আজ পৌষ বা মকর সংক্রান্তির ভোরবেলায়, ১ মাস ব্যাপী টুসু উৎসবের শেষ দিন রাঢ়বাংলার বিশেষত পুরুলিয়া, বীরভূম, বাঁকুড়া, মেদিনীপুরের গ্রামীণ মেয়েরা দলবদ্ধভাবে যখন টুসুগান গাইতে গাইতে টুসুদেবীর ভাসানের জন্য চলেছেন জলাশয়ে বা নদীতে। যখন টুসুর জাগরণের শেষ দুই রাত জেগে গান গেয়ে গেয়ে ঘরে ঘরে তাঁরা তৈরি করেছেন গড়গড়্যা বা বাঁকা বা উধি পিঠা, পুর পিঠা আর নানারকম মিষ্টি । ঠিক এরকমই এক সময়ে আজ থেকে ঠিক ৭দশক আগে মানভূমের আপামর বাঙালি আর বাংলাভাষী ভূমিজনেরা তাঁদের টুসুপরবকে উদযাপন করেছিলেন মাতৃভাষার মর্যাদা আর স্বীকৃতির দাবিতে লেখা অসংখ্য রাজনৈতিক টুসুগানের কথায় সুরে। খেটে খাওয়া গরিব গ্রামীণ মানুষের এই সর্বতোভাবে অহিংস সত্যাগ্রহ আন্দোলনটির একমাত্র হাতিয়ার ছিল টুসুগান। আর ঠিক এ কারণেই এই আন্দোলন আজও অনন্য হয়ে রয়েছে 'টুসু সত্যাগ্রহ' নামে। ... ...
ওই যে ভাইপো আর কাকতাড়ুয়াবাবু জন্মদিন ছড়িয়েছেন পোস্টারে ... ...
এনার নাম গুরুর কেউ শুনেছেন বলে মনে হয় না ... ...
হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন। তেমন যুৎসই শৈল্পিক ভাব আর ভাষার ভাঁড়ার আমার নেই। তবু এই ধুলোমাটির আসল মানুষ সোমনাথ মাইতিদের অমৃত্সমান কথা বলতে ইচ্ছে হলে, আত্মমগ্ন স্বচ্ছল মধ্যবিত্তকে জানানোর ইচ্ছে হলে, কিই বা উপায় করব আর? এঁদের সক্রিয়তাগুলি এতই হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন। তেমন যুৎসই শৈল্পিক ভাব আর ভাষার ভাঁড়ার আমার নেই। তবু এই ধুলোমাটির আসল মানুষ, ''উদ্যোক্তা কৃষক'' সোমনাথ মাইতিদের কথা বলতে ইচ্ছে হলে, আত্মমগ্ন স্বচ্ছল মধ্যবিত্তকে জানানোর ইচ্ছে হলে, কিই বা উপায় করব আর? এঁদের সক্রিয়তাগুলো এতই বহুধাবিস্তৃত যে, প্রায় সবকথা না বলতেই লেখাখান বেশ লম্বা হয়ে গেল। অবিশ্যি আমি কে এমন হরিদাস পাল যে পাঠক এমন দীর্ঘ লেখা ধৈর্য ধরে পড়বেন! সত্যিই জানিনা। তবু এঁদের কথা লেখাটা, এঁদের যাবতীয় উদ্যোগকে সমাজের সমুখে আনাটা খুব জরুরি, সেই তাগিদ থেকেই এমন লেখা জারি থাকবে আজ আর আগামীতেও!! ... ...
আবার ফিরে এলো ... ...
কতো রকমের কবিতা লেখা হচ্ছে । বেশ ভাল্লাগে পড়তে সবায়ের কবিতা । ... ...
প্রবাল দাশগুপ্ত বলেছেন "অধুনান্তিক গল্প" ... ...
ঘোরতিমিরঘন নিবিড় নিশীথে পীড়িত মূর্ছিত দেশে ... ...
কে যেন বলছিলেন কবিতা কেন দিচ্ছি না ... ...
কী বিষয় কী বিষয় ... ...
রবীন্দ্রনাথের সারমর্ম ? হাসালেন ! ... ...
একাই লড়ে যেতে হয় ... ...
সাবর্ণ রায়চৌধুরীদের মিউজিয়ামটা দেখে আসুন ... ...
তিস্তা, দীপন বা অদিতিরা এমনই। ওরা সর্বার্থেই ভালো, মানে যাদের আজকালকার টার্মে 'পাগল' বলা হয়। ওরা সেইসব পাগল, যারা নিজেদের ভালোবাসা, সাহস, স্বপ্ন, সদিচ্ছা আর শ্রমের হাতিয়ারে রোজ একটু একটু করে পূতিগন্ধময় পাব্লিকে ভরা এই দুনিয়াটাকে একটা সুন্দরতর জায়গায় বদলে দিচ্ছে। ... ...
