এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • কাঙালনামা ৫

    Suddha Satya লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৩ অক্টোবর ২০১৩ | ১৪৯৪ বার পঠিত
  • ।। গণতন্ত্র,জন মার্শাল,সিন্ধু সভ্যতা আর ক্লাইভ ।।

    এই বঙ্গ যা ক্লাইভ ধীরে ধীরে গ্রাসে নেবে সেট নবাবের ভোগ দখলের রাজত্ব। এ অভিজাতদের মৃগয়াক্ষেত্র। মীরমদন বা মদনলাল হল শুধু বিশ্বস্ত যোদ্ধা এবং সন্মানজ্ঞান সম্পণ্ণ মানুষ। মীর জাফর নিজের রাজত্ব চেয়েছিল মাত্র। সেটা বাকী ভারতবর্ষে কি অস্বাভাবিক ঘটনা? দক্ষিণ থেকে উত্তরে, মুঘল থেকে মারাঠা সকলেই বিভিন্ন ইউরোপীয় শক্তির সাহায্য নিচ্ছে। এককালে যেমন তুর্কী থেকে আফগান বিভিন্ন যোদ্ধাদের সাহায্য নিত সকলে। ব্যবসায়ীরা ধন সম্পদ বানিয়েছে ভোগ করবে বলে।নবাবকে তারাই তো অর্থ দেয় সময়ে-অসময়ে! তারাই বা চাইবে কেন নবাব হাতে মাথা কাটুক? ভারতে এককালে বাণিজ্য করা লোকেরা ক্ষমতার ধারে কাছে ছিল না। সেই সিন্ধুসভ্যতার আমলে তারা শুধু বাণিজ্য করতো, চাষ করতো, কিন্তু অন্যের জায়গা নিতে যুদ্ধ করতো না। সে দিন কবে কেটে গিয়েছে। তাদের বংশধরেরা ভারতের বিভিন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। পূর্বে এসেছে হয়তো। পোড়ামাটির টেরাকোটা তাদের হাত ধরেই গিয়েছে হয়তো। তারা এককালে মোষ (Water Buffalo) পোষ মানাতো। পরে তারা হাতিকে পোষ মানাতে শিখেছিল।

    হয়তো! মার্শাল ভাবেন। সভ্যতাগুলো সত্যি ধ্বংস হয় কেন? যুদ্ধে, খরা-মন্বন্তর-বন্যায় নাকি সময়কে না বুঝতে পারার অক্ষমতায়? সিন্ধু থেকে লোকেরা অনেক অনেক জায়গায় বাণিজ্য করতে গ্যাছে। সামান্য নৌকায় করে গ্যাছে। তাঁর আমলের জাহাজ, বাষ্পীয় পোত তাদের কল্পনার অতীত ছিল। তবুও ওই উত্তাল সমুদ্র পেরিয়ে গ্যাছে। তারা নিশ্চই ঘোড়া কোথাও না কোথাও দেখেছে। তাহলে আনেনি কেন? তারা স্থলপথে ব্যবসা করতো গরুরগাড়ীতে। স্থলপথের ব্যবসায় দেখেছে নিশ্চই।তাহলে? ধাঁধা! এর কোনো সমাধান জানা নেই মার্শালের। তারা কেন যুদ্ধ করে নিজেদের ক্ষমতা আর দখল বাড়াতে চায়নি? নিজেদের জীবনে তারা কি করে এত তুষ্ট ছিল? অথচ ব্রিটিশ, তাঁর জাত থাকতে পারেনি তো? সে কি কাঁচামালের অভাবের জন্যে? সে কি নিজেদের ধন সম্পদ বাড়াতে পারেনি বলে?

