সে ঘাড় দুদিকে নেড়ে নেড়ে বলে ‘তু ডেঞ্জার হ্যায় রে ম্যাডাম নেই নেই ম্যায় আ যাউঙ্গা’। ঠিক আছে বাবা, তাই হবে। একটু বিশ্রাম নিয়ে বিকেল ৪.১৫তে আবার বেরোই পায়ে হেঁটে এদিক ওদিক ঘুরতে। চারিদিক একেবারে শুনশান, সমস্ত দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে শুধু একটা সেলুনের একপাল্লা খোলা। মিনিট চল্লিশেক এদিক ওদিক হেঁটে ফিরি নশরিঙে আবার। কাল খুব সকালে বেরোন তাই আজকেই টাকাপয়সা মিটিয়ে রাখতে হবে। রাতের খাবারে অর্ডার করি ডিমাসা টাইপ ফ্রায়েড রাইস আর চিকেনের ঝোল। এই ফ্রায়েড রাইসে দেখি বেশ কয়েকরকম শাক দিয়েছে কুচিয়ে, পালং ছাড়া বাকী শাকেদের চিনতে পারলাম না। ... ...
গতদিনের মেঘ আর কুয়াশার পর এই দৃশ্য যে দেখব, আমরা কেউ-ই ভাবিনি, আনন্দে আত্মহারা হয়ে ক্যামেরা বের করতেও ভুলে গিয়েছিলাম প্রায়! ডানদিক থেকে আলোর একটা সরু রেখা হঠাৎ আকাশকে রাঙিয়ে দিতেই সম্বিৎ ফিরল! তখনো এভারেস্ট দেখার কথা ভাবিনি। তার জন্যে আমাদের আর-ও একটু বাঁদিকে সরে যেতে হবে ফালুটের রাস্তায়। এরপর শুরু হয়ে গেল আশ্চর্য অপার্থিব রঙের খেলা, একেবারে টুকটুকে লাল থেকে কমলা হয়ে উজ্জ্বল স্বর্ণাভ হয়ে ওঠার পালা, ডানদিক থেকে একে একে পান্ডিম, কাঞ্চনজঙ্ঘা, শিমোভো, গ্যেচা বা গ্যোচা, কাবরু ডোম, কাবরু উত্তর ও দক্ষিণ, রাথোং, আর সবশেষে কুম্ভকর্ণ ১ ও ২ – দিগন্তজোড়া তথাগত-শরীর, শায়িত এবং নিদ্রিত। ‘Sleeping Buddha’। সবচেয়ে আশ্চর্য হল, একটুকরো মেঘ ঠিক কাঞ্চনজঙ্ঘা শিখরের উপরে জমে রয়েছে যেন যুবরাজ সিদ্ধার্থের রাজছত্র হয়ে। আমরা এসে দাঁড়িয়েছি সেই রাজদরবারে, একেবারে যথার্থ রাজদর্শন বটে! ... ...
আজ একটা বিচিত্র ভ্রমণের গল্প বলবো আপনাদের। প্ল্যান করে তো সবাই ঘুরতে যায়। দুপুরে খেতে বেরিয়ে কখন ঋষিকেশ চলে গেছেন? আমি গেছি। ... ...
#একাকী_ভ্রমি_বিস্ময়ে - হাফলং ... ...
