তোত্তো-চানের নামের অর্থ ছোট্ট খুকু। তোত্তো-চানের অত্যাচারে তাকে স্কুল থেকে বের করে দিয়েছে। যদিও সেই সম্পর্কে তোত্তো-চানের বিন্দু মাত্র ধারনা নেই। মায়ের সঙ্গে নতুন স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য সে চলছে। নানা বিষয়ে নানা প্রশ্ন, নানান আগ্রহ তার। স্টেশনের টিকেট চেকার থেকে শুরু করে আশেপাশের সব দিকেই তার সমান আগ্রহ। অন্যদিকে মায়ের দুশ্চিন্তা হচ্ছে নতুন স্কুলে তোত্তো-চান টিকতে পারবে কিনা তা নিয়ে। স্কুল দেখেই তোত্তো-চানের সমস্ত মনোযোগ স্কুলের দিকে চলে গেল। ও বিশ্বাসই করতে পারছিল না এমনও কোন স্কুল হতে পারে। প্ ... ...
প্রথমে ফিতার ক্যাসেট দিয়ে শুরু তারপর সম্ভবত টিভিতে দুই একটা গান শোনা তারপর আস্তে আস্তে সিডিতে, মেমরি কার্ডে সমস্ত গান নিয়ে চলা। এলআরবি বা আইয়ুব বাচ্চু দিনের পর দিন মুগ্ধ করে গেছে আমাদের।তখনকার সময় মুরুব্বিদের খুব অপছন্দ ছিল বাচ্চুকে। কী গান গায় এগুলা বলে আমদের কে নিবৃত করার চেষ্টা করা হত সব সময়, আমরাও নতুন অ্যালবাম একটাও না কিনে থাকতাম না। তাই এখনও এলআরবি বা আইয়ুব বাচ্চুর গান শুনতে যত না ভাল লাগে তারচেয়ে শতগুণ করে নস্টালজিক।
অদ্ভুত সুন্দর কিছু গানের কথা আর ভয়ানক রকমের সুন্দর সুরের মূর্ ... ...
মানব ইতিহাসের যত উত্থান পতন হয়েছে, যত বিপদের সম্মুখীন হয়েছে তার মধ্যে বর্তমানেও যা প্রাসঙ্গিক রয়ে গেছে এমন কিছু সমস্যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শরণার্থী সমস্যা। হুট করে একদিন ভূমিহীন হয়ে যাওয়ার মত আতঙ্ক খুব কমই থাকার কথা। স্বাভাবিক একজন পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকা মানুষ নিজেকে শরণার্থী বলে আবিষ্কার করার পিছনেও থাকে নানা প্রক্রিয়া। নিজের ও পরিবারের জীবন যখন ঝুঁকির মধ্যে পরে তখন কখন কিভাবে সে উদ্বাস্তু হয়ে যায় নিজেও সম্ভবত জানে না। তখন সে জানে শুধু জীবন বাঁচানো।বিশ্ব জুড়ে এ একে মারছে, ও ওকে মারছে আর ব ... ...
এক জীবনে একজন মানুষের কি চাওয়া থাকতে পারে? যদি সে হয় একটু অভিযান প্রিয়, যদি সে হয় পুরো পৃথিবী ঘুরে দেখার ইচ্ছাসহ কোন মানুষ? কি চাইতে পারে সে? বিমল মুখার্জি নামক এক বাঙালি নিজের মনের ভিতরের দুনিয়া ঘুরে দেখার ইচ্ছাটা বাস্তবে রূপান্তর করতে পেরেছিলেন। সাথে পেয়েছিলেন একজন মানুষ এক জীবনে যা চাইতে পারে তার সব। তিনি ডেনমার্কের এক ধনাঢ্য পরিবারের সর্বোচ্চ স্নেহ ভালবাসা পেয়েছিলেন। তারা তাকে তাদের সম্পত্তির অংশীদার করে রেখে দিতে চেয়েছিলেন। জন্মদিনে বাড়ি, গাড়ি এমন কি বিমান পর্যন্ত উপহার দিয়েছিলেন।বিমান চালি ... ...
Bury my heart at wounded knee - An Indian history of the American west বইটি লিখেছেন আমেরিকান লেখক ডি. ব্রাউন। বাংলায় অনুবাদ করে আমার মত মূর্খকে এই দারুণ করুন ইতিহাস কে জানতে সহায়তা করেছেন দাউদ হোসেন। অনুবাদক এর বাংলা নাম দিয়েছেন “আমারে কবর দিও হাঁটুভাঙ্গার বাঁকে”। অনুবাদ মোটামুটি ভাল, পাঠযোগ্য। যেহেতু এটা উপন্যাস না তাই উপন্যাসের রস জাতীয় কিছু এখানে নাই। এর রস যা আছে তা পুরোটাই ইতিহাস। পৃথিবীর ইতিহাসের কালো দিক গুলোর মাঝে অন্যতম আমেরিকা মহাদেশ থেকে রেড ইন্দিয়ানদের নিশ্চিহ্ন করার ইতিহাস। স্পর্শকা ... ...
পূর্ববঙ্গের ইতিহাসের উপরে গবেষণা ধর্মী বই লিখেছেন মুনতাসীর মামুন। বইয়ের নাম “কোই হ্যায়?” বইয়ের ফ্লাপে লেখা আছে - “পূর্ববঙ্গে ইংরেজ সিভিলিয়ানদের জীবন চর্চা, কর্মকাণ্ড নিয়ে ইতোপূ্র্বে কোনো গ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি। পূর্ববঙ্গের ইতিহাস রচনার পথিকৃৎ ড. মুনতাসীর মামুনের বর্তমান গ্রন্থ সেই অচেনা অজানা বিষয় নিয়ে। দীর্ঘদিন গবেষণার পর পূর্ববঙ্গ সম্পর্কিত সিভিলিয়ানদের লেখা ১৯টি স্মৃতিকাহিনীর ওপর ভিত্তি করে রচিত ‘কোই হ্যায়’। গ্রন্থের প্রথম পর্বে ইংরেজ বা ইউরোপিয়দের এ দেশে আগমন, ক্ষমতাদখল ও ঔপনিবেশিক শাস ... ...
গুজব নিয়ে সেই মজা নেওয়া শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু চারটা লাশ আর চারজন ধর্ষণের গুজব কি গুজব ছিল না? এত বড় একটা মিথ্যাচার, যার কারনে কত কি হয়ে যেতে পারত, এই জনপথের ইতিহাস পরিবর্তন হয়ে যেতে পারত অথচ রসিকতার ছলে এই মিথ্যাচার কে হালকা করে দেওয়া হল। ছাত্রলীগ যে তাণ্ডব চালিয়েছে তা অস্বীকার করার কোন রাস্তা আছে বা সরকার যে তরীকায় অগ্রসর হল শেষের দিকে তা কোন মতেই কাম্য নয় কারো কাছে। কিন্তু লাশের গুজব ভিন্ন জিনিস। যখন লাশের সাথে তুলনা হবে লাঠির বাড়ি তাহলে তখন লাঠি পেটা অনেক সহনীয় মনে হবে। না চাইতেও একটা স্বস্তি ... ...
আজকে এক বাঙ্গালি বীরের জন্মদিন। আজকে শহীদ আজাদের জন্মদিন। মাগফার আহমেদ চৌধুরী আজাদ। মুক্তিযুদ্ধে ঢাকার কিংবদন্তীর ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য, রুমির সহযোদ্ধা এবং অবশ্যই অবশ্যই মোসাম্মাৎ সাফিয়া বেগমের সন্তান। শহীদ আজাদ হচ্ছেন এমন একজন মানুষ যার কথা বলতে গেলে তার মার কথা বলতে হয় অবধারিত ভাবেই। মার কথা বলব তার আগে আজাদের কথা বলি।
শহীদ আজাদের জন্ম ১৯৪৬ সালের ১১ জুলাই। নিউ ইস্কাটনে থাকতেন। বাবা তৎকালীন সময়ের বড় ব্যবসায়ী ইউনুস আহমেদ চৌধুরী। বাবার দ্বিতীয় বিয়ের পর আজাদ কে নিয়ে আলাদা থাকা শুরু ক ... ...
একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাই। সহজ ও সোজা একটা কথা। কিন্তু এই সহজ ও সোজা কথাটার মাঝে অনেক কিছুই লুকিয়ে আছে। লুকিয়ে আছে জাতি হিসেবে আমাদের সবচেয়ে বড় গৌরব কে অবহেলায় ফেলে রাখার লজ্জা, আছে জাতি হিসেবে আমরা কতখানি নির্বোধ তার পরিচয়, এর মধ্যেই আছে রক্তের দামে কেনা স্বাধীনতার বর্তমান অবস্থা।
বিশ্বের বড় বড় গণহত্যার থেকে কোন অংশে কম হয়নি একাত্তর সালে এই বাংলায়। নয় মাসে ত্রিশ লক্ষ মানুষ কে মেরে ফেলা।এত অল্প সময়ে এত সংখ্যক মানুষ কে মেরে ফেলা, এমন নজির পৃথিবীর ইতিহাসে নেই আর। সংখ্যাট ... ...
ছোটবেলা থেকেই হিন্দু বাড়ির অন্দরমহলে সহজেই ঢুকে যেতাম। বেশি ছোট বেলায় কেউ কিছু মনে করছে কিনা তা বুঝতেই পারতাম না। একটু বড় হলে বুঝতে পারি আমার হুট হাট করে বাড়ির মধ্যে ঢুকে যাওয়াতে হয়ত উনাদের সমস্যা হচ্ছে। ভুলে খেয়ে ফেলতাম যা মনে হত তা। আবার আরেকদিন বেমক্কা গিয়ে হাজির হতাম। প্রশ্রয় ছিল বেশ ভাল ভাবেই, আর তাই আমার যা ইচ্ছা তা বা যখন ইচ্ছা তখন হুট করে কারো বাড়িতে হাজির হতে বিন্দুমাত্র ভাবতে হয়নি।
আমার বাড়ির অগ্রজদের দেখতাম হিন্দুদের মত করেই মুরুব্বীদের মাসি, পিসি বলে ডাকতে। আমি সেসব ঝেড়ে ফে ... ...