    সিজার যখন এসেছিল তখনও ব্রিটেনের কিছুই ছিল না। সিজার তাই দেশটাকে সোজাসুজি দখল করার প্রয়োজন বোধ করেনি। পরের দিকে রোমানরা যখন করেছিল তখনও তারা এখান থেকে বিরাট লুঠ নিতে পারেনি। কিছু কম মূল্যের ধাতু ছাড়া তাঁদের ছিলই বা কি? কৃষির থেকে কত সম্পদ হবে যেখানে দেশের বেশীরভাগ জমিই তখনো সমুদ্রের গ্রাসে? শেয়ার ছড়িয়ে জমি উদ্ধারের বাসনা তো আধুনিকের কথা। আর্ল অব বেডফোর্ড আধুনিক মানুষ সেই অর্থে। ধনবাসনাই সব যুদ্ধের মূলে তাহলে। তাঁরা এখানে এসেছেন ধন লুঠ করতে একসময়ে। তার পরে লুঠের ধারা পাল্টেছে। সেও সময়ের প্রয়োজনেই। ব্যবসা যখন শুধু ব্যবসা না থেকে আরো সংগঠিত কারখানা-কারবার হয়ে দাঁড়ালো তখন ব্রিটেনের হাবেভাবে বদল এল। এল সরকারী চিন্তাতেও। ক্লাইভ শুধু যুদ্ধটা বঙ্গে বা ভারতে করেনি। রক্তপাতহীন একটা প্রবল যুদ্ধ চলেছিল ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বোর্ডরুমে। সেই যুদ্ধই ব্রিটিশ কার্য্যক্রম ঠিক করে দেয়। যে কার্য্যক্রম রেলপথ নিয়ে আসবে এ দেশে। যে রেলপথ হরপ্পাকে চেনাবে প্রথম। মার্শালকে ভারতে আসতে হবে যার জন্য।

    ।। বোর্ডরুমের যুদ্ধ এবং রেলপথ ।।

    ক্লাইভ এদেশে যুদ্ধটা সেরে নিয়ে চলে যান নিজের দেশে আরেকটা যুদ্ধ করতে। সেটা ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বোর্ডরুমে। ক্লাইভের কালের আগে থেকে কোম্পানির নিয়ম ছিল এক রকম। বোর্ডে ডিরেক্টর হতে গেলে শেয়ার অন্তত ২০০০ পাউন্ড হতে হবে।ভোটদাতা শেয়ার হোল্ডারদের অন্তত ৫০০ পাউন্ডের শেয়ার থাকতে হবে। কিন্তু ৫০০-এর উপরে যতই শেয়ার থাকুক না কেন তার ভোট একটিই হবে। ক্লাইভের পলাশীতে বিজয়ের আগেই কোম্পানির বোর্ডরুমের চরিত্রে একটি জরুরী পরিবর্তন হল।এর আগে অবধি লন্ডনের অধিবাসীরা- যারা ব্যাঙ্কার, জাহাজ ব্যবসায়ী বা মার্চেন্ট তারাই প্রাধান্য পেত। কিন্তু এবারে একটা গুণ প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়ালো, সেটা হল ভারতীয় অভিজ্ঞতা। ২৪জন ডিরেক্টরের মধ্যে যিনি চেয়ারম্যান হবেন তাঁর জন্য ভারতীয় অভিজ্ঞতা সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তিনি মূলত নীতি-নির্ধারণ করবেন, কোম্পানি চালাবেন। কোম্পানির প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ১৭৫৭, পলাশীর বিজয়কাল অবধি ডিরেক্টর নির্বাচনে ভোটিং প্যাটার্ণ ছিল প্রায় একই রকম। গড়ে ২০০ ভোট পরত এখানে। কিন্তু পলাশীর পরে ক্লাইভ এবং তার সহযোগীদের বিপুল ধনসম্পত্তি লাভের খবর ব্রিটেনেও আসে। কোম্পানির লুটের কথাও বাজারে ছড়িয়ে যায়। সুবে বাংলার জায়গীর মিরজাফরের কাছে তুলে দিয়ে কোম্পানি আর ক্লাইভের লাভ কম হয়েছে? কোম্পানি ক্ষতিপূরন এবং সেনা খরচ বাবদ পেয়েছে দেড় লক্ষ স্টার্লিং, কলকাতাবাসী ইউরোপীয়রা চুক্তি অনুযায়ী (নবাবী আক্রমণের ক্ষতিপূরণ হিসেবে) অর্ধ মিলিয়ন, নেটিভরা পায় ২০০০০০পাউন্ড, আর্মেনীয়ন বণিকরা ৭০০০০পাউন্ড। এছাড়া সোনা-রূপোর প্লেট, মণিমুক্ত অগুন্তি ক্লাইভের দখলে আসে। স্থল ও নৌ-বাহিনীর মধ্যে প্রায় অর্ধ মিলিয়ন জয়ের পুরস্কার হিসেবে ছড়ানো হয়। কোম্পানির কমিটির প্রত্যেক সদস্যের জন্যে ২৪০০০ পাউন্ড করে উপহার, যা আজকের মূল্যে কয়েক মিলিয়ন পাউন্ড স্টার্লিং, তা পাঠানো হয়।

    ক্লাইভের নিজের ভাঁড়ারে কি গেল? এ দেশে দ্বিতীয়বার সে আসে এই যুদ্ধের দু-বছর আগে। সেই ১৭৫৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় ক্লাইভের জাহাজসারির মধ্যে সামনের ডোডিংটন নামের জাহাজটি ডুবে যায়। তাতে ক্লাইভের সোনার কয়েন ছিল ৩৩০০০ পাউন্ডের। সেটা পুষিয়ে বেশী হয়ে গেল এই পলাশীর যুদ্ধ জিতে। ক্লাইভ কোষাখানা থেকে প্রথমে নিলেন ১৬০০০০পাউন্ড। তারপরে মীরজাফর নবাব হয়ে ক্লাইভকে আজীবনের জন্য একটি জায়গীর দিলেন কলকাতার কাছে যার বাৎসরিক উপার্জন হল ২৭০০০পাউন্ড। এছাড়াও নিজের উইলে মীরজাফর ক্লাইভের জন্যে রাখেন আরো ৭০০০০ পাউন্ড। সেই টাকা ক্লাইভ বাহিনীর জন্যে দিয়ে দিলেন। ঠিক সিজারের উইলের মতন।

    সিজারের উইল নিয়ে শেক্সপীয়রের নাটকটি ছাড়াও অ্যাপ্পিয়ানের একটি লেখা আছে। যা অনেক বেশী ঐতিহাসিক। সিজারের মৃতদেহটি ফোরামে কফিনে শায়িত। ১৫ই মার্চ, ৪৪ খ্রীঃপূঃ। জনতা আদেশ করলো সে উইল পড়ে শোনাতে হবে। অক্টাভিয়াস, সিজারের নাতি, যাকে সিজার তার উত্তরসূরী হিসেবে মনোনীত করেছিল, সে উইল পড়া শুরু করলো। সিজারের সম্পত্তির সমস্ত বাগানগুলো জনগণের নামে করে দেওয়া হয়েছে। সে বাগান তাদের অবসরযাপনের স্থান হবে। আমোদের ক্ষেত্র হবে। প্রত্যেক রোমবাসীকে দেওয়া হয়েছে ৭৫ অ্যাট্টিক ড্রাকমা। রোমান মুদ্রা, যার মান ১৯৯৮ সালে আরকেনবার্গের হিসেব অনুযায়ী ১৮৬ ডলার। জনতা খেপলো সিজারের হত্যাকারীদের উপরে। বাগানগুলোতে তাদের বেড়ানোর অধিকার আর মাত্র ১৮৬ ডলারের বিনিময়ে তারা রিপাবলিকান রোমকে তুলে দিল গণতন্ত্রের আলখাল্লা পরা সিজারের তিন অনুগামীর হাতে। সিজারের মৃত্যুতে মার্কাস অ্যান্টোনিয়াস, অক্টাভিয়ান এবং লেপিডাসের দ্বিতীয় ট্রিয়াম্ভিরেট দিয়ে শুরু হল রিপাবলিকানিজমের পতন। এর পরে ট্রিয়াম্ভিরেট একদিন চুলোয় গেল যথা নির্দিষ্ট নিয়মে এবং অক্টাভিয়াস সিজার একদিন অগাস্টাস হয়ে বসলেন। রিপাবলিক এই ভাবেই একদিন রূপান্তরিত হয় প্রিন্সিপেটে। অর্থাৎ সোজা কথায় স্বৈরাচারীর শাসনে চলে যায় দেশ।

    ।। এবারে কোম্পানির ভোটিং প্যাটার্ণে ১৭৫৮তে হঠাৎ পরিবর্তনটা নিশ্চই বোঝা যাচ্ছে? ।।

    একই রকম ভাবে ১৭৬৩-তে লাগে সবচেয়ে বড় ঝটকা এই ভোটাভুটিতে। সেই সালে শেষ হয়েছে সপ্তবর্ষব্যাপী ইঙ্গ-ফরাসী যুদ্ধ। ব্রিটেন জিতেছে। ভারতেও ফরাসীদের কলোনিগুলো বেশীরভাগই ব্রিটিশ অধিকারে চলে আসে। সত্যি সত্যি ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আধিপত্য প্রতিষ্ঠা হয় এখানে। তখন কোম্পানির ডিরেক্টর এম সুলিভ্যান। তার আগের বছরগুলোতে ক্লাইভের বিজয় এবং কোম্পানির লোকেদের টাকা হওয়া নিয়ে ক্রমশ কৌতুহল বাড়ছিল ব্রিটেনে। বাড়ছিল গল্পও। ব্যবসা করে কোম্পানি যত না টাকা করেছে তার চেয়ে অনেক বেশী করেছে লুট করে এবং জায়গীর বা দেওয়ানি ইত্যাদির মাধ্যমে। ভারত তাদের কাছে তখন মূলত রপ্তানিকারক দেশ। সেই দেশের লুটের ভাগের জন্য শেয়ার হোল্ডারদের মধ্যে উদগ্র আগ্রহ বাড়তে থাকে। তার ফলেই দেখা যাচ্ছে ভারত সম্পর্কে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাযুক্ত লোক দরকার ছিল নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে।

    সুলিভ্যান বোম্বেতে ছিল শুরুতে। ক্লাইভের মতই কম বয়সে ভারতে আসে এবং কিছু পুঁজি রোজগার করে ফিরে যায় দেশে। সেখানে গিয়ে কোম্পানির মাথায় চড়ার চেষ্টা করে সে। চড়েও। ১৭৫৮ থেকে তার দাপট ক্রমশ বাড়তে থাকে। ফ্রান্সের সঙ্গে সপ্তবর্ষব্যাপী যুদ্ধের সময় সে কোম্পানিকে নিজের অর্থ দিয়ে সাহায্য করে। এবং অবশ্যই এটা ছিল তার ব্যাক্তিগত স্বার্থে করা ব্যবসায়িক বিনিয়োগ। কিন্তু যখন ক্লাইভ এই যুদ্ধ শেষে বুঝলো যে এবারে ভারতে তাদের ক্ষমতা আরো অনেক অনেক গুণ বেড়ে গ্যাছে এবং ইউরোপীয় কোনো শক্তি আর তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, আর দেশীয়রা তাদের সঙ্গে বুদ্ধিতে এবং সামরিক শক্তিতে পেরে উঠবেনা তখন সে দেখলো কোম্পানির জন্য সত্যি ভাল সময় আসছে। সেই সময়ের সুযোগ নিতে হলে সুলিভ্যানকে সরাতেই হবে। সুলিভ্যানও একই কথা ভাবছিল। কারণ কোম্পানির মাথায় থাকা অবস্থাতেও সে জানত ক্লাইভের ব্যাক্তিস্বার্থ তার বা তাদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করবে। ক্লাইভ নিজে জায়গীর ভোগ করছে। কোম্পানির কর্মচারীরা বেনামে পানপাতা থেকে সুপারি বা মশলা বা কাপড়ের ব্যবসা করে লাল হয়ে যাচ্ছে। কোম্পানি অনেকবার তাদের সতর্ক করার চেষ্টা করেছে কিন্তু কাজ হয়নি। তারা মনে করে তারাই যেহেতু কোম্পানির হয়ে খাটছে ভারতে সুতরাং তাদের একাজ করার অধিকার অবশ্যই আছে। ক্লাইভের মদত নিশ্চই আছে এক্ষেত্রে। নাহলে কি করে হয়! কাজেই কায়েমী স্বার্থ সরাবার প্রচার করে একসময়ে যেমন কোম্পানির বোর্ডে সুলিভ্যান নিজের এবং বন্ধুদের জায়গা করে নিয়েছে এবারেও তেমনই করতে হবে।ক্লাইভের জায়গীর নিয়ে প্রশ্ন তুললো সে। ১৭৬৩-এর কোম্পানির কোর্ট অব ডিরেক্টরস নির্বাচনটা হল সেই কারণে বেশ গোলমালের।

    সে বছরে কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়ে গেছিল অনেক। তার মধ্যে ক্লাইভ আর তার বন্ধুরা নিজেদের সব শেয়ারকে ৫০০পাউন্ডে ভাগ করে নিয়ে বন্ধুদের মধ্যে বাঁটোয়ারা করে দিল। কোম্পানির নির্বাচনে যেন তারা ক্লাইভদেরই ভোট দেয় এটাই শর্ত। প্রচুর ভোটের সংখ্যা বেড়ে গেল। তবুও হারতে হল ক্লাইভকে। সুলিভ্যান আবার ক্ষমতায়। নিজের লোককে চেয়ারম্যান করে সে ছড়ি ঘোরাতে লাগলো। কারণ কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী রোটেশন হবে। একেকজন টানা চেয়ারম্যান থাকতে পারবেনা। কিন্তু এই শেয়ারের যুদ্ধ কোম্পানির নিয়মে একটা পরিবর্তন আনলো। ভোট দিতে গেলে নির্বাচনের অন্তত ছয় মাস আগে কোম্পানির শেয়ার কিনতে হবে। এটার ফল পরে একসময় সুলিভ্যানকেও ভুগতে হয়েছিল। ১৭৬৯-এর নির্বাচনের ঠিক আগে সুলিভ্যানেরা ক্লাইভের পদ্ধতি চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাদের শেয়ারের দাম পরে যায় শেষ ছয় মাসে। সে যাই হোক, কোম্পানির লুটে সকলে সমান উদ্যোগী ছিল একসময়। কিন্তু এবারে লুটের ভাগ নিয়ে যখন নেকড়েদের মধ্যে ঝগড়া বাঁধলো, তখন এল আরেক বিপদ।
    কোম্পানির কর্মচারীরা এবং অন্যরা যারা ভারতে গিয়ে ভাগ্য বানিয়েছে তাদের জন্যে নিয়ম ছিল তারা ব্রিটেনে এসে নিজের মুদ্রায় সেই টাকা কোম্পানির থেকে বুঝে নেবে। এবারে মুদ্রার এই বিনিময় বস্তুটা বেশ বিপজ্জনক। ডাচ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে কোম্পানিকে ক্রমশ ডিভিডেন্ড বাড়াতে হয়েছে। এদিকে কোম্পানি বারেবারে বলা সত্ত্বেও একই ভুল করে চলেছে ভারতের ডোমিনিয়ন। তারা কোম্পানির নির্ধারিত মুদ্রা বিনিময় মূল্য মানছে না। তাদের ইচ্ছে মতন মূল্য নির্ধারণ করছে। তার ফলে লন্ডনে দেখা দেয় সংকট। কোম্পানির টাকার গল্প এমন ছড়িয়েছে যে মন্ত্রী এবং সাধারণের মধ্য থেকে বারে বারে দাবী উঠতে শুরু করেছে কোম্পানিকে সরকারকে টাকা দিতে হবে। এবং বেশ বড় অঙ্কের টাকা। কারণ কোম্পানি তার লাভের জন্য ব্রিটিশ সেনা ব্যবহার করেছে এবং উপনিবেশ দখল করে লাভ করছে। কাজেই কোম্পানিকে ১৭৬৭-তে রাজী হতে হয়েছিল বছরে ৪০০০০০পাউন্ড সরকারকে দিতে। নাহলে কোম্পানির অস্তিত্বই থাকত না।তারই সঙ্গে সঙ্গে এই সমস্যা গোদের উপরে বিষফোঁড়ার মতন কাজ করল। কমিটি বসলো সরকারের। কারণ কোম্পানি টাকা দিতে পারছেনা এবং তারই সঙ্গে টাকা চাইছে সরকারের থেকে এই বিনিময় সংক্রান্ত সমস্যা মেটাতে। অথচ কোম্পানি লোকসানে চলছে এমনও নয়। সেই কমিটি প্রথমে কিছু আইনি পরিবর্তন আনে কোম্পানির গঠনতন্ত্রে। ক্লাইভের বিরুদ্ধে যায় সেটা। বোর্ড অব ডিরেক্টর বা কোর্ট অব ডিরেক্টরের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয় অনেকগুণ। শেয়ার হোল্ডারদের ক্ষমতা কমিয়ে দেওয়া হয়। শেয়ারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হয় ভোটের অধিকারের ক্ষেত্রে।

    বর্তমান কর্পোরেট ব্যবস্থার সূচনা হয় যেখানে ক্রমশ শেয়ারহোল্ডারের বলার মতন কিছু ক্ষমতা থাকবেনা কোম্পানির চলাচলে। আর সিইও-র থাকবেনা কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারকে বারেবারে উত্তর দেবার দায়। তাতেও সমস্যা মিটলো না।আমেরিকার উপনিবেশ একসময় হারাতে হল ব্রিটেনকে। আরো চাপ বাড়লো আরেকটা উপনিবেশ সরাসরি হাতে থাকার। কোম্পানির একচ্ছত্র অধিকার খর্ব করে ভারতে ব্যবসায় বাকীদের জায়গা দেবার দাবী আরো প্রবল হল। কোম্পানি জায়গা ছেড়েছিল বটে আগে, কিন্তু তা আসলে কথার ফাঁদ। এখানে অন্য ব্যবসায়ীদের কোনো স্বাধীনতাই ছিলনা। এই ডামাডোল চলতে চলতে মিস্টার ফক্স কোম্পানির ক্ষমতা আরো খর্ব করার জন্য বিল আনলেন পার্লামেন্টে। সাতজন পার্লামেন্ট নিযুক্ত প্রতিনিধি সবটা দেখভাল করবে। কিন্তু রাজা কলকাঠি নেড়ে, ঘুষ নিয়ে সে বিল ব্যার্থ করে দিলেন। ১৭৮৩-তে এই বিল ব্যার্থ হওয়ায় ফক্স এবং লর্ড নর্থের সরকার পরে গেল। ক্ষমতায় এলেন পিট। তিনি ১৭৮৪-তে ঘুরিয়ে নাক দেখালেন এবং বিল পাস হল। কোম্পানির ডিরেক্টরেটের ক্ষমতা বহাল থাকলো কাগজে কলমে। আসলে ছলে-কৌশলে সেই ক্ষমতা থাকলো রাজা নিযুক্ত পর্যবেক্ষকদের হাতে। কোম্পানিকে রাজত্বের থেকে বড় হতে দেওয়া যাবেনা। এই যুদ্ধে রাষ্ট্রের জয় হল। শোষণ একটি রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা হিসেবে থাকবে এবং জনগণ লুটের ভাগ সরাসরি না পেলেও পাচ্ছে এমন যেন মনে করে এই ব্যবস্থা হল। সিজারের নীতি সিজারের অধিকৃত দেশে প্রযুক্ত হল। শুধু ক্লাইভ সিজার হবার সুযোগ পেল না।

    এবারে কোম্পানির থেকে সরকারে সরাসরি ক্ষমতা হস্তান্তর একটি সময়ের অপেক্ষার প্রকল্প মাত্র। ব্যবসাদারেরা শাসনের দায়িত্ব রাষ্ট্রের হাতে ছেড়ে দিয়েই সন্তুষ্ট। তাতে তাদের মুনাফা কম হয়না। বরং একা লুটছে এই ভাবনাটা কম ছড়ায়, শত্রু কমে। রাষ্ট্র পরিচালকরা তাদের হয়ে যা করার করে দিলেই মিটে গেল! এবারে রাষ্ট্র পরিচালকরা তাদের পেশাদারি দক্ষতায় বিষয়টিকে সামলে নিতে গিয়েই যেটা দেখলেন যে এত দূরের দেশ শাসন করতে গেলে যেটা লাগে সেটা হল যোগাযোগ ব্যবস্থা।কাজেই সে দিকে মন দিতে গেলেন। এল রেলপথের ভাবনা। সবচেয়ে দ্রুতগানী এবং বৃহৎ পরিবহণ ব্যবস্থা।

    ।। এবং হরপ্পা ।।

    মধ্যযুগের শেষের দিকে যত বাড়তে লাগলো কামানের জোর তত দুর্গের গঠনে বৈচিত্র্য এল। আগের দুর্গ হত সোজা এবং উঁচু পাঁচিলের ব্যাপার। এবারে দুর্গ নিয়ে আরো অনেকরকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হল। কখনো নীচু দেওয়াল, পোড়া ইঁটের স্থাপত্য হল, যাতে কামানের গোলায় না ভেঙে পরে, আর দরকারে প্রতিআক্রমণ করা যায় কামান তুলে। আবার কখনো কামানের আয়ত্ত্বের বাইরে রাখার জন্য দুটো দেওয়াল তৈরী হল। আগের কালে যুদ্ধে এই দুর্গ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

    খোলা ময়দানে যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশী সুবিধা ছিল এই দুর্গে। বছরের পর বছরও বসে থাকা যেত দুর্গের ভিতর। শত্রুর আক্রমণ প্রতিহত করা যেত। খাদ্য এবং পানীয়র জন্য দুর্গের থেকে গোপন সুড়ঙ্গ যেত অনেক দূরে। সেখানে খাবার আসতো গোপনে। শত্রুর পক্ষে কঠিন হয়ে যেত অবরোধ। ক্লাইভ যে সুবিধা নিয়েছিল চাঁদ সুলতানের বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে। তার সঙ্গে বাইরে থেকে যদি শত্রুর উপরে আক্রমণের ব্যবস্থা করা যেত তাহলে তো কথাই নেই।

    ক্লাইভ সুলতান আর্কট ছেড়ে যাবার পরেই আক্রমণ করে বসে রাজধানী আর্কট।দখল করে নিয়ে নিশ্চিত বসে থাকে। সুলতানের বিরোধী কিছু নাগরিকের সাহায্যে দুর্গের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরো দৃঢ় করে। তারপরে যখন সুলতানের বাহিনীর একাংশ ফিরত এসে প্রতিআক্রমণ করে তখন সে সাফল্যের সঙ্গে প্রতিরোধ করে। আসলে দুর্গের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই এই সাফল্যের মূল কারণ। তার সঙ্গেই বাইরে থেকে মারাঠা ঘোড়সওয়ার বাহিনী যারা অন্য সময়ে দস্যুবৃত্তিতে লেগে থাকত তারাও আক্রমণ করে সুলতানের বাহিনীকে।সব মিলিয়ে সুলতানকে সন্ধির দিকে যেতেই হয় বাধ্য হয়ে।

    আরো আগে যখন দুর্গের যুদ্ধ হত তখন হাতি দিয়ে গুঁতিয়ে ভাঙা হত দুর্গের দরজা। কিন্তু দুর্গের উপর থেকে গরম জল, তেল বা তীরের আক্রমণে অনেক সময় এই বড় জন্তুগুলো খেপে গিয়ে নিজের বাহিনীকেই পদদলিত করতে পারত। তখন চাঁদ সুলতানের সময়ের মতন দুর্গের নীচ দিয়ে গড়া হত সুড়ঙ্গ। সামনে আড়াল রেখে দিন-রাত বাহিনীর একাংশ, যাদের বলা হত ‘স্যাপার’ ইউরোপে, তারা সুড়ঙ্গ খুঁড়তো। দুর্গের প্রাকারের ভিত দুর্বল করে দিত। প্রাকার ভাঙতে এবং ওই সুড়ঙ্গ দিয়ে ঢুকে কেল্লার দরজা খুলতে সুবিধা হত আক্রমক বাহিনীর। আর যদি প্রতিরোধকারীরা টের পেয়ে যেত এ কাজ তাহলে তারা সুড়ঙ্গের মুখে অপেক্ষা করত মৃত্যুর মত করে। কিন্তু কামান আসার পরে ইউরোপে এসব বাতিল হয়ে যায়। এভাবে যুদ্ধ যেতা যাবেনা। তাই নতুন কৌশল ‘স্টার ফোর্ট’ হল। তারা আকৃতির এই দুর্গগুলোর কাজ ছিল কামানের গোলাকে সাফল্যের সঙ্গে প্রতিরোধ করা। সোজা দেওয়াল না হওয়াতে কামানের গোলা সোজা এসে ঝাঁপিয়ে পরতে পারতো না। এই দুর্গব্যবস্থা অনেক যুদ্ধের ফলাফল নিশ্চিত করে দিয়েছে সেই সময়ে এবং আধুনিক যুগের শুরুর দিকেও।

