এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  বাকিসব  নেট-ঠেক-কড়চা

  • সেন্সরশিপ

    Nirmalya Bachhar লেখকের গ্রাহক হোন
    বাকিসব | নেট-ঠেক-কড়চা | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ৬৪৯ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • সেন্সরশিপ

    সেন্সরশিপ কাকে বলে জানেন নিশ্চই। মিরিয়াম ওয়েবস্টার খুলে দেখলাম লাতিন - ফ্রেঞ্চ হয়ে শব্দটা ইংরেজিতে এসেছে। অর্থ হল - এসেসমেন্ট, মরাল ওভারসাইট। সেন্সর হল সেই সভা যা সক্রেটিসকে বিষপান করতে বাধ্য করেছিল। সেন্সরশিপ হল সেই কাজ যা এলবার্ট হলের ডেভিডের প্লাস্টার কাস্টের লিঙ্গে ফিগ লিফ লাগিয়ে দিয়েছিল। সেন্সরশিপ হল সেই জিনিস যা নিতান্ত মেটিরিয়াল টেবিলের পায়াকে কমনীয় নারীসুলভ পা ভেবে তাতে মোজা পরাতে বাধ্য করেছিল, যার ফলে আজও আপনারা টেবিলের পায়ায় মেটালের মোজা চড়ান, কনটেক্সট হারিয়ে ফেলেও। সেন্সরশিপ হল সেই জিনিস যা একটি নারীর মাথার চুল দেখা যাচ্ছে বলে তাকে হাজতে পুরে হত্যা করায়। সেন্সরশিপ হল সেই পন্থা যাতে করে সেই নারীর হত্যার প্রতিবাদে মিছিল করলে তাতে নির্বিবাদে গুলি চালায়।


    ছবি ১ঃ ইরানের মেয়েদের এন্টি-হিজাব মুভমেন্ট ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২

    অবশ্য আপনারা তাতে অবাক হবেন না। এ তো আজকের প্রতিবাদ নয়। আপনারা নিশ্চই ফ্রেঞ্চ কমিউনের কথা ভুলে যান নি। অবশ্য ভুলে গেলে দোষ দিই না। ভুলে যাবার জন্যেই তো এতশত ক্যাপিটালিস্ট প্রোপাগাণ্ডা। আসুন আপনার ইতিহাস একবারটি ঝালিয়ে দিই। ঘটনার শুরু ১৮৭০ সালের প্যারিসে। তখন ফ্র্যাঙ্কো-প্রাশিয়ান যুদ্ধ চলছে জার্মান কনফেডারেশন আর ফ্রেঞ্চ এম্পায়ারের মধ্যে। ৪ সেপ্টেম্বর ১৮৭০ এ সেকেন্ড ফ্রেঞ্চ এম্পায়ারের পতন হল জার্মানদের হাতে। প্রতিষ্ঠিত হল থার্ড রিপাবলিক যা চলবে আগামী ষাট বছর ধরে। নতুন রিপাবলিক জার্মানদের সাথে শান্তিচুক্তি করল ১৮৭১ এর মে মাসে, যাকে ট্রিটি অব ফ্র্যাঙ্কফর্ট বলে। এই চুক্তির বিরুদ্ধে ফ্রেঞ্চ ন্যাশেনাল গার্ড আর প্যারিসের শ্রমিকরা বিদ্রোহ ঘোষনা করে তৈরী করল ফ্রেঞ্চ কমিউন, যারা সোশালিস্ট ভাবধারায় বিশ্বাস রাখত। 


    ছবি ২ঃ প্যারিস কমিউন ১৮ মার্চ

    ফ্রেঞ্চ রিপাবলিক সিঁদুরে মেঘ দেখে ডরালো। আগেও একবার ফ্রেঞ্চ রেভোলুশান হয়ে ফ্রেঞ্চ মনার্কি ভেঙে গেছে। সোশালিজমকে যদি বাড়তে দেওয়া হয় তবে আবার একটা রেভোলুশান হয় যদি! সে ঠ্যালা সামলাবে কে? সুতারাং শুরু হল ম্যানস্লটার। প্যারিস কমিউনের স্থায়িত্ব ছিল মোটে দু মাস, মার্চের শেষ থেকে মে। এই দুই মাসে ন্যাশেনাল ফ্রেঞ্চ আর্মি প্রবলভাবে এই বিদ্রোহ প্রশমিত করে, যা শেষ হয় La semaine sanglante বা রক্তাক্ত সপ্তাহে। এই বিদ্রোহে প্রায় ১৫০০০ (অসমর্থিত সূত্রে ২০০০০) লোককে হত্যা করা হয়। হ্যাঁ হত্যাই বলব, কারন এদের কোন ট্রায়ল হয় নি, নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছিল ফায়ারিং স্কোয়াডে।


    ছবি ৩ঃ A street in Paris in May 1871, by Maximilien Luce

    এই হল সেন্সরশিপ। সারা বিশ্বের এনার্কিস্ট ও রেভ্যুলেশনারীরা বুঝলেন যে, বিদ্রোহ সফল হতে পারে, কিন্তু এই বুর্জোয়াসি রুল তাকে বীভৎসভাবে দমন করবার চেষ্টা করবে। সুতারাং সশস্ত্র বিদ্রোহ ছাড়া উপায় নেই। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের কোন ফল নেই, তা দমন করা হবেই। এর পরে পরেই সশস্ত্র বিদ্রোহ ক্রমশ বেড়ে ওঠে। বোমা ফেলা, এসাসিনেশান, নানান ভাবে এলিট শ্রেণীকে বিব্রত করার এক পন্থা হয়ে দাঁড়াল এনার্কি। ১৮৯৪ সালে একটি ল পাস করা হয় যার নামই হয়ে যায় lois scélérates বা the wicked law যা যে এলিট শ্রেণীর উপরে যে কোন রকম এনার্কিস্ট প্রোপাগাণ্ডাকে আইনের বিরোধী ঘোষণা করে। ইভন প্রেসের বাক স্বাধীনতাকেও খর্ব করা হয়। শুরু হয় দ্য ট্রায়ল অব থার্টি - অর্থাৎ তিরিশ জন এনার্কিস্টদের বিরুদ্ধে মামলা, কারণ - তারা এনার্কিস্ট। শেষ মেশ যদিও বেশিরভাগ অভিযোগ ধোপে টেঁকে না, কয়েকজনের বিরুদ্ধে ছাড়া।


    ছবি ৪ঃ Opus 217. Against the Enamel of a Background Rhythmic with Beats and Angles, Tones, and Tints, Portrait of M. Félix Fénéon in 1890 by Paul Signac

    এই মামলার একজন প্রধান সাসপেক্ট ছিলেন ফিলিক্স ফিনিয়োন, যিনি একজন আর্ট ক্রিটিক, লেখক ও প্রদর্শনীর মালিক ছিলেন। নিও ইম্প্রেশনিজম টার্মটা তিনিই প্রথম ব্যবহার করেন তৎকালীন আর্ট মুভমেন্টকে বোঝাতে। পল সিনিয়াক ও জর্জ সাওরা ছিলেন তার বন্ধু। এই দুই বন্ধু মিলে তৈরী করেন পয়ন্টেলিজম। পয়েন্টেলিজম কি সে বিষয়ে একটু পরে আসছি, তার আগে পাঠক অবশ্যই বুঝতে পারছেন, কি প্রেক্ষাপটে এই নিও ইম্প্রেশনিজম তৈরী হচ্ছে। একদিকে ইউরোপের সোশালিস্ট মুভমেন্ট, শ্রমিক শ্রেণীর মুক্তির চেষ্টা, অন্যদিকে ক্যাপিটালিজমের জয়। এর মাঝে এনার্কি, ও আর্ট থেঁতলে যাচ্ছিল। প্যারিস সালোঁতে বলে দেওয়া হচ্ছিল কি ছবি আঁকতে হবে, কিভাবে ছবি আঁকতে হবে। এর বিপরীতে দাঁড়িয়ে কি করে রেনোয়া, রোঁদ্যা, মানে কি করে সেই একাডেমিক আর্টকে ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছেন। কি করে আরো এক দেড় দশক পরে সব কিছু ভেঙে চুরে দাদাইজম জন্ম নিচ্ছে আর তার সাথে মডার্ন আর্ট সে কথা আর একদিন হবে। কিন্তু এই টালমাটাল অবস্থায় আমরা পল সিনিয়াক আর জর্জ সাওরার পয়েন্টিলিজমকে একটু বুঝে নিই।
     

    ছবি ৫ঃ Paul Signac, Femmes au Puits, 1892, ছবিতে কি করে আলাদা আলাদা কালার পাশাপাশি রাখা রয়েছে তার একটা ধারণা দেওয়া হয়েছে।
     
     
    আশির দশকের শেষের দিকে শুকতারার পাঠক নিশ্চই আছেন অনেকে। তিনরঙা কার্টুন ছাপা হত তাতে। ডট মেট্রিক্স প্রিন্টের সেই বাঁটুল দি গ্রেটের ছবি মনে আছে নিশ্চই অনেকের। ছোট ছোট ডট দিয়ে তৈরী সেই ছবি। কাছ থেকে খুঁটিয়ে দেখলে তার সব ডট চোখে পড়ে, যেমন আধুনিক ছবি খুব জুম করলে পিক্সেল ফেটে আলাদা আলাদা রঙ পাশাপাশি দেখা যায়, সেইরকম। কিন্তু দূর থেকে একটাই সলিড রঙ বলে মনে হয়। দুঃখের বিষয় অনেক খুঁজেও একখানা বাঁটুলের সেই তিনরঙা ছবি পেলাম না। যাই হোক, পল সিনিয়াকের একখানা ছবি দিয়ে বোঝানো আছে যে কি করে পয়েন্টিলিজম ব্যবহার করা হত। তা এর মধ্যে কি এমন হাতি ঘোড়া আছে যে আমি সাত কাহন করে ব্যখ্যা করছি? এই তো জর্জ সাওরার লা গ্রান্ড জেটির ছবি, দিব্যি বিকেলের শান্তি দেখা যাচ্ছে। সুন্দর ল্যাণ্ডস্কেপ বটে কিন্তু এর মধ্যে সমসাময়িক উদ্বেগ ফেটে বেরোচ্ছে কই? 


    ছবি ৬ঃ Un dimanche après-midi à l'Île de la Grande Jatte by Georges Seurat, 1886

    এটা বোঝার জন্যে পয়েন্টলিজমের ফিলোসোফিটা একটু বুঝতে হবে। এনার্কির ফিলোসোফিটাও। এনার্কির এতিমোলজি খেয়াল করলে দেখব সেটা আসছে গ্রীকদের থেকে। en - মানে "বিনা" আর arkhos - মানে শাসক - দুইয়ে মিলে আমরা সবাই রাজা অর্থাৎ কিনা - অথরেটেরিয়ান শাসক ছাড়া রাজ্য। যাকে আমরা সোহাগ করে অরাজক বলে ডাকি। সেই থেকে অরাজকতা। এইখানে বুঝতে হবে এনার্কির মধ্যে কিন্তু কোন হিংস্রতা নেই সেভাবে, আছে তাকে এডপ্ট করার পন্থার মধ্যে। অর্থাৎ এনার্কির উদ্দেশ্য জোর জুলুমের রাজত্ব নয়, শান্তির সহাবস্থান। সকলের মধ্যে শান্তি, কেবল একটি শ্রেণীর নয়। আর পয়েন্টিলিজম তো সেটাকেই মূর্ত করে। পয়েন্ট অর্থাৎ বিন্দুবৎ রঙ দিয়ে আঁকা ছবি। কিন্তু সে ছবি, ছবি হয় কেবল মাত্র বাকি সব বিন্দু আছে বলেই। একটা বিন্দুর কোন আলাদা স্বীকৃতি নেই। তাকে বাকিদের সাথে মিশে একটা ছবি বানাতে হয়। 


    ছবি ৭ঃ Paul Signac: In the Time of Harmony 1895

    আর একটা ছবি নিয়ে কথা বলে লেখাটা শেষ করব। ছবিটা পল সিনিয়াকের আঁকা, নাম সমন্বয়ের সময়। ছবিটা দেখুন। কি শান্তি এই ছবিতে। দেখতে পারছেন? শিশু মায়ের আদর খাচ্ছে, প্রেমিক প্রেমিকা নাচ করছে। কি মিষ্টি একটা ছবি। একটা জিনিস জানলে চমকে যাবেন - সিনিয়াক এই ছবির নাম দিয়েছিলেন - In the time of Anarchy...।  ভাবুন কি গেরো! এনার্কি কই এই ছবিতে? এইখানেই আসল মজা, সিনিয়াকের কাছে এনার্কি আর হারমনি দুটোই সমান। এনার্কির মানেই, বোমা-বন্দুক-বিপ্লব নয়। এনার্কি মানে সবার সাথে সবার সমন্বয়। এটাই সিনিয়াকের প্রোপাগাণ্ডা, ছবির আসল বিষয়। ছবিতে দেখুন একটি লোক গাছ থেকে আপেল পাড়ছে। গাছটা কার? কারো নয়। পার্সোনাল প্রপার্টি নয় সে। আপেল তাই সবার। একজন বই পড়ছে, একজন আঁকছে। প্রেমিক প্রেমিকা ফুলের দিকে তাকিয়ে আছে। এদের সময় আছে হাতে। এরা নিজেদের এডুকেট করতে পারে বই পড়ে। ছবি আঁকতে পারে নিজের প্যাশন মত। প্রিয়কে বুকে বেঁধে ফুলের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হতে পারে৷ আর কি পারে? দূরে দেখুন, গাছের তলায় চাষীরা নাচ জুড়েছে, তার পাশে একটা ট্র্যাক্টর। অর্থাৎ যন্ত্রে যদি শ্রমিকের শ্রম কমায়, তবে তাদের আনন্দ করার সময় থাকে, যদি সেই শ্রম তার নিজের জন্য হয়। কিন্তু যদি শাসকের বা মনিবের প্রফিটের জন্যে হয়, তবে সেই শ্রমিকের শান্তি নেই। নেই সময়। মনিবের লাভ বাড়ে যত শ্রমিক খাটে। তাই তাকে উদয়াস্ত খাটতেই হবে। তাই তার ছুটি নেই। তাই সে বই পড়ে না, ছবি আঁকে না, ফুর্তি করে না, প্রিয়সঙ্গও তার নেই। তাই তাকে এনার্কি করতে হয়।

    আপনারা ভাবছেন, এমন পোলিটিক্যাল ছবির নাম চেঞ্জ হল কেন? সিনিয়াক খামোখা পুরো প্রপাগাণ্ডাকে মুছে বেশ একটা হারমনি নিয়ে এলেন কিসের জন্যে? এইটে হল সেল্ফ সেন্সরশিপ, যা নিয়ে লিখতে শুরু করেছিলাম। এই ছবি আঁকা হয়েছিল ১৮৯৫ সালে, ট্রায়ল অব থার্টির পরে পরেই। সিনিয়াক ভেবেছিলেন হয়তো যে এই সেন্সরশিপ করে তিনি তার বক্তব্যটা রেখে গেলেন পরবর্তী প্রজন্মের জন্যে। যাদের ঐ শাসকদের থেকে ভয় থাকবে না। নইলে হয়তো ছবিটা আপনারা দেখতেও পেতেন না। আমি বুঝতেই পারছি তাও আপনাদের মন খুঁতখুঁত করছে, ছবিটায় একেবারেই সরাসরি কোন বিদ্রোহের ছাপ না দেখতে পেয়ে। চিন্তা নেই, সিনিয়াক আপনাদের জন্যেও কিছু রেখে গেছে। ছবির ডাইনে নিচের দিকে দেখুন একটা মোরগ মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। এলিসে রক্লুস্ বলেছিলেন মোরগ হল সেই প্রাণী যে যুদ্ধ করে যায় যতক্ষণ সে জেতে বা মৃত্যুবরণ করে। সিনিয়াক তাই ছবিতে সেই অনমনীয় যুদ্ধের ছাপ রেখে গেছেন, হয়তো আমরাও কিছু প্রতিবাদ রেখে যেতে পারি সেই ভেবে।

    সোর্সঃ উইকি, দ্যা ক্যানভাস, ইন্টারনেট আর্কাইভ ও নানান ছবিগুচ্ছ

    নিরমাল্লো
    ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • বাকিসব | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ৬৪৯ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    উংলি - Malay Roychoudhury
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু প্রতিক্রিয়া দিন