তুমি বসবে গদীতে
সদ্য স্কুল পরীক্ষা দেওয়া এক ছেলে একবার তাঁর বান্ধবীর উদ্দেশ্যে হঠাৎ একদিন লিখে ফেলল একটি কবিতা। কবিতার নাম 'একটি চিঠি'। কিছু একটা ভেবে ডাক যোগে বিখ্যাত 'দেশ' পত্রিকার অফিসে পাঠিয়ে দিল সেই কবিতা। ১৯৫১ সালের ৩১শে মার্চ দেশ পত্রিকার মার্চ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল কবিতাটি। দেশ পত্রিকার অফিস থেকে সেই ছেলের নামে আসল ভারী একটা খাম। এত ভারী খামের উপরে নিজের নাম লিখা দেখে ঘাবড়ে গেল ছেলেটি। সেই ছেলেটির নাম ছিল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। স্কুল পরীক্ষা দেওয়া এক কিশোরের পক্ষে এমন কবিতা লেখা সম্ভব তা বিশ্বাস করতে কষ্ট হলো অনেকের৷ এমনকি যে মেয়েটিকে উদ্দেশ্য করে লিখা হয়েছিল কবিতাটি সেও বিশ্বাস করতে চাইল না কবিতাটি সুনীলের ... ...
এক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী একবার বলেছিলেন বেতন কম দেখে তিনি বাড়িতে সাহায্যকারী বেতন দিয়ে রাখতে পারেন না। গৃহের সব কাজকর্ম নিজেদেরই করতে হয়।.এক মার্কিন কংগ্রেস সদস্য বলেছিলেন বাসা ভাড়া করার আলাদা অর্থ না থাকায় সংসদ চলাকালে তিনি অফিসে ঘুমাতে বাধ্য হন।.ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় কাজ করার সময় এক আত্মীয় ব্যক্তিগত আলাপ করতে এলে তাড়াতাড়ি রাষ্ট্রীয় অর্থে কেনা মোমবাতিটি নিভিয়ে দিয়ে নিজের অর্থে কেনা মোমবাতি জ্বালিয়ে ছিলেন। ... ...
কদিন ধরে প্রকৃতি ও সূর্যের মধ্যে বুঝি বা মান অভিমানের পালা চলছিল। আকাশে সূয্যিদেবের দেখা নেই। হেমন্তের আকাশে মেঘের আড়ালেই রয়ে গেলেন তিনি। তাই প্রকৃতির মুখ ভার। ম্লান চেহারা। সবুজ প্রকৃতিতে ধূসর মলিনতা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশে মেঘের বেশ আনাগোনা চলছিল । সঙ্গে কেমন এক মন কেমন করা এলোমেলো ঠাণ্ডা হাওয়া । দুপুর গড়িয়ে বিকেলের দিকে বিরহিনী প্রকৃতির অশ্রু জল বৃষ্টি রূপে মাটির বুকে নামল। সন্ধ্যার পর থেকে আকাশ ধীরে ধীরে পরিষ্কার হতে শুরু করল। রাত বাড়তেই ঝলমলে পরিষ্কার আকাশ দেখা গেল। ভোররাতে ঘুম ভেঙে গেল। কান পেতে বাইরে পাখির ডাক শোনবার চেষ্টা করলাম। নাঃ! এখনোও তাদের ঘুম ... ...
আমার যখন বয়স ৩২ আর বলতে গেলে মনে হওয়া শুরু হয়ে গেছে মৃত্যু আসন্ন। আর নেই কৈশোরের ভাবনাহীন জীবন। তখন মনে হচ্ছিল আমার বোধ হয় নারীসঙ্গ ছাড়াই জীবনটা কেটে যাবে। কিন্তু প্রকৃতি, আল্লাহ বা ঈশ্বরের প্ল্যান তো আলাদা। বা সেই অলৌকিক ব্যাপারগুলো কেউ বা কিছু তো ঘটায়ই। সেই অদৃশ্য আলাপ বা বয়ান রেখেই আমি বলতে চাচ্ছি আমার জীবনের যে ঘটনাটা সেটা হলো ৩২ বছর বয়সে আমার পরিচয় হয় ২২ বছর বয়সী এক ... ...
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় একবার সস্ত্রীক রেল পথে ভ্রমণ করছিলের। এক যুবক অনেকক্ষণ ধরে তাঁর স্ত্রীকে দেখার চেষ্টা করে যাচ্ছিল। বিষয়টা বুঝতে পেরে বঙ্কিমবাবু যুবকটিকে কাছে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, 'কী করা হয়?' ছেলেটি উত্তর দিল যে সে চাকরি করে এবং ত্রিশ টাকা মাইনে৷ বঙ্কিম হেসে বললেন, 'আমি সরকারি চাকরি করি৷ সঙ্গে বইও লিখি৷ হাজার দুয়েক রোজগার৷ সবই স্ত্রীর চরণে দিই। তাও মন পাইনে ভাই৷ ত্রিশ টাকায় সে মন কি তুমি পাবে?' যুবকটি লজ্জিত হয়ে তৎক্ষনাৎ প্রস্থান করে ... ...
নুন ভাত এবং প্রজাপতি এবং একটি চড়ুইভাতি/ বনভোজনের রূপকথা ২০১৬ থেকে মানিকতলা খালপাড়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশু কিশোর কিশোরীদের নিয়ে একটা পাঠশালা চালাই। ২০ জন নিয়ে শুরু করে আজ ২৩১ জন।বহুদিন ধরে ভাষা ও চেতনা পাঠশালার বাচ্চাদের আব্দার: ঘুরতে নিয়ে চলো। কোথায় কীভাবে যাওয়া যায়? এতো ছোট আছে দলে! শেষে ঠিক হল চড়ুইভাতি। কিন্তু কোথায়? এবং কীভাবে? একটা ছোট পার্ক দেখলাম। কাছাকাছি। মানিকতলার। পরিকল্পনা ছিল সমিতির বিশ বছর পার হয়ে একুশ চলছে। যাঁরা আমাদের সঙ্গে এত বছর আছেন, তাঁদের বলি। একসঙ্গে খাওয়া আড্ডা গান কবিতা। বললাম অনেককে। সমর নাগদা। সমরদা শিল্পপতি শুধু নয়, বৈচিত্র্যপূর্ণ মানুষ। নানা বিষয়ে প্রচুর পড়াশোনা। দারুণ কথা বলেন। শুনে বললেন, কোথায় করবে? বললাম, ... ...
এক জীবনে একটা মানুষ কটা জেনারেশান দেখতে পারে? পাঁচটা, কপাল ভালো থাকলে। ঠাকুর্দার, বাবার, তার নিজের, সন্তানের, এবং সন্তানের সন্তানের... এর বেশি হলে কপাল ভালো বলতে হবে। আমি দেখেছি, একটা সময় পরে মানুষ তার সুখস্মৃতির কাছে ফিরে যেতে চায়, সেই স্মৃতিকে বাস্তবে ফিরে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা রাখে, বিশেষত বাঙালী হলে তো কথাই ... ...
এমন বিরল বিচ্ছেদ দেখেছো?আমি তখন হাসছিলাম। তোমাকে বললাম, আর হয়তো আমাদের কখনো কথা হবে না। আর কখনো জিজ্ঞেস করবো না, কেমন আছো। আর কখনো তোমার মুখোমুখি হবো না। তুমি তখন নির্বাক তাকিয়ে রইছো।
দত্তবাবুর স্ত্রীরোগ হয়েছে। আমরা বন্ধু বান্ধবেরা কিছুদিন ধরেই টের পাচ্ছি। দত্তবাবুর ব্যাবহারিক, শারীরিক ও বাচিক লক্ষণ ক্রমশঃ সুস্পষ্ট হয়ে উঠছিল। যখন তখন এই রোগের যন্ত্রনায় তার কাতরানি আমাদের কাছেও প্রায় অসহ্য । প্রচুর সহানুভূতি, সৎপরামর্শ, যথোপযুক্ত ডাক্তার দেখাতে বলা সবই বৃথা । বেচারী একা একা মনমরা হয়ে আছে মনে করে তাকে সঙ্গ দিলেও তার অসঙ্গ এবং আসঙ্গলিপ্সার বিন্দুমাত্র কমতি হয়েছে বলে মনে হোলো না । কোনভাবেই তাকে সংযত করা যাচ্ছে না। ... ...
কেন শচিন কেন অমুক কুস্তিগিরদের হেনস্থার বিরুদ্ধে গর্জে উঠছেননা, কেন মনিপুর-কান্ড নিয়ে টুইট করে ফাটিয়ে দিচ্ছেননা, এই নিয়ে হাহাকার করে কোনো লাভ নেই। শচিন-টচিনরা বড় খেলোয়াড়, খুবই মন দিয়ে খেলেছেনও, ব্যস ওই টুকুই। তার বাইরে কিছু ভাবলে যাঁরা আইকন বানিয়ে মাথায় তুলে নেচেছেন, তাঁদের নিজেদের নাচটাকে বরং ফিরে দেখা দরকার। শুধু শচিন কেন, এই কুস্তিগিররা নিজেরাও ... ...
বেশী লিখিনা কারণ বেশী বুঝিনা
১.আগুনের সাথে কয়লার যে সম্পর্ক, তোমার সাথে আমার সমপর্যায়েরই সম্পর্ক। আমি কয়লা তুমি আগুন , তুমি ছাড়া বোঝা যায় না আমার শক্তি আসলে কতগুন ।২. যদি হ্যারিকেন ফিতেয় কেরোসিন না পোড়ে , যদি উনুনে কাঠ কয়লা না পোড়ে মোমের মাঝে সুতোটাও না পোড়ে তবে তার থেকে আলো বেড়োয় না। তেমনি টানাপোড়েনমুক্ত প্রেম হয় না। হতে পারে না। টানাটানিতে অন্তর পোড়ে। না পুড়লে প্রেম হয় না। আলো হয় না। সম্পর্কও হয় না।৩.সারা দেশে যতো চোর-ডাকাত রয়েছে তারা সারা জীবনে যে পরিমাণ সম্পদ আয় করে- একটি দূর্নীতিবাজ সরকার একদিনেই তার চেয়ে অনেকগুণ বেশী সম্পদ লুট করে। দূর্নীতি, লুটপাট, গুম, খুন, গণহত্যা, পুলিশী ... ...
web design services for small business A man was going to the house of some rich person. As he went along the road, he saw a box of good apples at the side of the road. He said, "I do not want to eat those apples; for the rich man will give me much food; he will give me very nice food to eat." ... ...
পাড়ায় ঢুকতে ঢুকতে পাঁচটা বেজে গেল । স্বস্তিক দাঁড়িয়ে ছিল রাস্তার মোড়ে । ঠিক দাঁড়িয়ে ছিল না , ওখানে অস্থির পায়চারি করছিল । রুদ্রা হাঁচোড়পাঁচোড় করে এসে পড়ল সেখানে ।----- ' কি হল ..... কতক্ষণ দাঁড়িয়ে আছ ? ' তাড়াহুড়ো করে আসতে গিয়ে হাঁফিয়ে গেছে রুদ্রা ।----- ' তা ... প্রায় কুড়ি মিনিট হবে ..... '----- ' এত ট্র্যাফিক জ্যাম ... ...
উত্তর প্রদেশে একা লড়ে বহুজন সমাজ পার্টি পেয়েছে ৯.৩৯ শতাংশ ভোট। তারা ১৬টা সিটে বিজেপির জয়ী প্রার্থীর জয়ের পার্থক্যের থেকে অনেক বেশি করে ভোট পেয়েছে। আবার তিরিশটা সিটে জয়ী ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থীর জয়ের পার্থক্যের থেকে অনেক বেশি ভোট পেয়েছে। সে হিসেবে একলা চলে তারা ইন্ডিয়া জোটেরই সুবিধে করেছে বেশি। আবার তারা যদি ইন্ডিয়া জোটে থাকত তবে বিজেপির অবস্থা আরো খারাপ ... ...
প্রতি রাতে অন্ধকার আমায় গ্রাস করে।পরিবেশের সমগ্র দূষন একত্রিত হয়,কিছু আবদার আর মুঠো ভরা নালিশ নিয়ে।তারা চিৎকার করে জানায় তাদের দাবি,দূষনমুক্ত, সৃজনশীল পৃথিবীর দাবি।আমি নিরুপায়, তাদের বৃথা আশ্বাস দিয়ে শান্ত রাখি। পৃথিবীকে প্রতি নিয়ত বাঁচিয়ে যাই,মহাপ্রলয়ের হাত থেকে।তারা সত্য জেনেও চুপ করে থাকে। যেভাবে চুপ ছিল সমগ্র ভারতবাসী,দুশোবছর ধরে।হয়ত এ মহাপ্রলয়ের বাঁধ একদিন ভাঙবে, ভাঙবেই।।মহাপ্রলয়ের স্রোতে তলিয়ে যাবে,বিশ্বব্রহ্মাণ্ড। তবু আমি এক,আমি এক নিরুপায় যাত্রী।বৃথা আশ্বাস দিয়ে শান্ত রাখি। ... ...
তথাগত রায়চৌধুরী…… মাঝে মাঝে নিজেকে তার খুব একা মনেহয়, কেমন যেন হারিয়ে যায় সে বাস্তব জীবন থেকে , হঠাত্ করেই দূরে চলে যায় তার আদরের গড়ে তোলা সংসার থেকে, যাকে সে খুব যত্ন করে গড়ে তুলেছে এবং আগলে রেখেছে। এই সমস্যা কাউকে বলে বোঝানো যায়না..... বউ ছেলে মেয়ে। মা বাবার কাছ থেকে আশাও করেনা... তবু যাকে এতদিন বোঝালে না বুঝলেও বোঝার চেষ্টা করতো , সেই বিনতি পিসিও সেদিন কথা শোনালো...এদিকে এতদিনেও তথা বুঝেই উঠতে পারছেনা, যে সে কী করবে? মাঝে লুকিয়ে সাইক্রীয়াটিস্টের কাছেও গেছে...সে কিসব ভুলভাল উপদেশ দিচ্ছে। ঠিকঠাক মনে হয়নি তথার..... বৌকে সাথে নিয়ে যাবে ভাবছে অন্য কারোর কাছে ... ...