এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • একটা অ-সমাপ্ত গল্প

    Kaushik Ghosh লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০১ নভেম্বর ২০১৩ | ১৪৫৯ বার পঠিত
  • ৪।

    কোন হাটে তুই বিকোতে চাস ওরে আমার গান,
    কোনখানে তোর স্থান?
    পণ্ডিতেরা থাকেন যেথায় বিদ্যেরত্ন পাড়ায়,
    নস্য উড়ে আকাশ জুড়ে, কাহার সাধ্য দাঁড়ায়,
    চলছে সেথায় সূক্ষ্ম তর্ক সদাই দিবারাত্র
    পাত্রাধার কি তৈল কিম্বা তৈলাধার কি পাত্র,
    পুঁথিপত্র মেলাই আছে মোহধ্বান্তনাশন-
    তারি মধ্যে একটি প্রান্তে পেতে চাস কি আসন?
    গান তা শুনিয়া গুঞ্জরিয়া কহে
    নহে, নহে, নহে।।

    ঘরের জানলা দিয়ে সকালের রোদ আসছে। মেঝেতে ফরাসের ওপর বসে গলা সাধছে বিশ্বনাথ। দেশ রাগ। সাধারনত এই সময় অন্যদিন ও রামকেলি বা ভৈরব গায়; গুরুজীর সেরকমই নির্দেশ। গুরুজী বলেন প্রত্যেকটা রাগ গাইবার একটা নির্দিষ্ট সময় আছে, যখন তখন যে কোনো রাগ গাইতে নেই। বিশ্বনাথ গুরুজীর নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করে। কিন্তু সবসময় মন সায় দেয়না। এই যেমন সেদিন, গুরুজী কে একটা কথা বলব বলব করেও বলতে পারলোনা। ওর মতে, দিনের একটা বিশেষ সময় কখনোই মানুষের মনের দ্যোতক হতে পারেনা। মনে যদি বর্ষা আসে তখন মিঁয়া মল্লার বা দেশ-ই গুনগুন করতে ইচ্ছে করে - তা আকাশে যতই চাঁদি ফাটা রোদ থাকুক না কেন। তা ছাড়া সঙ্গীত তো মানুষের মনের ভাব প্রকাশেরই মাধ্যম! তাকে কলকব্জা দিয়ে বাঁধার পক্ষপাতি নয় ও। কিন্তু কি আর করা যাবে, এভাবেই আবাহমান কাল ধরে গেয়ে আসছে মানুষ ।
    তবে বিশ্বনাথ ঠিক করেছে এ ভাবে নিজের মনের সাথে প্রতারনা করতে পারবেনা ও। গুরুজীকে ও খুবই সম্মান করে। গুরুজীর সামনে ও কখনো ব্যাকরণ বহির্ভূত গায় না। কিন্তু যখন সম্পূর্ন নিজের জন্য গাওয়া - এই যেমন এখন - তখন রাগ গুলোতে নিজের মনের মাধুরি মিশিয়ে নিতে দ্বিধা করেনা ও। তা বলে রাগ গুলোকে আমূল বদলানোর প্রয়োজন আছে বলেও ওর কোনোদিন মনে হয়েনি। দেশ রাগে "চমক চমক বিজুরিয়া" গাইতে গিয়ে ওর এখন মনে হচ্ছে যায়গায় যায়গায় শুদ্ধ আর কোমল স্বর যেন বদলা বদলি হয়ে গেছে - কোথাও কোথাও শুদ্ধ স্বর ব্যবহার না করলে রাগটা হয়ত নিজের কানে অনেক বেশি শ্রুতি মধুর লাগতো। এরকম যে ওর সব সময় মনে হয় তা কিন্তু নয়! এই একই রাগ অন্য সময় গাইতে গেলে হয়ত মনে হবে কই, সব কিছুই তো একদম ঠিকটি আছে, কোথাও কিচ্ছু বদলাবার মতন নয়। নিজের মনের মধ্যে কারন হাতড়ে ওর মনে হয়েছে;প্রত্যেকটা রাগের, সুরের একটা নিজস্ব মেজাজ রয়েছে। কোনো কোনো সুর কোনো কোনো সময় মনকে ভীষণ ভাবে নাড়া দেয়। তা এই জন্য নয় যে সুরটা ভালো বা মন্দ বা আর কিছু; মনে দোলা লেগেছে এই জন্য যে সেই সময় গায়ক বা শ্রোতার মেজাজের সঙ্গে সুরের মেজাজের একটা অনুনাদ ঘটে গেছে। আর সুর যদি কোনোক্রমে শ্রোতার মেজাজে পরিবর্তন আনতে পারে তবে তো আর কথাই নেই। সুরস্রষ্টার মেহনত সার্থক!
    এখন চমক চমক বিজুরিয়া গাইতে গাইতে ওর মনে শুদ্ধ আর কোমল "নি" নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। আগে বুঝতে পারতনা আর তাই অস্বস্তি হত। আজকাল কারনটা বুঝতে পারে। ওর মনের ভাবটা এখন ওই দুটো "নি"'র মেজাজের মাঝখানে বিচরন করছে। যে মুহুর্তে মনটা যে কোনো একটা সুরে বাঁধা পড়বে, তখন আর কোনো দোলাচাল থাকবেনা। গুরুজীর কাছে আর যারা গান শেখে তারা এসব নিয়ে কখনও ভাবে বলে তো ওর মনে হয়না। গানের স্বরুপ, তার মেজাজটা না বুঝে শুধু নিয়ম মেনে গেয়ে গেলে কি সেটাকে গান বলা চলে? অনেক গায়কের গান শুনে ওর মনে হয়েছে ,তারা যেন মনের ডাককে অগ্রাহ্য করে নির্ভুল ব্যাকরণে একের পর এক রাগের বিস্তার করে চলেছেন। এসব দেখে শুনে একটা বোবা রাগ ওর মনের ভেতরে ঘুরপাক খায়।

    গুরুজী কখনও রাগের স্বরুপ বদলানোতে সায় দেননা সত্যিই, কিন্তু একই সাথে মনের বিরুদ্ধে গিয়েও গাইতে বলেননা কখনোই। কারোর মন যদি অতিমাত্রায় প্রফুল্ল থাকে, উনি কখনোই তাকে করুন রাগের বিস্তার করতে দেন না। রোজ রেওয়াজে বসার আগে সকলকে জিজ্ঞেস করে নেন ঞ্জঅওর বতাও, সব ঠিক হ্যায় না? কারোর যদি কোনোদিন গাইবার মন না থাকে, উনি জোর করেন না। বলেন আজকে তুমি শুধু শোনো। সুননা ভী এক তরহ সে তালিম হি হ্যায়। না শুনলে গাইবে কী?
    বিশ্বনাথ গুরুজীর বিশেষ প্রিয় পাত্র। ও ঠিকই করে নিয়েছে; গুরুজীর পায়ের কাছে বসে যেটুকু শিখে নেওয়া যায় শিখবে। পেশার চিন্তা ওর নেই। বি এ পাশ করে গেছে আজ এক বছর হলো। চার পুরুষের জমিদারি ওদের। সব শরিকদের মধ্যে ভাগ হয়ে গেলেও সকলের অংশেই ভালো রকমের বিষয় আসয় থাকবে। এসব সাংসারিক কূট চিন্তা ওর ভালো লাগেনা। কিন্তু উপায় নেই। বাবার শরিরটা আজকাল প্রায়শই খারাপ থাকে। তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও মাঝে সাঝে ওকে নাদনঘাটের জমি জমা গুলো দেখে আসতে হয়। হিসেব পত্র সব অবিনাশ কাকাই দেখেন, ওকে শুধু সাথে থাকতে হয়। জমিদার কে না দেখলে প্রজারা খুশি হয়না এমনটাই বাবাকে অবিনাশ কাকা বলেছেন। অবিনাশ কাকা ওদের অনেকদিনের ম্যানেজার। ম্যানেজার কথাটা ওনারই আমদানি। আগে বাবা ওনাকে নায়েব বলে ডাকতেন। কিন্তু অবিনাশ কাকা বাবাকে বলেছিলেন, কর্তাবাবু, নায়েব কথাটার মধ্যে একটা অত্যাচারি আর অতি চালাক ভাব রয়েছে। আপনি দয়া করে আমাকে এবার থেকে ম্যানেজার বলে ডাকবেন।সেই থেকে বাবা ওনাকে ম্যানেজার বলেই ডাকেন। বাবার সঙ্গে সঙ্গে কাকারাও ওনাকে ম্যানেজারই বলে। বিশনাথ আর ওর খুড়তুতো ভাই বোনেদের কাছে অবিনাশ কাকাই একমাত্র আবদারের যায়গা। বয়সের হিসাব করলে উনি বিশনাথের বাবা-কাকাদের চাইতে অন্তত পক্ষে বছর দশেকের বড় কিন্তু তবুও কাকা। কর্মচারিকে জ্যাঠা বললে মালিকের সম্মান খর্ব হয়।

    রেওয়াজ সেরে উঠে পড়ল বিশ্বনাথ। বেলা বাড়ছে ধীরে ধীরে। পায়ে পায়ে ছাদে উঠল ও। পুরনো আমলের চক মেলানো বাড়ি। সুরকির গাঁথুনি।বাড়ির সামনের দিকটায় বাগান, পেছনে পুকুরঘাট। একতলায় জমিদারির অফিস। বাবা বলেন, কাছারি। দোতলা আর তিনতলায় বিশ্বনাথরা ছাড়া আরো দুই কাকার সপরিবার বাস। বাড়িটা বড় পছন্দের বিশ্বনাথের। শুধু আজন্ম এখানে রয়েছে বলে নয়, বাবা-কাকাদের পারষ্পারিক সৌহার্দ্য বাড়ির পরিবেশটাকে নির্মল রেখেছে। অন্তত এখনও। দেশ স্বাধীন হওয়ার সময় বাবা বুদ্ধি করে জমিজমা সব নিজের নামে রাখেননি; কাকা-কাকিমাদের নামে করে দিয়েছেন অনেক কিছুই। গভর্মেন্ট ব্যাগড়া দিতে পারে। তবে ওই অবধিই। ব্যবসার দেখাশুনো সব মূলত বাবাই করেন। কাকারা কোনোরকমের মনবেদনা ছাড়াই মেনে নিয়েছেন এ ব্যবস্থা। বাড়ির বৌদের কর্তাদের কথার মধ্যে থাকার জো নেই। তবে যে যার স্বামিকে নিজের ঘরের নিভৃত কোনটাতে বিঁধতে ছাড়েননা। মায়ের যেমন অনুযোগ, তুমি তো এতটা কাল একাই খেটে যাচ্ছ। বাকিরা আর কতদিন বাবুয়ানি করে কাটাবে?ঞ্জ কাকিমারা আবার বলেন, সম্পত্তি কি কেবল একা বটঠাকুরের? তোমাদের কথার কি কোনোই দাম নেই?
    তবে ওই পর্যন্তই। তিন ভাই নিজ নিজ ঘরের কোনটাতে বিক্ষত হওয়া ছাড়া এ বিশয়ে স্থিতাবস্থার বত্যয় ঘটানোর মতন কিছু করেননি।
    ছাদে পায়চারি করছে বিশ্বনাথ। ওর পরনে আদ্দিরের পাঞ্জাবি আর দামি খদ্দরের ধুতি। ওর বয়সি ছেলেরা আজকাল ধুতির সাথে শার্ট পরে। কেউ কেউ আবার প্যান্ট পরাও ধরেছে। ওর আবার এ সব নব্য বাবুয়ানি পচ্ছন্দ নয়। ওই সব সাজ পোশাক ওর বড়ই কুরুচিকর লাগে। যাদের শিক্ষা-দীক্ষা-বংশ গৌরব নেই, তাদেরকেই ও দেখেছে এই নব্য হাওয়ায় গা এলাতে। আর তা ছাড়া ওসব পোশাক তারা পড়বে যাদের শহরে বাসা বাড়িতে থেকে গ্রাসচ্ছাদনের জন্য বাসে ট্রামে ঝুলতে হয় দুবেলা। আর্থিক সঙ্গতি যাদের আছে, তারাই টিকিয়ে রেখেছে বাঙালির ঐতিহ্য। বাবা বলেন দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই নাকি এই নব্য হাওয়া আরো জোরালো হয়ে বইছে। কম্যুনিষ্ট পার্টিই এ সব আমদানি করছে। বিশ্বনাথ তখন ছোটো। হঠাৎ একদিন খবরের কাগজে বেরোলো পুলিশের গুলিতে কিছু মানুষ মারা গেছে। সেই লোক গুলোকে আসলে কম্যুনিষ্ট পার্টিই খেপিয়েছিলো রাজ্যে অরাজকতার সৃষ্টি করতে। আর সেই অরাজকতার নাম দিয়েছিলো খাদ্য আন্দোলন। কংগ্রেস দলটার মধ্যে একটা ঐতিহ্য আছে; আছে জাতীয়তাবোধ। আসলে দলের নেতাদের মূল্যবোধই তো সঞ্চারিত হয় দলের কর্মিদের ভেতর! কংগ্রেসের সব নেতারাই খানদানি মানুষ। তাদের দেখলে মনে সম্ভ্রম জাগে। অন্যদিকে সিপিআই তে বেশিরভাগ লোকই হাঘরে। গত বছর আবার ওদের পার্টি ভাগ হয়েছে। ভালই হয়েছে; ভাগাভাগি হতে হতে একদিন দেশের বুক থেকে একেবারেই মুছে যাবে দলটা। বাঙালদের প্রতি খুব দরদ দেখায় ওরা। স্বাভাবিক! বার্ডস অফ্‌ সেম ফেদার ফ্লক টুগেদার।
    ছাদ থেকে নেমে এল বিশ্বনাথ। জল খাবার খেয়ে একবার নদীর ধারে বেড়াতে যাবে। জুড়ি গাড়িটা বের করতে বলে দিলো মহিম কে। বাড়িতে একটা অস্টিন আছে বটে কিন্তু তাতে চড়ে আরাম নেই! অবশ্য জমিদারির তদারকি করতে গেলে অস্টিনটাই নিতে হয়। অবিনাশ কাকা বলেন, এ যুগে আর সময় নষ্ট করা চলবেনা ছোটো বাবু! যে যত আগে চলবে, সেই তত ধুরন্ধর! ওনার মুখের ওপর কিছু না বললেও, ওই দেশলাইয়ের বাক্সে চাপাতে বেশ অনিহা বিশ্বনাথের।
    খেতে বসার আগে অবিনাশ কাকার সাথে মুখোমুখি দেখা হল ।
    ছোটো বাবু, আজ যে আমার একটা কাজ করে দিতে হবে! স্মিত হেসে বিশ্বনাথ বললো, বলুন না কাকা, কি কাজ ।
    -আজ একটিবার তোমায় রামসিতা পাড়ায় যেতে হবে। সুবোধ মাস্টারের বাড়ি ভাড়াটা আনতে হবে যে! আমার আজ আবার একটু অসুবিধে আছে কিনা।
    একটু অস্বস্তিতে পড়লো বিশ্বনাথ। ভাড়াটের বাড়ি গিয়ে বাড়ি ভাড়া আদায় করতে হবে! বলল, আর কাউকে পাঠালে হয়না কাকা?
    -আরে না না। টাকা পয়সার ব্যাপারে যাকে তাকে ঢোকাতে নেই গো ছোটো বাবু! আর তা ছাড়া মাস্টার মশাইয়ের একটা সম্মান আছে তো! রঘু বা বংশি কে পাঠানো চলেনা। ও তুমিই আজকে বিকেলে সময় করে যেও একবারটি।

    অবিনাশ কাকা চলে গেলেন কাছারির দিকে। বিকেলে যেতেই হবে অগত্যা! খেতে বসল বিশ্বনাথ। লুচিতে হাত দিতেই মাথাটা গরম হয়ে গেল। ফুলকো হলেও যথেষ্ঠ গরম নয়। খাবারের থালাটা ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে উঠে বেড়িয়ে গেল ঘর থেকে। মা কাকিমারা ছুটে আসার আগেই গিয়ে উঠে পড়েছে গাড়িতে। রান্নার ঠাকুর চোখ মুছতে মুছতে কুড়িয়ে নিতে থাকলো মাটিতে ছড়িয়ে থাকা খাবার গুলো। লুচি, মোহনভোগ, কুমড়োর ছক্কা। এ বাড়িতে এটাই ওর শেষ কাজ।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০১ নভেম্বর ২০১৩ | ১৪৫৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শুদ্ধ | 126.193.143.112 (*) | ০১ নভেম্বর ২০১৩ ০৭:৩৫45903
  • এটা নিশ্চই ধারাবাহিক? লেখা পড়ে তাই বোঝা যাচ্ছে। সঙ্গে একটু লিখে দিলে ভাল হয়। শুরুটা বেশ হয়েছে।
  • kaushik | 126.203.219.118 (*) | ০৩ নভেম্বর ২০১৩ ০৪:৫৪45904
  • এটা চতুর্থ পর্ব। আগের তিনটে পর্ব আমার খেরোর খাতাতে গেলে পাবেন।

    ভালো থাকবেন।
  • san | 69.144.58.33 (*) | ০৫ নভেম্বর ২০১৩ ১০:২৭45905
  • পরপর চারটে পর্বই পড়লাম, বেশ ভালো লাগল।
  • Kaushik Ghosh | 126.203.223.151 (*) | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ০৪:১৬45906
  • ধন্যবাদ স্যান!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন