পর্ব ৬ অর্ণব বেড়িয়ে যাবার পর জয়িতা একটু অবসর পায়। কিছু জিনিস শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু আজ আর বেড়তে ইচ্ছে নেই জয়িতার। বাইরে যেরকম বরফ পড়ছে। মনটাও কেমন যেন গুম মেরে আছে। আগে হলে অর্ণবের বেড়িয়ে যাবার পর পরই জয়িতা রেডি হয়ে বেড়িয়ে পড়ত। যে স্টোরে জয়িতা কাজ নিয়ে ছিলো সেটা তাদের বাসা থেকে একটু দূরে। জয়িতা ট্রাম ধরে নিত। এদেশের ডিপারটমেন্টাল স্টোর গুলো বেশ বড় । কত যে জিনিস সেখানে পাওয়া যায় তার শেষ নেই। জয়িতা বুদ্ধিমতী ... ...
“এসো হে বৈশাখ এসো এসো” - সকালের ঘুমটা গেল চটকে কবির।এ তো দেখছি সুরের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। কি কুক্ষণেই যে লিখেছিলাম। কটা বাজে দেখার জন্য কবি মোবাইলটা অন করলেন। পিং পিং পিং পিং ……মেসেজ ঢুকেই যাচ্ছে। “ নিশি obosan প্রায়”…। “নববরশের নবোদিত suriya……,”। এঃ হেঃ এ যে বানান ভুলে ভর্তি মেসেজ। ... ...
পর্ব ৫ সকালে জয়িতার দম ফেলার সময় থাকে না। অর্ণব আটটার মধ্যে বেড়িয়ে যায়। ইউণিভার্সিটির ক্লাসের এরকম রুটিন পড়েছে এই সেমিস্টারে। সকালে ব্রেকফাস্ট খেয়েই অর্ণব বেড়িয়ে যায়। লাঞ্চ নিয়ে যায়। জয়িতাকে তাই দুটোই করতে হয়। দ্রুত হাত চালায় সে।কাজের ফাঁকে চোখ যায় জানালায়। বাইরে গুড়ি গুড়ি বরফ পড়ছে।চারপাশ সাদা হয়ে আছে। জয়িতা প্রথম বরফ দেখেছিলো সিমলা তে। সেকী আনন্দ, বরফের গোলা বানিয়ে খেলা করেছিলো। ... ...
অসাধারণ। ... ...
#বইমেলাবইমেলা এসে গেল। নাহ এবার বই পড়তেই হবে। ঘুম থেকে উঠে ঠিক করে নিলাম রোজ বই পড়ব। বইমেলা যাব । বেশ কিছু বই কিনে রাখব আর সারাবছর বই পড়ব। না না আর ফেসবুক হোয়াটসআপে সময় নষ্ট নয়। সব লগ আউট করে দেব। জীবনটা আর বেহিসেবি কাটাবনা। আজ থেকে আমি প্রতিজ্ঞা করলাম………ইত্যাদি ইত্যাদি। তারপর সেই মাহেন্দ্রক্ষণ এসে উপস্থিত হয়। বইমেলা ঢোকার সাথে সাথে নিজেকে বেশ একটা আঁতেল আঁতেল মনে হয়। ... ...
পর্ব ৪ বিয়ের পর এই প্রথম কোথাও যাচ্ছে জয়িতা অর্ণবের সাথে। অনেকটা মধুচন্দ্রিমা যেন। বিয়ের পর কোথাও তাদের যাওয়া হয়নি তাদের। অর্ণবের নতুন চাকরি। সংসার করার চাপে অর্ণব একটা কলেজে পার্ট টাইম লেকচারারের কাজ নিয়েছে। জয়িতাও কয়েকটা জায়গায় অ্যাপ্লাই করেছে এখনও উত্তর আসেনি। জয়িতা দুবেলা বেশ কিছু ছাত্র পড়ায়। দুজনের সংসারে টানাটানি হলেও চলে যাচ্ছে। যেটুকু অভাব আছে সেটা ভালবাসা দিয়ে পূরণ করে তারা। ... ...
পর্ব ৩ রেজিস্ট্রি অফিস থেকে বেরতে জয়িতাদের সন্ধ্যে হয়ে গেলো। জয়িতার একটা হাত অর্ণবের মুঠোতে ধরা। জয়িতা যে এখনও ঠিক স্বাভাবিক হতে পারেনি সেটা বোধহয় অর্ণব বুঝতে পেরেছিল।জয়িতা একটা লাল বেনারাসি পড়েছে। হালকা কিছু গয়না। অর্ণব পাজামা পাঞ্জাবি। তনিমাই জোর করে পড়িয়েছে। গলার মালাটা খুলে হাতে নিয়েছে জয়িতা। অর্ণব নির্বিকার। মালা তার গলাতেই শোভা পাচ্ছে।এম এ ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়েছে গতসপ্তাহে। অর্ণব আগেই প্রস্তাব দিয়েছিল। জয়িতাই এড়িয়ে যাচ্ছিল। বাবা মা কে কিছুই জানানো হয় নি। ... ...
পর্ব ২ জয়িতা কফি হাউসে ঢুকল যখন তখন বেলা তিনটে। তনিমাকে পইপই করে বলল আসতে, তার নাকি আজ দাদা বউদির সাথে সিনেমা যাবার কথা। নতুন ইংরেজি সিনেমা এসেছে মিনার্ভাতে। মেয়েটা সিনেমার পোকা। সারাক্ষণ ওই সব ভাবছে। চলতে ফিরতে সিনেমার হিরোইনদের মতো হাব ভাব। অনেকবার মনের সুপ্ত বাসনা জয়িতার কাছে বলে ফেলেছে যে সে সুযোগ পেলে সিনেমাতে অভিনয় করবে। তনিমা এমনিতে দেখতে বেশ ভালো। চেহারাতে একটা চটক আছে। অনেকের মধ্যে নজরে পড়ার মতো। কথাবার্তাও বেশ কায়দা করেই বলে। জয়িতা অবশ্য সিনেমা জগতের বাজে দিকগুলো নিয়ে তনিমাকে সাবধান করেছে। কে শোনে কার কথা। তবু জয়িতার প্রাণের বন্ধু বলতে তনিমা। কিন্তু আজ একটু অভিমানই ... ...
পর্ব ১ কলেজ থেকে বেড়নোর ঠিক মুখেই বৃষ্টি নামল। খুব জোরে। সারাদিন যা গুমোট ধরেছিল। বৃষ্টি নামারই কথা। জয়িতা ছাতা আনতে ভুলে গেছে। বাস স্টপেজ পর্যন্তও যাওয়া যাবে না এই বৃষ্টিতে। জয়িতা করিডরে বৃষ্টির ছাঁট বাঁচিয়ে দাঁড়াল। আরও অনেকেই এদিক ওদিক জটলা করে দাঁড়িয়ে । কেউই বেরতে পারেনি। আসলে এস আর এর ক্লাসটা না করেও যেতে ইচ্ছে করে না ,আবার এস আর বেছে বেছে এই সময়টায নেন ক্লাসের। আগে থাকলেও উনি চেঞ্জ করে নেন। জয়িতাও এটা মিস করে না । আসলে এস আর এর কি একটা অদ্ভুত ক্ষমতা আছে । ছেলে মেয়েরা সব মোহিত হয়ে থাকে। বলতে গেলে তাদের ডিপআর্টমেনটে এরকম স্যার ... ...
ঘুমটা তখনও ভাঙে নি। বিছানাতে শুয়ে শুনতে পেলাম - কাল বাপের বাড়ি যাব মাসিমা। চারদিন আসতে পারব না। মা-র রান্নার লোক লক্ষ্মীর গলা। - সেকি রে। কাল যে ভাইফোঁটা। আমার ভাইরা সব আসবে। কাজকর্ম কে সামলাবে। আসব না বললে কিকরে হবে। ... ...