এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  সমাজ

  • আমরা আর ওরা

    নিরমাল্লো
    আলোচনা | সমাজ | ০৯ জুলাই ২০২৩ | ৯৪৪ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)

  • মধ্যপ্রদেশের ঘটনাটা দেখার পর থেকে মাথার মধ্যে কিছু জিনিস ঠিক করে কাজ করছে না। মানে সব কিছুই করছি, দেখছি, কিন্তু মনের মধ্যে একটা প্রচণ্ড অস্বস্তি কাজ করছে, যার র‍্যাশনালিটি ঠিক করে খুঁজে পাচ্ছি না। ভয়, না রাগ, না ঘৃণা—কিছুই ঠিক বুঝতে পারছি না।

    আমার র‍্যাশনাল বন্ধুরা হয়তো বলবে, এ আবার নতুন কী? এ কি জানা ছিল না? এমন তো নয়, যে এমন ঘটনা হঠাৎ ঘটেছে—এরকম হয়েই থাকে। আমি ভারতের যে প্রান্তে বাস করি, সেখানে এটা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। আমার নিজের ছাত্রটিকে দেখেই বুঝতে পারি। সে সম্ভবত দলিত সমাজের থেকে উঠে এসেছে। তাকে তার নাম লুকাতে হয়, নইলে সোশাল মিডিয়ায় সবাই বুঝতে পারবে — এই হল ডিস্ক্রিমিনেশনের, এলিয়েনেশনের ভয়। এ ভয় যে কী তা আমি আর আমার আর পাঁচটা সাধারণ মানুষ বুঝবো না। যাদের হয় তারা বোঝে।

    এমন নয়, যে এই ঘটনা আজকেই শুরু। এর বীজ তো বহু আগের। সেই ক্লাস সেভেন না এইটে ভূবন সোম পড়েছি। সিনেমা তো তখন অত জানতাম না। বনফুলের লেখার ফ্যান ছিলাম। কিন্তু সেখানে ভূবন সোমের জবানিতে নিচু জাতের উপরে যে তাচ্ছিল্য বা ঘেন্নার কথা পড়েছি, সেটা পড়ে নিজেই অবাক হয়ে গেছিলাম। ভাবলাম—এ কি বনফুলের নিজের কথা, নাকি কাহিনীর জন্য এভাবে লিখেছেন? বুঝতে পারিনি, কিন্তু সেই নিয়ে উচ্চ্যবাচ্য করিনি। আজ এতদিন পরে মনে হয়—হয়তো সেখানেও ছিল কিছু।

    একইরকম ভাবে, মুজতবা আলী পড়তে ভালোবাসতাম খুব। ওঁর নিজের জবানীতে শুনেছি — পাঠশালায় গুরুমশাইকে দুইহাত দূরে দাঁড়িয়ে দূর থেকে শ্লেট দেখাতেন (পাদটীকা দ্রষ্টব্য)। অথচ অন্য লোকের স্মৃতিচারণে শুনেছি—উনি যখন কারো কোয়ালিফিকেশান হিসেব করছেন, তখন জাতের হিসেব নিচ্ছেন, যে সে এসসি-এসটি কিনা। তারা নাকি চাকরি বাগিয়ে নিচ্ছে, পুরোপুরি আনকোয়ালিফায়েড। শুনে একটু অবাক হয়েছিলাম। তাহলে নিচু জাতের হিসেব সবাই করে!

    নিজের ছেলেবেলার কথা বলি। গভর্মেন্ট স্কুলে পড়তাম। স্কুলে বাঁদরামি করতাম না—এমন বললে মিছে কথা বলা হবে। কিন্তু সেই বাঁদরামির মাত্রা বেড়ে যেত, মৌলভি সায়েব আসলে। তাঁর ম্যানারিজম নকল করে, ডেস্কে ব্যাঙ রেখে, নানাবিধ কার্যকলাপ করা হত—যা অন্য মাষ্টারমশাইদের উপরে করতে দেখিনি। ভুল বললাম, করা হত—তাঁরা এফিমিনেট হলে বৌদি ডাকা হত। কথা বলার ধরন আলাদা হলে নানান নামে ডাকা হত। বড়রা শুনলে বলতেন, ছেলেমানুষ। আমাদের সংবেদনশীলতা পরিশীলত হল না।

    ডে স্কুলে একবার আমাদের স্কুলে একজন অঙ্কের টিচার এলেন। তাঁর নাম আজ আর মনে নেই, সারনেম মান্ডি। অর্থাৎ শিডিউলড ট্রাইব। তিনি যে কিছুই জানেন না—সেটা প্রমাণ করার জন্যে আমাদের চেষ্টার খামতি ছিল না। ডেস্কে একবার সাপ রাখা হয়েছিল। দুর্ভাগ্যবশত বা সৌভাগ্যবশত—সাপটা ছিল বাচ্চা, এবং ধ্বস্তাধস্তিতে সে মারাই গেছিল। ফলে মাণ্ডিবাবু এসে চক নিতে গিয়ে—এ যে সাপ রে—বলে যখন নিজেই তুলে বাইরে ফেলে দিলেন, তখন স্বস্তিই পেয়েছিলাম। সেই বয়সে মব মেন্টালিটিতে তাঁর প্রতি কী মনোভাব ছিল আমার—সেটা ভাবলে এখনো লজ্জাই পাই।

    এমন নয় যে আমাদের স্কুলে বাকি অঙ্কের মাস্টাররা সকলে রামানুজনের মত ব্রিলিয়ান্ট ছিলেন, কিন্তু ঐ যে জাত—ঐতেই আমরা বুঝে গেছিলাম, যে উনি কিচ্ছু জানেন না। জাতের দোহাই দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। এ নিয়ে কথাও হত আমাদের মধ্যে। একটু উঁচু ক্লাসে উঠলে অনেক বলত এসব কথা।

    আজ আমিও একটা কলেজে পড়াই। মাস্টার্স বা পিএইচডি ছাত্রছাত্রীদের হায়ার করি। বছর বছর সিট খালি যায়। জেনারেল সিটে নেবার মত যোগ্যতা-ওলা লোক পাই না। অথচ সকলের মড়াকান্না শুনি—ওগো এসসি-এসটি সিট নিয়ে গেল। গভর্মেন্টের নতুন নিয়মে যে সব কোটার স্টুডেন্ট জেনারেল কাট-অফের বেশি পায়, তাদের জেনারেল ক্যাটাগরিতেই পড়তে হয়। সেই সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। ফলে আরো দুঃখ। এরা জেনারেল সিটও কাড়ছে — কোটার সিট তো বাঁধাই। অথচ এমনটাই হবার কথা ছিল কিন্তু। ভালো ছেলেমেয়েরা কঠিন লড়াইটা করবে, যারা পিছিয়ে আছে—তাদের একটু এগিয়ে যাবার সুযোগ দিতে হবে।

    সবাইকে নয়, বেছে নেওয়া হয় তারপরেও। যারা সুযোগ পেয়ে কলেজে চান্স পেল, তারা কিন্তু জীবনযুদ্ধে জিতে গেল না — তাদের তারপরেও ভালো রেজাল্ট করতে হয়। যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে চাকরি পেতে হয়। আর যাই হোক—কর্পোরেট দুনিয়া কোটা দেখে বসিয়ে মাইনে দেবে এমনটা বিশ্বাস হয় না।

    কিন্তু মানুষ তাই বিশ্বাস করে। মানুষ জানে তার লতায়-পাতায় সম্পর্কযুক্ত যে ছেলে বা মেয়েটি ৫৫% পেয়ে কলেজে সিট পেল না, তার চেয়ে ৪৫% পাওয়া এসসি/এসটি ছেলে বা মেয়েটি অনেক কম শিক্ষিত। অথচ আমরা যারা স্কুল কলেজে পড়াই এবং সত্যিকারের ভালো ছেলে-মেয়ে দেখি – বুঝতে পারি ৫০% আর ৩৫%-এ খুব বেশি ফারাক নেই। কিন্তু ৮৫% আর ৯০%-এ ফারাক আছে। অনেকটাই ফারাক। সেটাকে লিনিয়ার কোরিলেশান দিয়ে পার্সেন্ট মেপে বোঝানো যায় না।

    যদিও সেই পদ্ধতিই চলে এসেছে এতদিন ধরে। সবাই তাই ধ্রুব সত্য বলে মেনে এসেছে। সকলেই মনে করে তার প্রতি করা ইনজাস্টিসটাই সবথেকে ঘৃণ্য। তাই আমরাও মনে মনে ভাবি – কোটার ছেলেমেয়েগুলো আসলে বাজে। আর যারা ভালো, তারা নিশ্চয়ই এডভান্টেজ নিচ্ছে। নিশ্চয়ই তার বাবা মায়েরা অনেক বেশি ইনফ্লুয়েনশিয়াল, টাকা দিয়ে ব্যবস্থা করে দিচ্ছে আরো নানান রকম।

    ইউএস-এ থাকতে কোনো এক এনজিও ওয়ার্কারদের সাথে একবার কথা হচ্ছিল — তারা ব্রংক্স অঞ্চলে একটা প্রজেক্ট করত। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ‘সিঙ্গল মাদার’দের ‘স্পেশাল হেল্প’ করা। যারা শুধু ছেলেমেয়ের পেট ভরাবার জন্যে ২-৩ শিফটে কাজ করে, তাদের সঠিক কাজ খুঁজে দেওয়া ও তাদের শুধু ছেলে মেয়েদের পড়াশুনার বন্দোবস্ত করা। এরকম তারা তদ্দিন করত—যদ্দিন না মা মোটামুটিভাবে ছেলেমেয়ের ব্যবস্থা নিজেই করে নিতে পারে৷

    ছেলেটি আমাকে বলেছিল, আমরা গত দশ বছর এই কাজ করছি। এখন দেখছি—যে সেই ফ্যামেলির মায়েরা বা তাদের মেয়েরা এই প্রোগ্রামে আবার ফিরে আসছে। তাই আমরা নতুন প্রজেক্ট খুলেছি৷ আমরা আর শুধু সিঙ্গল মাদারদের সাহায্য করছি না। আমরা কম্যুনিটিকে সাহায্য করার চেষ্টা করছি। আমাদের বিশ্বাস—কম্যুনিটির উন্নতি না হলে এদের অবস্থার উন্নতি হবে না। কিন্তু তার জন্যে টাকা চাই—প্রচুর টাকা। আর চাই সরকারি পরিকাঠামো। পরোপকারের টাকায় তারা সামলে উঠতে পারছে না।

    কিন্তু আমরা হয়তো সে সবে বিশ্বাস করি না। আমরা এসব খবরকে স্ক্যাম ভাবি – ভাবি সেকু-মাকুর চাল। আমরা বিশ্বাস করি নিচু জাতেরা ইনকম্পিটেন্ট। তারা অনর্থক বেশি সুবিধে পায়। তাদের মাথা নত করেই থাকা উচিৎ। আর তারই প্রকাশ দেখি ফেসবুকে, খবরের কাগজে, নিউজ চ্যানেলে। একজন নেতা কোনো ইন্সটিগেশান ছাড়াই একজন আদিবাসীর মুখে প্রস্রাব করে দিয়ে গেল। একটি ন-বছরের ছেলে এক উঁচু জাতের শিক্ষকের জলের জগ ছুঁয়ে ফেলেছিল বলে তাকে সেই শিক্ষক পিটিয়ে মেরে ফেলে দিল।
    আমরাই আবার গর্ব করি সভ্যতার!
    ছোঃ!!


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৯ জুলাই ২০২৩ | ৯৪৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পেডাণ্টিক | 2601:5c0:c280:d900:9982:d8b2:2173:4ebb | ১০ জুলাই ২০২৩ ১৭:৩৬521139
  • ভালো লেখা তবে একটু ফেসবুকের হ্যাজ টাইপের। রাগ হয়েছে তাই র‍্যান্ট লিখে একটু শান্তি পাওয়া গেলো টাইপের। তাতে অবশ্য ক্ষতি নেই। কিছুই না থাকার থেকে একটু প্রতিবাদ রেজিস্টারড থাকা ভালো। 

    দু-একটি মাইনর আপত্তিঃ 
    ১) ভূবন না ভুবন? 'যোগ্যতা-ওলা' কেন, যোগ্য বললেই হয় না? গভর্মেন্ট না গভর্নমেন্ট, ইত্যাদি চোখে লাগলো। আর যে ইংরেজি শব্দগুলো অনায়াসে বাংলা করা যায়, সেগুলোই বা করা হয়নি কেন? এডভান্টেজ, ইনজাস্টিস, ইনফ্লুয়েনশিয়াল - এগুলোর বাংলা প্রতিশব্দ নেই? হ্যাঁ এগুলোই আমরা হয়তো বলার সময় বলি, কিন্তু কথ্য আর লেখ্য ভাষা একেবারেই এক হবে কেন? 
    ২) লাস্ট লাইনটা ক্লিশে লেগেছে। কারা গর্ব করে? মানে যারা করে তারা তো আর গুরুতে এসে এই লেখা শেষ অব্দি পড়বে না। মানে "ঘুণধরা সমাজের" উপর লেখকের চাবুক সপাং-সপাং করতে ইচ্ছে করে তা বুঝি, কিন্তু সে সমাজ কি আর সকালে উঠে প্রবন্ধ পড়ে? 
  • Nirmalya Bachhar | ১০ জুলাই ২০২৩ ২০:৪২521142
  • পেডাণ্টিকের সবকটা অভিযোগ মেনে নিলুম। এটা সত্যি ফেসবুকের হ্যাজ ছিল। ইপ্সিতাদি বলল তাই একটু গুছিয়েগাছিয়ে এখানে ঝেড়ে দিলুম। ঐরকম র‍্যান্ট করতে ইচ্ছে করে মাঝে মাঝে, এটাও সেটাই। 
     
    ইংরেজী শব্দগুলো আমি ইচ্ছে করে বাংলা করি না। বলা কথা আর লেখা কথার মধ্যে ফারাক ইচ্ছে করে রাখি না। এর বিরুদ্ধ যুক্তিও জানি, কিন্তু ঐ যে দুর্যোধনের মত বলতে ইচ্ছে করে - জানামি ধর্মং ন চ মে প্রবৃত্তিঃ। 
  • ইমন ভাষা | 2401:4900:7064:8711:7455:3aff:fe06:b4d2 | ১২ জুলাই ২০২৩ ০৫:২৪521168
  • ভালো প্রতিবেদন
  • Rana | 136.226.255.15 | ১৩ জুলাই ২০২৩ ১২:৩৪521200
  • নির্মাল্য 
     
    কিছু বক্তব্য রয়েছে। 
     
    একথা অনস্বীকার্য্য যে স্কুলে মৌলবী স্যার বা মান্ডিবাবুর ক্লাসে বেশ উশৃঙ্খলতার উপদ্রব হতো। কিন্তু আমার যতদূর মনে পড়ে, তা তাদের জাত ধর্ম বা শ্রেণী পরিচয়ের ভিত্তিতে নয়। সেই বোধটাই আমাদের তখন ততটা ছিল না - তোমার লেখাতে যা  সতঃসিদ্ধে পরিণত হয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ, সাবীর বাবুর ক্লাসে এমন কোনো গোলমালই হতো না। আরো বহু শিক্ষক ছিলেন যাঁরা হয়ত উচ্চ বর্ণের ছিলেন না। তা বলে তাঁদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধার কিছু ঘাটতি পড়েনি।  প্রাক্তনী হিসেবে এই প্রতিবাদ রাখা প্রয়োজনীয় মনে করলাম। 
     
    মুজতবা প্রার্থীর জাত গোত্র প্রশ্ন করে যোগ্যতা বিচার করেছেন এর রেফারেন্স পেলে ভালো হয়। 
     
    একথা সত্যি যে গোটা পৃথিবীতে মেজরিটির মাইনরিটির প্রতি গড় মনোভাব বিমাতৃসুলভ। ভারতের মতো পাঁচমিশালি দেশে এ সমস্যা বহুমুখী। এ কথাও সত্য যে গড় মনোভাব সমাজের প্রতিটি মানুষের মনোভাবের পরিচায়ক নয়।তোমার লেখার মূল সুরের সঙ্গে আমার দ্বিমত নেই, কিন্তু প্রকাশভঙ্গি উপলব্ধিমূলক অপেক্ষা তথ্যনির্ভর হলে আরো ভালো হতো। 
  • Nirmalya Bachhar | ১৪ জুলাই ২০২৩ ১৮:১৫521230
  • @Rana 
    মুজতবা আলীর রেফারেন্স পড়ে নেবেন এখানে
     
    বইঃ মজলিসী মুজতবা
    প্রবন্ধঃ মা'র কথা মনে পড়লে সৈয়দদা কাঁদতেন
    লেখকঃ সোমেন চট্টোপাধ্যায়
    প্রকাশকঃ কোরক
    ১৩৯৫
     
    বাকি কথার উত্তরে বলব, আপনি কি মনে করতেন সে ব্যপারে আমার কোনই বক্তব্য নেই। আমি ওখানে ৯ বছরে যা শুনেছি, যা বুঝেছি সেই হিসেবে আমার যা মনে হয়েছে তাই লিখেছি। আমি জানি না আপনি কিসের রেফারেন্স চাইছেন! যেটুকু রেফারেন্স দেবার তা দেওয়া আছে। আর গভঃমেন্টের কি রুল সেটা জানাটা খুব কঠিন কিছু নয়। আর সিলেকশান কি হয় না হয় জানতে একটা RTI ফাইল করলেই জানা যাবে। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন