এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • একটা অ-সমাপ্ত গল্প (পর্ব - ৭)

    Kaushik Ghosh লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১১ নভেম্বর ২০১৩ | ১৪০০ বার পঠিত
  • ৭।

    ছেলেটার বয়স হবে বছর দশেক,
    পরের ঘরে মানুষ,
    যেমন ভাঙা বেড়ার ধারে আগাছা-
    মালির যত্ন নেই,
    আছে আলোক বাতাস বৃষ্টি
    পোকামাকড় ধুলো বালি-
    কখনও ছাগলে দেয় মুড়িয়ে
    কখনও মাড়িয়ে দেয় গরুতে,
    তবু মরতে চায়না, শক্ত হয়ে ওঠে,
    ডাঁটা হয় মোটা,
    পাতা হয় চিকন সবুজ।।

    ভোরের আলো ভালো করে ফোটেনি। বাড়িতে সবাই ঘুমোচ্ছে। এই সময়টাতেই পড়াশুনা ভালো হয়। ঘন্টা খানেক পর থেকে ধীরে ধীরে জেগে উঠতে থাকে বাড়িটা। বাড়িটার দেওয়ালে দেওয়ালে তখন অনেক অর্থহীন শব্ধ ধাক্কা খেতে খেতে একসময় কুন্ডলি পাকিয়ে বাড়ির চৌহদ্দি ছাড়িয়ে পাড়ার মধ্যে বেড়িয়ে আবার আলাদা হয়ে হারিয়ে যায় অন্য অনেক শব্দের গহ্বরে। সেই সময় বাড়িটাকে একটা মূর্তিমান দৈত্যর মতন মনে হয় - দু হাত মুঠো করে দুদিকে ছড়িয়ে হা হা করে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ছে যেন। দৈত্যটার সামনে তখন বড় অসহায় বোধ হয় রতনের। মনে হয়, হাত জোড় করে দৈত্যটার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে বলে দোহাই, অমন কোরোনা, আমাকে একটু পড়তে দাও। কিন্তু কারোর কাছে কখনও যে কিছু চাইতে পারেনা ও! খুব অপমানিত লাগে অপরের করুনায় বাঁচতে।

    তাই দিনের এই সমটাই পড়ার জন্য বেছে নিয়েছে রতন। রাতে ইচ্ছে থাকলেও বেশিক্ষণ পড়তে পারেনা। হ'ল ঘরটার আলো রাত এগারোটার পরে বন্ধ করে দেন বড় জ্যাঠা। ওই ঘরটাই ওদের ভাই বোনেদের পড়ার ঘর। জ্যাঠতোতো-খুড়তুতো মিলিয়ে জনা বিশেক ভাই বোন ওরা। তাদের মধ্যে অনেকেরই পড়াশোনোর পাট শেষ। অনেকের আবার শুরুই হয়নি ঠিকমতো। তবু জনা দশেক পড়ুয়া একটা ঘরে সেঁধালে কি অবস্থা হয় তা রতনের চাইতে ভালো আর কে বোঝে!

    পেল্লায় হলঘরটার এক একটা কোণে যে যার নিজের সুবিধে মতন পড়তে বসে যায়। পড়ার সময় ছোটো ভাই বোন গুলো চিৎকার করে। আরেকটু বড় যারা তারা নিজেদের মধ্যে গল্পে মশগুল থাকে। তারই মধ্যে একটা কোণায় ঘাড় গুঁজে পড়াশুনা করে ও। মাঝে মাঝে বড় জেঠিমা এসে তাড়া লাগিয়ে যায়। ”চেঁচিয়ে আর পাড়া মাত করতে হবেনা। সেই তখন থেকে শুনছি, তোতা পাখির মতন একই লাইন আউড়ে যাচ্ছে! যা, বেরো সবকটা ঘর থেকে!” ছোটো গুলোকে ঘর থেকে বের করে জেঠিমা পড়েন গল্পবাজদের নিয়ে। রতনের সেজ ভাই গণেশ আর জেঠিমার নিজের ছেলে বাবলু একই ক্লাসে পড়ে। বাবলুদা অবশ্য রতনের চাইতেও বছর দুয়েকের বড়। এ ক্লাস ও ক্লাসে দুবার একবার করে ঠেকে ঠেকে বাবলুদা আপাতত ক্লাস নাইনে থিতু হয়েছে। এই দু-জনই গল্পবাজদের মধ্যমণি। ওদের কাছে গিয়ে জেঠিমা বলে, হ্যাঁরে! তোদের দুটোর কি লজ্জাও করে না! পাশে যে আরেকটা ছেলে বসে পড়ছে, সে খেয়ালও কি করতে নেই? আর এই যে ধম্মের ষাঁড়, লেখাপড়া কি করছো তা তো বছর বছর মালুম হচ্ছে। এরপর বাপ-মা চোখ বুঁজলে ভদ্রলোকের ছেলে হয়ে কি বাজারে মুটে গিরি করবি হতভাগা! শেষ কথাগুলো বাবলুদাকে উদ্দেশ্য করে বলা। ঘর থেকে বেরোনোর আগে রতনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলবেন, ভালো করে পড় বাবা। তোর বাপ-কাকারা তোর জন্য যে কি রাজ্যপাট রেখে যাচ্ছে তা তো জানিসই। নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে, খুব মনে দিয়ে পড়।
    পড়তে তো ভালোই লাগে ওর। আর খুব ভালো লাগে অঙ্ক করতে। আসলে অঙ্ক করতে বসলে কেমন একটা জেদ চেপে যায়। যত কঠিন অঙ্কই হোক না কেন, না মিললে কিছুতেই ওঠেনা রতন। একদিন মনে আছে। একটা অঙ্ক কিছুতেই মিলছেনা। বড় জেঠিমা খেতে ডাকছে। কিন্তু অঙ্কটা না মিলিয়ে কিছুতেই উঠবেনা ও। বড় জ্যাঠা জেঠিমা কে বললেন, ঞ্জতুমি সবাই কে খেতে দিয়ে দাও। আমার আর ওর খাবার ঢেকে রাখো, ঝি আমাদের খেতে দিয়ে দেবে না হয়।ঞ্জ অবশেষে রাত বারোটায় প্রায় খেতে বসেছিলো ও আর জ্যাঠা মশাই। বাড়ির সকলে তখন আধো ঘুমে আচ্ছন্ন। খেতে খেতে জ্যাঠা বলেছিলেন, এবার ফলসা তলায় একটা ঘর তুলব বুঝলি! তুই পড়বি। যতক্ষণ খুশি। তবে শুতে যাওয়ার আগে লাইটটা নিভিয়ে দিতে ভুলিস না কিন্তু! ইলেক্ট্রিসিটির যা দাম! রতনের বলতে ইচ্ছে করেছিলো, আমার জন্য ঘর বানাতে হবেনা জ্যাঠা! আমার পড়াশোনা করতে কোনো অসুবিধে হয়না। কিন্তু জ্যাঠার কথা গুলোতে কি ছিলো কে জানে! কথাগুলো শুনে গলার মধ্যে মাখা ভাতের সাথে আরেকটা কি যেন পিন্ড হয়ে আটকে গেছিলো; তাই আর বলা হয়ে ওঠেনি।

    আসলে কাউকেই যে কিছু বলতে পারেনা ও। ও তো জানে জ্যাঠার রুগি দেখার টাকাটা এ সংসারের উনুনটুকুর জ্বালানি শুধু; তার বেশি কিছু তা দিয়ে হওয়া সম্ভব নয়। বাবা আর মেজ জ্যাঠা ব্যবসার কাজে বেশিরভাগ সময়টাই কলকাতায় থাকে। আর হালে ব্যবসার অবস্থাও ভালো নয় মোটেই। যখন ভালো ছিলো তখন বাবা সঞ্চয় কিছু করেনি। সপ্তাহান্তে হয় বাবা নয় মেজ জ্যাঠা পালা করে বাড়ি আসেন কলকাতা থেকে। বাবার মুখটা দেখলে রতন বুঝতে পারে, যে বাবাকে এমন একটা যুদ্ধে লড়ে যেতে হচ্ছে যাতে ইতিমধ্যেই বাবা হেরে গেছে। হঠাৎ করে কেমন যেন বুড়িয়ে গেছে বাবা। একটা দুটো নয়, তিন তিনটে ব্যাঙ্ক ফেল করলে কোন মানুষই বা স্বাভাবিক থাকতে পারে!

    রতন জানে ওকেও লড়তে হবে। এখনও হচ্ছে। প্রতিদিন লড়ে যাচ্ছে অনেকগুলো না পাওয়ার সাথে। নতুন জামা নেই। জেঠতুতো দাদাদের বাতিল জামা পড়ে ও আর ওর ছোটো হয়ে যাওয়া জামাগুলো পড়ে ওর ছোটো ভাইয়েরা। গতবছর নতুন জুতোটা খেলার মাঠে চুরি হয়ে গেল। দিদির ছেঁড়া জুতোটায় তাই সেফটিপিন লাগিয়ে নিয়ে কাজ চালাচ্ছে আপাতত। খুব যখন ক্ষিদে পায়, তক্ষুণি বললে খাবার নেই। এ বাড়িতে আজ আর সুদিন নেই। যখন পাত পড়ে, তখনই খায় সকলে। তার বাইরে ক্ষিদে পেলে মায়ের কাছে চিড়ে মুড়ি কিছু থাকলে ভালো আর তা না হলে জলই খায় পেট ভ'রে।
    আর এই সব নেই গুলোর সাথে সাথে ওর জন্য একটা আদরের ডাকনামও বরাদ্দ নেই। আর সব ভাই বোনেদের ভালো নাম ব্যাতিরেক একটা করে ডাক নামও রয়েছে। ওর স্কুলের নামটাই বাড়ির নাম। রতন। কেনো গো মা, আমি কি তোমার এতই অনাদরের ছেলে! বলতে পারেনা মা কে। কোনোদিন কাউকে কিছু বলতে পারেনা ও। ভয় হয়। মা কে বললে মা যদি দুম করে একটা ডাক নাম দিয়ে দেয়! ছোটোবেলা থেকে মা শিখিয়েছে কারোর থেকে কিছু না চাইতে। আর আজ ষোলো বছর বয়সে একটা ডাক নামের জন্য বায়না করবে! না না, সে বড় লজ্জার হবে।
    আর তাই এই স-ব নেই গুলোর সাথে ও ছায়া যুদ্ধ করে অঙ্ক দিয়ে। রোজকার ছোটো ছোটো না পাওয়া গুলোকে ভুলে থাকতে তাই কঠিন, আরো কঠিন অঙ্কের সমাধানে মাতে। এক একটা সমাধান যেন ওর এক একটা না পাওয়ার জবাব। অঙ্ক মিলে যায়; কিন্তু বদলায়না আর কিছুই।

    ফিজিক্স বইটা নিয়ে ছাদে উঠল রতন। অল্প রোদ উঠেছে। নরম রোদের স্পর্শে খুব আরাম লাগছে। কার্তিক মাস। বাতাসে হিমের আধিক্য। গায়ের চাদরটা ভালো করে জড়িয়ে নিয়ে রোদে পিঠ দিয়ে বসল ও। বছর ঘোরার আগেই হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষা। এর পর ইচ্ছে আছে ফিজিক্সে অনার্স নিয়ে পড়ার। অঙ্ক ওর প্রিয় অবশ্যই, কিন্তু ফিজিক্সের পরতে পরতে যে রহস্য জড়িয়ে আছে তা অতুলনীয়। অঙ্কের মধ্যে যেটুকু রহস্য তা যেন খুবই স্বাভাবিক। সে রহস্য উন্মোচন করাতে আনন্দ আছে অবশ্যই কিন্তু ফিজিক্সের ব্যপারটা আলাদা। সেখানে রহস্যের জট খোলার পরেও থেকে যায় তার মাদকতা, একটা অনুরনণ মনের তন্ত্রিতে চলতে থাকে একটানা অনেকক্ষণ ধরে। গবেষণা করার ইচ্ছে আছে ওর। এই নবদ্বীপ শহর ছেড়ে কৃষ্ণনগর। তারপর কলকাতা। কলকাতায় অনেক সুবিধা লেখাপড়ার। তার পর হয়ত অন্য কোথাও। যত বড় যায়গায় যাবে মনের প্রসারতা ততই বাড়বে। নইলে সারা জীবন এই অন্ধকূপের মধ্যে পড়ে থাকলে ওর চিন্তা ধারাও একটা সীমার মধ্যে আবদ্ধ হয়ে যাবে। মন পাখি সীমাহীণ আকাশের বুকেই সুখী। অনেকেই অবশ্য আছে যারা নিজেদের পরিচিত গন্ডীটার মধ্যেই স্বচ্ছন্দ। তার বাইরে কিছু ভাবতে অস্বস্তি বোধ করে। রতন তাদের দলে পরেনা। ও এভাবে ভাবতে শিখেছে ওর ন'কাকার থেকে। ন'কাকা হ'ল ঘরটার পাশের ছোটো ঘরটায় থাকেন। সারা দিন আপন মনে কি সব যেন বিড় বিড় করেন। কখনও বা অস্থির হয়ে ওই ঘরের মধ্যেই পায়চারি করেন। মা বা মেজ জেঠিমা সময় মতন খাবার দিয়ে যান; কাকার ইচ্ছে হলে খান, নইলে খান না। তবে কখনও সখনও কাকা খুবই স্বাভাবিক ব্যবহার করেন। অন্য ভাই বোনেরা ওঁনাকে এড়িয়ে চললেও রতন অপেক্ষা করে এই সব প্রায় বিরল সময় গুলোর জন্য। সেই সময় কাকা অনেক গল্প বলেন ওকে। একদিন বলেছিলেন - বুঝলে, বাবা যদি যশোরে ট্রান্সফার না হতেন তবে হয়ত জীবনের মানেটাই বুঝতাম না! প্রথম প্রথম হুগলি থেকে ওই বাঙালদের দেশে গিয়ে খুব খারাপ লাগত। মামার বাড়িতে ছুটিতে বেড়াতে গেলে সকলে বাঙাল বলে খেপাতো। কিন্তু ও দেশে গেছিলাম বলেই না অমন বাঘের বাচ্চার সাথে দেখা হয়েছিলো!
    বাঘের বাচ্চা মানে সূর্য সেন। যশোর থেকে চট্টগ্রামের মাস্টারদার দলে যে ন'কাকা কিভাবে জড়িয়ে পড়েছিলেন তা বাড়ির লোকে আজও জানেনা। চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠনের পর আরো অনেকের মতন ধরা পরে যান। স্বাধীনতার পরে ছাড়া পান জেল থেকে আর তখন থেকেই নাকি এরকম আচরন করেন। জেলের ভেতরের অকথ্য অত্যাচারের নিদর্শন বয়ে চলেছেন আজও নিজের মননে। কখনও কখনও ওঁনার অসুস্থতার মাত্রাটা বেড়ে যায়। সরকার তাম্রপত্র দিয়েছিলো। সেটার দিকে তাকিয়ে মাঝে মাঝেই অট্টহাস্য করে ওঠেন। নেহেরুজী মারা যাওয়ার খবরটা রতনই দেখিয়েছিলো ওঁনাকে দৈনিক বসুমতিতে। ন'কাকা খবরটার দিকে ঘোলাটে চোখে একবার তাকিয়ে বলেছিলেন, শুয়োরের বাচ্চা।
    খবরের কাগজটা হাতে নিয়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে যেতে যেতে রতন শুনেছিলো কাকা প্রায় স্বগোক্তির মতন বলে যাচ্ছেন, ঞ্জপারিনি বুঝলে, কিছুই পারিনি। এমনটা হবে ভাবিনি।ঞ্জ ঘর থেকে দ্রুত বেরিয়ে এসেছিলো রতন। কাকার এহেন হতাশ কন্ঠস্বরে নিজেকে খুব অসহায় মনে হয়। এ রোগের কি কোনো চিকিৎসা নেই? বড় জ্যাঠা মাঝে মাঝে ওষুধ দেন। কিন্তু সে অনেকটা গরীব মায়ের নিজের সন্তান কে পিটুলি গোলা দিয়ে দুধের বায়না ভোলানোর মতন - কোনো কাজ হয়না।

