সবাই সবই জানেন, তবু এই বাজারে একটু ভাবাবেগে আঘাত না দিয়ে পারা গেলনা।
TNQ-Janelia India COVID-19 DistinguishedLecture Series টা বেশ ভাল হল। D:জো ডেলা রিসি সানফ্রান্সিস্কো এলাকায় কীভাবে স্ক্র্যাচ থেকে কী কী কাজ কীভাবে হল,দেখালেন। UCSF এর গ্র্যাড স্টুডেন্টরা ভলান্টিয়ার করেই তো বিশাল কর্মযজ্ঞ নামিয়েছে দেখলাম। ওঁদের টেস্টিং এর সাপ্লাই চেন অন্য সরকারি কি বেসরকারি ল্যাবের থেকে কীভাবে আর কেন বেটার,তাও দেখালেন। সব জায়গা যদি এই মোডে চলতে পারত !তবে সানফ্রান্সিসকোতে নেইবারহুড কন্সেপ্ট নেই ? স্যামপ্লের যা আনালিসিস দেখালেন,বললেন apple,google এ কাজ করা লোকজনের প্রতিবেশীই হয়ত একেবারেই খারাপ অবস্থায়, কাজকর্ম হারিয়েছেন কি ফার্লো কি বাইরে বেরতে বাধ্য হয়েছেন, কাজ করতে। মানে পুরো ওয়ার্ক ফ্রম হোম আফোর্ড করা লোকের পাশেই একেবারেই সেটা করতে না পারা লোকজন। ... ...
করোনাক্রান্তির ভেতর আবারও সীমিত পরিসরে শুরু হচ্ছে পর্যটন। প্রতি বছর হাজারো পর্যটক এপারে বাংলাদেশের আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল রাংগামাটির কাপ্তাই লেক ভ্রমণ করে উপভোগ করেন প্রাকৃতিক শোভা। তাদের খুব অল্প অংশই জানেন, উন্নয়নের নামে রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের নমুনা এই লেক সৃষ্টির ইতিকথা। ১৯৬০ সালে কাপ্তাই জলবিদ্যুত প্রকল্প করে রাতারাতি ৫৪ হাজার একর পাহাড়, বন ও চাষবাসের জমি লেকের পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়। সে সময় উদ্বাস্তু হন প্রায় এক লাখ পাহাড়ি। তাদের অনেকে ভারতের ত্রিপুরা, অরুনাচল ও মিজোরামে পাড়ি জমান। বাদবাকীরা পরিনত হন পাহাড়ের অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুতে। আজো তারা পুনর্বাসিত হননি। পাননি কোনো ক্ষতিপূরণও। আর কাপ্তাই জলবিদ্যুত প্রকল্প থেকে যে বিদ্যুতটুকু তৈরি হয়, তার সুবিধাভোগি জনগণ ... ...
আসলে ছাড়তে হয়, সবাইকেই ছাড়তে হয়। না ছাড়লে জীবন চলেনা। কেমন ভাবে? বোঝালে বুঝবেন তো? নাকি স্বভাব খারাপ, অকর্মন্য, বেইমান, বদজ্জাত ছেলে তকমা দিয়ে কমেন্ট বক্স ভরাবেন? ভেবে দেখুন, আপনার স্কুল, কলেজের বন্ধুদের সেই গ্রুপ গুলো, টিউশনি যাওয়ার সেই রেঞ্জার সাইকেলটা, সেই অগোছোলো চুল ঠিক করা মেয়েটা সবাইকে সময়ের সাথে সাথে আমাদের ছাড়তে হয়। সেই টিনের বইয়ের বাক্স, সেই প্রিয় মাষ্টারদা অথবা প্রিয় শিক্ষিকা দিদি। কলেজের সেই ক্রাশ হাফ স্লিভ ব্লাউজ পরা ম্যাডাম। আমাদের ঘরের পিছনের সেই পুরানো আম গাছ। সেই পানা পুকুর। সেই আম কুড়ানোর কালবৈশাখী, সেই বৃষ্টির দিনের কইমাছ। সবাইকে ছাড়তে হয়। ভেবে দেখুন একটা মেয়ে তার বাপ-মায়ের সাথে তার বাইশটা বছর ... ...
কাল রাতে বহু বার দেখা সিনেমা "গল্প হলেও সত্যি" আবার দেখছিলাম। আমাদের বিশেষ করে বাঙালিদের ইন্টালেকচুয়াল হবার মধ্যে একটা প্রছন্ন গর্ব থাকে। তাই কোন সাধারণ মানুষের সাধারণ কাজকে তথাকথিত ইন্টালেকচুয়ালরা তাচ্ছিল্য করেন। সিনেমাতেও দেখি ভানু বন্দোপাধ্যায়-এর ইন্টালেকচুয়াল ভাইপো তাচ্ছিল্য করে বলত নন্ ইন্টালেকচুয়ালদের মতো কাজ! এই ব্যাপারটি কে ভানুবাবু অসাধারণ ভাবে ব্যঙ্গ করেছেন। যখন তার ইন্টালেকচুয়াল ভাইপো জিগ্যেস করছেন ছোটকাকা তুুমি কি করছ? ভানু অবলীলায় উত্তর দেন : নন্ ইন্টালেকচুয়ালদের মতো বিড়ি টানছি!সত্যি তথাকথিত ইন্টালেকচুয়ালরা তাদের উন্নাসিক মনোভাবের জন্য কখন যে সাধারণ মানুষের জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান তা তারা নিজেরাই বোঝেন না। সব ব্যাপারে নিজেরাই শেষ কথা বলবেন তা কি ... ...
আসলে আমরা এখন সবাই ভুত / কিন্তু বলতে মানা!
ধরুন আপনি যেমন খুশি হতে পারেন / আপনার কাছে আলাদিনের চিরাগ আছে
মেঘ ডাকছে, বড় বেলা হয়ে এল .. অফিস টাইম পেরিয়ে গেছে মিনিবাসগুলো ফাঁকা হয়ে আসছে,আমার পায়ে একটা মশা কামড়াচ্ছে কোমরে ব্যাথা, নীচু হয়ে মারতে পারছি না ।
এত বছর পর কেন কষ্ট হছে হৈমন্তীর? পড়ে ফেলুন মেট্রো গল্প 'আপদ'!
যাচ্ছেতাই ...আরবে কেউ নাই আমার। ঘরের লোক বেছে বেছে ইয়া বড় মুসলমান নাম কিকরে রাখলো তা আজ অবধি বুঝিনি। নামের আগে আবার শেখ আছে আমার। আধার, রেশন, ভোটার সব ভুলের বাধা টপকে যখন সরকারি খাতায় ঠিক নাম দেখি তখন একটু জিরান আসে মনে। তাও শান্তি নাই। ইদিকের পঞ্চায়েত মেম্বার হেব্বি খাতির করে বলে কিনা আপনে মুরুব্বি মানুষ। জীবনে কিচ্ছু গোছাতে পারিনি। তাই কয়েক বছর ধরে নিজের ইমেজ গোছাচ্ছি। পলিটিক্যাল ইমেজ। নন পলিটিক্যাল নাকি আ পলিটিক্যাল জানি না। তবে দুটোই গোছাচ্ছি। ... ...
ফেসবুকে বাংলা বইয়ের গ্রুপগুলো হয়েছে এক অদ্ভুত জায়গা। কদিন আগে সুবোধ সরকার আনন্দবাজারে একটা লেখা লিখেছিলেন। তাতে এরকম একটা লাইন ছিল, যে, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সা বলতে জানতেন, তারপর কোনো বাঙালি লেখক আর পারেননি। পেরেছেন কি পারেননি, সে নিয়ে মতভেদ থাকাই স্বাভাবিক, তর্কাতর্কিও। কিন্তু ও মা, কোথায় কী। একখানা বইয়ের গ্রুপ খুলে দেখি, গাদা গাদা লোকে প্রশ্ন করছেন, এই সা বলাটা কী জিনিস। এত অ-আ-ক-খ থাকতে খামোখা লোকে সা বলবে কেন। তারও হাজারে হাজারে উত্তর। এবং সেসব আরও চমকপ্রদ। কেউ বলছেন সা মানে স্বাগতম। কেউ বলছেন সা মানে সাধারণজ্ঞান। দু-একজন মিনমিন করে সা মানে ষড়জ, সেটা বলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সেসবে কে ... ...
গ্রহ, উপগ্রহ, নক্ষত্র সম্বলিত মহাবিশ্বের রূপরেখা আবিষ্কৃত হাওয়ার পর থেকেই মানুষের মনে প্রথম কৌতূহল তৈরী হয় যে, এই মহাবিশ্বের অন্য কোথাও কি প্রাণের অস্তিত্ব আছে? মহাবিশ্বের কোথাও কি আমাদের মত বা আমাদের চেয়ে আরও উন্নত জীবের অস্তিত্ব আছে? কৌতূহল হলেই তো তা একদিনে নিরসন করা যায় না, বিশেষ করে সেটা যখন মহাবিশ্বের ব্যাপার। কত কোটি আলোকবর্ষ জুড়ে যে এই মহাবিশ্ব তার হদিশই আমরা এখনও পাইনি। প্রাণ থাকতে গেলে বা প্রাণের বিস্তার ঘটতে গেলে যা যা প্রাথমিক শর্তাবলীর প্রয়োজন সেইসব শর্ত পূরণের হদিশ বিজ্ঞানীরা অনেক গ্রহে পেয়েছেন আজ অব্দি, কিন্তু সেইসব গ্রহে প্রাণ আছে কিনা তার প্রমাণ এখনও মেলেনি। যদিও এই ... ...
ওগো ঝরা পাতা যদি আবার কখনো ডাক !এই গানটির কথা মনে আছে তো সবার। সুগায়ক কেকে মাত্র ৫৩ বছর বয়সে আজ ঝরা পাতা হয়ে গেলেন। শিল্পীর কেকে র এমন অকাল প্রয়াণে মন বড় ভারাক্রান্ত হয়ে আছে। এ কেমন অবহেলার মৃত্যু ! এ কেমন অবেলায় চলে যাওয়া ! না কাউকে দোষারোপ করার জন্য কিছু লিখতে বসিনি। তবে নিজেকেই প্রশ্ন করি এমন অবেলায় বেলাশেষ কি আমরা কিছুটা রোধ করতে পারিনা ? স্টেজের উপর ২/ ৩ ঘন্টা লাইভ পারফরম্যান্স কিন্তু বেশ একটা শ্রমসাধ্য ব্যাপার। যদি বদ্ধ জায়গায় অনুষ্ঠান হয়, যদি অতিরিক্ত দর্শক সমাগম হয়,হলের আর্দ্রতা, তাপমাত্রা ঠিক ঠাক না থাকে তাহলে শিল্পীদের উপর ... ...
দেশদ্রোহী তকমা দিয়ে আর কতো কাল রাখবে পুরে? যেই করেছি প্রশ্নগুলো সবাই বললে, "বড্ড গেরো!"
যদিও ছুয়া নাকাহারা জাপানে একেবারে সর্বজন পরিচিত নাম না, কিন্তু তার সবচাইতে নামকরা কবিতা "Sorrow Already Spoiled,"এর শিরোনাম এবং অংশবিশেষ অনেক প্রাপ্তবয়স্ক জাপানিরই জানা আছে।জীবিত অবস্থায় ছুয়া একটি মাত্র বই প্রকাশ করেছিল মায়ের টাকায়, - ছাগল গীতিকা, পঞ্চাশ কপির মত বিক্রি হয়েছিল। মৃত্যুর পর দ্বিতীয় বই ১০০০ কপি বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু ১৯৪৭ সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত কপর্দকশূন্য জাপান ছুয়ার নতুন কালেকশন ২০,০০০ কপি কিনলো। সেই থেকে তার কাজের প্রতি আগ্রহ বেড়েই চলেছে। ৬৭ সালে ছয় ভলিউম নিয়ে তার কাজের কালেকশান বের হয়েছে।বেদনা অলরেডি ঘেঁটে গেছে আজকে আবারো একটু বরফ পড়লোসেই কষ্টের উপর যা এর মধ্যেই একটু ঘেঁটে গেছেআজকে এমনকি একটু বাতাসও হলোসেই ... ...
করোনার ডামাডোলের মধ্যে নানা রঙবেরঙের স্মৃতির আলোছায়া বিছিয়ে সরে গেলেন পিকে। কত না দুর্দম কৈশোর যৌবনের উড়নচন্ডী হরিৎ ভূমির খোপে খোপে তুমুল আবেগের নক্সী বুনন ছড়িয়ে রেখেছিলেন পিকে।
বিশ্বজুড়ে আজকাল যখন তখন কেউ না কেউ বক্তব্য রাখছেন। কাজের হোক, অকাজের হোক। কি আসে যায়! বড়, মেজ, সেজ, ন, ফুল, ছোট, আরোও ছোট, এমনকি কুট্টি সাইজের নেতারা তো বক্তব্য রাখেনই । চিরকাল তাই হয়ে আসছে। আজকাল মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সকলেই মানে রাম, শ্যাম, যদু, মধু , আমার আপনার মতো সকলেই যারপরনাই সামাজিক হয়ে উঠেছেন। সকালে বড়দা বললেন তো তাঁর কথাকে সমর্থন বা প্রতিবাদ করে মধুবাবু বা বিবি একটা আধটা ফ্যাঁস বা ফোঁস করলেন। ব্যস্ হয়ে গেল। ফুলদিদি লাফালাফি করে মিডিয়ার পালে জোরালো হাওয়া ঠেলে দিলেন। ব্যস, মিডিয়াকে দেখে কে তখন? রমরমিয়ে বাড়ছে TRP। সোশ্যাল মিডিয়া সরগরম ওদিকে। ... ...