মানুষের সভ্য হওয়ার প্রথম নিদর্শন আগুন জ্বালাতে শেখা বা চাকার আবিষ্কার বলে অধিকাংশই মনে করে৷ কিন্তু আমার মতে মানুষের অন্যান্য প্রানীর থেকে আলাদা হওয়ার আসল কারণ তাদের কল্পনাপ্রবণতা৷ নিজের পারিপার্শ্বিক নিয়ে চিন্তা, বিভিন্ন গল্পকথা প্রভৃতি তৈরি৷ তাই সাঁওতাল থেকে ভিল হয়ে গোণ্ড পৃথিবীর সমস্ত আদিম আদিবাসীরই রয়েছে নিজস্ব উপকথার সম্ভার৷ রামায়ণ, মহাভারত পড়তে গিয়ে আকৃষ্ট হই এই উপকথাগুলোর উপর৷ জোগাড় করতে শুরু করি উপকথা। ভাবলাম সেই উপকথাগুলোই এক এক করে শেয়ার করি সবার সাথে৷ ... ...
মুনিরা চৌধুরী সম্পর্কে বহু প্রশ্নের উত্তর নেই ... ...
বার বার নিজেকে বোঝাই, আজীবন সারথি জয়ীকেও একই কথা বলি, মার মৃত্যুর জন্য ভেতরে ভেতরে আমরা প্রত্যেক ভাইবোন প্রস্তুত ছিলাম, জীবনের মতো মৃত্যুও অনিবার্য! তবু চোখ মুছলেও যেন কান্না মোছে না।... ... ...
একরকমের ইতিহাস ... ...
কবিতার গায়ে যদি পদ্মাপাড়ের ইয়ে থাকে ? ... ...
আকাশের সীমা হয় ... ...
অশ্লীলতা কাকে বলে তা আজও জানি না ... ...
এই পৃথিবীটা যেন একটি ছোট্র চায়ের দোকান, এখানে আমরা আসি জীবন নাট্যে অংশ নিতে। কেউ ভূমিকা নেয় প্রভুর, কেউ বা দীনহীন নিরীহ প্রজার। এখানে অভিনীত হয়ে চলে কত ঘটনা, দুর্ঘটনা জীবনের বিশাল ক্যানভাসে। একই সূর্যবংশে সৃষ্ট হলেও, পরষ্পরের আত্মীয় হলেও, সূর্যের লালা রক্ত দিয়ে বাঁধা থাকলেও, আলো- জল-উত্তাপ দিয়ে গড়াপেটা হলেও আমরাই কিনা সারাক্ষণ দ্বন্দ্বে মেতে থাকি, চলে ধ্বংসের হোলিখেলা, ধুলোর সাগরে নিমজ্জিত হয়ে ফের হই ধুলো, যা থেকে সৃষ্টি হয় মহাজাগতিক নক্ষত্রের, “চা খেতে খেতেই ছোট্র সে দোকানে লেগেছিল সে সে-যে কি চুলোচুলি-/মালিকে-চাকরে খিস্তি খেউর/উলুড়ি ধুলুরি কী ধুলোধুলি।“ ... ...
...আদালত থেকে পলাতক দুই জঙ্গি দীপন হত্যায় মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। মুক্তমনা লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলাতেও আবু সিদ্দিক সোহেলের ফাঁসির রায় হয়েছে। সিসিটিভির একটি ফুটেজে দেখা যায়, সহযোগিরা পুলিশের চোখে পিপার স্প্রে ছুড়ে ওই দুই জঙ্গিকে মোটরসাইকেলে নিয়ে পালিয়ে যান।... ... ...
বাংলার বাইরে এখন ... ...
বই বোধহয় মাথা গোঁজার ঠাঁই, কার তা জানুন ... ...
বাঙালি কবিদের জনপ্রিয়তা ... ...
দুই প্রার্থীর ভিতরে কে ভাল কে মন্দ সেই বিচার আমি করতে বসব না। করার যোগ্যতাও আমার নাই। আমি শুধু দেখলাম দুই প্রার্থীর ভিতরে একজন হচ্ছে হিন্দু আরেকজন মুসলিম। মুসলিম প্রার্থী ভূমিধ্বস জয় পেয়েছে। এই জয়ের পিছনে তিনি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন ধর্মকে! আমার কথা বলার জায়গা এখানেই। শুধু এই বার না, গতবারও এই দুইজনই প্রার্থী ছিলেন। গতবার আমি নিজে মাইকে শুনেছি বক্তা সরাসরি বলছে উনি হিন্দু মানুষ, তারে ভোট দিবেন? আমি হাঁটছিলাম, মাইকে এমন শুনে থমকে দাঁড়িয়ে গেছিলাম। এমন কথা কেউ বলতে পারে? ... ...
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে এতদিন একতরফা ভারতের আধিপত্য ছিল। এবার গ্রুপ পর্যায়ে তিন শূন্য গোলে হারায় ভারতকে বাংলাদেশ। পাকিস্তানকে হারায় আট শূন্য গোলে। সেমিতে ভুটান হারে আট শূন্য গোলে। ফাইনালে নেপাল হারে তিন এক গোলে। বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়। এমন একতরফা খেলে টুর্নামেন্ট জিতল কোন দলটা? যাদেরকে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করতে হয় পেটের ভাতের জন্য। রূপকথা না? এই দলটার আট জন এসেছে একটা গ্রাম থেকে, নেত্রকোনার কলসিন্দুর গ্রাম, যেখানে অদ্ভুত ভাবে মেয়েরা দারুণ ফুটবল খেলে। যাদের নিয়ে কয়েক বছর আগে তৈরি করা হয় একটা প্রতিবেদন, যেখানে তাঁদের চাওয়া কি জানতে চাইলে মেয়েরা বলে ভাল করে খাওয়া! এক বেলা ভাল করে খাওয়ায় দিয়েন!! কারা আমাদের সাফল্যের মুকুট এনে দিয়েছে বুঝা যাচ্ছে? পাঁচজনের বাড়ি পার্বত্য চট্টগ্রামে। তাঁদের তো আরও সমস্যা। কোন কিছুরই স্বীকৃতি নাই। পাহাড়িদের তো মানুষই মনে করে না আমাদের সভ্য সুন্দরেরা। তাঁদের নাই ঘর বাড়ি, তাঁরা গেছে ফুটবল খেলতে! এই সব সমস্যার পরে আমাদের ঐতিহাসিক আদর্শ নারী বিরোধীরা তো আছেই, যারা প্রতিনিয়ত অশ্লীল, পাপ, রসাতলে গেল সমাজ বলে চিৎকার করছে। এদেরকে লাথি মেরে এগিয়ে যাওয়া, শুধু যাওয়া না, চ্যাম্পিয়ন হওয়া এইটার সাথে কিসের তুলনা দেওয়া যায়? আমার জানা নাই, সত্যিই জানা নাই। ... ...
সম্প্রতি মিয়ানমার বিভিন্নভাবে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে বাংলাদেশের সীমানা লঙ্ঘন করছে। এর প্রকৃতি থেকে পরিষ্কার যে এগুলো এক্সিডেন্টাল নয়। এর কারণ কী সেই ব্যাপারেই অনুসন্ধান করার চেষ্টা করা হয়েছে। ... ...
পাকিস্তান আমলে বামপন্থি একটা সাংস্কৃতিক সংগঠন ছিল, নাম ক্রান্তি। ক্রান্তি দল একবার টাঙ্গাইলে গান গাইতে যায়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে সবাই মিলে হায়দার আকবর খান রনোকে বলে যে তারা মাওলানা ভাসানির সাথে দেখা করতে চায়। রনো সাহেব তাদের নিয়ে চলে যান সন্তোষে মাওলানা ভাসানির সাথে দেখা করতে। মাওলানাকে ঘিরে সবাই বসে আবার গান গাওয়া শুরু করে। মাওলানা মনোযোগ দিয়ে শুনে সব গুলা গান। পরে তিনি সবাইকে চা নাস্তা দিয়ে আপ্যায়ন করেন। গান নিয়েই আলোচনা চলতেছিল। আলোচনার এক পর্যায়ে ভাসানি তাদের বলেন, গান তো ভালই, মুশকিল হচ্ছে এই গান বুঝতে হলে তো কৃষকের বিএ পাস করতে হবে আর না হয় রনোকে যেতে সব জায়গায় এই গানের অর্থ বুঝিয়ে দিতে! এই উদাহরণটা দিলাম কারণ আমাদের প্রায় সব ক্ষেত্রেই এখনও একই অবস্থা। বিপ্লব করব কী। আমরা তো ভাষাই জানি না কৃষকের! প্রচুর প্রগতিশীল মানুষ, সৎ মানুষ, আক্ষরিক অর্থেই ভাল মানুষ, মানুষের ভাল চায় এমন মানুষ জানেই না সাধারণ মানুষের ভাষা! ঢাকা কেন্দ্রিক সব, এখন আরও বিপদ হচ্ছে অনলাইন বা ফেসবুক কেন্দ্রিক কাজকাম! মানুষ ভুলেই গেছে ফেসবুক বাংলাদেশ না। ফেসবুকের বাহিরে পুরো বাংলাদেশই পরে আছে, যাদের নিয়ে কারও কোন মাথা ব্যথা নাই। যারা এর বাহিরে কাজ করতে চায় তারা সাধারণ মানুষের ভাষাই বুঝে না, কাজ কী করবে? এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে কুসংস্কারে খাচ্ছে, ধর্মান্ধতা খাচ্ছে, অশিক্ষায় খাচ্ছে, অপসংস্কৃতি খাচ্ছে। আমাদের ঢাকা কেন্দ্রিক নেতৃত্ব শাহবাগে মানব বন্ধন করে কর্তব্য পালন করছে। আমরা এদিকে হারিয়ে যাচ্ছি অতলে। ... ...
বাংলাদেশে আমার হিসাবে দুইটা শ্রমিক ইউনিয়ন খুব শক্তিশালী। এক মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন আরেক হচ্ছে গার্মেন্টস শ্রমিক ইউনিয়ন। এঁরা শক্ত করে দাবী আদায় করে বলে এঁদের নাম আমরা জানি। বাকিরা শ্রমিক না ধইঞ্চা তাও আমরা জানি না। আমার জীবনের খুব অল্প কিছুদিন স্পিনিং মিলে কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি দেখছি এঁদের কোন সারা শব্দ পুরো দেশে কোথাও নেই। আওয়ামীলীগ সরকার যখন প্রথম দফায় গার্মেন্টসদের বেতন বৃদ্ধি করল সেই সময় আমি নারায়ণগঞ্জে একটা স্পিনিং মিলে চাকরি করি। আমি দেখলাম সেই বেতন বৃদ্ধি এঁদের জীবনে কোন প্রভাব ফেলল না। তখন সম্ভবত সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ করা হয়েছিল ছয় হাজার টাকা। আমি আমার ফ্লোরে অদক্ষ শ্রমিককে বেতন নিতে দেখছি দুই হাজার টাকা, দেড় হাজার টাকা করে! এবং গার্মেন্টস যখন শিশু শ্রম থেকে মুক্ত হয়ে গেছে প্রায় তখন আমি দেখছি স্পিনিং মিলে দশ বারো বছরের শিশুদের দিয়ে কাজ করাচ্ছে, বেতন মাসে এক হাজার টাকা! শিশুদের রাতের শিফটে কাজ করানো আমার পক্ষে সম্ভব না, শুধু মাত্র এই কারণে আমি চাকরি ছেড়ে চলে আসছিলাম। আমি জানি না এখন স্পিনিং মিলের পরিবেশ ক্যামন। খুব একটা পরিবর্তন হয়ে গেছে বলে মনে হয় না আমার। আমি যেটা বলতে চাচ্ছি কোনদিন কোথাও শুনি নাই স্পিনিং মিলের শ্রমিকেরা বেতন বৃদ্ধির জন্য আন্দোলনে নেমেছে। আর নামে নাই বলেই হয়ত আজও অন্ধ কুঠিরে সারাদিন কাজ করে বেতন পাচ্ছে তিন চার হাজার টাকা! কোনদিন এঁরা যদি রাস্তায় নামে আমি আশ্চর্য হব না। তবে আমি যেমন চা শ্রমিকদের কথা জেনে শিউরে উঠেছি, তেমনই তখনও অনেকেই আশ্চর্য হয়ে যাবে এঁদের জীবন কাহিনী শুনে। ... ...
সরকারেরও বুঝা উচিত সীমা যেন অতিক্রম না হয়। একটা পর্যায় গিয়ে হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে যাবে মানুষ। ভাবার, চিন্তা করার ক্ষমতা এমনেই কম আমাদের। সেই সময় আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে যাবে। ইউক্রেন যুদ্ধ, আমেরিকার রাজনীতি, চীনের কূটনীতি, মধ্যপ্রাচ্যের ধর্ম কোনকিছুই মানুষ বুঝবে না। মানুষকে নিঃশ্বাস নিতে দিতে হবে, বাঁচার রাস্তা দিতে হবে। অন্যথায় মানুষের স্বভাবের কারণেই মানুষ ঘুরে দাঁড়াবে এবং প্রলয় ঘটিয়ে থামবে। তখন আর রক্ষা পাওয়া যাবে না। ... ...
কৃষ্ণনগরের বীণা দাস যে পিস্তল দিয়ে গভর্নরকে গুলি করেছিলেন সেটি তাঁরই গোছানো ২৮০ টাকায় কেনা হয়েছিল। বীণাদেবীকে গোপনে লাইব্রেরিতে নিয়ে গিয়ে তিনিই নাকি শিখিয়েছিলেন কেমন করে পিস্তল চালাতে হয়। ... ...