    তবে শরীর ঠিক থাকলে অনেক গল্প বলেন কাকা। জালালাবাদ পাহাড়ে যুদ্ধের গল্প। খাবার নেই, গাছের পাতা খেয়ে কি ভাবে ক্ষুন্নিবৃত্তি করেছেন তার গল্প। আন্দামানের গল্প। জেলার মারতে মারতে ক্লান্ত হয়ে গেলে চলত চৈনিক পদ্ধতিতে উৎপীড়ন। মাথার ওপর একটা কল খুলে রাখা; তা থেকে এক ফোঁটা এক ফোঁটা করে জল এসে পড়ছে কপালের মাঝখানটায়। ঘন্টা খানেক ওরকম চলার পর মনে হত মাথায় যেন কেউ হাতুড়ি মারছে। রতনের বিশ্বাস হয়নি কথাটা। বলেছিলো, তাই আবার হয় নাকি? আচ্ছা দেখবো তো একদিন কল খুলে। সাথে সাথে বীভৎস হয়ে উঠেছিলো ওঁনার মুখটা। রতনের জামা খামছে ধরে ঘড়ঘড়ে গলায় বলেছিলেন ,খবরদার আর কোনো দিন ও কথা বোলোনা! কোনোদিনও না।
    রতনের বুকে ওঁনার হাতের নখ বসে গেছিলো। ব্যথা করছিলো কিন্তু ঘটনার আকস্মিকতায় বিহ্বল হয়ে চুপ করে গেছিলো রতন। ওর জামা ছেড়ে দিয়ে ন'কাকা যেন নিজেকেই বলছিলেন, ওই জলের ফোঁটায় আমার সব কিছু ভেসে গেছে বুঝলে, আর কখনও অমন কথা বোলোনা। তাই ইচ্ছা থাকলেও আর প্রক্রিয়াটা করে দেখা হয়নি রতনের।

    রোদ বাড়ছে। মা আর মেজ জেঠিমার গলার স্বার শোনা যাচ্ছে রান্না ঘর থেকে।
    ঘুম থেকে জেগে দৈত্যটা আড়মোড়া ভাঙছে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১১ নভেম্বর ২০১৩ | ১৪০০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন