এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  বইপত্তর

  • মাই ইয়ার্স ইন অ্যান ইন্ডিয়ান প্রিজনঃ মেরি টাইলার। অনুবাদ

    বর্গীয় জ লেখকের গ্রাহক হোন
    বইপত্তর | ০৬ আগস্ট ২০২৩ | ৪০১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • প্রত্যর্পণ
    ~~~~~~~

    ডেপুটি হাই কমিশন সচিবের প্রস্তাবটা লুফে নেওয়ার মত ছিল। ওর মতে, আমি প্রত্যর্পণে রাজি থাকলে ভারত সরকার আমার বিরুদ্ধে সব কেসই তুলে নেবে। বস্তুত, তাই যদি হয়, আমি বেমালুম, বিনা বাধায় এই বন্দীশালা থেকে  থেকে হেঁটে হেঁটে বেরিয়ে যেতে পারবো! অপর পক্ষে আমি মামলা লড়তে চাইলে অনির্দিষ্টকাল বিচার চলবে। বিহার সরকার আমাকে "বিপজ্জনক" মনে করে, যেকোন মূল্যে জামিনের বিরোধিতা করবে। আর আমাকে এটাও বলে দেওয়া হয়েছিল যেসব ধারা দিয়েছে তাতে সাজা হলে অন্তত কুড়ি বছরের জেল তো হবেই। বৃটিশ দূতাবাসের কর্মচারীর মতে অমলেন্দুর সঙ্গে আর কোনদিন দেখা হওয়ার সম্ভাবনা নেই এমন ধরে নেওয়াই ভালো। এসবের মধ্যে সুপার হ্ঠাৎ মনে পড়েছে এরকম ভাবে বলে দিল এই মামলায় বেশ কয়েকটা ফাঁসির সাজাও তো হবেই। এটা অবশ্য আমাকে চমকানোর পদ্ধতি, আমি বুঝে গেছিলাম এতদিনে। কনসাল ফিরে যাওয়ার আগে শেষ কথা বলে গেল, বিহারের মুখ্য সচিব বলে দিয়েছে কলকাতায় ফিরে যাওয়াও আমার জীবনের জন্য নিরাপদ না - কলকাতার অবস্থা আর ১৯৭০ এর মত নেই, নকশালদের আর ওখানে কেউ সহ্য করবে না।

    এই প্রচ্ছন্ন হুমকিতে অবশ্য আমি ঘাবড়াইনি। কলকাতার কোন মানুষের আমার বিরুদ্ধে কোন আক্রোশ থাকতে পারে এরকম কল্পনা করার কোন কারন নেই। আবেগ সরিয়ে রেখে প্রত্যর্পণের প্রস্তাবটা ভাবতে চেষ্টা করলাম। সরকারের হঠাৎ হৃদয় পরিবর্তন হয়েছে এমন ভাবার কোন কারন নেই। হাজার হাজার ভারতীয় বন্দীকে বিনা বিচারে অনির্দিষ্টকাল আটকে রাখলেও আমাকে ছেড়ে দিলে বাইরের দেশগুলির কাছে নিজেদের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতে একটু সুবিধে হতে পারে। এসব সত্ত্বেও, প্রস্তাবটা মেনে নেওয়া আমার জন্য সব থেকেই সুবিধেজনক। আমি জেলে বসে থাকায় কারো কোন উপকার হচ্ছে না। এর মধ্যে জেলের অন্য নক্শাল বন্দীদের কাছে থেকে একটা গোপন চিঠি পেলাম - ওদের মতেও প্রত্যর্পণ মেনে নেওয়া আমার জন্য ভালো, যদি না তার সঙ্গে কোন আপত্তিকর বা বিপজ্জনক শর্ত জোড়া থাকে। চিঠিটা পেয়ে আমার খুব ভালো লাগলো, নিশ্চিন্তও হলাম - স্বার্থপরের মত পালিয়ে যাচ্ছি এমনটা কেউ ভাবুক তা আমি একেবারেই চাইছিলাম না।

    দু'সপ্তাহের মাথায় মনস্থির করে কলকাতায় চিঠি লিখলাম - দরকারী আলোচনা শুরু করার জন্য। পুরো ব্যাপারটা আমার কাছে খুব বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছিল না, কিন্তু কারা দপ্তরকে এতটাই নিশ্চিত দেখলাম যে ধরে নিলাম শিগ্গীরই ইংল্যান্ড ফিরে যাচ্ছি। ইংল্যান্ড থেকে পুরনো বন্ধুদের চিঠি পেলে উতলা হয়ে ভাবতাম কখন দেশে গিয়ে মা বাবাকে, বোনের বাচ্চাদের দেখবো। আবার ভারত থেকে ফিরে যাওয়ার চিন্তাটাও বেদনাদায়ক ছিল। সেলের বাইরে মাটি দিয়ে আমরা একটু উঁচু একটা চাতাল মত বানিয়েছিলাম। শরতের অলস দুপুরে সেই চাতালে শুয়ে শুয়ে দেখতাম হাজারিবাগের নিষ্কলঙ্ক নীল আকাশে পাঁচিলের বাইরে ঝিলের ওপারের শ্মশানের ওপর শকুনগুলি ধীর গতিতে পাক খাচ্ছে, আর মনে হত জেলের চার দেওয়ালের ভেতর থেকে যে দেশের মাটিকে এত ভালোবেসে ফেলেছি সেখানে আমার দিন ফুরিয়ে এল।  অমলেন্দুর সঙ্গে আর কোনদিন দেখা হবে না, ওর মা বাবার সঙ্গে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে কীভাবে যোগাযোগ রাখবো - সেসব ভাবতাম। অমলেন্দুকে বিস্তারিত লিখবো চিঠিতে - ও ঠিক বুঝবে।

    জেলের বাইরে ভারত তখন ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে। আসামে ভাষা আন্দোলন, পাঞ্জাবে ছাত্র বিক্ষোভ, দেশের একেক প্রান্তে একেক রকম সমস্যা।
    একদিন হাজারিবাগ থেকে তিরিশ মাইল দূরে রামগড়ের এক ধর্না আন্দোলন থেকে গ্রেপ্তার হওয়া বিহারের এক বিধায়ক এলো আমাদের এখানে। ও আমাদের সঙ্গে অল্পদিনই ছিল, কিন্তু সেই অল্প কদিনে আমি অনেক কিছু জানতে পেরেছিলাম। ও রামগড়ের সিপিআই বিধায়ক। আগে ওর স্বামী বিধায়ক ছিল - নির্বাচনের অল্প ক'দিন পর সে খুন হয়। দল তখন ঠিক করে ঐ আসনে এ দাঁড়াবে, জিতেও যায় - সহানুভূতির ভোটও ছিল বিপুল। আমার ইচ্ছে ছিল ওর সঙ্গে রাজনীতি নিয়ে একটু কথা বলার। ও দেখলাম মার্কস এঙ্গেলস বা লেনিনের ব্যাপারে কিছু জানে না। সরকারী নীতি নির্ধারন এসব নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম - অকপটে স্বীকার করলো ও ইংরেজি জানে না, আর বিধানসভার কাজকর্ম সব ইংরেজিতে হয় তাই ওখানকার আলোচনা বা বিতর্ক কিছুই ও ধরতে পারে না।
    কয়েদীদের অভাব অভিযোগ, বিনা বিচারে দিনের পর দিন আটক থাকা নিয়ে বললাম - দেখলাম কোন উত্সাহ দেখালো না, যেন এসবে কিছুই এসে যায় না। আমার সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে ওর বরং প্রধান উৎসাহ ছিল বিলিতি রান্না আর সেলাই ফোঁড়াই নিয়ে। ও যখন এলো তখন রমজান মাস। দেখলাম কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হয়েও ও খুব নিষ্ঠাভরে রোজা রাখছে - যেন এর মধ্যে বিসদৃশ, অবাক হওয়ার মত আদৌ কিছু নেই।

    আমার স্কুলের সহকর্মী আইরিস মার্কস আমাকে চিঠি লিখেছিল - বরের সঙ্গে ভারতে বেড়াতে এসেছে, জেলে এসে আমার সঙ্গে দেখা করবে। কয়েক মাস পেরিয়ে গেল - ভাবলাম হয়তো কোন কারনে সম্ভব হয়নি। অক্টোবরের শেষে একদিন জেল অফিসে ডাক পড়লো। কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি জোগাড় করে তবে আইরিস আসতে পেরেছে। ওদের পরিকল্পনা ছিল হাজারিবাগে এক সপ্তাহ থাকবে, রোজ আমার সঙ্গে দেখা করবে - সুপার এক কথায় বাতিল করে দিল - একবারই দেখা করার অনুমতি আছে। এই সামান্য দেখার জন্য কয়েকশো মাইলের ঘুরপথ দিয়ে আসতে হয়েছে ওদের। আমার নিজেকেই অপরাধী লাগছিল। আইরিস আশ্বাস দিয়ে বললো তবুও ওদের আসা সার্থক হয়েছে- আর আমি তো আপ্লুত হয়েই ছিলাম - যদিও স্বতঃস্ফূর্ত থাকার উপায় নেই, স্পেশাল ব্রাঞ্চের লোক ভাবলেশহীন মুখে মন দিয়ে আমাদের কথা শুনে খাতায় নোট নিচ্ছে। সুপারকেও দেখে মনে হচ্ছে আমাদের বকবক শুনে বিরক্ত। আইরিসকে লিখেছিলাম বাচ্চাদের খেলার জন্য একটা রাবারের বল আনতে - সুপার সিদ্ধান্ত নিল আমার যেহেতু খাতায় কলমে অন্য বন্দীদের সঙ্গে বাক্যালাপ করার অনুমতি নেই তাই এসব "পাস" করা যাবে না। বাচ্চাদের জন্য আনা মিষ্টি নিয়েও একই সিদ্ধান্ত হল।

    আইরিস আর পিটার আমার ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য যা এনেছিল কপালগুনে সেসব সুপার ছেড়ে দিল। হেপাটাইটিস থেকে সেরে ওঠার পর আমার খিদে, মুখে রুচি সব ফিরে এসেছিল। সত্যি বলতে কী রীতিমত খাইখাই বাতিক তখন আমার - যখনই ইংরেজি খবরের কাগজ আসে, আমি দেশের খবর পড়ার আগে রান্নার পাতা পড়তে শুরু করি - আর ঐসব পদ জেলের রেশন দিয়ে কী ভাবে রান্না করা যায় তাই ভাবতে বসি। কাজে অবশ্য বেশি এগনো যেত না, কারন জেলের সামান্য রেশনে ওসব উপাদেয় রান্নার ধারেকাছেও কিছু করা সম্ভব না। পিটার আর আইরিস চিজ, মিষ্টি আর ফল নিয়ে এসেছিল - মনে হল যেন কতদিনের স্বপ্ন সত্যি হল!

    যদিও দুয়েকদিনে মধ্যে আমার পুরনো দ্বিধা ফিরে এল। আইরিসকে লিখলাম - "মিষ্টিগুলি অসাধারন, কিন্তু কোন বিলাসিতা করতে গেলেই নিজেকে এখন খুব অবিবেচক মনে হয়। সাধারনত কোন ভালো খাবার এলে সবার মধ্যে বিলিয়ে দিই, কিন্তু তারপরেও যেটুকু ভোগ করেছি তার জন্য অপরাধবোধে ভুগি। আমার মনে হয় লণ্ডনে ফেরার আগে আমি আর ঠিকঠাক খাবার খেতে পারবো না - এখানে বসে এসব সুখাদ্য খেতে গেলে নিজেকে মনে হয় ধনাঢ্য সর্বভূক ঔদরিক সুযোগসন্ধানী। ফেরার আগে পর্জন্ত বরং আমি চাপাটি আর ডাল খেয়েই কাটাই।"
     
    জেলের একঘেয়ে জীবনে একটু মাথা খাটাবার সুযোগ করার জন্য আইরিস আমার জন্য নিয়ে এসেছিল কাপড় আর এমব্রয়ডারির জিনিস, আর কিছু মোম পেন্সিল আর কাগজ। ও আমাকে বারবারই আর কী লাগবে জিজ্ঞেস করেছিল, কিন্তু শিগ্গীরই ফিরে যাবো বলে আমি কিছু বলিনি। কথা দিয়েছিলাম তাড়াতাড়িই লন্ডনে দেখা হচ্ছে। তিন বছর বাদে যখন লন্ডন গেলাম তখন জানতে পারলাম হাজারিবাগ জেলে আমার সঙ্গে দেখা করার আগে ওদের দেহ তল্লাশি হয়েছে, আর কলকাতায় আদালতে অমলেন্দুর সঙ্গে দেখা করার পর পুলিশ হোটেলে এসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে নিয়ে গেছে।

    সেই শরতে আমাদের এখানে বেশ কয়েকজন অল্পবয়সী প্রাণচঞ্চল বন্দী এল - আমরা প্রায় প্রতি বিকেলেই খেলাধুলো করে কাটাতাম - কাবাডি, লুকোচুরি, চুকিৎকিৎ, ব্যাং লাফ - এইসব! সবচে উচ্ছ্ল প্রাণবন্ত বিলকিস - ফাটকের দিনগুলি হাসিখুশিতে ভরিয়ে রাখতো! অল্পবয়সী মুসলমান মেয়ে, একটি হিন্দু ছেলের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেছে। ওদের প্রেমপর্ব চলছিল বাড়ির চাকরের হাত দিয়ে চিঠি চালাচালি করে! বিলকিসের কাকার অভিযোগে ওরা আটক হয়েছে। কাকা ওর অভিভাবক, সঙ্গে স্থানীয় মুসলমান সমজের বড় সমর্থন আছে। কাকা বলেছে নিজেদের এলাকায় মুখ দেখালে দু'জনকেই কেটে ফেলবে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ভয়ে দু'জনকেই জেলে পুরেছে - হাকিম জামিন দিতে রাজি হয়নি, বলেছে জেলের বাইরে ওদের জীবন নিরাপদ না।

    ছেলেটি আটক হয়েছে অপহরন আর ধর্ষনের অভিযোগে। যতক্ষন না বিলকিস সমর্থন করে বয়ান দেবে ততক্ষন এ অভিযোগ ধোপে টিকবে না। আঠারো বছরের কম হলে সম্মতির দাম নেই, তাই বয়সের প্রমানের জন্য বিলকিসকে খুঁটিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। বিলকিস অবশ্য আঠারোর বেশি বয়সীই। ও আমাকে বলেছিল ওর স্কুল শেষ হবে শিগ্গিরীই; কাকা প্রেম আটকানোর জন্য এক তুতো ভাইয়ের সঙ্গে ওর বিয়ে ঠিক করে রেখেছিল। বিলকিসের অদম্য জেদ আর সাহসকে আমি শ্রদ্ধা করার মত - কাকার লাগাতার হুমকি অগ্রাহ্য করে ও নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল। কাকা রোজ জেলে আসতো দেখা করতে - শেষে একদিন বিলকিস জানিয়ে দিল ও আর দেখা করবে না। কাকা এক সহকারী জেলারকে ধরলো ওর হয়ে বিলকিসের সঙ্গে কথা বলার জন্য।  হিন্দু ছেলের সঙ্গে ভবিষ্যত নিয়ে বিলকিসকে ভয় দেখাতে লোকটি আমাদের ফাটকে ঘনঘন আসতো। 

    জাতের বাইরে বিয়ে করলে কী হয় সেই নিয়ে বলতো, বলতো হিন্দু শ্বশুরবাড়িতে কেউ ওর ছোঁয়া খাবে না, ওর ছুঁয়ে ফেলা জলও খাবে না কেউ। বিলকিসকে রাজি করানোর চেষ্টা করতো যেন ও ছেলেটির বিরুদ্ধে বয়ান দেয়। তাতে অপহরন আর ধর্ষনের দায়ে ছেলেটির  দশ বছরের জেল হবে, বিলকিস কাকার নিশ্চিন্ত আশ্রয়ে ফিরে যাবে - যেখানে বিলকিস ওর “অপরাধের” উপযুক্ত শাস্তি পাবে!

    এদের অবশ্য জেলে শত্রু আর বন্ধু দুইই ছিল - বন্ধুরা শত্রুদের থেকেও বেশি গোলমেলে! কয়েকজন পুরনো ব্রাহ্মণ ওয়ার্ডার ছিল - কয়েদীদের ওপর উপদ্রবের জন্য কুখ্যাত। দেখা গেল আমাদের সঙ্গে যা দুর্ব্যবহার করে তার একেবারে বিপরীতে বিলকিস আর ওর বরের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য ওরা খুবই উদগ্রীব!  আমি যতদূর বুঝেছিলাম, এরা বিলকিসের হিন্দু ছেলের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করাটাকে হিন্দুদের মুসলমানদের ওপর জয় হিসেবে দেখছিল! এই জিনিসই, যদি ওদের বাড়ির কোনও মেয়ে অন্য জাতের ছেলের সঙ্গে বিয়ে করতো তাহলে ওরা অগ্নিমূর্তি ধারন করতো। 
    এতরকম চাপের মধ্যেও বিলকিস নিজের প্রতিজ্ঞায় অনড় থাকলো। অবশেষে পাঁচ মাস পর ওরা ছাড়া পেল - শর্ত,  নিজেদের এলাকায় ফেরা যাবে না। মজার ব্যাপার হল ভারত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ, আইনের চোখে ওরা কেউ কোন অপরাধ কিন্তু করেনি!

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • বইপত্তর | ০৬ আগস্ট ২০২৩ | ৪০১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 2601:84:4600:5410:d55:9ac5:9595:803d | ০৬ আগস্ট ২০২৩ ০৭:৩৮522133
  • পড়ছি 
  • | ০৬ আগস্ট ২০২৩ ১৫:২৭522166
  • যথারীতি দুর্দান্ত। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন