এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • মানুষ কি সত্যিই এলিয়েন? তাহলে বিবর্তনবাদ?

    Surajit Dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ৮৯১ বার পঠিত | রেটিং ৩.৫ (২ জন)
  • গ্রহ, উপগ্রহ, নক্ষত্র সম্বলিত মহাবিশ্বের রূপরেখা আবিষ্কৃত হাওয়ার পর থেকেই মানুষের মনে প্রথম কৌতূহল তৈরী হয় যে, এই মহাবিশ্বের অন্য কোথাও কি প্রাণের অস্তিত্ব আছে? মহাবিশ্বের কোথাও কি আমাদের মত বা আমাদের চেয়ে আরও উন্নত জীবের অস্তিত্ব আছে? কৌতূহল হলেই তো তা একদিনে নিরসন করা যায় না, বিশেষ করে সেটা যখন মহাবিশ্বের ব্যাপার। কত কোটি আলোকবর্ষ জুড়ে যে এই মহাবিশ্ব তার হদিশই আমরা এখনও পাইনি। প্রাণ থাকতে গেলে বা প্রাণের বিস্তার ঘটতে গেলে যা যা প্রাথমিক শর্তাবলীর প্রয়োজন সেইসব শর্ত পূরণের হদিশ বিজ্ঞানীরা অনেক গ্রহে পেয়েছেন আজ অব্দি, কিন্তু সেইসব গ্রহে প্রাণ আছে কিনা তার প্রমাণ এখনও মেলেনি। যদিও এই হদিশ করার ব্যাপারটা খুব কষ্টের কারণ মহাবিশ্বের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় আলো, শব্দ ইত্যাদি পৌঁছতে কোটি কোটি আলোকবর্ষ অব্দি লেগে যায়। তবুও আমরা চেষ্টা করে চলেছি মহাবিশ্বে প্রাণের সন্ধান পেতে। কিছু সাফল্য পেয়েছে আমাদের বিজ্ঞানীরা এক্ষেত্রে, শোনা যায় শনি গ্রহের উপগ্রহ টাইটানে প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে আবার বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বের প্রায় ২০ টি গ্রহের কথা বলেন যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে। কিন্তু প্রাণের অস্তিত্ব থাকা এক জিনিস আর আমাদের মত উন্নত বা আমাদের চেয়েও উন্নত প্রাণীর অস্তিত্ব থাকা আর এক জিনিস। সেই অস্তিত্বের খবর এখনও আমরা পাইনি। অনেক লেখক তাঁদের লেখায় অন্য গ্রহের প্রাণীদের অস্তিত্ব লিখেছেন, আমাদের গ্রহে তাদের যাতায়াতের কথা লিখেছেন এবং আমরা এখনও বিশ্বাস করি, একদিন না একদিন আমাদের চেয়েও উন্নত প্রাণীর সন্ধান আমরা খুঁজে পাবই। অন্য গ্রহ বা অন্য জগতের প্রাণীকে আমরা এলিয়েন বলি এবং আমাদের কল্পনায় তাদের চেহারার বা অবয়বের নকশা খুব পরিষ্কার। আবার প্রাণের প্রাথমিক শর্ত হিসেবে যে জল আর অক্সিজেনের কথা বলা হয় তারও ব্যতিক্রম দেখা যায় বিজ্ঞানীদের কথায়। শনি গ্রহের টাইটান উপগ্রহে যে প্রাণের সন্ধানের কথা বিজ্ঞানীরা বলছেন সেখানে জানা যায় যে প্রাণীরা হাইড্রোজেন গ্যাসের আবহমন্ডলেও শ্বাস নিতে সক্ষম। সুতরাং এই মহাবিশ্বের কোথায় কিভাবে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে তা সম্পর্কে কোনো শর্টকার্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই মুশকিল। আবার অতি সহজভাবে ভাবলেও বলা যায়, এই মহাবিশ্বের লক্ষ, কোটি গ্রহ, উপগ্রহের মধ্যে একমাত্র এই পৃথিবীতেই প্রাণ আছে এটা বিশ্বাস করা খুব কষ্টকর। মহাবিশ্বে রয়েছে বিলিয়ন বিলিয়ন ছায়াপথ বা গ্যালাক্সি। আমাদের ছায়াপথেই রয়েছে প্রায় ২০ থেকে ৪০ হাজার কোটি নক্ষত্র, যার মধ্যে আমাদের সূর্যও একটি। এ বিশাল মহাবিশ্বে সূর্যের মতো রয়েছে অসংখ্য নক্ষত্র। তাদের কোনোটিতে আমাদের সৌরব্যবস্থার মতো ব্যবস্থা থাকতেই পারে, যেখানে থাকতে পারে প্রাণী। তাই এলিয়েনের অস্তিত্ব নিশ্চয়ই আছে কোথাও না কোথাও, আমরা এখনও তার সন্ধান পাইনি। নাসার বিজ্ঞানী অ্যালেন স্টেফান, বিজ্ঞানী সিলভানো পি কলম্বানো, বিজ্ঞানী টমাস জুরবিউকেন প্রমুখেরা বিভিন্ন সময়ে বলেছেন, এলিয়েনদের থেকে নাসা আর বেশি দূরে নেই। কয়েক বছরের মধ্যেই নাসা এলিয়েনদের কাছে পৌঁছে যাবে। মহাবিশ্ব অনেক বড় হওয়ার কারণেই স্টিফেন হকিং এবং কার্ল সেগানের মতে, পৃথিবীর বাইরে প্রাণ থাকার সম্ভাবনাটাও বেশি। অনেকে পৃথিবীর বাইরে প্রাণের প্রমাণের জন্য বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে দেখা যাওয়া ইউএফও বা অশনাক্ত উড়ন্ত বস্তুর কথা বলেন। তবে বেশির ভাগ ইউএফও’কেই মানবসৃষ্ট আকাশযান অথবা কোনো মহাজাগতিক বস্তু বা দেখার ভুল হিসাবে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। কিন্তু যেহেতু অনেকেই দাবি করেন, ভিনগ্রহের প্রাণীরা পৃথিবীতে প্রায় নিয়মিত যাওয়া-আসা করে এবং তাদের দেখাও গেছে, তাই এটি অসম্ভব নয় যে, পৃথিবীর আদি বাসিন্দারাও ভিনগ্রহের প্রাণী দেখেছেন।

    কিন্তু সম্প্রতি নাসার এই বক্তব্যে জল ঢেলে দিয়েছেন আমেরিকার প্রখ্যাত ইকোলজিস্ট ডঃ এলিস সিলভার। তার চাঞ্চল্যকর মতবাদ নিয়ে ঝড় উঠেছে বিজ্ঞানপ্রেমীদের মধ্যে। তিনি দাবি করেছেন, এই পৃথিবীর মানুষই হলো এলিয়েন বা ভিনগ্রহের জীব।এলিয়েন বলতে সেই জীবদের বোঝানো হয়, যাদের উদ্ভব এ পৃথিবীতে হয়নি, বরং পৃথিবীর বাইরে মহাবিশ্বের অন্য কোথাও হয়েছে। ডঃ এলিস তার "হিউম্যান আর নট ফ্রম আর্থ : এ সায়েন্টিফিক ইভালুয়েশন অব দ্য এভিডেন্স" বইয়ে রীতিমতো যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে মানুষ এই পৃথিবীর জীব নয়, অর্থাৎ অন্য জীবদের মতো মানুষের সৃষ্টি পৃথিবীতে হয়নি। কয়েক লাখ বছর আগে অন্য গ্রহ থেকে মানুষকে পৃথিবীতে ছেড়ে যাওয়া হয়েছিল। তার মতে, মানুষের শরীরে থাকা অনেক ত্রুটি বুঝিয়ে দেয়, পৃথিবী মানুষের গ্রহ নয়। পৃথিবীর অনান্য উন্নত প্রাণীর সঙ্গে মানুষের শরীরের এত পার্থক্য কেন? পৃথিবীতে মানুষ ছাড়া সব প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী পরিবেশ থেকেই সরাসরি তাদের প্রয়োজন মিটিয়ে নেয়। উদ্ভিদ তার গায়ে এসে পড়া সূর্যালোক, বাতাসের কার্বন ডাই-অক্সাইড আর মাটি থেকে জল নিয়ে নিজের খাবার তৈরি করে। বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীরা সরাসরি উদ্ভিদ খেয়ে বা অনান্য প্রাণীকে খেয়ে পৃথিবীতে বেঁচে থাকে। কিন্তু মানুষ প্রকৃতিতে স্বাভাবিকভাবে পাওয়া বা গজিয়ে ওঠা খাবার সরাসরি খেতে অপছন্দ করে কেন? সরাসরি পরিবেশ থেকে নেওয়া খাবার হজম করতে পারে না একমাত্র মানুষই। তাই সে অন্যভাবে তার খাদ্যের প্রয়োজন মেটায়। মানুষ যদি পৃথিবীরই জীব হতো, তাহলে সে বাকি প্রাণীদের মতোই পরিবেশ থেকে পাওয়া খাবার সরাসরি খেয়ে হজম করতে পারত। মানুষই হলো পৃথিবীর সবচেয়ে খাপছাড়া জীব (বলা যায় কাবাব মে হাড্ডি) এবং পৃথিবীর জলবায়ুতে টিকে থাকার পক্ষে সবচেয়ে অনুপযুক্ত। কারণ, পৃথিবীর বাকি সব জীব সারাজীবন খোলা আকাশের নিচে, প্রখর রৌদ্র, তুমুল ঝড়-বৃষ্টি, প্রচণ্ড ঠান্ডা সহ্য করে বেঁচে থাকতে পারে। মানুষ কেন পৃথিবীর বাকি সব প্রাণীর মতো বৃষ্টিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভিজতে পারে না? কয়েক ঘণ্টার বেশি সূর্যের প্রখর রৌদ্রে থাকলে একমাত্র মানুষেরই কেন ‘সান স্ট্রোক’ হয়? সূর্যের আলোয় বেশিক্ষণ থাকলে আমাদের ত্বকের চামড়া কালো হয়ে যায় কেন? কেন সূর্যের আলোয় মানুষেরই শুধু চোখ ধাঁধিয়ে যায়, অন্য প্রাণীর তা হয় না? মানুষের মধ্যেই প্রচুর দীর্ঘস্থায়ী রোগ বা ক্রনিক ডিজিজ দেখা দেয়। পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষ ব্যাক পেইন রোগে ভোগে। কারণ, মানুষ পৃথিবীর অন্যান্য প্রাণীর মতো চার পায়ে হাঁটে না। ফলে হাঁটাচলা ও বিভিন্ন কাজে মাধ্যাকর্ষণের সাহায্য পায় না। পৃথিবীর বাকি প্রাণীদের কি ঘাড়ে, পিঠে, কোমরে ব্যথা হয়? পৃথিবীতে থাকা কিছু দীর্ঘজীবী প্রাণী, যেমন আফ্রিকার হাতি, অ্যালডাবরা ও গ্যালাপাগোস কচ্ছপ, বো-হেড তিমি, গ্রেটার ফ্লেমিঙ্গো, গ্রিন-উইং ম্যাকাওদের চোখেও কি চল্লিশের পর চালসে (হাইপার মেট্রোপিয়া) পড়ে? বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তাদের শ্রবণক্ষমতা কমে যায় কেন? পৃথিবীর কোনো মানুষই শতকরা ১০০ ভাগ সুস্থ নয় কেন? প্রত্যেকেই এক বা একাধিক রোগে ভোগে কেন? মানব শিশুর মাথা বড় হওয়ার জন্য নারীদের স্বাভাবিক উপায়ে প্রসব করতে প্রবল যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। প্রসব করতে গিয়ে আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে অসংখ্য মা ও শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মানুষ ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোনো প্রজাতির ক্ষেত্রে কি এমনটি ঘটেছে? মানবশিশু জন্মের পরই পৃথিবীর উন্নত প্রাণীগুলোর শাবকদের মতো হাঁটতে শেখে না কেন? মানুষের দেহে কেন ২২৩টি অতিরিক্ত জিন আছে? পৃথিবীর অন্যান্য প্রাণীর দেহে অতিরিক্ত জিন নেই কেন? এইরকম আরও অনেক প্রশ্ন, যুক্তি এবং ব্যাখ্যা দিয়ে ডঃ সিলভার প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন যে মানুষ এই গ্রহের প্রাণী নয়, সে এলিয়েন। তাঁর প্রশ্ন ও যুক্তিগুলো ভাবিয়ে তোলে আমাদের। সত্যিই তো এই গ্রহের বাকী জীবদের থেকে আমরা অনেকটাই আলাদা। বিজ্ঞান এতদিন বলে এসেছে বিবর্তনবাদের কথা। চারপেয়ে জন্তু থেকে বিবর্তিত হয়ে আজ আমরা এই অবস্থায় এসে পৌঁছেছি।

    ডঃ সিলভারের প্রশ্ন এবং যুক্তির ভিত্তিতে বিবর্তনবাদ সম্পর্কেও প্রশ্ন তোলা যায়। এই পৃথিবীতে প্রথম সৃষ্টি হয়েছিল এককোষী প্রাণীর। তারপরে বহুকোষী প্রাণী এবং ধীরে ধীরে উন্নত শ্রেণীর প্রাণীরা। বিবর্তনের এই ধারা লক্ষ্য করলে দেখা যায় পৃথিবীর বাকী সব উন্নত শ্রেণীর প্রাণীরাই চারপেয়ে। একমাত্র মানুষই অতি উন্নত শ্রেণীর এবং দুইপেয়ে। তাহলে অন্য প্রাণীরা বিবর্তনের ধারা বজায় রেখে আরও উন্নত এবং অতি উন্নত শ্রেণীতে উন্নীত হতে পারলো না কেনো? এই গ্রহে মানুষই একমাত্র প্রাণী নয় যাদের অস্তিত্ব অতি প্রাচীনকাল থেকে পাওয়া যায়। মানুষের সমকালীন প্রাণীদের বিবর্তন কি হয়েছে তাহলে? যেটুকু বিবর্তন অন্যান্য প্রাণীদের ক্ষেত্রে দেখা যায় তারচেয়ে অন্ততঃ লক্ষগুন বেশী বিবর্তন দেখা যায় মানুষের ক্ষেত্রে। চারপেয়ে থেকে দুইপেয়েতে রূপান্তরিত হতে গেলে গঠনগত যে বিশাল পরিবর্তনের প্রয়োজন মানুষ তা করে ফেলতে পারলো আর অন্য প্রাণীরা পারলো না কেনো? এর কারণ কি মানুষের দেহে অতিরিক্ত ২২৩ টি জিনের উপস্থিতি না অন্য কিছু? এটাও একটা ধাঁধা যে এই গ্রহে একমাত্র মানুষ পেরেছে চারপেয়ে থেকে দুপেয়ে হতে। মানুষ ছাড়া এই পৃথিবীর বাকী প্রাণীদের ক্ষেত্রেও নিশ্চয়ই বিবর্তন হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য প্রাণীদের সাথে মানুষের বিবর্তনের তুলনা করলে মনে হয় কোথাও একটা গরমিল হচ্ছে। এত বিবর্তনের পরে কি করে এমন অবস্থায় আসে মানুষ, যেখানে গ্রহের সবকিছুর সাথে মানিয়ে নেওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে। তাহলে কিসের বিবর্তন? অন্যান্য প্রাণীদের যেটুকু বিবর্তন হয়েছে তাদের তো বিবর্তনের পরে মানিয়ে নিতে অসুবিধা হয়না। তাহলে মানুষের এত অসুবিধা কেনো? এই গ্রহে মানুষের মানিয়ে নেওয়ার যে যে অসুবিধার কথা ডঃ সিলভার বিশ্লেষণ করেছেন তাঁর বইতে সেই কথাগুলো নিয়ে ভাবতে বসলে মনে হয়, মানুষের বিবর্তনের যে ইতিহাস আমাদের আজ অব্দি জানানো হয়েছে, সেইগুলো কি সত্যিই সঠিক? তাহলে কিন্তু মানুষের এলিয়েন হওয়ার স্বপক্ষেই যুক্তিগুলো ভারী হচ্ছে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • &/ | 151.141.85.8 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:২৩516522
  • খুব ভালো হয়েছে। একেবারে হাড়ে হাড়ে বুঝেছে। ঃ-)
  • Sumita Dasgupta | 45.112.69.181 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:৫২516532
  • ভালই হয়েছে।
  • r2h | 192.139.20.199 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০০:০৫516542
  • এইসব প্রশ্নের উত্তরই তো বিবর্তন দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়।

    (এটা সিরিয়াস লেখা তো? নাকি বিবর্তনবাদ বিরোধিদের খিল্লি করে?)
  • &/ | 151.141.85.8 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০২:৪৬516564
  • আরে এক ট্রাম্পপন্থীর পাল্লায় পড়েছিলাম একবার। সে বলে মানুষের জিনটিন সব এসেছে নিবিরু থেকে। নিবিরু হচ্ছে একটি গ্রহ, চলিষ্ণু গ্রহ, মহাকাশযানের মতন এক গ্রহমন্ডলী থেকে আরেক গ্রহমন্ডলীতে ঘুরে ঘুরে বেড়ায়। সেই নিবিরুর জ্ঞানীগুণীরা কয়েক মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীতে এসে কয়েক জোড়া বাঁদর তুলে নিজেদের জিন তাদের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে পরিবর্তন করে দিল। সেই মডিফাইড বাঁদরদের ছেলেপিলেগুলো মানুষ হল। এই করে দুনিয়ায় মানুষ এসেছে, সবই নিবিরুর ব্যাপার। এইসব গূঢ় জিনিস নাকি আমাদের জানতে দেয় না নেতারা, একমাত্র ট্রাম্প ছিলেন করুণাময়, তিনি তাই সত্যি কথাগুলো বলতেন। ঃ-)
  • kk | 2601:14a:500:e780:81e7:ea29:db07:d21e | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:০৪516576
  • ঐ নিবিরুয়ানরা এটা করেছিলেন তা জানা গেলো কী করে? মিলিয়ন বছর আগে ওঁরা কোনো ডায়েরী রেখে গেছিলেন? কিম্বা ভিডিও মেসেজ? নাকি ট্রাম্প সাহেব নিজে একজন ছদ্মবেশী নিবিরুয়ান, তাই সব জানেন?
  • &/ | 151.141.85.8 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:০৮516577
  • হুঁ, সব নাকি নানারকম চিহ্ন টিহ্ন দিয়ে পাথরে টাথরে লিখে রেখে গেছেন তাঁরা। কেউ কেউ নাকি আত্মজীবনীও লিখেছেন।
  • dc | 2401:4900:1f2b:1641:7dd8:8f3e:c607:a77b | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:১২516579
  • উফ সেই নিবিরু! laugh আর ছিলো লিজার্ড পিপল। ​​​​​​​
     
     
     
     
  • Surajit Dasgupta | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:০০516580
  • এতদিনের বিবর্তনবাদ কি তাহলে ভুল? ডঃ সিলভারের কথা মেনে নিলে তাইই হয়। আবার অন্যান্য প্রাণীদের তুলনায় মানুষের বিবর্তন অত্যধিক বেশী হয়েছে এটাও ঠিক। এটা স্বাভাবিক হতেও পারে কারণ মানুষের অনেক বেশী জিন রয়েছে শরীরে। তাহলে কি উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি এই তত্ব হাজির করলেন? বিবর্তনবাদকে গুলিয়ে দেওয়ার জন্য? প্রশ্নটা এখানেই।
  • Brainless | 193.116.254.165 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:২২516581
  • আসল উদ্দ্যেশ্য হলো সস্তায় কম পরিশ্রমে নিজের পাবলিসিটি আর পয়সা। সিম্পল। কোনো প্রপার রিসার্চ করার মুরোদ এদের আদৌ নেই। আর সেসব বোঝার জন্যে কষ্টকরে মাথা খাটানোর লোকের সংখ্যা আরো কম। তার থেকে কিছু ফালতু আটভাট লিখলে সেসব নিয়ে সোশ্যাল প্লাটফর্মে নাঙ্গা নাচার লোকের সংখ্যা অনেক বেশি। সুতরাং যে কারণে যত ব্রেনলেস বলিউড সিনেমা আর সন্ধেবেলার সিরিয়েল সুপারহিট হয় ঠিক সেই একই কারণে এসব ফালতু ভাটও বাজারে চলে। এতো গুচ্ছের এক্সট্রা জীন ​​​​​​​যে এভারেজ ​​​​​​​ইন্টেলেক্ট ​​​​​​​বাড়ায়নি ​​​​​​​সেটাই ​​​​​​​দেখা ​​​​​​​যাচ্ছে। 
     
  • Kuntala | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:৫১516593
  • আমেরিকা  কিন্তু  কন্সপিরেসি  তত্বের আদি  বাসভূমি।  বিশ্বাস না হলে  নেটফ্লিক্স-এ এনসিয়েন্ট এপোক্যালিপস ডকুমেন্টারি দেখতে  পারেন। 
    সিলভার-এর  লেখা  পড়ে  য়ুভাল  নোয়া  হারারি  মূর্ছা  না যান! 
  • কিন্তু | 117.194.67.36 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:৫৮516595
  • এ তো সত্যি। পৃথিবী আসলে একটা বিশাল কম্পিউটার আর মানুষেরা সেই কম্পিউটারের একটা অংশ । মানুষদের তৈরি করা হয়েছিলো জগতসংসারের প্রধান o প্রথম প্রশ্ন (যার উত্তর হল ৪২ ) খুঁজে বার করার জন্যে।
     
    বিশ্বাস না হলে এডাম সাহেবকে জিগান । 
  • kk | 2601:14a:500:e780:c876:a274:dd4e:2cd4 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:০৫516596
  • "সিলভার-এর  লেখা  পড়ে  য়ুভাল  নোয়া  হারারি  মূর্ছা  না যান! "
     
    এটাই আমিও ভাবছিলাম :-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন