এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • একটা অ-সমাপ্ত গল্প (পর্ব - ৬)

    Kaushik Ghosh লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ | ১৪৪৯ বার পঠিত
  • ৬।

    … কারো বাঁশির মতন নাক ভালো লাগে,
    কারো হরিণের মতন চাহনি নেশা ধরায়-
    কিন্তু হাত তাদের নামানো মাটির দিকে,
    ঝঞ্ঝাক্ষুদ্ধ সমুদ্রে জ্বলে ওঠেনা তাদের দৃপ্ত মুখ
    ফসফরাসের মত

    কলেজের গেট থেকে কলকল করতে করতে মেয়েরা বেরোচ্ছে। ছেলেরা তাদের পেছনে পেছনে; একটু তফাৎ রেখে। সুধা মেয়েদের ভিড়টাকে বাঁচিয়ে বেরিয়ে আসছে কলেজের ভেতর থেকে। চেনা কারোর সাথে দেখা হলে দু-এক কথায় সময় নষ্ট হবে। এখন পড়াতে যাওয়া আছে পোড়ামাতলায়। একটা বাড়িতে দুই ভাই বোনকে পড়াতে হয়। স্কুলের নিচু ক্লাসে পড়ে দুজনাই। মাস গেলে পাঁচটা টাকা পাওয়া যায়। সুধার কাছে কম কিছু নয়। স্কালারশিপের টাকায় কোনোমতে পড়ার খরচটা চলে হয়ত, কিন্তু মাস গেলে মায়ের হাতে দুটো টাকা দিতে পারলে নিজেরই ভালো লাগে।
    সুধা বোঝে, এ সব ছেলেমানুষি করে সংসারের অবাধ্য অভাবটাকে বাগে আনা যাবেনা, কিন্তু তা ছাড়া এই মূহুর্তে আর উপায়ই বা কি? ক্লাসের মেয়েদের অনেকেরই বাড়ির অবস্থা ওর চাইতে স্বচ্ছল। ওরা তাই পড়াশোনার বাইরেও অনেক কিছু নিয়ে মেতে থাকে। রেডিওতে সিনেমার গান,উত্তমকুমার আর দেবানন্দ তাই ওদের আলোচনায় থেকে থেকেই ঢুকে পরে। পড়াশোনার বাইরেও ওদের একটা জীবন আছে। সেই জীবনটা কাটানোর মতন রসদ সুধার কাছে নেই। কলেজে এসে পড়াশোনার বাইরে অন্য কিছু নিয়ে আলোচনা করতে ওর তাই ভীষণ অপরাধবোধ হয়। ওর যে এসব শোভা পায়না! ময়ূর পুচ্ছধারী কাক হয়ে কি লাভ? তা ছাড়া ওসব চটুলতা ওর মনে খুব একটা দাগও কাটেনা। বরাবরই সুধা একটু গম্ভীর প্রকৃতির। কারন ছাড়া হাসে না। ভাইবোন, এমনকি বন্ধুদের সাথে কখনও লঘু আলোচনা করেনা। পড়াশোনা আর টুইশানির বাইরের সময়টা ও ছবি আঁকা বা সেলাই করার মতন চারুবৃত্তিতে কাটায়। অকারন প্রগলভতা কে ও ঘৃণা করে।

    তা সত্ত্বেও ওর মন কি কখনও ওর ক্লাসের স্বচ্ছল মেয়েগুলোর জীবনটাকে কামনা করে না? ঠিক জানেনা সুধা।কিন্তু এটা বিলক্ষণ জানে যে ওকে একটা চাকরি পেতেই হবে। দাদা একটা চাকরি পেলে সুরাহা হত, কিন্তু তারও কোনো আশা দেখা যাচ্ছেনা এই মূহুর্তে। দিদির বিয়েটাকে যতদিন ঠেকিয়ে রাখা যায় ততদিনই সংসারের পক্ষে মঙ্গল। মাঝে মাঝে দিদির ওপরে ভীষণ রাগ হয় সুধার। সারা দিন কি যে করে কে জানে! পড়াশোনা না হয় সকলের হয়না, কিন্তু তা বলে কি একটু গান বাজনা, বা অনুরুপ কোনো কাজ করা যায়না?
    পাবনা থেকে আসার সময় শত অসুবিধের মধ্যেও হারমোনিয়ামটা নিয়ে এসেছিলো মা। দেশভাগের স্মৃতি। পাবনায় থাকতে অবশ্য মা অর্গ্যান বাজিয়েই গান গাইতো। ঐ পাড়া গাঁয়ের পরিবেশে বেমানান হলেও। মায়ের বড় প্রিয় বাজনা ছিলো অর্গ্যানটা। গত বছর বাবার এক দূর সম্পর্কের ভাগনে এসেছিলো ও দেশ থেকে। মায়ের অর্গ্যানটার ওপের ওনার ছেলেমেয়েরা এখন বইপত্র রাখে। সুধা ভাবে, একেই হয়ত বলে নিয়তি। এলাহাবাদ আর বম্বের দুই ব্যারিস্টারের ইগোর লড়াইয়ের মধ্যে কোথাও তো ছিলোনা সুধা বা সুধার পরিবার! তবু কেন সব পাল্টে গেল সুধাদের জীবনে? কার কর্মফলে? সুধা জানেনা।

    পোড়ামাতলা যেতে নিজেদের বাড়ির পাড়ার ভেতর দিয়েই যায় সুধা। কাঁধের ব্যাগটা বাড়িতে নামিয়ে যায়। পাড়ায় ঢুকে দেখলো বাড়ির সামনের মাঠটায় শোভা আর ওর বন্ধুরা হুটোপাটি করে খেলছে। গলা তুলে শোভাকে ডাকলো ও। কোনো কথা না বলে ব্যাগটা শোভার হাতে চালান করে দিল। কথা বলার সময় নেই। মাঠটা থেকে রাস্তায় উঠতেই ঘোষ বাড়ির রোয়াকের দিকে চোখ পড়ল। ঘোষ বাড়ির ন' কর্তা, নিতাই জেঠু রোজকার মতন বসে আছেন একা একা। ভদ্রলোক অকৃতদার। একসময় স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন; এখন পাগল। নিজের মনে চুপ করে বসে থাকেন আর কি সব হাবিজাবি বিড় বিড় করেন।

    দেরি হয়ে যাছে। বাচ্চা গুলোর বাবা আবার কথা শোনাবে। এই ব্যাবসাদারেরা বোঝেনা যে আর যাই হোক; লেখাপড়া, চারুবৃত্তি ইত্যাদির মতন সুক্ষ্ম কাজ - ঘড়ি ধরে সময় মেপে হয়না। সুধাকে বাবা সর্বদাই বলে, শিক্ষাবৃত্তির মতন নোবেল প্রোফেশন আর হয়না। বাবার মতে, ডাক্তারের চাইতেও শিক্ষককে মানুষ সম্মান করে বেশি। কারন ডাক্তারের কাছে মানুষ যায় ঠেকায় পড়ে আর শিক্ষকের কাছে আসে হৃদয়ের তাগিদে, জ্ঞানের পিপাসায়!
    কিন্তু চারদিকে তাকালে সেই পিপাসা সুধা দেখতে পায়না কেন? তবে কি ওর সেই দৃষ্টি নেই? দেখতে গেলে মনের চোখ খোলা রাখতে হয়। সেই চোখের ওপের কি তাহলে স্থূলতার পলি পড়ল জীবন যুদ্ধে লড়তে লড়তে? বাবার মতকে খুবই সম্মান করে সুধা কিন্তু আজকাল ওর মনে হয়,বাবা বুঝিবা এতদিন ঠকে এসেছে এই সমাজের কাছে। তা না হলে বাবার মতন এত জ্ঞানী মানুষের ঘরে নিত্য অনটন কেন? কিসের জন্য দাদাকে পড়া বন্ধ করে একটা কেরানির চাকরি খুঁজতে হচ্ছে উদ্ভ্রান্ত হয়ে? আসলে এই সমাজ বাবার মতন মানুষদের চিরটাকাল মিথ্যে প্রবোধ দিয়ে এসেছে। বলেছে, তুমি যা করছো তাতে সমাজের মঙ্গল হবে। তার বদলে তোমাকে আমরা শহীদের সম্মান দেব কিন্তু স্বাচ্ছন্দের অধিকার দাবী কোরোনা; ঐ বস্তুটি আমাদের মতন মুষ্টিমেয়র জন্য।
    সুধার মনে হয় এ যেন আরেক সমুদ্র মন্থন। বাবার দিকে উঠল সম্মান আর ওর ছাত্রের বাবার দিকে উঠল স্বাচ্ছন্দ। এই নবদ্বীপ শহরে অনেক ব্যবসায়ীর বাস। তাদের মধ্যে সিংহ ভাগই স্কুলের গন্ডী টুকুও পেরোয়নি। কিন্তু জাগতিক সব সুখই তো তাদের কুক্ষিগত! অথচ এই শহরে বাবার মতন ইংরাজি জানা মানুষ শুধু একজনই আছেন - দেবী বাবু। দেবি বসু নতুন কম্যুনিস্ট পার্টিটার একজন বড় নেতা। সুধাদের বাড়ির পাশের মনোরঞ্জন জেঠু ওনার সাথে একই দলে আছেন। এই শহরে পুরনো পার্টিটার আর কোনো অস্তিত্ব নেই। সকলেই সিপিআই-এম-এ চলে এসেছেন।

    দেবি বাবুর কথা ভাবলেই বিস্ময় জাগে ওর। শুধু ইংরাজি কেন, আরো খান পাঁচেক ভাষায় ওনার দক্ষতা প্রশ্নাতীত। তা ওনার না হয় পৈতৃক সম্পত্তির অভাব নেই কিন্তু বাবার কেন এহেন অবস্থা! দেশ ভাগ না হলে অবশ্য সুধাদের অবস্থা দেবিবাবুদের চাইতে ভালো বই খারাপ হত না, কিন্তু সেটা তো কোনো যুক্তি হতে পারে না! কেন একজন মানুষ শিক্ষকতা করে তার সংসারের ছোটো ছোটো প্রয়োজন গুলোকে মেটাতে পারবে না - এই প্রশ্ন কি সমাজপতিদের মাথায় একবারের জন্যও আসেনা? একজন ব্যবসাদারকে সারাদিন পরিশ্রম করতে হয়, অনেক পুঁজি লগ্নি করতে হয়। সত্যি। কিন্তু একজন শিক্ষক ও কি লগ্নি করেনা? এম এ পাশ করতে একজন মানুষকে জীবনের সতেরটা বছর লগ্নি করতে হয়। শুধু সময়ের নিরিখেই নয়, এই সতের বছরে সে কি শ্রম ও লগ্নি করে না? আর তার বদলে যদি ছেলে পড়িয়ে সে জাগতিক সুখ কামনা করে - তবে কি সেটা অপরাধ? হয়ত তাই!

    ছাত্রের বাড়িতে ঢুকে সুধা চলে এল বাচ্চাগুলোর পড়ার ঘরে। ছেলেমেয়ে দুটোকে দেখা গেলনা। এখনও খেলে বেড়াচ্ছে হয়ত! ছেলেটা ক্লাস ফোর এ পড়ে আর মেয়েটা সেভেন এ। লেখাপড়ায় বাচ্চা গুলোর আগ্রহ আছে কিন্তু এদের বাড়ির পরিবেশটা পড়াশোনার উপযোগী নয়। অনেক লোকের বাস এই বাড়িতে। সর্বদা হট্টগোল লেগেই রয়েছে। পড়ানোর সময় চতুর্দিক থেকে চেঁচামেচির শব্দ আসে। পড়ানোর ঘরটার মধ্যেও মানুষের আনাগোনা লেগেই আছে। আর আছে ছাত্রের বাবার খবরদারি। খবরদারি বলতে, কবে সুধা পনের মিনিট কম পড়িয়েছে আর কবে ওর আসতে দেরি হয়েছে - এ কথাই ওকে মনে করিয়ে দেওয়া।
    মাঝে মাঝে সুধা ভাবে ওনাকে মনে করিয়ে দেওয়া উচিত যে পরীক্ষার সময় গুলোতে কিন্তু ও সপ্তাহের সেই দিন গুলোতেও এসেছে যে দিন গুলোতে ওর আসার কথা নয়। তার জন্য উপরি পারিশ্রমিকের - হ্যাঁ পারিশ্রমিকই, সম্মান দক্ষিণা কথাটা এ বাড়িতে বড় বেমানান - কথা একবারের জন্যও চিন্তা না করেই। সুধা ভালো মতই জানে যে সেই অতিরিক্ত দিনগুলোতেও ভদ্রলোক হিসাব রাখেন দিদিমণি কতক্ষন পড়ালেন। মাসের শেষে ঐ অতিরিক্ত ঘন্টাগুলোও ওনার মুনাফার অংশ।

    বেশ খানিকটা সময় হয়ে গেল বসে আছে সুধা। ছেলেমেয়ে দুটো তো কোনোদিন এত দেরি করেনা! একবার নিজে গিয়ে খোঁজ করবে কি? চেয়ার ছেড়ে উঠতে যাচ্ছিল, ঠিক সেই সময় বাচ্চা গুলোর বাবা রামলাল বাবু ঘরে ঢুকলেন। বললেন, দিদিমণি, ওরা অজকে পড়বেনা। ফুলটুসির একটা সম্বন্ধ এসেছে, কালকে পাত্রপক্ষ দেখতে আসবে। তারই তোড়জোড় করছে ওরা! ফুলটুসি সুধার ছাত্রির নাম। নামটা বোধহয় ঠিক শোনেনি সুধা। জিজ্ঞেস করল, কার বিয়ে? ফুলটুসির? কিন্তু ওর তো এখনও বিয়ের বয়সই হয়নি? হলুদ দাঁত গুলো বের করে ভদ্রলোক বললেন, মেয়েমানুষের বয়স আর কাবলিওয়ালার সূদ - কিভাবে যে বেড়ে যায় তা কি কেউ বলতে পরে? আর বয়স হয়নি কি কথা? তেরয় পরে গেছে গত বৈশাখে! ওর মা বলল বিয়ের কথা পাকা হলে এক বছর পরে বিয়ে। বিয়ের কনের চোদ্দ বছর বয়স খুব কমও নয় কিন্তু! তারপর একটু থেমে বললেন ,হ্যাঁ ষোলোতে হলে হয়ত ভালো হত, কিন্তু সেই বাপের ঘর ছাড়তেই যখন হবে, ও দু বছর আগে ছাড়াই ভালো। শেষ চেষ্টা করতে সুধা বলল , কিন্তু ওর পড়াশোনার কি হবে? অল্প হেসে রামলাল বাবু বললেন, আমাদের বংশে মেয়েমানুষের লেখাপড়ার চল নেই দিদিমণি। নেহাৎ আজকাল দেখি ফ্যাশন হয়েছে, তাই মেয়েটাকে কদিন ইস্কুল মুখো করিয়েছি। ঐ ঢের হয়েছে। এর পর থেকে ওর ভাইই শুধু পড়বে। বিয়ের আগে কাজকম্ম গুলো একটু শিখে নিক।

    উঠে পড়ল সুধা। কাল থেকে আর পড়াতে আসবেনা এ বাড়িতে। টুইশানি করবে শুনে বাবা অসন্তুষ্ট হয়েছিলো। সুধা বাবাকে বুঝিয়েছিলো, এদের বাড়িতে বাচ্চা গুলোকে পড়া দেখিয়ে দেওয়ার কেউ নেই। সুধার মাধ্যমে যদি ওরা পড়াশোনা করে তো ক্ষতি কি? অনেক ভেবে মত দিয়েছিলো বাবা। কোনো অন্তরদন্ধে ভুগেছিলো হয়ত।
    ছোটো ছেলেটার জন্য খুব মন কেমন করবে। কি আর করা! রামলাল বাবু ঠিকই বলেছেন, যেতে যখন হবেই তখন দু দিন আগে আর পরে। কদিন পরে যখন ছেলেটা বই গুটিয়ে রেখে গদিতে বসবে, তখনও তো মন খারাপ হত; তাই না!

    বাড়ি চলে এল সুধা। হাতমুখ ধুয়ে কাপড় পাল্টে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেবে ও। তারপর রাতের খাওয়া। মা রোজকার মতন রান্নায় ব্যস্ত। কিরন পড়ছে। শোভা বাবার কাছে ঔভশফ কনতক্ষ শুনছে। দাদা বারন্দায় বসে চুপচাপ। কর্মহীণ। গতানিগতিক টুকরো ছবি গুলো নতুন কোনো সংকেত পাঠাতে পারলোনা ওর মগজের ক্লান্ত কোষগুলোতে। ঘুম পাচ্ছে সুধার। ক্লান্ত শরীরের সাথে সাথে ক্লান্ত মনটাকেও আস্তে আস্তে ছেড়ে দিল বিছানায়। আর এতক্ষণ ধরে আটকে থাকা কান্নাটাও যেন অপেক্ষাতেই ছিলো, পায়ে পায়ে নেমে এল ওর গালবেয়ে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ | ১৪৪৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন