সঠিক সংজ্ঞা গুলি মেনে নিলে আধুনিক সভ্যতার ইতিহাসে প্রথম গণহত্যার কৃতিত্ব জার্মানদের প্রাপ্য। স্থান জার্মান দক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকা, আজকের নামিবিয়া, কাল ১৯০৪। হেরেরো নামের স্থানীয় উপজাতির বিরোধিতায় ক্ষিপ্ত জার্মান সেনাপতি লোথার ফন ত্রথা নামের এক সেনাপতি লিখিত আদেশ দেন – "হেরেরো জাতিকে সমূলে বিনাশ করতে হবে, শুধু বন্দুকের গুলিতে নয়, তাদের ঠেলে পাঠাতে হবে এমন অঞ্চলে যেখানে জল নেই। "আশি হাজার হেরেরো নিধনের সা পরে জার্মান কাইজারকে লিখলেন, "যেসব পুরুষ নারী ও শিশুকে পেয়েছি তাঁদের নির্মমভাবে (গ্নাদেনলোস) হত্যা করেছি। এদের কারো কাছে অস্ত্র ছিল না।" ফিল্ড মার্শাল আলফ্রেড ফন শ্লিফেন সমর্থনে বলেন, "একটা জাতির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই – তাদের বিনাশ আমাদের লক্ষ"। হিটলারের বয়েস তখন পনেরো, গোয়েরিঙের এগারো, দুনিয়ার আলো দেখতে আইখমানের দু বছর বাকি। ... ...
গতকাল হাঙ্গেরিতে ভিকতর অরবান এবং সার্বিয়াতে আলেকজান্দার ভুচিচ যথাক্রমে প্রধান মন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হলেন। এই সেই অরবান যিনি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সকল আইনকে কলা দেখিয়ে আপন রাজনীতি করেন। আলেকজান্দার ভুচিচ রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোন স্যাঙ্কশনের বিরোধী , যদিও তিনি ইতিমধ্যে ই উ তে ভর্তি হবার দরখাস্ত করেছেন। তাঁর মতে এ দুটি স্বতন্ত্র ব্যাপার। এঁরা শ্রী পুতিনের প্রিয়জন - তিনি দুজনকেই আজ সকালে আশীর্বাদ জানিয়েছেন। তারতুর ক্রিসটা, কাউনাসের এভেলিনার কাছে শুনি আগামী মে মাসের ন তারিখে একটি সংঘর্ষের বিপুল সম্ভাবনা। সোভিয়েত আমল থেকে প্রতিবছর সেই দিনটি পালিত হয় মহান দেশপ্রেমিক জনযুদ্ধের বিজয় দিবস রূপে। ইউক্রেনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বালটিক দেশগুলির সরকার এই দিবসটিকে পূর্ণ সমারোহে উদযাপন করার অনুমতি নাও দিতে পারেন। তখন কি হবে? রাশিয়ানরা প্রবল বিক্রমে পথে নামবেন ইউক্রেনে যুদ্ধের সমর্থনে। এই জল তরঙ্গকে রুধিবে কে? ... ...
চোখ বন্ধ করে ভাবি এই রাতের অন্ধকারে ট্রেন ভর্তি বাবা মায়েরা শিশুদের নিয়ে মুক্তির সন্ধানে দীর্ঘ যাত্রায় চলেছেন। লভিভ পৌঁছুলে বাবা ফিরে যাবেন পূব দিকের কোন শহরে গ্রামে যেখানে তাঁদের সুখের সংসার চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে আছে। ছোট মেয়ে হয়তো বলবে, বাবা কখন আসবে গো? ছটা একুশে? ... ...
পাহাড়ে শীতের আয়ু দীর্ঘ। আরও একমাস এই পাহাড় পর্বত জনপদ বরফে ঢাকা থাকবে। মঠের সন্ন্যাসী ফাদার সোকা ফাদার সোফিয়ান তাঁবু খাটিয়েছেন, ত্রাণ সামগ্রী যোগাড় করছেন। গিরজের উপাসনায় যোগ দিয়েছেন ইউক্রেনের নারী ও শিশু তাঁরাও অর্থোডক্স। তাঁদের মধ্যে একজন, ইরিনা বাবিচ কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন। তবু বললেন আজ আমি গিরজেয় পুতিনের স্বাস্থ্য ও সুবিবেচনার আশায় প্রদীপ জ্বালিয়েছি। ... ...
আটের দশকে ইউরোপের পক্ষে একজোট হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণ বৈষম্য বাদী সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবসা বাণিজ্যে প্রতিবন্ধ সৃষ্টি করা শক্ত হয়েছিল। মিসেস থ্যাচার বললেন ‘ তাতে করে মূল সমস্যার কোনো সমাধান হয় না। আমাদের উচিত দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারের সঙ্গে কথা বলা, আলোচনা করা, তাদের বুঝিয়ে মত পরিবর্তন করা, স্যাঙ্কশন নয়’। স্বভাবতই তিনি শেল বা ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামের ব্যবসার ক্ষতি করতে অনিচ্ছুক ছিলেন।সোয়েতো বা আলেকজান্দ্রার কালো মানুষদের কথা ভেবে কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে চায়। ... ...