সিধে রাস্তা। সোয়া ঘন্টার পথ।বিল্লি -- লিখেছেন শুভংকর ঘোষ রায় চৌধুরীগরম লাগছিল প্রচন্ড। কিভাবে এই জ্বালা থেকে মুক্তি পাই, সাজেশন চাওয়ায় বিল্লি তৎক্ষণাৎ বললো, তিব্বত গেলেই পারো। আমরা হাঁ হাঁ করে উঠলাম, "বলে কী! তিব্বত? যাওয়ার জোগাড় করতে করতেই তো ঘেমে নেয়ে মরে যাব!" বিল্লি একটুও না দমে বললো, "সে মরতে পারো, কিন্তু একবার চেষ্টা চরিত্তির করে যদি পৌঁছে যাও তিব্বতে, দেখবে এ জীবনের মতো গরম উধাও হয়ে গেছে! তাপ্পর যতই যাও বীরভূম বা আফ্রিকা, গরম আর লাগবে না। এমনকি বরাত থাকলে পরের জন্মে গ্রিনল্যান্ডেও জন্ম হতে পারে।" পুরোটা পড়ুন ... ...
ছয়তলায় দুটো ফ্ল্যাট, পাশে ছাদ। দুই রুমের ফ্ল্যাট দুটোয় তিনজন করে ওরা ছয়জন। ক্যাম্পাসের সিনিয়র-জুনিয়র৷ ছাদের মুখোমুখি ফ্ল্যাটের দরজা সবসময় খোলা থাকে, অনেক বাতাস। ওটায় থাকে হামিদ, শাওন আর শহীদুল। অন্যটায় ফারুক, সৈকত ও পলাশ। সকলেই চাকরি-প্রত্যাশী। ছাদ বরাবর ডাইনিং টেবিলে বসে হামিদ সকালের ভাত খাচ্ছে আর শহীদুল কফি, হাতে সিগারেট। করোনাকালীন বাজার অর্থনীতিতে সারাদেশ বিপর্যস্ত। শহীদুলঃ সৈকত ভাইও এ মাসে চলে যাবে। পলাশ ভাই তো আগেই কনফার্ম করছে।হামিদঃ সৈকত ভাই চলে যাচ্ছেন? কে বলল?শহীদুলঃ ফারুক বলল, গতকাল, রুমমেট দেখে দিতে বলল।হামিদঃ কই যাবে? বাড়িতেই থাকবে নাকি? শহীদুলঃ হুম। পরীক্ষার আগের দিন এখানে থাকল। খরচ বেঁচে গেল!হামিদঃ দেশের অবস্থা খুব ভয়াবহ! তুমিতো ... ...
বেশ কিছুদিন তেমন কিছু লিখিনি। কেউ পড়ে না অথবা কেউ পড়বেনা ভেবে নয়। একটু ব্যস্ত ছিলাম নিজেকে নিয়ে। এবার বোধহয় একটু চমকে গেলেন? চমকানোরই কথা। হ্যা নিজেকে নিয়েই একটু ব্যাস্ত ছিলাম। কিছু নিজস্ব অভিজ্ঞতা শেয়ার করি আজ। যদিও এগুলো এই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা উচিত নয় শুনেছি। তবুও আমার মনে হয় আমার এই লেখাটা পড়ে হয়ত আর একজন আমার মত সুস্থ হয়ে উঠতে পারবে। হ্যা একেবারে সঠিক শুনেছেন। আমি কয়েকবছর আগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। না না, জ্বর, সর্দি কাশি অথবা কোন খুব গভীর শারীরিক কষ্টের রোগ নয়। রোগটা মানসিক ছিল। একেবারেই ঠিক শুনেছেন। রোগটা মানসিক ছিল। তবে, পাগল হয়ে যায়নি। সেই ... ...
গোবলয়ে বিজেপির কাছে কংগ্রেস যে হেরে ভূত হল, তার কারণ খুব সোজা। গোবলয়ে বিজেপি মস্তিষ্ক প্রক্ষালন প্রায় সম্পূর্ণ করেছে, ওসব জায়গায় বিজেপির গরম হিন্দুত্বের সঙ্গে কংগ্রেসের নরম ধর্মীয় নীতির বিশেষ তফাতও চোখে পড়েনা, ফলে স্রেফ কংগ্রেস-বনাম-বিজেপি লড়াই হলে বিজেপিই জিতবে। একমাত্র উল্টো কিছু হতে পারত, যদি বিজেপি কীভাবে দেশকে ফ্যসিবাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে, এবার সাড়ে-সব্বোনাশ করে ... ...
গুজবের মধ্যে আর ভয়ের মধ্যে দিনযাপন / যারা সব নিয়েছে গুছিয়ে তাদের কথা ভিন্ন
আজ একজন ড্রাইভারকে দেখলাম, সময় কাটাতে গঙ্গার ধারে চিংড়ি মাছ ধরছে। সরঞ্জাম খুবই সাধারণ। নাইলনের সুতো, বড়শি ও কেঁচো। ব্যস্।
একে ভরা শ্রাবণ, তার ওপর নিম্নচাপ অক্ষরেখা দানা বেঁধেছে গভীরভাবে। ভর দুপুরেও আকাশ অন্ধকার। আকাশ থেকে জল ঝরেই যাচ্ছে কাল রাত থেকে। বউবাজার কলেজ স্ট্রীটে জল থইথই। গোটা রাস্তায় বাসে ট্রামে এ গাড়ি সে গাড়ি ঠেলায় রিক্শায় লেবড়ি চেবড়ি একেবারে। ট্রাফিক পুলিশ নাকানি চোবানি খাচ্ছে মহাত্মা গান্ধী রোডের মোড়ে। রাস্তার হাঁটুজল ঠেলে ঠেলে আপাদমস্তক বর্ষাতিতে ঢাকা একটা লোক বঙ্কিম চ্যাটার্জী স্ট্রীটের মুখে একটা পুরনো বাড়ির দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়াল। ... ...
[২০১৬ সালে, ভ্যালেন্টাইন'স ডে-র প্রাক্কালে লিখেছিলাম। এখন বেনামে এই লেখা ফেবুতে মাঝেমাঝে দেখা থাকবেন অনেকে; whatsapp এ ফরোয়ার্ডও করে থাকবেন। এই প্রমাণ রেখে গেলুম গুরুর কাছে, এর রচয়িতা আসলে শ্রীশুভংকরঘোরাচৌ (আসল)।] ১। অঙ্কের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় রাম আর শ্যামের মাধ্যমে। দুজনেই গোপালের চেয়েও বেশি সুবোধ বালক। রাম চারটে লজেন্স নিয়ে খই ভাজছিল, শ্যাম এসে আরও পাঁচটা লজেন্স দিল তাকে। সব মিলিয়ে কটা হল? ৯টা। বন্ধুপ্রীতি দেখে আমার চোখে জলও এসে গেল। অঙ্কও মিলল। ২। একটু বড় হলাম। রাম-শ্যামও। এখন তারা আর অতো সহজ সরল নয়। সামান্য বালখিল্য দুষ্টুমি এসে জুটেছে। মার্বেল চুরি করা, তিনের পাঁচ অংশ পরোটা খেয়ে বাকিটা ফেলে দেওয়া, মাটির ... ...
১৬ই ডিসেম্বর বা ২৬শে জুলাই জানেন কি? কেনই বা জানবেন। আসলে প্রসঙ্গগুলো ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর আপামর ভারতবাসী সেটা গিলছেও। আসলে অশিক্ষা নয় রীতিমত কুশিক্ষায় দেশটা ভরে গেছে। তাই আত্মদানের এই মহান স্বাধীনতা দিবস আজ আমাজন আর ফিল্পকার্টের সেলেই সীমাবদ্ধ। আর বাঙালি? বাঙালি নিজ স্বত্তা ভুলে হুবাহু এই কুশিক্ষাকে নিজ অন্তরে মজ্জাগত করে চলছে। পথের পাঁচালি খ্যাত বাঙালি আজকাল বাংলা সিনেমাকে ন্যাস্টি কালচার বলে। কথায় কথায় ফাক ইউ আর WTF বলা বাঙালি আজ সারাদিন সেট ম্যাক্স নয় তো জি সিনেমা বা স্টার মুভিস নিয়ে বসবে। ... ...
( শেষ পর্ব )নিখিল চিৎ হয়ে শুয়ে আছে সিলিং-এর দিকে তাকিয়ে। বিধ্বস্ত, বিভ্রান্ত, দিশাহারা। নিশ্চিতভাবে জেনে নিয়েই দিন্দা উকিল খবরটা দিয়েছে। একদম সরকারি খবর। প্রথম খবর , অনিন্দিতার স্বামী হাজতের মধ্যেই ব্লেড দিয়ে শিরা কেটে আত্মহত্যা করেছে প্রাইমা ফেসি এভিডেন্স অনুযায়ী। তদন্তের এখনও আদেশনামা আসেনি। আর, দ্বিতীয় দুর্ঘটনা হল ট্রেনের চাকার তলায় অনিন্দিতার শরীর সমর্পণ করা ।বডি পোস্ট মর্টেমে গেছে ।কেই বা অনিন্দিতার স্বামীকে ব্লেড সরবরাহ করল আর কেনই বা করল সবই তদন্তসাপেক্ষ ব্যাপার।ঘন ধূসর অবসন্নতার গভীরে ডুবে রইল নিখিল। অকারণেই অপরাধবোধের ভাবনা চেপে ধরল তার মস্তিষ্ক। সন্তাপের স্রোত ছোট ছোট ঢেউ তুলতে লাগল মনের মধ্যে। নিখিল ভাবল, সে ... ...
জ্বরের ঘোর থেকে উঠলে যেমনি হয়, আমার তেমনি লাগছে। মুখটা একটানা বিস্বাদ; কালকের তেতো প্যারাসেটামল আর জলের স্বাদ যখন মুখের মধ্যে বিরাজমান, আগেরদিনের মদের গন্ধের মতো, কিন্তু বুক পেট ঘিরে প্রচন্ড ভাতের খিদে। আমার জ্বর হয়নি। বা হয়েও থাকতে পারে। সেটা বড় কথা নয়। এখন কোনো কথাই এই ভোরের বেলায় (ভোর না রাতের এক্সটেনশন, রাতের কালি বারুদ ফুরোবার বিষণ্ণতা?) তেমন কিছু নয়। সবই কেমন যেন নিস্তেজ, ম্রিয়মাণ; তেমন ভীষণ কোন ভাবের সঞ্চার নেই এই বাগানের গাছপালাগুলোদের মধ্যে, এই সকালের আলোয় ফিকে হয়ে আশা উল্টো দিকের একচিলতে পাঁচিলের মধ্যে। কিন্তু আমার মধ্যে একটা খুশি খুশি ভাব একটু একটু করে উঁকি দিচ্ছে, ... ...
ইস্যু আসে ইস্যু যায়। আর ফিলিস্তিনের মানুষের বিপক্ষে দাড়ানো ব্রাজিল সহ বাকি দেশ গুলো সমর্থন করে বয়কট করা বাঙালি।
প্রভাবশালীদের চেনে না। বড্ড বেয়াড়া চিজ , টাকার গরমে পোড়ে না। নীচের মানুষ মরবে গাদায় গাদায় , মিনারে চড়ে দূরবীন চোখে গুনব শুধু লাশ, দেয় না, এমনি করতে মোটেই দেয় না।
এই টাইমলাইনে চোখ রাখা সকলকে জানাই যে হয়তো কেউ কেউ লক্ষ্য করেছেন এখানে মূলত সিপিএম দলের রাজনৈতিক অবস্থানের সমর্থনে, ক্কচ্চিত সমালোচনায় , বা বামপন্থীদের বা বামপন্থী ঘরানার লিবেরাল গণতন্ত্রের পক্ষে, সাম্প্রদায়িক, অগণতান্ত্রিক, যুক্তরাষ্ট্রে কাঠামো বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি ও নিয়ন্ত্রণ হীন ধনতান্ত্রিক অসাম্যের বিরুদ্ধে পোস্ট করা হয়েছে ২০২১ জুড়ে।
( দ্বাদশ ও অন্তিম পর্ব ) দীপ্সিতার ফোনের জন্য সকাল থেকে অপেক্ষা করে বসে আছে কলতান । সে নিশ্চিত ছিল এ ফোনটা আসবেই । দীপ্সিতার কল এল এগারোটা নাগাদ । ------ ' হ্যা বল দীপ্সিতা ..... কিছু এসেছে ? '----- ' হ্যা স্যার ..... রিপ্লাই এসেছে । সাড়ে চারটের সময় লেকের পাশে দেখা করতে রাজি হয়েছে ..... '----- ' ওহ্ .... ফ্যান্টাস্টিক । তুমি তৈরি হয়ে যাও .... '----- ' কিন্তু .... আমার খুব ভয় করছে স্যার ... ...
শিরোনাম বিষয়ক লেখা পেলে আনন্দিত হবো ।
ক্যালেন্ডার বলছে বর্ষাকাল। অথচ কলকাতা শহর জুড়ে যেন বসন্তের কৃষ্ণচূড়ার রং! রাস্তায় পা রাখলেই চোখে পড়ছে অসংখ্য লাল পতাকা। পোস্টার ব্যানার দেয়াল-লেখায় সেজে উঠছে শহর। এখানে ওখানে চোখে পড়ছে পথসভা। শুনলাম নানা জায়গায় ঘরোয়া বৈঠকও চলছে। এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট) ৫ আগস্ট ডাক দিয়েছে ব্রিগেড সমাবেশের। এই দিন এসইউসিআই(সি)-র প্রতিষ্ঠাতা মার্কসবাদী দার্শনিক শিবদাস ঘোষের জন্মশতবর্ষের সমাপনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে এই আয়োজন করেছে তারা।দুনিয়া জুড়ে বামপন্থীদের মধ্যে যখন হতাশা, তখন এই কলকাতায় একটা বামপন্থী দল একা ব্রিগেডের ডাক দিয়েছে দেখে যেমন বিস্মিত ... ...
বাংলা ও বাঙালি কী বদলাবে? -- লিখেছেন Emanul Haqueকারো কমড়িয়া পর রঙ্গ নাহি চড়ৈ।কালো কম্বলের পর আর নতুন রঙ ধরে না।কবীর রসের মধ্যেই রস বর্ষণ হয়, অনন্ত কোটি ধারায়।।কবীর যে দেশ খাজুরাহোর মিথুন মূর্তির দেশ, যে দেশে মন্দিরের নাম ভালোবাসার মন্দির, যে রাধা কৃষ্ণের অবৈধ প্রেমের জয়গানে মাতোয়ারা-- সেখানে অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড, লাভ জিহাদ আইন কতটা সঙ্গত?কেউ কেউ বলছেন, এই অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড মধ্যযুগীয় ব্যাপার।আচ্ছা মধ্যযুগ এতো খারাপ ছিল না কি?আমাদের প্রাক মধ্যযুগেই তো খাজুরাহোর মন্দির। শ্রীকৃষ্ণের প্রেমের বন্দনা গাথা তো মধ্যযুগ জুড়েই।চণ্ডীদাস আর রজকিনী রামীর প্রেম--সেতো মধ্যযুগের অহঙ্কার।সম্রাট আকবরের সরকারিভাবে হোলি উদযাপন, কৃষ্ণ সেজে হারেমের নারীদের সঙ্গে প্রকাশ্য লীলা-- তো ঘোর ... ...