সিমলে মানে শুধু নরেন দত্ত আর গিরীশ-নকুড়ের জলভরাই নয়, সিমলে হল সে সময়কালের একটা জীবন্ত উপাদান। ঘটনাবহুল। হীরের নাকছাবির ঔজ্জ্বলে চক্মক্। আসুন, দেখে নিই হাতে পাওয়া কিছু তথ্যের সালতামামি।
বর্তমান প্রজন্ম এক আত্মপরিচয়ের অভূতপূর্ব সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কিসে তাদের আনন্দ, কিসে তাদের বেদনা বোঝা খুবই কঠিন। তবে এই যুগই এমন যে কি আর বলবেন! মন দিয়ে পড়াশোনা করে চাকুরি পাবেন তার কোন নিশ্চয়তা নেই। পিছন দিয়ে কত কি হয়ে যায় বোঝা যায় না। কিছুদিন আগে এক অতি গুরুত্বপূর্ণ দফতরকে মাঝরাতে ঘিরে ফেলতে হলো যাতে তথাকথিত দুর্নীতির তথ্য কম্পিউটার রুম থেকে লোপাট না হয়ে যায়! ভাবা যায়! তাহলে মানুষ কাকে বিশ্বাস করবেন? এখন নতুন প্রজন্মের বেশিরভাগ ছেলেমেয়েরাই মা বাবার একমাত্র সন্তান। সাবেক যৌথ পরিবার টিঁকে আছে শুধু টিভি সিরিয়ালের পর্দায়, পুরানো গল্প উপন্যাস ও চলচ্চিত্রে ... ...
গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে পশ্চিমা শহর ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এই বিক্ষোভগুলির ক্ষেত্রে কেবল এগুলোর বিস্তৃতিই উল্লেখযোগ্য নয়, সেই সাথে বিক্ষোভকারীদের তারুণ্য বা তরুণ বয়সের ব্যাপারটাও একটি উল্লেখযোগ্য ব্যাপার। এই প্রবণতাটি জরিপের তথ্য দ্বারা সমর্থিত, যা দেখায় যে আজকের তরুণদের মধ্যে ইসরায়েলের চেয়ে ফিলিস্তিনকে সমর্থন করার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি, যা পুরানো প্রজন্মের সাথে একটি পার্থক্যকে চিহ্নিত করে। এই লেখাটিতে অনুসন্ধান করা হবে যে, ইজরায়েল সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মের দৃষ্টিভঙ্গি আজকের পুরানো প্রজন্ম এবং অতীতের তরুণদের থেকে কীভাবে আলাদা, সেই সাথে এদের দৃষ্টিভঙ্গির এই পরিবর্তনের পেছনের কারণগুলিও পরীক্ষা করা হবে।জরিপের তথ্যগুলোর দিকে ... ...
একই সঙ্গে ব্রিটিশরা দুদল জনগোষ্ঠীর জন্য হোমল্যান্ড বানায়। ভারত ছেড়ে চলে যাবার সময় জিন্নার মত কিছু নেতার দাবিতে ভারতের পূর্ব দিকে আর পশ্চিম দিকে মুসলমানদের জন্য হোম ল্যান্ড বানিয়ে দিল। বেশ কিছু জেলা হিন্দু অধ্যুষিত ছিল হয়ে গেল পাকিস্তান। এছাড়াও সর্বত্র হিন্দুরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। ব্যাপক গণ হত্যা চালিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে তাদের মধ্যে যারা বেঁচে ছিল ভারতে উদ্বাস্তু হিসাবে চালান এল। কিছু লোক মাটি কামড়ে ছিল বছর বছর তারা ভারতে ... ...
দা মিথ্যা কথা বলিবে। .. কখনো কাহাকেও সত্যি কথা বলিবে না। .. বলিলে গেঁড়ে বাঁশ!! বৌ কে চটাইবে না। .. তা হইলে উকিল মোকদ্দমা ইত্যাদির প্যাঁচে পড়িয়া মরিবে!! ছেলে বৌমা মেয়ে কাউকে বিশ্বাস করিবে না।
বিতর্ক তাঁরা পছন্দ করেন, পড়বেন। বিতর্ক আর খেউড় এক নয়। উচ্চমাধ্যমিকে প্রথমার পরিচয় নিয়ে বিতর্ক পক্ষে বিপক্ষে নানা যুক্তি। কিছু পাশাপাশি সাজাচ্ছি। অনেকেরই মত 'মুসলিম লেডি', 'মুসলিম গার্ল' এগুলো বলা উচিত হয় নি।আমার নিজের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়াও তাই।শুধু নাম ও জেলা বললেই হতো। এই মতের পক্ষে বলেছেন যাঁরা তাঁদের সিংহভাগ জন্মসূত্রে 'মুসলিম'।আমার নিজের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়াও তাই ছিল।পরে দেবতোষ দাস, জয় সাহা, সোমা মুখোপাধ্যায়, পূজা মৈত্র, পর্ণা মুখোপাধ্যায়, সোনা শেখ ভিন্নমতের লেখা লেখেন। এই লেখাগুলো আমাকে ভাবিয়েছে। ... ...
আগেও প ড়েছি। আবার পড়লাম এই অসাধারণ বই টি।"ফাসির মঞ্চ থেকে/ জুলিয়াস ফুচিক"সাংবাদিক , সাহিত্য সমালোচক , কমিউনিস্ট নেতা ছিলেন চেক নাগরিক। তিনি নিজে শ্রমিক আন্দোলন আর চেকোশ্লভাকিয়ার সংস্কৃতি জগতে ছোটবেলা থেকেই যুক্ত ছিলেন।1929 এ তিনি "ভোরবা(সৃষ্টি)" পত্রিকার প্রধান সম্পাদক হন। এর পর তিনি সোভিয়েট ইউনিয়নে যান কবার। সেই অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করতে গিয়ে চেক সরকারের বিষ নজরে পড়েন। মার্কসবাদী সাহিত্য ও তিনি কিছু কিছু রচনা করেন । কমিউনিস্ট আন্দোলনের গোপন মুখপাত্র "রুদে প্রাভো" র তিনি ছিলেন সম্পাদক । তার বিদ্রুপাত্মক আরেকটি স্মরণীয় রচনা হল "ত্রানাভেসেক ( খুদে বাশি)।চল্লিশ বছর বয়েসে তিনি নাৎসীদের হাতে ধরা পড়েন আর তার মৃত্য হয়। কোলিনস্কী নামে ... ...
সিএএ আইন প্রবর্তনের পর শাহীনবাগ এবং তৎপরবর্তী যে 'দাঙ্গা' হয়েছিল মাত্র দুবছর আগে, ২০২০ সালে, পরবর্তী দুবছরের করোনা পরিস্থিতিতে সেকথা অনেকটাই চাপা পড়ে গেছে। অথচ ভয়াবহতার নিরিখে এই ঘটিয়ে তোলা 'দাঙ্গা' অন্যান্য গণহত্যাগুলির চেয়ে কম কিছু নয়। 'দাঙ্গা' চলাকালীন, ২৭শে ফেব্রুয়ারি, কিছু সমাজকর্মী দিল্লির কিছু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। তাঁরা দেখেন, যে, পদ্ধতি এবং প্রকরণে নির্দিষ্ট সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করে তোলা হয়েছিল দিল্লিতে, তা ২০০২ এর গুজরাত বা ১৯৮৪ র দিল্লির 'দাঙ্গা'র থেকে পৃথক কিছু নয়। হত্যার সংখ্যা নিঃসন্দেহে অনেক কম, কিন্তু পদ্ধতি এবং নৃশংসতা একেবারে এক। ... ...
দু বছরের পুরোনো মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে গর্গ চট্টোপাধ্যায়কে। খবরের কাগজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গর্গ বছর দুয়েক আগে অহোম সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা সুকাফাকে বহিরাগত চৈনিক আখ্যা দিয়েছিল। তাতে কারো কারো ভাবাবেগে আঘাত লাগে। আসামে মামলা হয়। এই 'অপরাধ'এ আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। গ্রেপ্তরের নির্দেশ দেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। যদিও, গর্গকে সে সময় গ্রেপ্তার করা হয়নি। সেজন্য পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের দিকে আঙুল ওঠে। এর পর আদালত নতুন পরোয়ানা জারি করে গর্গকে গ্রেপ্তার করার জন্য কলকাতা পুলিশের কমিশনারকে নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গর্গকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কলকাতার আদালত শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়ে গুয়াহাটির আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেয়। আসামে গেলে গর্গকে গ্রেপ্তার তো ... ...
গ্রামে দুটো মাত্র প্যান্ডেল হত। ছোটখাটো। দুটোরই মঞ্চে যারা থাকতেন তাদের জন্যই আপনি গালি খেতেন। সিক্সে জানতাম আপনি ঠাকুর। দাঁড়িবালা ঠাকুর। হেব্বি লাগতো স্টাইলটা। চাচা নাখুস ছিল। বলতো সালা কুজাতের লোক, মুসলমানদের মত দাঁড়ি রাখে। ঈমান নাই। তখন থেকেই মনে হয় ধর্মে খড়ি। তখন থেকেই কাফের মনে হয়। আপনিই দায়ী। এইটে যখন পামেলা এন্ডারসন হিট। তখন শুনলাম আপনি বৌদিবাজ। হেব্বি কেচ্ছা নাকি কিসব চিঠিপত্র নিয়ে। সদ্য তখন টেস্টোস্টেরন থেকে প্রজেস্টরনের শুরু। আপনি তখন থেকেই গুরু, দেব নন। দেব মানে মূর্তি মনে হয়। ... ...
[প্রথম পর্ব - ১৭/১১/২০২১, দ্বিতীয় পর্ব ১৯/১২/২০২১ এবং তৃতীয় পর্ব ০৭/০১/২০২২ তারিখে প্রকাশিত] হামিদভাই ও তাঁর সঙ্গীসাথীরা চলে গেলেন, কিন্তু একটা খোঁচা রয়ে গেল আমার মনে। এমন তো হবার কথা ছিল না। আমি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বালাইয়ের মুখের দিকে তাকালাম। বালাই এতক্ষণ কোন কথা না বলে চুপ করে শুনছিল, এখন ঘাড় কাত করে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, “কথাটা মন্দ বলেনি কিন্তু - রাজধানীর লোকেদের পেটে আর মুখে আনকথা”, তার চোখেমুখে ফিচেল হাসি, ... ...
আমি নর্মাল ডেলিভারি চাই দীপঙ্কর সদ্য শীতের রাত। কল্যাণীর বাতাস ঝুপঝুপে কুয়াশায় ঢাকা। একটা ভাঙাচোরা বাতিল হওয়া সরকারি ছোট্ট কোয়ার্টারে একটা ক্লাবপার্টি চলে । বকফুলের গাছ তার দুয়ারে । ম--স্ত লম্বাটে কম্পাউন্ড । ইতস্ততঃ ভুঁইফোড় কিছু খর্জুর বিথীকা - ইতস্ততঃ সঞ্চারমান ল্যান্টেনা ক্যামেরা ঝোপ - বাকি সব হাঁটু সমান চোরকাঁটায় ঢাকা । বাইরের রাস্তার পাশে একটা মস্ত পিপুল গাছ তার মনুমেন্ট সদৃশ গুঁড়ি নিয়ে অতন্দ্র চারপাশে দূরে দূরে ল্যাম্পপোস্টে হলুদ আলো ঝুলে আছে । ... ...
আমার লেখার প্রথম প্রকাশ, লেখার নীচে কমেন্টস সেকশানে অবশ্যই জানাবেন মতামত - ভাল, খারাপ দুটোই । মতামত জানলে ভবিষ্যতের সাহস পাব।
ছোটবেলায় শুঁয়োপোকা দেখে একবার ভয় পেয়েছিলাম একজন শিক্ষকের সামনে। জোড়ে একটা হাঁকুনি মেরে তিনি বলেছিলেন "পুরুষ মানুষ তুই, ভয় পেতে নেই"।
অনেক ক্ষেত্রেই আমরা না বুঝেই কেবলমাত্র বিধি নির্ঘন্ট অনুযায়ী কিছু আচার অনুষ্ঠান পালন করে চলি নেহাতই সামাজিক ও ধার্মিক দায়বদ্ধতা থেকে। কিন্তু প্রতিটি আচারের গভীরে ঢুকে ব্যাখ্যা করলে দেখা যাবে, যে প্রয়োজনীয়তা থেকে আচার গুলির উদ্ভব আমরা তার থেকে অনেক দূরে সরে গিয়ে কেবলমাত্র জড় কাঠামোটিকেই আগলে ধরে বসে আছি, ফলে যে কারণে বা উদ্দেশ্যে আচারগুলির প্রচলন সেই মূল উদ্দেশ্য গুলিই আর সাধিত হচ্ছে না। ... ...
বিজেপি বদলায়নি। কৈলাশ বিজয়বর্গী চিঁড়ে খেতে দেখে বাংলাদেশী চিনে ফেলেছিলেন। পরেশ রাওয়াল মাছ খেতে দেখে রোহিঙ্গা চেনেন। ওদের কাছে, মছলি-খোর, বাংলা-বলা বাঙালি মাত্রেই সম্ভাব্য বাংলাদেশী। সেই জন্যই তো এত এন-আর-সির আয়োজন। সব ব্যাটা বাঙালিকে সন্দেহ করো। ল্যাজ তুলে দেখো ভারতীয় না বাংলাদেশী। টুরু হিন্দুস্তানি হলে তো হিন্দিই বলত, বাংলা কেন? বাঙালিও তাই তেড়ে হিন্দি অভ্যাস করছে। বিজেপির কারিয়াকর্তারা তো বটেই। আমজনতাও। তারা হিন্দি-ইংরিজি বলতে পারলেই কৃতার্থ হয়, স্মার্ট হয়, দিল্লির টিভিতে মুখ দেখালে তবে জাতে ওঠে।এই দুর্গতি কেন? কারণ, বিজেপি বদলায়নি। বিরোধীরা বদলেছে। পঞ্চাশের দশকে কমিউনিস্ট পার্টির দলিল পড়বেন, খুব স্পষ্ট করে "গুজরাতি-মারোয়াড়ি পুঁজি"র বিরোধিতা করা আছে। নাম ধরে, ভারতীয় ... ...
এই উপন্যাসকে আমরা চারটে অঞ্চল জুড়ে বানানো একটা কাল্পনিক মানচিত্র এবং সেই মানচিত্রের চারটে কাল্পনিক অঞ্চলকে চাররকম রং দিয়ে কল্পনা করে নিতে পারি । কমলা অঞ্চলে অর্থাৎ কলকাতার সাহেবগলিতে থাকে মিঠু , তার মা ছন্দা এবং বিপ্লব। নীল অঞ্চলে অর্থাৎ বিদেশে[ব্রিটেন সম্ভবত] আছে পঙ্কজ , লিপি , সুবিমল। সবুজ অঞ্চলে কলকাতার অন্য একটা পুকুরসুদ্ধু গলির মধ্যে প্রতিবেশী হিসেবে থাকেন স্মিতার অসুস্থ জেঠিমা এবং শখ হিসেবে মহাকাশ নিয়ে অবসেসড সনৎ। হলুদ অঞ্চলে ঘুরে বেড়ায় বৌবাজারের নির্মীয়মান মেট্রোর সাইট ইঞ্জিনিয়ার সাহিল , তার প্রেমিকা কঙ্কণা এবং বৌবাজারের ফুটপাথবাসী প্রফুল্ল। উপন্যাসের এই প্রধান চরিত্রগুলো এক বছর ধরে নিজেদের নিজেদের স্বতন্ত্র অঞ্চলে বসবাস করে এবং এক অঞ্চলের চরিত্রের সঙ্গে অন্য অঞ্চলের চরিত্রের সামনা সামনি দেখা হয়না। কিন্তু চরিত্রগুলোর মধ্যে কিছু কিছু অতীত স্মৃতির মাধ্যমে সংযোগ আছে। যেমন বর্তমানে আলাদা আলাদা রঙের অঞ্চলে থাকলেও মিঠু ও সনৎ এককালে বিবাহিত ছিল। স্মিতা ও পঙ্কজ বিবাহিত , ... ...
'নেক্রোফোবিয়া' সম্বন্ধে আমরা কমবেশি সবাই একপ্রকার জানি। Google- এ সার্চ করলে প্রথমেই বেশ সুন্দর একটা কবরস্থানের ছবি চোখে পড়ে। সেটিতেও আমার ভীতু হৃৎপৃণ্ড দুর্ধর্ষ রকমের ভয় পায়। বেশ কয়েকবছর পর্যন্ত আমি কোনো শোকবাড়িতে যেতে পারতাম না। কিছুদিন হলো আবার শুরু করেছি। কেননা, ওই যে, কর্তব্যটুকু আগে, সামাজিকতা আগে।