দেখছি, সাকিব - সামিউল আর ওদের আরো দুজন বন্ধু কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে রোজগারের পথে প্রান্তরে। কেউ মাঠে, কেউ স্টিয়ারিংয়ে, কেউ কারখানায়, কেউ বা অনলাইন গেমের ঠেকেও। আজো সামিউল পরীক্ষা দিতে এসেছিল। আমি জানি মাধ্যমিক পাশ করুক বা না করুক, পরীক্ষাটা ও দেবেই। ... ...
বেশ ক'বছর আগের কথা। স্কুল যাচ্ছি, এমন সময় পথে এক পুরনো ছাত্রের ফোন। সে বেশ ভালো ছাত্র হিসেবেই স্কুলে পরিচিত ছিল। "ম্যাম, প্রাইমারিতে আমার চাকরি হয়ে যাবে। কিন্তু ফোন করে ...এত লক্ষ টাকা চাইছে। ... বাবা বলছে জমি-জিরেত বিক্রি করে হলেও সরকারি চাকরি নিয়ে নিতে। কিন্তু আমার বাবার যে ওইটুকুই আছে..। ম্যাম, একটু বলবেন আমি কি করবো???..." ... ...
হাল আমলের দুজন বাঙালি ডাক্তার, এই গত পঞ্চাশ বছরের মধ্যেই, এই কলকাতা শহরেই থাকতেন তাঁরা, এমন কিছু কান্ড ঘটিয়েছিলেন, যা, অকল্পনীয়। একজন দিলীপ মহালনবিশ, যিনি ওআরএস এর আবিষ্কারক। খবরে দেখলাম, মারা গেছেন। মৃত্যুর খবরে নড়েচড়ে বসলাম। কারণ, বেঁচে যে ছিলেন, সেটা জানতামনা। নোবেল-টোবেল তো পাননি। যদিও পাওয়া উচিত ছিল। আর আমরা এমনই জাত, যে, বাইরে থেকে পুরষ্কার নিয়ে না এলে, কাউকে জাতে তুলিনা। ... ...
তর্পণমন্ত্রগুলি কেবলই কি পিতৃপুরুষকে জল দেওয়ার কথা বলে? নাকি তার গভীরে নিহিত আছে বৃহত্তর মহত্তর কোন অর্থ ও উদ্দেশ্য? শুধু মানুষ নয়, এই বিশ্বপ্রকৃতির প্রতিটি প্রাণ-অপ্রাণকে ভালোবেসে, তার তৃপ্তি ও শান্তি কামনা করে আত্মা থেকে পরমাত্মায় উত্তরণের সমার্থক হলো শাশ্বত ভারতীয় সংস্কৃতি। তর্পণ মন্ত্র তাই নিজ পরিবার থেকে সেই বিপুল আপনের ডাক, ঠিক যেমন দূর ইরানের প্রতিবাদী মেয়েদের ছবি এই আশ্বিনে একাকার হয়ে যাচ্ছে এই মাটির রণরঙ্গিনী দুর্গা রূপের সঙ্গে.... ... ...
1975 সালের 15ই আগষ্ট সপরিবার হত্যালীলার শিকার হলেন, নেমে এলো জাতীয় শোক দিবস। তাঁর সংগ্রামী জীবন ও রাজনৈতিক আদর্শ নিয়ে তৈরি হয়েছে একাধিক কাহিনিচিত্র ও তথ্যচিত্র। ... ...
এই তো বাংলার Socialism। এই Socialism – এর জন্ম কার্ল মার্ক্সের পুঁথিতে নয়। এই Socialism এর জন্ম ভারতের শিক্ষাদীক্ষা ও অনুভূতি হইতে। যে গণ-আন্দোলনের সূচনা বিবেকানন্দের উক্তির মধ্যে পাই তাহা আরো পরিস্ফূট হইয়াছে , দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের বাণী ও সাধনার মধ্যে। দেশবন্ধু বলিয়াছেনঃ মনে করিয়ো না শুধু তোমার মধ্যে ও আমার মধ্যে নারায়ণের বিরাজ। সে অহঙ্কার একেবারে ছাড়িয়া দাও। যাহারা দেশের সারবস্তু , যাহারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলিয়া মাটি কর্ষণ করিয়া আমাদের জন্য শস্য উৎপাদন করে – যাহারা ঘোর দারিদ্র্যের মধ্যেও মরিতে মরিতে দেশের সভ্যতা ও সাধনাকে সজাগ রাখিয়াছে, যাহারা সর্বপ্রকার সেবায় নিরত থাকিয়া আজিও দেশের ধর্মকে অটুট ও অক্ষুণ্ণ রাখিয়াছে- যাহারা আজিও , শুদ্ধ চিত্তে সরল প্রাণে, মর্মে মর্মে দেশের মন্দিরে মন্দিরে পূজা দেয়, মসজিদে মসজিদে প্রার্থনা করে- যাহারা জাতির জাতিত্বকে জ্ঞান কি অজ্ঞানে সাগ্নিকের অগ্নির মতো জ্বালাইয়া, জাগাইয়া রাখিয়াছে- যাহারা বাস্তবিকই এদেশের একাধারে রক্তমাংস ও প্রাণ- ‘উঠ, জাগ জাগ’- তাঁহাদেরই মধ্যে ‘নর-নারায়ণ’ জাগ্রত হউক। ... ...