নওদীপ কৌর-এর বিষয়ে নতুন করে বলবার অপেক্ষা রাখে না। গত জানুয়ারি মাসে দিল্লির কৃষক আন্দোলনকে সমর্থনের জেরে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দেশ বিদেশের বহু বিশিষ্টজন থেকে সাধারণ মানুষ গ্রেফতারের বিরোধিতা করেন। দেড় মাস বন্দি থাকার পর ছাড়া পান নওদীপ। তিনি গান পরিবেশনের পাশাপাশি সাহিত্য উৎসবের আলোচনাতেও যোগ দেন, যার শিরোনাম ছিল ‘এক গুচ্ছ বুলেটপ্রুফ কবিতা’। ... ...
শুভেন্দুর মূল তাস, যা বোঝা গেল দুইটি। এক, নন্দীগ্রামে মমতা বহিরাগত। দুই, সাম্প্রদায়িক বিভাজন। এই এলাকায় গত বছর দশেক ধরে আরএসএস-এর নানা সংগঠন তাদের প্রভাব বিস্তার করেছে। ফলে একটা 'মুসলিম আগ্রাসন' সংক্রান্ত টেনশন এমনিতেই আছে। শুভেন্দু অধিকারীর সাম্প্রতিক সব সাম্প্রদায়িক বিভাজনের বক্তৃতা সেই আগুনকে আরও উস্কে দিয়েছে। নন্দীগ্রামের জনবিন্যাসের অঙ্কে চোখ বোলালে দেখা যাচ্ছে ওখানে ৩০/৩৪ শতাংশ মুসলিম ভোট আছে বলে যে আলোচনা চলছে তা একটু বাড়াবাড়ি। নন্দীগ্রাম বিধানসভা গঠিত নন্দীগ্রাম ১ ও ২ ব্লক মিলিয়ে। ২০১১-র জনগণনা অনুযায়ী এই দুই ব্লক মিলিয়ে মোট ৩৩১,০৫৪ জনসংখ্যার ২৪৪,৬৬৭ জন, অর্থাৎ ৭৩.৯৬% হিন্দু, এর মধ্যে ৫৪,৫০৩ (১৬.৪৬%) জন তপসিলি জাতি ভুক্ত। আর মুসলিম জনসংখ্যা ৮৫,৬৯৬, বা ২৫.৮৮%। ... ...
৫০০ সংগঠনের যৌথ মঞ্চ 'সংযুক্ত কিষাণ মঞ্চ'-এর নেতৃত্ব বাংলার নির্বাচনকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বাংলায় বিজেপি-কে একটিও ভোট না দেওয়ার আবেদন করছেন, তাঁরা বলছেন এই ভোটে বিজেপি-কে উচিৎ শিক্ষা দিন। সিঙ্গুরে অনুষ্ঠিত কৃষকদের এই মহাপঞ্চায়েতের সভা পরিচালনা করেন পশ্চিমবঙ্গ কৃষি কো-অর্ডিনেশন কমিটির আহ্বায়ক তেজেন্দ্র সিং বল। সভায় উপস্থিত ছিলেন সিঙ্গুর কৃষি জমি রক্ষা কমিটির কর্মী-সমর্থকেরা। ... ...
কৃষক নেতারা স্পষ্টভবে জানান, কোনও নির্দিষ্ট দলকে সমর্থন করে কোথাও যাচ্ছেন না তাঁরা। সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম আন্দোলন কতটা কৃষক আন্দোলন নিয়ে ৫০০ সংগঠনের যৌথ মঞ্চ 'সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা'র অনেকেরই মতপার্থক্য থাকতে পারে। অনেকে অনেক ভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন, কিন্তু এই আন্দোলনগুলিতে ঐতিহাসিক ভাবে কৃষকরাই অংশ নিয়েছিলেন এবং প্রাণ দিয়েছেন। তাই 'সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা' বাংলার এই অঞ্চলের কৃষকদের কাছে যাবে। ... ...
"সারা বাংলা জুড়ে যেভাবে ফ্যাসিস্ত আগ্রাসন শুরু হয়েছে, তার বিরুদ্ধেই আমাদের এই লড়াই। আগামী দিনে এই আন্দোলনকে আমরা কলকাতার বাইরে অন্যান্য জেলা ও গ্রামে পৌঁছে দিতে চাইছি প্রবলভাবে। এই দুঃসময়ে আমরা গুটিকয়েক সাংস্কৃতিক কর্মী ফ্যাসিবাদী হামলাকে প্রতিহত করতে পথে নেমেছি।" ... ...
পরঞ্জয় গুহঠাকুরতার বক্তব্যে প্রাধান্য পায় দাঙ্গা এবং সাম্প্রদায়িক বিভাজনের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকার কথা। এই দেশের রাজনৈতিক সামাজিক প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমের সচেতন ব্যবহার যে কতটা জরুরি এবং সেই সচেতনতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে সৎ স্বাধীন সাংবাদিকতাকে কতটা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয় সে প্রসঙ্গও উঠে আসে। ... ...
আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলা ভাষা রক্ষা, গণতন্ত্র রক্ষা, আসন্ন নির্বাচনে ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাজিত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার প্রক্রিয়া গ্রহণসহ বাংলার সংস্কৃতিকে যেভাবে বিষাক্ত করে দেওয়া হচ্ছে তার প্রতিবাদে শহর কলকাতার বুকে এক মিছিলের আহ্বান জানানো হয়েছে মঞ্চের তরফ থেকে। ... ...
সাদা চোখে তথ্য হিসেবে যেটুকু এখনও দেখা যাচ্ছে, বাংলায় যে টাকা বরাদ্দ হয়েছে, তার উল্লেখযোগ্য অংশ খরচ হবে কলকাতা-শিলিগুড়ি সড়কের জন্য। ... ...
সিদ্ধার্থের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওয়ার পত্রিকায় ২৬ জানুয়ারি আইটিও-র কাছে কৃষকমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে সরকারি বয়ানের বিপ্রতীপ এক বয়ান প্রকাশিত হয়। সে প্রতিবেদনে, মৃত কৃষকের পরিবারের লোকজনের বয়ান উদ্ধৃত করা হয়, যাঁদের অভিযোগ, মৃতদেহের শরীরে বুলেটের চিহ্ন রয়েছে। ... ...
সিংঘু সীমান্তে কী চলছে আজ, এখন? অকুস্থল থেকে জানাচ্ছেন ছন্দক চ্যাটার্জি। ... ...
যদিও একেবারে মধ্যখানে অটুট জাতীয় পতাকার উড়ান, আর হাজার হাজার হাতে উড়ছে অগুন্তি জাতীয় পতাকা, তবুও পুলিশ লালকেল্লার ঝান্ডা নামাতে আবার তৎপর হল। কিন্তু পতাকাদণ্ডে চড়া কি অতো সহজ ! আদর্শ আর মরণপণ প্রতিজ্ঞা যা পারে, বেতনভুক তা অতো সহজে পারে না। সে চেষ্টায় তাই জলাঞ্জলি দেওয়া হল অল্প সময়েই, আবার সাহায্য এসে পৌঁছবে এ-ই আশায়। ... ...
সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। ফিরতে হবে এবার। এই আন্দোলন কোনও ভাবেই যে কুলাকের আন্দোলন, বা শিখেদের আন্দোলন নয়, তা এতক্ষণে নিশ্চিত জেনেছি। দেখেছি বিপুল সংখ্যায় ক্ষেত-মজদুররা এসে পৌছেছেন এই আন্দোলনে। কৃষক-ক্ষেতমজদুরদের সমর্থনে এগিয়ে আসছেন দিল্লির আশে পাশে থাকা শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকেরা। এছাড়াও এঁদের পাশে রয়েছেন পাঞ্জাব-হরিয়ানার গোটা সমাজ, যাঁদের অকুণ্ঠ সমর্থন ছাড়া এই আন্দোলন চালানো সম্ভব নয়। ... ...
বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের রাজ্য সভাপতি সামিরুল ইসলাম বলেছেন, “কৃষকদের জন্য আইন হলেও কৃষকেরা এই আইন চাইছেন না, এরপরেও কেন বিজেপি সরকার এই আইন প্রত্যাহার করছে না স্পষ্ট, কারণ আইন বানানো হয়েছে আম্বানি-আদানিদের জন্য। এই লড়াই শুধুমাত্র কৃষকদের না, সাধারণ মানুষেরও। কারণ এই আইনের জেরে কৃষকের পাশাপাশি আম-জনতা বিপুলভাবে আক্রান্ত হবেন।” ... ...
বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিত মাথায় রেখে রাজ্যের সব রাজনৈতিক দলগুলি এই ধর্নামঞ্চের দিকে যে লক্ষ্য রাখছে সে কথা নিশ্চিত করে বলা যায়। সংগঠকদের কথা মত গ্রাম ও শহরতলি থেকে ক্রমশ কৃষক ও তাঁদের সমর্থক, অন্যান্য সাংস্কৃতিক ও গণআন্দোলনের কর্মীরা নিয়ত আসা-যাওয়া শুরু করলে যে মেলবন্ধন তৈরি হবে, তা অতীব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। ... ...
'যদি'গুলোকে সব নদীর পাড়ে নিয়ে গিয়ে ভাসিয়ে দেবার সময় এসেছে। কারণ এইগুলিই এদেশের ধর্ষণ সংস্কৃতির শক্ত খুঁটি। গলা তুলে বলতে হবে কোনও যদি নয় আর, সে মধ্যরাত হোক কী ভোরের আবছা, প্রয়োজনে নারী যখন খুশি তখন বাইরে যেতে পারবে। বা ঘরে ফিরতে পারবে। ওড়না নিক না নিক, নারীর পোশাকের কারণে তাকে ধর্ষিতা হতে হয় বলে যারা মনে করে, তারা একান্তই মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। ... ...
যাঁরা স্টল দিচ্ছেন, তাঁদের থেকে কোনও টাকা পয়সা দিতে হবে না। আয়োজনকারীরা জানিয়েছেন, তাঁরা মূলত ক্রাউডফান্ডিংয়ের উপরেই এ ব্যাপারে নির্ভর করছেন। প্রায় চার লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে এই আয়োজনে। অতিমারীজনিত প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বনের জন্য স্টলগুলির মধ্যে নির্দিষ্ট দূরত্ব তো রাখা হচ্ছেই, একইসঙ্গে উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে স্যানিটাইজার ও মাস্কের ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে। ... ...
হাথরস ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। গোটা দেশ আজ অন্ধকারে ডুবে গেছে বলে হাতে টর্চ নিয়ে গোটা দেশে আলো জ্বালানোর বার্তা দেন তিনি। তাঁর কথায়, 'আমরা নাকি পুজো করতে দিই না, যোগীজি কেন দুর্গাপুজো করতে দিচ্ছেন না? মমতা দি মন্দির, মসজিদ, গীর্জা নিয়ে রাজনীতি করে না। সবাইকে নিয়ে চলি আমরা। ওয়ান নেশন, ওয়ান পলিটিক্যাল পার্টির দিকে এগোচ্ছে। রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগোচ্ছে দেশে। ... ...
এর মধ্যে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেছেন এনকাউন্টার চই। 'দোষীদের রাস্তার মাঝখানে সবার সামনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে দেওয়া উচিত।' লকেট বলেছেন যখন, খুবই যুক্তিযুক্ত কথা। কিন্তু কাকে মারা হবে খুব পরিষ্কার নয়। প্রসঙ্গত যোগী প্রশাসনের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের কোথাও ধর্ষণের উল্লেখ নেই। বলা হয়, মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে যাওয়ার কারণেই তীব্র শ্বাকষ্টের সমস্যা তৈরি হয়েছিল। দু'টি পা এবং হাত অসাড় হয়ে যায়। জিভের একাংশে যে গভীর কামড়ের ক্ষত ছিল, তা-ও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আছে। নেই শুধু ধর্ষণের উল্লেখ ... ...
গত শুক্রবার বাবা মারা গেছেন। মেডিকেল কলেজ নন-কোভিড দের জন্য বন্ধ করে দেওয়ায় বাবার চিকিৎসাও বন্ধ ছিল। গরীবের তো অ্যাপোলো নেই৷ ৪ দিন হস্পিটালে ভর্তি ছিল বাবা। কিন্তু তাতে রোগের চিকিৎসার উপযুক্ত পরিকাঠামো ছিলো না। ভেন্টিলেশনের পেশেন্টের ব্লাড টেস্টের রিপোর্ট বেসরকারি ল্যাব থেকে যতদিনে আসার কথা তার আগেই পেশেন্ট মারা যাচ্ছে। রাত ১২ টায় একটা হস্পিটাল পেশেন্টকে বের করে দিতে চায় ভেন্টিলেশন নেই বলে। না, কোনোরকম ব্যবস্থা করে দিতেও তারা চায়নি। অবশেষে ৫ ঘন্টা টানাপোড়েনে ভর্তির ব্যবস্থা হয় অন্য হস্পিটালে। ... ...
এই সময়টা অদ্ভুত। এমন অনেককিছু চারপাশে ঘটে চলেছে, যা হয়তো ঘটার কথা ছিল না। এমন অনেক মানুষের সঙ্গে আলাপ হয়ে যাচ্ছে, যাঁদের সঙ্গে হয়তো আলাপ হত না কোনওদিন। চোখের সামনে বদলে যাচ্ছেন মানুষ। পাহাড়ের মতো বড় হয়ে যাচ্ছেন কেউ, কারও ওজন হয়ে যাচ্ছে পাখির পালকের মতো হাল্কা।রাস্তাঘাট, চেনা শহর, পরিচিত মুখ- বদলে যাচ্ছে সবকিছুই। অন্ধকার বাড়ছে। তাই প্রতীকদার মতো আকাশপ্রদীপদের পাশে পাশে থাকাটা জরুরি। ... ...