    এই দুর্গের ঘাটতি ছিল সিন্ধুর লোকেদের। তাদের সভ্যতায় আসলে যুদ্ধ বিষয়টারই তেমন গুরুত্ব ছিল না। নগরে প্রাকার তৈরী হয়েছিল ধীরে ধীরে। আসলে গ্রাম অঞ্চলকে ক্রমশ বন্যার জলের থেকে বাঁচাতে প্রাকার দিয়ে সংরক্ষিত করে ফেলাই ছিল কাজ। সেই কাজে সফল হবার পরে তারা গ্রামকে নগরে পরিণত করেছে। অন্যদিকে ক্রমশ কমেছে চাষের জায়গা। নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হতে থেকেছে। টেকটনিক চলন ক্রমশ ব্যাহত করেছে তাদের কৃষিকাজ এবং নগরগঠন। গ্রামাঞ্চল তৈরী হতে পারেনি ওই অঞ্চলে এই আবহাওয়াওগত সমস্যার জন্য। খাদ্য, বাসস্থানের মতই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেটার সমাধান ছাড়া কোনো সভ্যতার টিকে থাকা সম্ভব না। এরাও টেকেনি।

    তার সঙ্গে ছিল বহিরাক্রমণ। ক্রমশ নগর জীবন অসম্ভব হয়ে ওঠে।খাদ্য থেকে শুরু করে কাঁচামালের সরবরাহ না থাকলে নগর হয়না। সে নিজে নিজের জন্য মূল উৎপাদন করেনা। কাজেই খোলা জায়গায় গ্রাম আর ঘেরা জায়গা নগরে পরিণত হল একসময়। নগর ছেড়ে তাদের দূরের দূরের গ্রামে গ্রামে সরতে হচ্ছিল খাবারের জন্য। অন্যথায় তাদের সাম্রাজ্য বানাতে হত। কিন্তু সাম্রাজ্য বানানোতে তাদের খুব উৎসাহ দেখা যাচ্ছেনা। তারা ব্রিটিশ ছিলনা। কাজেই একদিন তারা ছড়িয়ে পরলো বাকী উপমহাদেশে। মিলিয়ে গেল জনস্রোতে। এখানে ওখানে তাদের ছাপ থেকে গেল। নিম্ন বা উচ্চমানের ছাপ। এবং আরেক সময় এল যারা দখল করতে জানে তাদের সঙ্গে মুখোমুখি হবার। সে দিন রেলপথ স্থাপন করবে ব্রিটিশ শাসন।

    (ক্রমশঃ)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৩ অক্টোবর ২০১৩ | ১৪৯৪ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    শুদ্ধ - Suddha Satya
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 24.97.233.154 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ০২:৪৭46738
  • দীর্ঘ অপেক্ষার পর ......
    আরেকটু তাড়াতাড়ি দিতে কি খুব অসুবিধে?
    :-( :-(
  • arya | 229.65.188.75 (*) | ২৫ অক্টোবর ২০১৩ ০৬:১৫46739
  • ki boli...darun laagche....gotokal porar por aj abar porlam...eto bhalo tothyo somriddho lekha...darun....
  • শুদ্ধ | 126.193.143.49 (*) | ২৫ অক্টোবর ২০১৩ ০৯:১৭46740
  • দ, কদিন ধরে চাপ একটু বেশীই যাচ্ছিল। তাই সাজাতে সময় লাগলো। তারপরে পূজো চলে এল। পূজোর লেখা এল এখানে। তাই একটু দেরীতে দিলাম। :)
    আর্য, :)
  • Hawa | 84.143.144.244 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৩ ০৮:৫৩46741
  • দারুন হচ্ছে। অপেক্ষায় আছি
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন