এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • একটা অ-সমাপ্ত গল্প (পর্ব -৫)

    Kaushik Ghosh লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৪ নভেম্বর ২০১৩ | ১৪২৬ বার পঠিত
  • ৫।

    ওদের কথায় ধাঁধাঁ লাগে
    তোমার কথা আমি বুঝি,
    তোমার আকাশ, তোমার বাতাস
    এই তো সবই সোজাসুজি!

    বরাবরই খুব ভোরে ওঠা অভ্যেস সুবোধের। ছোটোবেলায় মা করিয়েছিলেন অভ্যেসটা। এগারো বছর বয়সে মা চলে গেলেন। অভ্যেসটা অবশ্য সঙ্গ ছাড়েনি। বাবার স্মৃতি প্রায় নেই বললেই চলে। তিন বছর বয়সেই পিতৃহীণ সুবোধ।

    তা এ হেন একটা মানুষের শৈশব-কৈশোর যেরকম করুণ আর অযত্ন লালিত হওয়ার কথা , সুবোধের বেলায় তা ঘটেনি। না ঘটার পেছনে যে মানুষটা, তিনি মেজকাকা সমরেন্দ্রনাথ। বিষয় সম্পত্তি সব মেজকাকাই আগলে রেখেছিলেন সুবোধের সাবালক হওয়া পর্যন্ত। সর্বদা উৎসাহ দিয়ে গেছেন পড়াশোনা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। বলতেন, ঞ্জ পোলাপান, মন দিয়া লেখাপড়া কর। সম্পত্তি যা আসে সে সবই তোমার; আমি থাকতে কেউ তোমার একটা পয়সাও মারতে পারবো না।ঞ্জ
    সে কথা বিলক্ষণ জানতেন সুবোধ। আর তাই সারাটা জীবনই কাটিয়ে দিয়েছেন জ্ঞান আরোহনের প্রচেষ্ঠায়; বিষয় আশয় নিয়ে মাথা ঘামাননি কোনদিন। ঢাকায় যেবার বি।এ। পড়তে গেলেন , সেবার অবশ্য কাকা বলেছিলেন, "বাবা, তুমি এহন যোগ্য হইস, নিজের বিষয়-আশয় অল্প-অল্প কইরা বুইঝা লও। এর পর পাড়ার লোকে কইব সমর মজুমদার বাপ-মার পা ধরে সুবোধ বলেছিলেন,"সম্পত্তি তো আমার কিসু নাই! ঠাকুরদার সম্পত্তি; বাবার অবর্তমানে আপনেই বাড়ির কর্তা! আর পাড়ার লোকের কথা বাদ দেন! জ্বরের ঘোরে যখন ভুল বকসি, তখন আমরা ভাইপোরে বঞ্চিত করতাসে।" কাকাপনেই মাথায় জলপট্টি দিসেন, তারা কিন্তু আসে নাই!"

    আসলে জ্ঞান অর্জনের নেশার সামনে বড় স্থূল, বড় বিবর্ন মনে হয় অর্থ চিন্তা। সেদিনও মনে হয়েছিলো, আজও হয়। তবে জ্ঞান শুধু অর্জন করলেই চলেনা, তাকে বিতরন ও করতে জানতে হয় সঠিক ভাবে। বর্তমান পরিস্থিতি তে তাঁর পক্ষে বিদ্যা আর দান করা সম্ভব নয়। বিনিময়ে তাই স্কুলের মাইনেটা নেন অবশ্যই, কিন্তু সে কাজে কোনোদিন কোনো গাফিলতি দেখাননি। গাফিলতির কথা মনে স্থানও পায়নি কখনও। ছোট ছোট ছেলেরা। বয়স দশ, বারো, পনেরো। কেউ শিশির স্নাত স্নিগ্ধ ফুলের মতন তো কেউ আবার টগবগে তরুন অশ্বসম! তাদের পড়াতে, নিজে যেটুকু জানেন তা শেখাতে যে আনন্দ, তার তুলনা কোথায়? আর জ্ঞান কি শুধুই বইয়ের পাতায়? নিজের চারিপাশের সদা ঘটমান পৃথিবীটার দিকে তাকালেই তো কত কি শেখার আছে। আর সেই শেখার তাগিদেই ভোরে ওঠার অভ্যেসটা আজ এই পঁয়তাল্লিশ বছর বয়সেও তাঁকে ত্যাগ করে যায়নি।

    পাবনায় থাকতে আলোর ফোটার আগেই পায়ে হেঁটে বেড়িয়ে পড়তেন নিজেদের দিগন্ত ছোঁয়া কৃষি জমিটার উদ্দেশ্যে। ধান ক্ষেতের মাঝে দাঁড়িয়ে দেখতেন ভোর হওয়া। সকালটা কি ভাবে ধীরে ধীরে নিজের রূপ উন্মোচোন করে, রোদ ওঠার আগে আকাশে কেমন চলে আলোর নানান আঁকিবুকি - তা দেখতেন মুগ্ধ বিস্ময়ে। কান ভরে শুনতেন পাখিদের কলতান। আগাধ বিস্ময়ে মনকে নতজানু করতেন প্রকৃতির চরনতলে। সেই থেকেই প্রকৃতিই তাঁর একমাত্র ঈশ্বর।

    কিন্তু এই মফঃস্বল শহরটায় সেই দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ নেই। নেই ঘর থেকে অল্প দূরে তাকালেই ধানের গলুই গুলো। মেঠো পথের বাঁকে বাঁকে সমষ্ঠিগত ভাবে একলা দাঁড়িয়ে থাকা বাঁশ ঝাড়; তাও অনুপস্থিত। তাই বুঝিবা বাড়ি-ঘর-পরিজন-সম্পদ-প্রতিপত্তির মতন নিজের ঈশ্বরকেও ফেলে এসেছেন ও দেশে।
    তবে এ শহরে নদী আছে। আর তাই প্রকৃতির এইটুকু দানকে অঞ্জলি ভরে গ্রহন করতে প্রতিদিন দুবেলা করে চলে আসেন নদীর পারটাতে।
    মাঝিদের গান শোনেন যেমন শুনতেন ওদেশে থাকতেও।সেই একই সুরের মূর্ছনা। একই মায়াময়তায় আচ্ছন্ন হয় মন। আসলে দেশতো একটাই। মানুষও এক। ভাষাও। ম্যাপের ওপর খালি একটা ট্যারাব্যাঁকা মনগড়া লাইন পড়েছে। আর তো কিছুই পাল্টায়নি! না। পাল্টেছে। মানুষের জীবনটাই আমূল পাল্টে গেছে।

    পাখিদের ডাক শোনেন। ওদের সকাল আর সন্ধ্যের ডাক দুটোর মধ্যে যে ফারাকটুকু আছে, তার মানে খুঁজে ফেরেন আজও।
    নদীর ওপারে গাছপালার পেছন থেকে লাফিয়ে ওঠা স্নিগ্ধ লাল অগ্নি পিন্ডটাকে নিজের মত করে প্রণাম জানান প্রতিদিন। সন্ধ্যে বেলাতে অবশ্য নদীর পারে এলে সূর্যাস্ত দেখা যায়না।শহরটার কারনে আলো থাকতে থাকতেই অদৃশ্য হতে হয় সর্বপাপঘ্ন দিবাকরকে।

    তবু আসেন সুবোধ।স্কুল থেকে সাইকেল চালিয়ে আসতে এক ঘণ্টা কাবার হয় প্রায়। তার পর আরো ঘন্টা খানেক নদীর ধারে বসে পাখিদের ঘরে ফেরা দেখেন। নদীতে মাছ ধরার ও যাত্রীবাহি নৌকা গুলোর আনাগোনা দেখেন। দেখেন স্নানার্থীদের আসা যাওয়া। স্নানার্থী না বলে পূণ্যার্থী বলাই হয়ত শ্রেয়। গঙ্গায় ডুব দিলে সকল পাপ নাশ হয়। তাই বছরভর মানুষের আনাগোনার বিরাম থাকেনা এই নদীর কাছে।

    স্কুলের পর আজও এসেছেন গঙ্গার ধারে। প্রতিদিন যে ঘাটে এসে বসেন, আজ তার থেকে দুরে, নির্জনতর একটা ঘাটে এসেছেন। মনটা আজ একটু বিক্ষিপ্ত যেন। আজ অল্পক্ষণ পরেই উঠতে হবে; বাড়িওয়ালার কর্মচারি অবিনাশ বাবু আসবেন ভাড়াটা নিতে। ঘড়িতে একবার চোখ রেখে তাকালেন নদীর বুকে। পালতোলা ডিঙ্গী নৌকাগুলো নদীর মাঝামাঝি। জলের তলায় পানকৌড়ি ডিগবাজি খাচ্ছে। রোজকার ছবি, তবু যেন নতুন।

    অন্যদিনের মতন আজ আর মনকে প্রকৃতিতে সমর্পিত রাখা যাচ্ছেনা। নিজের পারিপার্শিকের মানুষগুলো ভিড় বাড়াচ্ছে মনের দড়জায়। সুবোধ নিজের সংসার সম্পর্কে উদাসীন নন। কিন্তু দিনের এই সময়গুলো পুরোপুরি নিজের ঈশ্বরকে দিতে ভালোবাসেন। এটাই সারাদিনের কাজের জন্য তাঁকে প্রাণশক্তি দেয়। আজ হয়ত অন্য রকম একটা দিন! বাহ্যিক বত্যয় কিছু না ঘটলেও আজকে যে আর এখানেও মন বাসবেনা তা বুঝে গেছেন সুবোধ। কথায় বলে, অন্ন চিন্তা চমৎকারা। তাই হবে! তা না হলে আজ হঠাৎ করে সংসারের চিন্তা মনকে আচ্ছন্ন করবে কেন? ছবি কোনোদিনের জন্য কোনো অনুযোগ করেনা। করবেওনা। জানেন সুবোধ। ছবির মনে যে তাঁর প্রতি একটা সূক্ষ্ম অথচ সুতীব্র অভিমান বাসা বেঁধে আছে এ যাবৎ কাল তা বেশ বোঝেন। আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন যে সেই অভিমানের একমাত্র কারন নয়, তাও বোঝেন। কিন্তু সব মানুষের মতন সুবোধেরও কিছু প্রতিবন্ধকতা আছে। সেই প্রতিবন্ধকতার দেওয়াল ভেঙে আজও ছবির মনের তলে পৌঁছতে পারলেননা।
    ছেলেটার দিকে তাকালে বড় মায়া হয় আজকাল। কি অদ্ভূত প্রাণশক্তির অধিকারি একটা মানুষ শুধুমাত্র উপার্জনের চিন্তায় নিজের চারিদিকে ধীরে ধীরে গড়ে তুলছে এক দূর্ভেদ্য দেওয়াল। মেয়েদের চটিতে সেফটিপিন, ছবির শাড়িতে রিফুর দাগ তাঁর বাহ্যিক তন্ময়তার আবরনটাকে ভেঙে মনকে বিক্ষত করে বারবার।

    তবু সব, এই সব কিছুই ভুলে থাকেন সুবোধ যতক্ষণ স্কুলে থাকেন। নবদ্বীপ শহর ও তার সংলগ্ন গ্রামের থেকে ছেলেরা আসে। তাদের বাড়িতেও নিত্য অভাব। তারই মধ্যে হাসছে! ওই হাসি দেখে সুবোধ ভূলে থাকেন পাবনার ওই বিশাল বাড়ি, সাতশো একরের মাঠ আর ছবির বন্ধক দেওয়া বালা জোড়া। এই স্বাধীন ভারতে শিক্ষকের সম্মান দক্ষিণা যথেষ্ঠই কম, কিন্তু তা বলে অন্য সহকর্মীদের মতন প্রাইভেট টুইশানি করাতে পারবেন না। তাতে যদি গরীব হয়েও মরতে হয় তো পরোয়া নেই। জীবনের দুই তৃতীয়াংশ কাটতে চলল প্রায়। স্বাচ্ছন্দ্য দেখেছেন। সম্মান পেয়েছেন। আর এখন অনটনের ছবিটাও স্পষ্ট। তাই বা খারাপ কি? জীবনে সব রকমের অভিজ্ঞতা থাকাটা নেহাত মন্দ নয়। সুবোধ মজুমদার আর যাই হোক দারিদ্রতাকে ভয় পায়না।

    হাতঘড়িটা তাড়া দিচ্ছে। অবিনাশ বাবু আসবেন ভাড়া নিতে। উঠে পড়লেন সুবোধ। বিদায়ী দিবাকরকে আজ আর সম্ভাষণ জানানো হলনা।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৪ নভেম্বর ২০১৩ | ১৪২৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে প্রতিক্রিয়া দিন