আগের পর্ব : পর্ব - ১ পর্ব - ২ পর্ব - ৩ মেঘমা থেকে বেরিয়ে ঘন্টাখানেক চলার পর বেশ কিছুটা উঠেই দেখি গাড়ির রাস্তা হাজির। তবে এই সময়ে গাড়ির ঝামেলা তেমন নেই, যারা যাওয়ার, চলে গেছে এতক্ষণে। রাস্তা থেকে দূরে চেয়ে দেখি মেঘের আড়ালে পাহাড়ের লুকোচুরি আর রোদের আলো-ছায়ার খেলা তখন-ও চলছে। কাঞ্চনজঙ্ঘা আমাদের পাহাড়ের ঠিক উল্টোদিকে, টোংলু পৌঁছনোর আগে তার দেখা পাওয়া যাবে না। গেলেও এত বেলায় এই মেঘ আর কুয়াশায় সে মুখ দেখাবে বলে মনে হয় না। নিত্যম কিছুক্ষণ পরে জানালো, আর ঠিক তিনটে বাঁক পার হলেই টোংলু। প্রথমদিনের টার্গেট শেষ করার আনন্দে আমরা হই হই করে উঠলাম। শেষ বাঁকটা পার হয়ে ... ...
আগের পর্ব ঃ পর্ব - ১ পর্ব - ২ সকাল ৬ টায় উঠে দেখি বাইরে ততক্ষণে রোদ উঠে গেছে বেশ, আলোয় আলোকময় চারদিক! তার সঙ্গে ভয়ানক ঠান্ডা, সুতরাং স্নানের প্রশ্ন-ই নেই। তখন কি আর জানি যে পরের তিন দিন হাতে জল দিলেও ইলেকট্রিক শকের অনুভূতি হবে, স্নান তো দূর অস্ত! ফুলহাতা টিশার্টের উপর একটা হালকা উইন্ড চিটার চাপিয়ে নিলাম, কারণ যতই ঠান্ডা থাক বাইরে, ছোটোখাটো ট্রেকের অভিজ্ঞতা থেকে জানি যে এরপরেই পাহাড়ে ওঠা শুরু হলে গরম হবেই আর রোদ-ও বেরিয়েছে বেশ তেড়ে-ফুঁড়ে। এখানে বলে দিই, আমরা আসার দিন পনেরো আগে থেকে আবহাওয়ার খবর রাখছিলাম সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যানের, তাতে মোটামুট সব দিন-ই দেখাচ্ছিল ... ...
#একাকী_ভ্রমি_বিস্ময়ে ... ...
একাকী ভ্রমি বিস্ময়ে ... ...
আগের পর্ব ঃ পর্ব - ১ নভেম্বরের ৪ তারিখ শুক্রবার, রাত ১১ টার পরে ট্রেন, পদাতিক এক্সপ্রেস, শিয়ালদা থেকে। সুতরাং পুরোদমে দিনভ’র আপিস করে, ব্যাগপত্র গুছিয়ে রাতের খাওয়া সেরে স্টেশন, বলাই ছিল সবাইকে ন’নম্বর প্ল্যাটফর্মেই সবাই মিলিত হব, সেই মত দেখা সাক্ষাৎ হল। ট্রেনে উঠে গুছিয়ে বসতে না বসতেই ট্রেন ছাড়ল একেবারে ঘড়ি ধরে। যাত্রা শুরু! ভোরবেলা ঘুম ভাঙতেই জানলার বাইরে তাকিয়ে প্রথম যেটা মনে হল, আকাশ আশ্চর্য রকম পরিষ্কার। হয়ত কলকাতার ঘোলাটে আকাশ দিন-রাত দেখেই এই অবস্থা। তখন-ও জানি না আমাদের জন্যে কি অপেক্ষা করে আছে! কিষাণগঞ্জ থেকে ট্রেন একটু ঢিমেতালেই চলছিল। রাঙাপানি পার হতেই দূর থেকে পাহাড়ের সারি চোখে পড়ছিল। হঠাৎ মনে ... ...
“…এখন আমি একটা পাহাড় কিনতে চাই।সেই পাহাড়ের পায়ের কাছে থাকবে গহন অরণ্য,আমি সেই অরণ্য পার হয়ে যাবো,তারপর শুধু রুক্ষ কঠিন পাহাড়।একেবারে চূড়ায়, মাথার খুব কাছে আকাশের নিচে বিপুলা পৃথিবী, চরাচরে তীব্র নির্জনতা।…”– সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়নাহ, পাহাড় কিনতে চাই না বটে, তবে বাকিটুকু খাপে খাপ। পাহাড়ী পথে পায়ে হেঁটে মাইলের পর মাইল চলে যাওয়া, দুপাশে সবুজ অথবা ধূসর চড়াই-উৎরাই, খাদের গহীনতা অথবা আকাশ ফুঁড়ে উঠে যাওয়া বরফে ঢাকা শৃঙ্গ – সেসব অবশ্য-ই চাই, এবং অতি অবশ্যই নির্জনতা, নৈঃশব্দ্য! তা এতদিন ছোটোখাটো কিছু হাঁটার অভিজ্ঞতা ছিল বটে, তবে সে’সব বড়জোর এক বা দু’দিনের খেল। দেশে ফেরার পর থেকে পায়ে হেঁটে ভ্রমণের ব্যাপারটা মাথায় ... ...
ক্রমে মাসুরি প্রেমে পড়ে যায় লাঙ্কাভির এক যোদ্ধার – এবং ভালোবেসে তাদের বিবাহও সম্পন্ন হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় ভালোবাসার সেই সংসার বেশী দিন করার আগেই যুদ্ধ লেগে যায় লাঙ্কাভির লোকেদের সাথে সিয়ামীজ-দের (থাইল্যান্ডের দক্ষিণ প্রদেশের লোক)। মাসুরির স্বামীকে যুদ্ধে যেতে হয় মাসুরিকে গ্রামে একা রেখে – অনেক দিন ধরে যুদ্ধ চলতে থাকে – আর সেই সমস্ত সময়টাতেই মাসুরিকে একা একাই কাটাতে হয়। এমন সময় একদিন গ্রামে এক কথক আসে – আমাদের দেশের মতই এই কথকরাও যাযাবরের মত এই গ্রাম সেই গ্রাম ঘুরে বেড়াতো। খুব ভালো কথা বলতে পারত বলে কথকের গল্প শুনে গ্রামের সবাই মন্ত্রমুদ্ধ হয়ে গেল। তাকে রিকোয়েষ্ট করা হল আর কিছু দিন এই গ্রামে থেকে যাও। কিন্তু সে থাকবে কোথায়? মাসুরি নিজেও তার গল্প শুনে মুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল আর তার বেশী জটিল কিছু না ভেবে বলল, তাহলে তুমি আমার বাড়িতে থেকে যাও। ... ...
নাচ মেরে বুলবুল কি মৌত মিলেগা ... ...
যাচ্ছি উত্তরাখণ্ডে, আমরা তিনজন। আমি, অমিতাভ দা আর তিতলি। প্ল্যান কিছুটা এইরকম – দিন দশেকের আশ্রমিক জীবন কাটানো। প্রথমে আলমোড়া, তারপর মায়াবতী, আর সবশেষে শ্যমলাতাল। প্রথম ও শেষ জায়গায় আমাদের ঠিকানা হবে রামকৃষ্ণ মিশনের দুটি আশ্রম; আর মায়াবতীতে নিশিযাপনটুকু বাদ দিলে বাকি সময়টা কাটবে অদ্বৈত আশ্রমে। ... ...
যাচ্ছি উত্তরাখণ্ডে, আমরা তিনজন। আমি, অমিতাভ দা আর তিতলি। প্ল্যান কিছুটা এইরকম – দিন দশেকের আশ্রমিক জীবন কাটানো। প্রথমে আলমোড়া, তারপর মায়াবতী, আর সবশেষে শ্যমলাতাল। প্রথম ও শেষ জায়গায় আমাদের ঠিকানা হবে রামকৃষ্ণ মিশনের দুটি আশ্রম; আর মায়াবতীতে নিশিযাপনটুকু বাদ দিলে বাকি সময়টা কাটবে অদ্বৈত আশ্রমে। ... ...
যাচ্ছি উত্তরাখণ্ডে, আমরা তিনজন। আমি, অমিতাভ দা আর তিতলি। প্ল্যান কিছুটা এইরকম – দিন দশেকের আশ্রমিক জীবন কাটানো। প্রথমে আলমোড়া, তারপর মায়াবতী, আর সবশেষে শ্যমলাতাল। প্রথম ও শেষ জায়গায় আমাদের ঠিকানা হবে রামকৃষ্ণ মিশনের দুটি আশ্রম; আর মায়াবতীতে নিশিযাপনটুকু বাদ দিলে বাকি সময়টা কাটবে অদ্বৈত আশ্রমে। ... ...
যাচ্ছি উত্তরাখণ্ডে, আমরা তিনজন। আমি, অমিতাভ দা আর তিতলি। প্ল্যান কিছুটা এইরকম – দিন দশেকের আশ্রমিক জীবন কাটানো। প্রথমে আলমোড়া, তারপর মায়াবতী, আর সবশেষে শ্যমলাতাল। প্রথম ও শেষ জায়গায় আমাদের ঠিকানা হবে রামকৃষ্ণ মিশনের দুটি আশ্রম; আর মায়াবতীতে নিশিযাপনটুকু বাদ দিলে বাকি সময়টা কাটবে অদ্বৈত আশ্রমে। ... ...
যাচ্ছি উত্তরাখণ্ডে, আমরা তিনজন। আমি, অমিতাভ দা আর তিতলি। প্ল্যান কিছুটা এইরকম – দিন দশেকের আশ্রমিক জীবন কাটানো। প্রথমে আলমোড়া, তারপর মায়াবতী, আর সবশেষে শ্যমলাতাল। প্রথম ও শেষ জায়গায় আমাদের ঠিকানা হবে রামকৃষ্ণ মিশনের দুটি আশ্রম; আর মায়াবতীতে নিশিযাপনটুকু বাদ দিলে বাকি সময়টা কাটবে অদ্বৈত আশ্রমে। ... ...
যাচ্ছি উত্তরাখণ্ডে, আমরা তিনজন। আমি, অমিতাভ দা আর তিতলি। প্ল্যান কিছুটা এইরকম – দিন দশেকের আশ্রমিক জীবন কাটানো। প্রথমে আলমোড়া, তারপর মায়াবতী, আর সবশেষে শ্যমলাতাল। প্রথম ও শেষ জায়গায় আমাদের ঠিকানা হবে রামকৃষ্ণ মিশনের দুটি আশ্রম; আর মায়াবতীতে নিশিযাপনটুকু বাদ দিলে বাকি সময়টা কাটবে অদ্বৈত আশ্রমে। ... ...
যাচ্ছি উত্তরাখণ্ডে, আমরা তিনজন। আমি, অমিতাভ দা আর তিতলি। প্ল্যান কিছুটা এইরকম – দিন দশেকের আশ্রমিক জীবন কাটানো। প্রথমে আলমোড়া, তারপর মায়াবতী, আর সবশেষে শ্যমলাতাল। প্রথম ও শেষ জায়গায় আমাদের ঠিকানা হবে রামকৃষ্ণ মিশনের দুটি আশ্রম; আর মায়াবতীতে নিশিযাপনটুকু বাদ দিলে বাকি সময়টা কাটবে অদ্বৈত আশ্রমে। ... ...
যাচ্ছি উত্তরাখণ্ডে, আমরা তিনজন। আমি, অমিতাভ দা আর তিতলি। প্ল্যান কিছুটা এইরকম – দিন দশেকের আশ্রমিক জীবন কাটানো। প্রথমে আলমোড়া, তারপর মায়াবতী, আর সবশেষে শ্যমলাতাল। প্রথম ও শেষ জায়গায় আমাদের ঠিকানা হবে রামকৃষ্ণ মিশনের দুটি আশ্রম; আর মায়াবতীতে নিশিযাপনটুকু বাদ দিলে বাকি সময়টা কাটবে অদ্বৈত আশ্রমে। ... ...