় থাকা রাজকর্মচারীদের জিঘাংসা চরিতার্থ করার জন্য একে একটি অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করা হয়। অতঃপর কোনও পূর্বঘোষণা ছাড়াই আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যেরা নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করতে থাকে। ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান ভাষা-আন্দোলনের প্রথম নারী শহিদ কমলা ভট্টাচার্য সহ মোট ৯ জন ভাষাবিপ্লবী। রাতে হাসপাতালে মারা যান বীরেন্দ্র সূত্রধর। ২১মে ভোরে স্টেশনের পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয় সত্যেন্দ্রকুমার দেবের বুলেটবিক্ষত দেহ। মোট ভাষা শহিদের সংখ্যা দাঁড়ায় ১১ জন।

    ২০ মে সান্ধ্য আইন উপেক্ষা করে নিহতদের মৃতদেহ নিয়ে মিছিল বের হলে মিছিলে জনতার ঢল নামে। অসম সরকার উপলব্ধি করে যে, ন্যায়সঙ্গত দাবিকে কেন্দ্র করে বাঙালি জনগোষ্ঠীর মধ্যে যে ঐক্য ও উন্মাদনা তৈরি হয়েছে তা দমন করা সম্ভব নয়। সরকার বাঙালির প্রাণের দাবি মেনে নেয় এবং বরাক উপত্যকায় বাংলা সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।

    রবীন্দ্রনাথের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ ও বাংলা ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য জওহরলাল নেহরু সেদিন অসমেই ছিলেন। পরিহাস এই যে, সেদিনের সভায় নেহরু রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে বহু কথা বললেও বাংলা ভাষার অধিকার রক্ষার জন্য যাঁরা প্রাণ দিলেন তাঁদের নিমিত্তে তাঁর পঁচাত্তর মিনিটের দীর্ঘ ভাষণে একটি শব্দও ব্যয় করেননি।

    বাংলা ভাষার জন্য শিলচরের বাঙালিদের এই অপরিসীম আত্মত্যাগ তার প্রাপ্য মর্যাদা আজও পায়নি। সমকালে বনফুল এবং মনীশ ঘটক ছাড়া বাংলা সাহিত্যের আর কোনও নামজাদা লেখকের লেখায় এ ঘটনার উল্লেখ পর্যন্ত মেলেনি। পশ্চিমবঙ্গের আবেগজর্জর বাঙালি একুশে ফেব্রুয়ারির স্মরণে সভা সমিতি করেন, রবীন্দ্র সদনের সামনে ঢাকার শহিদদের স্মরণে ফলক ব্সান, অথচ শিলচরের শহিদদের নামোচ্চারণ করার প্রয়োজনটুকুও বোধ করেন না! হয়তো আমরা ভুলতে চাই

    ‘একুশের ফুল বাসি হয় না কখনো
    মাতৃগর্ভে জন্ম নেয় নিয়ত উনিশ
    বিশ্বাস না হয় যদি, তো জিজ্ঞেস করো
    বলবে, ভারত, বাংলাদেশের পুলিশ’ — বিজয় ভট্টাচার্য

    ঋণ : ১. সুকুমার বিশ্বাস, ‘আসামে ভাষা আন্দোলন ও বাঙালি-প্রসঙ্গ ১৯৪৭-১৯৬১’
    ২. অতীন দাশ সম্পাদিত ‘উনিশের কবিতা’
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৯ মে ২০১৯ | ১১০০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ~L~ | 781212.194.120123.250 (*) | ১৯ মে ২০১৯ ০৩:১৫48197
  • এই উনিশে মে কে ভুলে থাকা বা একুশে ফেব্রুয়ারির পাশে জায়গা দেওয়া বা না দেওয়া একটা স্বতন্ত্র রাজনীতি, সম্ভবত শুধু শহীদ সংখ্যার গোনাগুনতিটা ফ্যাক্টর নয়। এই জায়গাটা আমার ইন্টারেস্টের। সুকুমার বিশ্বাস বাবুর বইটা পড়তে হবে।

    বাংলা উইকিতে ( https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE_%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A6%BE_%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%A8_(%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95_%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A6%BE )

    লিখেছে - বিকেল প্রায় ২:৩০র সময় ন'জন সত্যাগ্রহীকে কাটিগোরা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের একটি ট্রাক তারাপুর স্টেশনের (বর্তমানের শিলচর রেলওয়ে স্টেশন) কাছ থেকে পার হয়ে যাচ্ছিল । পিকেটিংকারী সকলে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যেতে দেখে তীব্র প্রতিবাদ করেন। ভয় পেয়ে ট্রাকচালক সহ পুলিশরা বন্দীদের নিয়ে পালিয়ে যায়। এর পর কোনো অসনাক্ত লোক ট্রাকটি জ্বালিয়ে দেয়, যদিও দমকল বাহিনী এসে তৎপরতার সাথে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তারপর প্রায় ২:৩৫ নাগাদ স্টেশনের সুরক্ষায় থাকা প্যারামিলিটারী বাহিনী আন্দোলনকারীদেরকে বন্দুক ও লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করে। এরপর সাত মিনিটের ভিতর তাঁরা ১৭ রাউণ্ড গুলি আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে চালায়।[৪] ১২ জন লোকের দেহে গুলি লেগেছিল। তাঁদের মধ্যে ন'জন সেদিনই নিহত হয়েছিলেন; দু'জন পরে মারা যান। ২০ মে তে শিলচরের জনগণ শহীদদের শবদেহ নিয়ে শোকমিছিল করে প্রতিবাদ সাব্যস্ত করেছিলেন।

    সুতরাং ঘটনার পারম্পর্য নিয়ে ভিন্নমত রয়েইছে। উইকির ( https://en.wikipedia.org/wiki/Bengali_Language_Movement_(Barak_Valley) ) মতটির উৎস এইটে - https://www.wethepeople-barakvalley.in/bhasha-shahid-divas-language-martyrs%E2%80%99-day/843

    http://joutho.wikidot.com/19th-may-matribhasha এ কয়েকজনের ছবি রয়েছে। (ছবিগুলোর অথেনটিসিটিও চেক করা দরকার। ছবিগুলো সব উইকিতেও নেই)
  • এবড়োখেবড়ো | 230123.142.9001212.170 (*) | ১৯ মে ২০১৯ ০৫:২৯48198
  • @~L~, আপনাকে ধন্যবাদ। একজিট পোলের উত্তেজনার আঁচ এড়িয়ে লেখাটি পড়ার এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কিঙ্ক দেওয়ার জন্য।
    ১. বাংলা উইকিতে এ ব্যাপারে অজস্র ভুল আছে। প্রথমত শিলচর স্টেশন কোনও কালেই তারাপুর স্টেশন হিসাবে পরিচিত ছিল না।
    https://en.wikipedia.org/wiki/Silchar_railway_station
    ২. কোনও 'অসনাক্ত' লোক ট্রাকটিতে আগুন দেয়নি, বরং নির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল অসম পুলিশের দিকেই। সে আগুন সত্যাগ্রহীরাই বালি, জল ও কচুরিপানা দিয়ে নিভিয়ে ফেলেন। কিন্তু এই ঘটনাটাকে রাষ্ট্র গুলি চালানোর অজুহাত হিসাবে খাড়া করে। আগের দিন থেকে সশস্ত্র প্রস্তুতি তারই ইঙ্গিত দেয়।
    ৩. শহিদদের মারা যাওয়ার ডিটেলটা এই রকম --- হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে কমলা ভট্টাচার্য, শচীন্দ্র পাল, সুকোমল পুরকায়স্থ, কানাই নিয়োগী, কুমুদ দাস, সুনীল সরকার, হিতেশ বিশ্বাস, চণ্ডীচরণ সূত্রধর ও তরণী দেবনাথ সহ মোট ন'জনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। গুরুতর আহত বীরেন্দ্র সূত্রধর ওই দিন রাতে হাসপাতালে মারা যান। ২১মে ভোরে স্টেশনের পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয় সত্যেন্দ্রকুমার দেবের বুলেটবিক্ষত দেহ।

    আপনি দ্বিতীয় যে লিঙ্কটি দিয়েছেন অর্থাৎ wethepeople সেখানেও বীরেন্দ্র সূত্রধর এবং সত্যেন্দ্রকুমার দেবের মৃত্যুর বিষয়টিকে গুলিয়ে ফেলা হয়েছে।

    তৃতীয় লিঙ্কে দেওয়া শহিদদের ছবি অবশ্য ঠিকই আছে।

    আনন্দবাজারের শিলচর প্রতিনিধির সংবাদ মারফত জানা যায় যে মৃত অবস্থায় আনা হয় ৪ জনকে, হাসপাতালে আনার সঙ্গে সঙ্গে মারা যান ৪ জন এবং হাসপাতালে ভর্তির পর একজন। এছাড়াও শিলচর সদর হাসপাতালের অন্তর্বিভাগে ভর্তি হন ৭৭ জন (পুরুষ ৭০ জন) এবং বহির্বিভাগে ভর্তি হন ২৪ জন (পুরুষ ২২ জন)।
  • এবড়োখেবড়ো | 230123.142.9001212.170 (*) | ১৯ মে ২০১৯ ০৬:৩০48199
  • @~L~, তখন একটা কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলাম। আপনার প্রথম লিঙ্কটি দেখলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় লিঙ্কটি কোনও দিন দেখিনি। সে হিসাবে দ্বিতীয় লিঙ্কটি বেশ ভালো মানের।
  • এবড়োখেবড়ো | 230123.142.1278.67 (*) | ১৯ মে ২০১৯ ০৯:৪৭48196
  • ~L~ | 90056.160.011223.3 (*) | ২০ মে ২০১৯ ০৫:২৮48200
  • আমি প্রাথমিকভাবে উইকি র রেফারেন্সের লিংকগুলো দেখি। কিছু লিংক ডাউন থাকলে সেগুলো আলাদাভাবে গুগুল করে দেখি। এই দ্বিতীয় লিংকটা https://www.wethepeople-barakvalley.in উইকিতে .com হিসেবে রয়েছে, যা বর্তমানে ডাউন। তাই লিংক এ ক্লিক করে না খুললে বিরক্তি বা হতাশায় ওটা এড়িয়ে যাওয়াই দস্তুর। সেইজন্যেই নিশ্চয়ই আগে দেখেন নি। আমি আলাদা করে গুগুল করে পালটানো ডোমেইনটা পেয়ে গেলাম সৌভাগ্যবশত।

    আসলে উইকির বেশিরভাগ লিংকই বর্তমানে ডাউন। কিছু উদ্ধার করা গেল। রইল একত্রে।

    ১) http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=3850&boxid=32416359 -- এটায় ইমেজটা খুলবে না। তাতে ঘাবড়াবেন না। এইটে খুলে টেকস্ট ভিউ তে ক্লিক করলে তবে পড়া যাবে। এটা হল Chowdhury, Ranajit (19 May 2013). "বিস্মৃত বলিদান". Ei Samay (in Bengali).

    ২) Choudhuri, Arjun. "Bhasha Shahid Divas". We The People, Barak Valley. Retrieved 23 May 2013 --- এইটে আগের পোস্টে দিয়েছি। ডোমেইন টা .com থেকে ।in করতে হত।

    3) এই সময় ১৯ মে ২০১৩ Mukhopadhyay, Baidyanath (19 May 2013). "বাঙালির চেতনায় শুধু একুশে, স্থান নেই উনিশের শহীদদের". লিংক উদ্ধার করতে পারলাম না

    ৪) "Report of Non-Official Enquiry Commission on Cachar" (PDF). Silchar: A. K. Das Memorial Trust - এই লিংকটা অয়েব আর্কাইভ থেকে কাজ করছে উইকিতেও https://web.archive.org/web/20131229042659/http://www.unishemay.org/english-pages/lang-content/NCChatterjee.pdf

    ৫) Laskar, Dilip Kanti (4 March 2012). "উনিশের সংগ্রাম অনন্য, অতুলনীয়". The Sunday Indian (in Bengali). Retrieved 23 May 2013. -- সানডে ইন্ডিয়ানের আর্কাইভ পেলাম না। মূল লেখাটা পাওয়া যাবে এখানে -- https://irabotee.com/unishersangram/

    ৬) "No alliance with BJP, says AGP chief". The Telegraph, Calcutta. 27 December 2003. -- এতার উইকি লিংক কাজ করছে। https://www.telegraphindia.com/states/north-east/no-alliance-with-bjp-says-agp-chief/cid/784565

    ৭) "Silchar rly station to be renamed soon". The Times of India. 9 Jun 2009. -- এটাও কাজ করছে --- https://timesofindia.indiatimes.com/city/guwahati/Silchar-rly-station-to-be-renamed-soon/articleshow/4633120.cms?referral=PM

    ৮) https://silcharnews.wordpress.com/2013/07/24/compulsory-use-of-bengali-language-in-cachar/

    ৯) International Mother Language Day - উইকির নিজের লিংক কাজ করছে।- https://en.wikipedia.org/wiki/International_Mother_Language_Day

    ১০) "Gogoi draws flak over official language circular for Barak Valley". The Indian Express. 2014-09-10. Retrieved 2018-01-06. কাজ করছে। https://indianexpress.com/article/india/india-others/gogoi-draws-flak-over-official-language-circular-for-barak-valley/

    ১১) "Learn A Little About Silchar". The Cachar Club লিংক কাজ করছে না। ওয়েব আর্কাইভ থেকে খুঁজে পেলাম https://web.archive.org/web/20111006025017/http://www.cacharclub.com/silchar.asp

    ১২) খুঁজে দিচ্ছি।

    বোনাস https://muktangon.blog/sumon/5866
  • এবড়োখেবড়ো | 230123.142.0189.189 (*) | ২০ মে ২০১৯ ০৫:৩৯48204
  • এই লেখাটি পুনরায় পোস্ট করেছি। তাই যাঁরা আলোচনায় ইচ্ছুক তাঁরা দয়া করে নীচের লিঙ্কে আলোচনা চালাতে পারেন।
    http://www.guruchandali.com/blog/2019/05/20/1558367480764.html
  • ~L~ | 90056.160.011223.3 (*) | ২০ মে ২০১৯ ০৭:০৮48201
  • ১২) "Bronze bust of martyr Kamala Bhattacharya installed". The Sentinel. May 18, 2011. এটা ওয়েব আর্কাইভে খুঁজেও পেলাম না। অবশেষে একটা ব্লগ এ পেলাম -- https://banglabanchao.wordpress.com/2011/05/19/unishe-may-bronze-bust-of-martyr-kamala-bhattacharya-installed/

    তবে এই ব্লগটির Home এ ক্লিক করে পুরো ব্লগটা ব্রাউস করলে ভালো নিউজপেপার আর্কাইভ পাবেন।
  • এবড়োখেবড়ো | 230123.142.67900.95 (*) | ২০ মে ২০১৯ ০৭:৩৪48202
  • @~L~, আপনাকে আরও একবার ধন্যবাদ। রীতিমতো ভূরিভোজের বন্দোবস্ত। আমি, সত্যি বলতে, উইকির রেফারেন্সগুলো একটাও খোলার চেষ্টা করিনি। তার একমাত্র কারণ হল এ বিষয়ে আমার সীমাহীন অজ্ঞতা। প্রতিটা লিঙ্ক খুঁটিয়ে পড়লাম। নতুন সংযোজন বলতে তেমন কিছু পেলাম না। তবে আসল জিনিস পেলাম 'বোনাস'টায়। আপনার প্রদর্শিত পথে লেখার নীচে মন্তব্যগুলোতে চোখ বুলিয়ে পেলাম এই দুই অমূল্য রতন। তার একটা গুরুচণ্ডা৯তেই প্রকাশিত হয়েছিল। এবং সেখানে মন্তব্যের স্বল্পতা চোখকে পীড়া দেয়।

    যাই হোক আমি লিঙ্কদুটো গুরুর পাঠকদের জন্য এখানে রাখলাম।

    http://www.guruchandali.com/default/2012/05/21/1337615640000.html

    https://krishticulture.wordpress.com/2017/04/14/%E0%A7%A7%E0%A7%AF-%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A7%87-%E0%A7%A7%E0%A7%AF%E0%A7%AC%E0%A7%A7%E0%A6%83-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A6%BE-%E0%A6%B8/
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন