এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  স্মৃতিচারণ  স্মৃতিকথা

  • ভগবান কতো ভালো

    নিরমাল্লো লেখকের গ্রাহক হোন
    স্মৃতিচারণ | স্মৃতিকথা | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৮৩৯ বার পঠিত | রেটিং ৪ (৩ জন)
  • ভগবান কত ভালো, 
    অপরের চোখ অন্ধ করেও আমাকে দিলেন আলো...

    মনে পড়ে নাকি সুমনের গানটা? যদিও কবীর সুমনের নাম শুনলে অনেকেই বিরক্ত হন সেরেফ এই জন্যে যে তিনি নিজের ধর্ম পরিবর্তন করেছেন। তবে এই দেশে এখনো নিজের ইচ্ছে মত ধর্ম বেছে নেবার স্বাধীনতা আছে। এখন কথা হল ধর্ম বেছে নিতে হয় কেন? কারণটা জেনে অবাক লাগলো সেদিন, যখন ব্যাঙ্কে গিয়ে ফিক্সড ডিপোজিটের ফর্মে দেখলাম ম্যান্ডেটরি অপশানে লেখা আছে তোমার ধর্ম কি সেটা বলতে হবে। আমি ম্যানেজারকে জিগালুম, স্যার, আমার ধর্ম নিয়ে আপনাদের কি মাথাব্যাথা? টাকা কি ধর্ম অনুযায়ী আলাদা ইন্টারেস্ট দেবে? তাতে জানলুম ভারতবর্ষে আমার আইডেন্টিটির মধ্যে একটা অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল যে আমি হিন্দু নাগরিক। তাহলে বুঝতেই পারছেন যে ধর্মটা আমাদের দেশে কি জরুরি। ম্যানেজার অবিশ্যি ভদ্দরলোক, আমাকে বললেন, আপনার যদি হিন্দু লিখতে আপত্তি থাকে তবে ঐ আদারস বক্সে টিক করে এথেইস্ট লিখতে পারেন। তা আমি আর আদার কারবার করলাম না। যেচে ঝামেলা করে কে মোশাই। যাচ্ছি আমেরিকা, বাবা হিন্দু ছেলে অন্য জাত কি বিত্তান্ত এই সব গন্ডোগোলে কে পড়ে। টুকুস করে হিন্দু বক্সে টিক মেরে দিলুম। মনে মনে ভাবলুম, এতে কি যায় আসে। আমার আইডেন্টিটি কি একটুকরো কাগজে আছে! 

    তা এলুম আমেরিকা বুইলেন মশাইরা। সে এক আজব শহর। তবে এর রকম সকম দেইখ্যা আমার ঘুইর‍্যা  গেছে মাথা বলা যায় না। দিব্যি বোম্বের পরিচিত যানজট। মাল্টি এথেনিক লোকজন। আশেপাশে কিন্তু গন্ডায় গন্ডায় চার্চ বুইলেন। তা চার্চ তো থাকতেই পারে। ইশকুলের পাশে চার্চ থাকবে না। একে তো পরীক্ষা টরিক্ষা আছে, প্লাস ধরুন প্রেমে পড়েছেন, বিয়ে করতে চান; তারও সুব্যবস্থা আছে। খুবই ভালো ব্যবস্থা মানতেই হবে। যাক অনেক ভ্যান্তাড়া করেছি, আসল কথায় আসি। দুদিন আগে বুইলেন কিনা, এক ছোকরার সাথে আলাপ হল। আলাপ বললে ভুল হবে, খানিক বাগবিতণ্ডা হল। সেইটে বলব বলেই এতক্ষণ গৌরচন্দ্রিকা করছি। 
    তো কি হল শুনুন, আমি তো বিকেলের দিকে বুইলেন, মনের দুঃখে ল্যাব থেকে ফিরছি। কাজটাজ কিচ্ছু এগুচ্ছে না। সেই গোপালের এক পা এগোই তা দু পা পেছুই, এমনি হচ্ছে। তা আমার দুঃখপ্লাবিত মুখখানা দেখে না কালো কটকটে হিদেন দেখে জানিনা, এক আফ্রিকান আমেরিকান ছোকরা হঠাৎই আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে পড়লে। আমি সদ্য আমেরিকান সৌজন্য শিখছি, একটু দাঁত দেখিয়ে, স্কিউস মি বলে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছি, দেখি ছোকরা বলে, ওয়েট ব্রাদার। তা হঠাৎ করে এমন লং লস্ট ব্রাদারের ধাক্কায় একটু কিংকর্তব্য হয়ে আছি, ছোকরা শুরু করলে তার বাণী। প্রথমেই বলে, আমরা একটা বাইবেল স্টাডির দোকান, ইয়ে ডিস্কাশানের আয়োজন করেছি, তুমি কি আসতে চাও। আমি তো হাত নেড়ে পালাতে চাইছি, কিন্তু সেও নাছোড়বান্দা। বলে তোমার কি দুমিনিট সময় নেই। এবারে দু মিনিট সময় নেই এত বড় বিজি লোকও আমি নই, তাই দাঁড়ালুম। আসলে মনে মনে কিউরিয়সিটিও জাগছিল। ভাবছিলাম এরা কি এই ভাবেই লোককে কনভার্ট করে, সেই কত কি পড়েছি মিশনারিদের সম্পক্কে! এই কি সেই!! তা সে সব চিন্তার জাল কাটিয়ে ছেলেটির বক্তব্যে মন দিলাম।  বাকি কথোপকথন এক্কেরে ডিট্টো তুলে দিলুম -

    ছোকরা আমেরিকান, তাই শুরুতেই সমস্যার মূলে কুঠারাঘাত করলে। "হুইচ গড ইউ বিলিভ ইন?" 
    আমি একটু ভেবে টেবে বললাম, তা দেখো কোনো গডেই আমার তেমন ভরসা নেই। তুমি কি চাও সেটা বলে ফেল দেখি। 
    ছেলেটা চোখ কপালে তুলে বল্ল, গডে বিশ্বাস কর না, মাই গড! কেন? 
    আমি কই, দেখো বাছা, ঢের দিন হল এই পিথিমিতে আছি, একটু ইতিহাস পড়েচি, সামান্য বিজ্ঞানও জানি, তাতে করে দেখেছি ভগবানের অস্তিত্ত্ব পাওয়া যাচ্ছে না। 
    ছোঁড়াটা চালিয়াতির হাসি হেসে বল্ল, আচ্চা তোমার মনে হয় কখনো তুমি পাপ করেছো? 
    আমি কই, পাপ পুণ্য তো মানুষের করা হে। কোনটা ভালো কাজ আর কোনটা খারাপ সেটা আমরাই বানিয়েছি তো। 
    সেটা এল কোত্থেকে? 
    আহা, সে তো ঐ আদিম যুগের কন্সেপ্ট। যেখানে গোষ্ঠিপতিরা ঠিক করে দিত কি ঠিক আর কি ভুল। 
    আরে বাবা, গোষ্ঠিপতিরা কি করে জানলো কি ঠিক আর কি ভুল।
    ধ্যাত্তেরি ছাই, শোন ধর আজ যদি তোমার কথা শুনে বিরক্তও হই, তবে কি তোমার মাথায় মুগুরটা ভাঙতে পারবো? পারবো না, কারন? এটা অন্যায় তাই তো? তুমি জানতে চাইছো এটা কেন হল তাই তো? এটা হয় যাতে গোষ্ঠিটা বজায় থাকে, নিজেরা খেয়োখেয়ি করে মরে গিয়ে অন্য গোষ্ঠীর সুবিধে না করে দেয়। সেই থেকে। তাই চুরি ডাকাতি করা মহা পাপ, নিজেদের গোষ্ঠীর মধ্যে, পরের গোষ্ঠী বা দেশের উপরে হলে তারা কংকারার, বা হিরো বলে পুজো পায়, বুঝলে?
    আচ্ছা তোমার কখনো মনে হয় না, যে তুমি পাপ কচ্ছ? মানে মনের মধ্যে থেকে বুঝতে পারো তুমি ঠিক করছ না।
    হয় বইকি! আমিও তো মানুষ।
    এই ফিলিংটা পাও কোত্থেকে?
    আমি মনে মনে ভাবি ছোঁড়াটাতো মহা ঢ্যাঁটা, এক কথা বার বার জিগায়! ডেঁটে বল্লুম, দেখো ভাই, আমার পাপ মানে ধরো, এক ঠোঙা চিপ্স খেয়ে ফেলে যে পাপ বোধ হয় সেই, একদিন মন দিয়ে কাজ না করলে যা পাপ হয় সেই। আমি চুরিও করি নে, ডাকাতিও করি নে, পরকীয়াও করি নে। তাইলে যেটা থাকে সেটা হল নিজের ভাল বোঝা সত্ত্বেও সেটা না করা। বুইলে কি বলছি? 
    কিন্তু আমি যীশুকে স্মরণ করে খুব আনন্দ পাই বুঝলে, মানে খুব খুব খুউউব আনন্দ পাই! আমি মনে মনে ভাবি, সে তো দেখতেই পাচ্ছি! মুখে বললাম, ও তোমার মতিভ্রম। সে বলে না না, বুঝছ না, যীশুকে আমি দেখতে পাই না, কিন্তু তার অনির্বচনীয় প্রভা আমার মনকে শান্ত করে তোলে। 
    আমি বন্নু, ওই হল গে ধর্মের আফিম বুইলে। আসলে কোনো মানুষের শান্তি নেই। তাই তাদের ঐ ছেলেভোলানো শান্তির আশ্বাস দেখিয়ে ধর্মগুরুরা বেঁধে ফেলে। এই বলে, আমাদের মাথার প্লেজার সেন্টার, আর ঐ সব ডোপামিন টিনের কথা বলতে যাচ্ছি, ছোকরা আটকে দিল। আমিও জ্ঞান না দিতে পেরে ভারি মুষড়ে পড়লাম। 
    বলে, যীশুই কেন একমাত্র উদ্ধারকারী বলতো? আমি বলি, কে বলেছে, যীশু যা যা বলে গেছে তা তো যুগে যুগে সব ধর্মের ধর্মগুরুরাই বলে গেছে। যীশু তো সেদিনের ছোকরা। এই খোকা আবার ঘটঘট করে মাথা নেড়ে বল্ল, তুমি কিচ্ছু জানো না। যীশুই হলেন আসল উদ্ধারকারী,  কারন যখন যীশু ক্রুশে চড়লেন, তখন আমাদের সব পাপ উনি নিয়ে নিলেন। আমাদের লোভ, লালসা, ঈর্ষা সব। 
    আমি তো শুনে হাঁ!! বললাম, বলো কি গত দুহাজার বছরের সব পাপ উনি নিয়ে নিয়েছেন। ছোকরাও একই ভঙ্গীমায় মাথা নেড়ে বললে, হুঁ তাই। আমি কই, তাইলে এই সব পাপের দায় তবে যীশুর? আর যীশু বুঝি শখ করে ক্রুশে চড়েছিলেন? মানে রোমানরা তাকে না মারলেও উনি সটান ক্রুশে শুয়ে উপরে যেতেন? ছোঁড়া বিব্রত হয়ে বলে না না তা কেন? তবে উনি আমাদের পাপে মরেছেন এটা ঠিক!! 
    আমি আর কি বলি, মনে মনে ভেবে দেখলুম এরকম অকম্মা লোকজনের জন্যেই বোধায় যীশু মরে গেছিলেন, লজ্জায়! 
    ছোঁড়া এবারে এটাক লাইন চেঞ্জ করল। বলল, আচ্ছা তুমি তো বললে মানুষের মনে শান্তি নেই। তারা যা চায় তা পায় না বলে আক্ষেপ করে। আমি বলছি তুমি যদি প্রভুর শরণে আস তবে তুমি এই শান্তি পাবে। তুমি যত প্রভুকে জানবে, তত বেশী শান্তি।
    আমি বললুম, দেখো ভাই, শান্তি মানুষের কোনকালেই নেই। ভগবান থাকলেও নেই, না থাকলেও নেই। এই যে তুমি আজ হাসিমুখে শান্তি শান্তি করছ, তোমায় যদি হপ্তাখানিক না খেতে দিয়ে রাস্তায় শুইয়ে রেখে দি, তোমার এত শান্তি থাকবে? যীশু কি তোমাকে খাইয়ে দেবে? দেবে না। নিজের রুটি তোমাকে নিজেকেই জোগাড় করতে হবে তাই তো? শান্তি আমাদের মনে নেই বুঝলে। তুমি যত পাও তত তোমার পাওয়ার আকাঙখা বাড়ে। এটাই মানুষের ধর্ম। এই যে তুমি বলছ, প্রভুর নাম করে শান্তি পাচ্ছো, তা প্রথম দিন করলেই তো পারতে! রোজ কর কেন? যত বেশী কর তত আনন্দ হয় বলেই না! তাহলে তোমার শান্তিই বা কই? মানে আজকের তুমি গতকালের তুমির থেকে বেশী সুখী তাই না! তাহলে আজগের থেকে গতকাল তুমি বেশী দুখি ছিলে। তুমি নিজেই লজিকটা বুঝতে পারবে এরকম করে ভাবলে।
    ছেলেটা এবারে একটু হতাশ হল। বলল, তুমি বলছ, পৃথিবীতে কোথাও শান্তি নেই? কিছুতেই আমাদের সুখ নেই? আমরা সব সময় এরকম খানিকটা সুখে খানিকটা দুঃখে থাকবো? 
    আমি বললাম, তাই তো এতক্ষণ বোঝাচ্ছি তোমায়। পৃথিবী একটা নোংরা ন্যাস্টি যায়গা, যেখানে সবাই সবার স্বার্থসিদ্ধির জন্যে রোজ কাজ করে যাচ্ছে। 
    ছেলেটা এবারে বেশ অবাক হয়ে বল্ল, তাহলে যারা সত্যি খুব দুঃখি তাদের জন্যে কি কোন সিলভার লাইনিং নেই? 
    আমি ঠিক না টা পরিস্কার করে বলতে পারলাম না। এতক্ষণ যে তেজে হুমকি দিচ্ছিলাম, সব কেমন যেন নেতিয়ে গেল। সত্যি তো, এদের হাত থেকে যদি শান্তি পাবার শেষ সম্বলটা কেড়ে নি, তবে তার বদলে কি দিচ্ছি? যারা সত্যি কিছু করতে পারছেনা জীবনে, শত চেষ্টা সত্ত্বেও হয়, জমির দাদন, নয় ফসলের ঋণে ডুবে আছে। ব্যাঙ্কের লোন শোধ করতে পারে না। বাড়িতে একগাদা পুষ্যি। তারা যদি ভগবানকে চায় যদি তাঁকে ডেকে খুশি থাকে তবে আমি তাতে বাধা দেবার কে? 
    চুপ করে গেলুম বুঝলেন। ছেলেটি যাবার সময় বলে গেল, মে গড ব্লেস ইউ। আমি মনে মনে ভাবলাম, যীশু তো অবিশ্বাসীকেও এক টেবিলে বসিয়ে খাইয়েছিলেন। তবে আমার আর ভয় কি! 

    নিরমাল্লো
    ২৫শে অগাস্ট ২০১৭
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • স্মৃতিচারণ | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৮৩৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:২৪527154
  • হা হা হা হা।  বেচারা কচি প্রচারক পড়েছে টেটিয়া বাঙালির পাল্লায়।
  • :|: | 174.251.161.84 | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:৫৬527156
  • "তা এলুম আমেরিকা বুইলেন মশাইরা। সে এক আজব শহর।" আমেরিকা এক শহর!?
  • নিরমাল্লো | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:৩৫527159
  • @দ-দি - হা হা। আরো গপ্পো ছিল। পরের বার যে ছেলেটি আমাকে ধরেছিল সে তো একেবারে সেটান বলে দিয়েছিল।
  • kk | 2607:fb90:ea91:cb70:30fb:406:3ce1:604a | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:২৬527163
  • এই রকম অভিজ্ঞতা আমারও আছে বটে। সেন্ট ল্যুইসে এক রবিবার দুপুরে প্যানেরা ব্রেডে বসে খাচ্ছিলাম। তখন ভেতরে সব চার্চ থেকে ফেরা বয়স্ক মানুষজনের ভিড়। এক্জন দিদিমা দেখি বারবার আমাকে ডাকছেন হাত নেড়ে। উঠে তাঁর টেবিলে যেতে তিনি আমার ডানহাতে ফিনিক্সের ট্যাটু দেখিয়ে জানতে চান এটা কিসের ছবি? আগুন থেকে একটা পাখি উঠে আসছে, এটা কি কোনো সেটানিক ব্যাপার? আমি তাঁকে ফিনিক্স কী ও কেন সেই নিয়ে একটু বললাম। তাতে তাঁর শক্ড মুখে প্রশ্ন "নিজের ছাই থেকে কী করে কিছু জন্মাবে? একমাত্র গড ক্রিয়েট না করলে কিছুই জন্মাতে পারেনা। তুমি কেন সেটা বিশ্বাস করবেনা?" আমি তাঁকে "আচ্ছা, আপনার দিন ভালো কাটুক, আমি যাই" বলে চলে যেতে উদ্যোগী হলাম। তিনি আমার হাত ধরে টেনে বসিয়ে বলেন - "না না, অমনি করে চলে যেওনা। তুমি তো দেখছি নরকে যাবে। সেটা কি তুমি চাও?" আমি বলি তাতে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু উনি আমার ভবিষ্যত নিয়ে খুবই চিন্তিত। একটা কার্ড বার করে বলেন - "এই যে এই আমাদের চার্চ। আর এই আমাদের বাইবেল গ্রুপ। প্লিজ তুমি পরের রবিবার থেকে এখানে এসো। ইউ ব্যাডলি নীড হেল্প। ও হো, তুমি কি ইংরেজি পড়তে পারো? এই কার্ড পড়তে পারবে?" এতটা শুনে তাঁর সঙ্গী দাদু হয়তো একটু এম্বার‌্যাসড হয়ে থাকবেন। উনি আমাকে বললেন "সরি, তোমার খাবার দেরি হয়ে যাচ্ছে। তুমি যাও।"
  • আমাকে | 117.194.79.214 | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:০২527169
  • অনেকবার  খপাৎ করে চেপে ধোত্তো   জিহোভা'স উইটনেস-এর  (প্রথমে শুনে ভেবেছিলাম জিভের আবার সাক্ষী লাগে কেনো ?) ছোঁড়াগুলো । 
  • পলিটিশিয়ান | 111.223.108.129 | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:৩৪527173
  • কোথাও একটা পড়েছিলাম।
     
    বাদামী খোকাকে ধরেছে মিশনারী, যীশু ভজাতে পারলে বোনাস মিলবে।
     
    মি। খোকা তুই যীশু ভজ।
    খো। না ভজলে কি হবে? 
    মি। তুই নরকে যাবি খোকা।
    খো। কি করে জানলে? 
    মি। বাইবেল বলেছে।
    খো। বাইবেল বললেই সত্যি হবে? 
    মি। তুই তো ভারী ছোটলোক। এত লোক বাইবেল মানে, আর তুই বলছিস বাইবেল ঢপ মেরেছে! 
    খো। তাই তো, ছোটলোক হওয়াটা কাজের কথা না। আচ্ছা, কোরানও তো বলেছে আল্লা না ভজলে নরকবাস। কোরানও অনেক লোক মানে। সেটাও মনে হয় ঠিক বলেছে।
    মি। ঘাবড়ে যাওয়া চাউনি।
    খো। কোরান সত্যি তাই যীশুভজারা নরকে যাবে। বাইবেল সত্যি, তাই আল্লাভজারা নরকে যাবে। তাহলে আর এত ঝামেলা করে ভজতে যাব কেন? ভজলেও নরকে যাব, না ভজলেও তাই।
  • নিরমাল্লো | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:৪৫527175
  • @kk, @আমাকে আর @পলিটিশিয়ান 
     
    আমার ধারণা এ ধরনের চেষ্টা সব যায়গায় হয়। তবে নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস হয় না, যে এসব জোর করেও কেউ চাপাতে পারে। 
  • Kishore Ghosal | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:০৯527179
  • এদেশে এক সাধু মহারাজের সঙ্গে এঁড়ে তর্ক করতে গিয়ে বেশ গাল খেয়েছিলাম, "মচ্ছিখোর বাঙ্গালি", বুরবক, আরও নানান ইতরামি...ইত্যাদি।  তার চেলারাও বেজায় খেপে উঠেছিল।  
     
     
  • নিরমাল্লো | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:২৬527183
  • ছেলেটা আমাকে শেষে বলেছিল - why do you choose to live in such an unkind world? Why not hope that there is a little hope of sunshine. 

    আমি বলেছিলাম, cause it will never betray me into believing that I have a better future which is not made by মে। 
     
    এই ছেলেটি শেষে খুব এঁড়ে তর্ক করে নি কিছু। বরং চুপচাপ শুনছিল। পরের বার ছেলেটি খুব চটে গেছিল এবং ভদ্রভাষায় গালাগালি করেছিল। 
    আমি আসলে মনে করি এই মানুষগুলো আমাদের মত নাস্তিকদের থেকে আলাদা হয়ে গেছে কারণ এদের কাছে টানার কোন চেষ্টাই আমরা করি নি। বা এমন কোন মিডল গ্রাউন্ড খুঁজে বার করে দিই নি যেখানে বসে আমরা একে অপরকে স্পেস দিতে পারি। ফলে ধর্ম-গোঁড়ার দল এদের টেনে নিয়ে গেছে। এটা ভাবলেই দুঃখ লাগে।
     
    এইটা শুধু এই জন্যে লেখা না যে আমি খুব যুক্তিগ্রাহ্য ভাবে তর্ক করতে পারি, বরং এই জন্যে যে তর্কে জেতাটাই শেষ নয়। আমি এখনো জানি না যে কিভাবে বললে এরা আমাদের কথা মেনে নেবে বা একটা গোঁড়া বিশ্বাস কে ত্যাগ করে লজিক্যাল কাজ করবে। অন্তত বিভিন্ন মতকে দূরে সরিয়ে দিতে চাইবে না। 
  • kk | 2607:fb90:ea91:cb70:8a96:31d1:4b20:2b43 | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:১০527184
  • "আমি এখনো জানি না যে কিভাবে বললে এরা আমাদের কথা মেনে নেবে বা একটা গোঁড়া বিশ্বাস কে ত্যাগ করে লজিক্যাল কাজ করবে। "
     
    এই প্রসঙ্গে আমার মনে হয় কোনো কিছুতেই বিশ্বাস, সে ধর্ম হোক বা লজিক, কেউ কাউকে কোনোভাবেই বলে বা বুঝিয়ে আনতে পারবেনা। নিজেকে তার জন্য রেডি হতে হবে, তখন কোনোভাবে নিজের ভেতর থেকেই চেঞ্জ আসবে, বিশ্বাস আসবে। বিশ্বাস যার যার, থাকুক না তার তার কাছে। কেউ অন্যের ওপর সেটা জোর করে চাপাতে না চাইলে (ঠিক যে জিনিষটার গল্প এখানে হচ্ছে) ঠিকই আছে। নিরমাল্লো যেমন বললেন, স্পেস দেওয়া। সেই স্পেসটুকু অন্যকে দিতে পারলেই আর কিছু চাইনা। আসলে অনেক সময় "আমি ওকে হেল্প করে উদ্ধার করলাম, আহা বেচারা" এই চিন্তাটা একটা ফিলিং অফ পাওয়ার দেয়। নিজেদের হাজার ইনসিকিউরিটির বোঝা নিয়ে নিরন্তর চলতে চলতে আমরা ঐখানে ঐটুকু ইলিউশন অফ পাওয়ারে বড় স্বস্তিবোধ করি। ঐ পোলাইট ছেলেটি ,ওই দিদিমা ঐ  মিশনারি , জিহোভা'স উইটনেসের ছোঁড়ারা সব্বাই ওই স্বস্তির খোঁজ করেন। নাস্তিকরাও। 
  • ঈশ্বরভজনা  | 173.49.254.96 | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:০৩527185
  • "বা একটা গোঁড়া বিশ্বাস কে ত্যাগ করে লজিক্যাল কাজ করবে"

    ব্যক্তিগতভাবে এমন অনেককেই চিনি যাঁরা দুটো অবস্থানকেই মেনে নেন। তবে ব্যক্তিগত বিশ্বাসের কারণে ধর্মভিত্তিক কাজকর্মের পরিসর বাড়লে অখুশি হবেন না। এঁদের বেশির ভাগই পরধর্মসহিষ্ণু। 

    অনেক মানসিক শক্তিশালী মানুষও দুর্বল মূহূর্তে ঈশ্বরের শরণ নেন। 
    এইটে দুভাবে দেখা যায় - 
    অ)নিজস্বতা বিসর্জন দিয়ে অন্যের শরণাপন্ন হওয়া 
    অথবা, 
    আ) সব কিছুই যখন আপাতদৃষ্টিতে নিজের আয়ত্ত্বের বাইরে, তখনও অন্ততঃ একটা কিছুতে নিজের কন্ট্রোল রাখতে পারা। অন্ততঃ সেই অজানা শক্তিকে ডাকতে পারা যিনি হয়তবা পরিস্থিতি পাল্টাতে পারেন। 
    একদম কিছু না করতে পারার অসহায়তা সেই সব মানসিক শক্তিশালী মানুষের জন্যে একেবারেই গ্রহনীয় নয়। সেই পরিসরকে ভরাট করতে পারার জন্যে বিকল্প সহজে কিই বা দেবার আছে- হয়ত সেটাই চ্যালেঞ্জ।
     
    পরিস্থিতি না পাল্টানটা কিন্তু এক্সপেক্টেড। তাই, কখনও কোন কারণে পরিস্থিতি পাল্টালে তা সর্বদা সেই শক্তির পক্ষেই যাবে। একটা ব্ল্যাঙ্ক চেক রয়েই যাচ্ছে।  তাই, বিকল্পের রাস্তা কঠিন। 
     
    আসলে, আমরা মনে হয় কন্ট্রোল ফ্রিক। হয়তবা এভোলিউসনারি। যবে থেকে মানুষ দুনিয়া পাল্টাতে শুরু করল, লজিককে বেশি করে ব্যবহার করতে শুরু করল, হয়ত তখন থেকেই সব কিছু কন্ট্রোল করার অদম্য বাসনা অন্তর্লীন হল। 
     
    অবশ্যই এমন নয় যে এই একমাত্র কারণে সবাই ঈশ্বরভজনা করেন। তবে এটাই এখানে প্রাসঙ্গিক মনে হল। 
     
  • | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৩:১২527188
  • ধুর একটা বয়সের পর প্রায় কেউই আর ধার্মিক বা নাস্তিক হয়টয় না।  মানে অন্যের কথায় যুক্তি মেনে  পালটায়৷ না।  এবারের রাওলিঙের বইয়ের বেকা পুরব্রাইটের মত প্রচ্চুর লোক আছে যাদের মগজ কিছু ধারণামুক্ত কখনো হবার সম্ভাবনা খুবই কম। এরা সম্ভবত নিজেদের অটো সাজেস্ট করে চলে অবিরত। এমনিতে ধর্মীয় লোকজন চুপচাপ নিজের বিশ্বাস নিয়ে থাকলে আপত্তি নেই। কিন্তু তা তেঁয়ারা থাকবেনই না। শুধু যে অন্যকে দলে টানতেই হবে তা তো নয় অন্যান্য বিশ্বাসকেও খুবই যাকে বলে তুশ্চু করতে হবে। 
  • ঈশ্বরভজনা | 173.49.254.96 | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ০০:০৪527191
  • বেশি বয়েসে মনে হয় অনেক 'অবিশ্বাসী' ঈশ্বরে বিশ্বাস করতে শুরু করেন, শরীরের ক্ষমতা কমে যাওয়া নিশ্চয় একটা কারণ।  
  • ঈশ্বরভজনা | 173.49.254.96 | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ০০:৪৯527193
  • অন্যকে দলে টানতে চাওয়ার ব্যপারটার সঙ্গে, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, অন্যের ভাল করতে চাওয়ার মত বিশুদ্ধ পরোপকারী মনোভাব কখনৈ ভাগ্যে জোটেনি। আর্থিক/ রাজনৈতিক বা অন্য কোন স্বার্থ/ উদ্দেশ্য জড়িত কোথাও না কোথাও।  
  • যোষিতা | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ০১:১০527194
  • kk | 2607:fb90:ea91:cb70:8a96:31d1:4b20:2b43 | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:১০
     
    হ্যাঁ। আমারও এরকম মনে হয়।
  • নিরমাল্লো | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:৪১527196
  • ধর্ম বা বিশ্বাস যাই হোক না কেন সেটা সম্ভবত আসে প্র‍্যাক্টিস থেকে। কোন মানুষকে যা শেখানো হয় শুরু থেকে, সেটাই সে মেনে নেয়। হয়তো যৌবনে এসে সেটাকে সে পরীক্ষা করে দেখে, বা কারো কথা শুনে ইনফ্লুয়েন্সড হয়। যাই হোক না কেন - মোটামুটিভাবে বলা যায় এই অসহিষ্ণুতা ক্রমশ বাড়ছে। বেশিরভাগ স্ট্যাটিসটিকস তাই বলে। অন্তত মিডিয়া দৈনিক এই খবরই প্রচার করে চলে। 
     
    এখন কথা হল - আমরা পরমত, পরধর্ম সহিষ্ণু হব না হব না সেটা ডিসাইড করছে এই গোঁড়ামি। যদি তাই মেনে নিই, তবে স্ট্যাটিস্টিক্স অনুযায়ী এই গোঁড়ামি ক্রমশ বাড়ছে। তার যদি কোন কাউন্টার মেকানিজম না থাকে, তবে সেটা বাড়তেই থাকবে। সেটাই ভয়। আমরা ইগনোর করতেই পারি, কিন্তু ইতিহাস বলছে যে এর ফল ভালো হয় না। এই ধর্মীয় বিরোধিতাই কিন্তু ব্রাহ্মণ্য ধর্মকে দিয়ে বৌদ্ধধর্মের সর্বনাশ করিয়েছে, এবং উপমহাদেশ থেকে সরিয়েছে। সম্ভবতঃ খুঁজলে আরো রেফারেন্স পাওয়া যাবে (আফ্রিকার কলোনিয়ালিজমের ইতিহাস সম্ভবতঃ ছোট ছোট গোষ্ঠীদের বিবাদ থেকেই শুরু)। তাই ভয় হয়। 
  • যোষিতা | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:৫৩527199
  • সবসময় প্র্যাক্টিস থেকে নয়। এরকম ভালো ডেটাসেট আছে। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন