এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • বংলাভাষার ফ্যাচফ্যাচ 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১৭০৫ বার পঠিত | রেটিং ৪.৮ (৫ জন)
  • অধিক ফ্যাচফ্যাচ করে লাভ নেই। আমরা, বাঙালিরা মাতৃভাষার জন্য বিস্তর ঘাম, রক্ত ইত্যাদি ঝরিয়েছি ঠিকই। তার প্রমাণ, আসামের উনিশ, পূর্ববঙ্গের উনিশ, পশ্চিমবঙ্গের একষট্টি। কিন্তু এত যুদ্ধবিগ্রহের পরও আমরা বহুটুকরো, রাজনৈতিকভাবে, এবং তারচেয়েও বড় কথা মনোজগতে। বঙ্গভাষীরা কেউ বিশেষ কারো খোঁজ-টোজ রাখেনা। আসামে এনআরসি নিয়ে হুজ্জুতি হলে, সেটা যে বঙ্গভাষীদের সমস্যা, এটা আমরা প্রতিষ্ঠাই করতে পারিনি। তা, সে পুরোনো কেচ্ছা, এখন বিশ্বের বৃহত্তম ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি হয়ে গেছে আসামে, কঠোর বিকল্পের আর কোনো পরিশ্রম নেই, ফলে ওসব চুকে বুকে গেছে, আমরাও ভুলে মেরে দিয়েছি।

    পূর্ববঙ্গের ক্ষেত্রেও তথৈবচ। তিনদিন আগে যে রবীন্দ্রমূর্তি চুরি হয়ে গেছে ঢাকায়, পশ্চিমবঙ্গের লোকেদের মধ্যে দেড়জনও তার খবর রাখেন কিনা সন্দেহ। রবীন্দ্রনাথ আর চুরি বললেই অর্ধেক লোক বলবেন, কী, সেই নোবেল চুরি? সে তো অনেকদিন আগেই হল। এবং এটা শুধু পশ্চিমবঙ্গের সমস্যা তা নয়, পূর্বেও জিজ্ঞাসা করুন, অনুব্রত মন্ডল কে, কেন তিনি জেলে? কেই বা অভিজিৎ গাঙ্গুলি? সব্বাই হাঁ করে থাকবে। এপার সম্পর্কে পূর্ববঙ্গের সাংস্কৃতিক আলাপ বলতে, "ইন্ডিয়া চুর", আর "পাঠান দেখানো উচিত কিনা" এই নিয়ে তক্কো। 

    আমাদেরও অবিকল একই। হিমন্ত বিশ্বশর্মা শুনলে পশ্চিমবঙ্গের অর্ধেক লোক হাঁ করে বলবে, সেটা আবার কে? বিশ্বকর্মার ভাই নাকি? শেখ হাসিনা সম্পর্কে শুধু এইটুকু জানা আছে, যে, জ্যোতিবাবুকেও তিনি বলতে পারতেন, "আমিও হাসিনা"। ব্যস জিকে ফিনিশ। অথচ নীতীশ কুমার কে, জিজ্ঞাসা করুন, কিংবা রবীশ কুমার, কিংবা যোগি আদিত্যনাথ, কিংবা শারুক্ষান, গড়গড় করে জীবপনীপঞ্জি আউড়ে দেব আমরা।

    এর দোষ ঠিক আমাদের নয়। ৪৭ এর পর থেকে "কেন্দ্রীয় ন্যারেটিভ" বলতে এই উপমহাদেশে হিন্দি এবং দিল্লিকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে দেওয়া হয়েছে। ওরাই কেন্দ্র। এবং কেন্দ্রের হাতিয়ার হল বলিউড আর ক্রিকেট। বাকি সব খুচরো, অর্থাৎ আঞ্চলিক। আমরা সেই ন্যারেটিভের গ্রাহক হয়েছে, বা হতে বাধ্য হয়েছি। অতএব, আমাদের ফ্যান্টাসিতে শারুক আর জবানিতে কোহলি। কণ্ঠে বলিউডি সঙ্গীত, আর মনের মধ্যে "জাতীয় টিভি"তে মুখ দেখানোর বাসনা। আমাদের এফএম হিন্দিতে গান গায়, সিনেমা হল পাঠানের এর কাছে নতজানু। এবং তাতেই আমাদের আনন্দ, দাসের যেমন হয় প্রভুর বিজয়ে। এই প্রভুর কাছে, হাসিনা-বিশ্বশর্মা-মমতা সব তুচ্ছ। সব আঞ্চলিক। নিচু জাত। 

    এবং এর দোষ ঠিক আমাদের নয়, তাও নয়। নিজেদের খন্ডিত এবং দাস হয়ে যাবার এই পুরো প্রক্রিয়াটা গড়গড়িয়ে হয়ে গেছে, আমরা মেনে নিয়েছি। মেনে নিয়েছি মানে, টুঁ শব্দটিও করিনি, বৈধতা দিয়েছি। আমরা মানে পশ্চিমবঙ্গ। বাংলাদেশ কিছু প্রতিরোধ করেছে, তাদের হাত ধরেই বিশ্ববাজারে বাংলা ভাষার যা পরিচিতি, ভারতীয় বাঙালিদের কেউ পোঁছেনা, নিজেরাই নিজেদের পোঁছেনা। আমাদের বুদ্ধিজীবীদের চোখের সামনে দিয়ে বলিউডকে পাম্প দিয়ে ফোলানো হয়েছে, বুদ্ধিজীবীরা জয়গান গেয়েছেন। টিভিতে 'জাতীয় কার্যক্রম'এর নামে হিন্দি ঠোসা হয়েছে দশকের পর দশক ধরে, সচেতন জনতা আপ্লুত হয়েছেন। রেডিও থেকে বাংলা মোটের উপর তুলে দেওয়া হল, সবাই দেখেশুনে আরামকেদারায় পায়ের উপর পা তুলে বসেছেন। 

    বছরে একবার একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করে এ পাপ যাবার না। প্রকৃত যুক্তরাষ্ট্রের দাবী তুলুন। হিন্দি সিনেমা-চ্যানেলের উপর অতিরিক্ত ট্যক্সোর দাবী করুন। সম্প্রচার এবং শিক্ষা রাজ্যতালিকায় নিয়ে আসার দাবী করুন। এবং ভারত-বাংলাদেশ অবাধ যাতায়াতের দাবী করুন। এছাড়াও, রাষ্ট্রীয় পতাকার পাশাপাশি বাঙালির জাতীয় সঙ্গীত এবং জাতীয় পতাকার দাবী করুন (আমি এইসব গান-টানের খুব একটা ভক্ত না, কিন্তু যেভাবে জাতি এবং রাষ্ট্রকে ঘেঁটে দেওয়া হচ্ছে, তাতে এটা জরুরি মনে হচ্ছে)। এসব বাদ দিলে, শুধু শুধু "বাংলা আমার মা" শুনতে-টুনতে ভালই, কিন্তু অর্থবহ কিসুই না।
     
    পুঃ ভাষাদিবস এলেই, প্রমিত বাংলার হাতে কেমন 'আঞ্চলিক' বাংলা অবদমিত, সে নিয়ে হাহাকার করা বন্ধ করুন। স্থানীয় বাংলা কিঞ্চিৎ প্রান্তিক, সে নিয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু সে সব ভাষাতেই। মিসিসিপির ইংরিজি হলিউডের কাছে কিঞ্চিৎ প্রান্তিক, নিকারাগুয়ার স্প্যানিশও তাই। এগুলো ভাষার আভ্যন্তরীন সমস্যা। অন্য ভাষার আগ্রাসনের সঙ্গে তুলনা করতে হলে, চলিত-ভাষায় তাকে বলে মুড়ি-মিছরির-একই-দর। আর সদাজাগ্রতদের ভাষায় বলে হোয়াট্যাবাউটারি। 

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • দীপ | 42.110.148.88 | ২১ আগস্ট ২০২৩ ১১:৩৪522779
  • চুলের মুঠি ধরে উঠোনে এনে রামদায়ের এক কোপে গলা কেটে ফেলে -
    স্মরণ -

         বাংলাদেশের প্রথম নারী শহীদ 
                  কবি মেহেরুন্নেসা
    --------------------------------------------------- 
    কবি মেহেরুন্নেসার জন্ম ১৯৪২ সালের ২০ আগস্ট কলকাতার খিদিরপুরে। 

    মেহেরুন্নেসার কবি প্রতিভার প্রকাশ ঘটে খুব ছোট বেলায়।

    ১৯৫২ সালে মাত্র দশ বছর বয়স থেকেই অসাধারণ প্রতিভার পরিচয় দেন তার খুরধার লেখনীর মাধ্যমে এবং জায়গা করে নেন সংগ্রাম, ইত্তেফাক, দৈনিক পাকিস্তান, অনন্যা, কাফেলা, বেগম, যুগের দাবিসহ তৎকালীন প্রায় সকল পত্রিকায়। 

    মাত্র দশ বছর বয়সে ১৯৫২ সালে তার ‘চাষী’ কবিতা সংবাদ এর ‘খেলাঘর’ পাতায় প্রকাশিত হয়। তিনি বড়দের জন্য লেখা শুরু করেন ১৯৫৪ সালে ‘কাফেলা’ পত্রিকার মাধ্যমে। 

    কবি মেহেরুন্নেসার রুচি, ব্যক্তিত্ব, সৌন্দর্য ও কবিতা সমান্তরাল। তার কর্ম, বিশ্বাস এবং বিবক্ষাই তার কবিতা।

    প্রথমে তার কবিতায় ফররুখ আহমদের প্রভাব, ইসলামী ভাবধারা, আরবী-ফার্সী শব্দের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। জাগে মখলুখ জাগে ফুল পাখি জেগেছে স্বর্ণ সুরুজ ইত্যাদি। 

    তার বেশিরভাগ কবিতা প্রকাশিত হয় ‘বেগম’ পত্রিকায়। বেগম পত্রিকার সম্পাদক নূরজাহান বেগমের পরামর্শে তিনি স্বদেশ, প্রেম ও প্রকৃতি বিষয়ে আরবী-ফার্সী শব্দের ব্যবহার বর্জন করে কবিতা লিখতে শুরু করেন। 

    তিনি রানু আপা নামে ‘পাকিস্তানি খবর’ এর মহিলা মহল পাতার সম্পাদনা করতেন। কবি হিসেবে তিনি ছিলেন সত্যিকার কবিতাকর্মী। 

    খুব আত্মবিশ্বাস ও সাহসিকতা, তার কবি প্রতিভা আদায় করে নিয়েছিল কবি সুফিয়া কামালের স্নেহ আনুকূল্য।

    ১৯৬১ সালে যোগ দেন ফিলিপস রেডিও কোম্পানিতে। এছাড়া তিনি ইউএসআইএস লাইব্রেরিতেও অনুলিখনের কাজ নিয়েছিলেন। 

    উল্লেখ্য যে, সে সময় ফিলিপস ইংরেজি ও উর্দুতে মুখপত্র ছাপাত, কবি মেহেরুন্নেসার চেষ্টায় বাংলা ভাষায় রচিত পত্রিকাও প্রকাশে বাধ্য হয় ফিলিপস কর্তৃপক্ষ। 

    কবিতার প্রতি ভালবাসা, বাংলা সাহিত্যের প্রতি অকৃত্রিম আকর্ষণ তাকে সাহিত্য চর্চা থেকে দূরে থাকতে দেয়নি।

    'রানু আপা' ছদ্মনামে রাজনৈতিক প্রবন্ধ লিখেছেন ৬৯ এর আইয়ুববিরোধী উত্তাল গণআন্দোলনে।

    নিজের চেষ্টায় তিনি মিরপুরের ৬ নং সেকশনে, ডি ব্লকের ৮ নং বাড়িটি বাবার নামে বরাদ্দ পান।

    ১৯৬৩ সালে কবি মেহেরুন্নেসা সপরিবারে বসবাসের জন্য ওই বাড়িতে ওঠেন। ১৯৬৫ সাল থেকে তারা থাকতে শুরু করেন মিরপুরে। সে সময় মিরপুর ছিল বিহারী অধ্যুষিত এলাকা। 

    বাঙালি পরিবার বিহারীদের তুলনায় নগণ্য। এর কিছু দিনের মধ্যে তার বাবা অসুখে পড়েন। তখন তাকে আরও বেশি পরিশ্রম করতে হয় পরিবারের জন্য।

    ৭১ এ বিহারী অধ্যুষিত মিরপুরে কবি কাজী রোজীর (প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য) নেতৃত্বে এ্যাকশন কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির সক্রিয় সদস্য ছিলেন কবি মেহেরুন্নেসা।

    ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে লেখক সংগ্রাম শিবির আয়োজিত বিপ্লবী কবিতা পাঠের আসরে হাসান হাফিজুর রহমান, আহসান হাবীব, শামসুর রাহমান, সৈয়দ শামসুল হক, আলাউদ্দিন আল আজাদ, হুমায়ুন কবিরসহ অন্য কবিদের সঙ্গে স্বরচিত কবিতা পাঠে অংশ নেন মেহেরুন্নেসা। 

    এ আসরে সভাপতিত্ব করেছিলেন ড. আহমদ শরীফ। সেই অনুষ্ঠানে তিনি 'জনতা জেগেছে' কবিতাটি আবৃত্তি করেন।

    বিহারী অধ্যুষিত মিরপুরে তিনি ও তার পরিবার অনেক আগে থেকেই চিহ্নিত হয়ে ছিলেন মুক্তিকামী বাঙালি হিসেবে। 

    ২৭ মার্চ এলো, দুদিন আগেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় তখন একতরফা গণহত্যা শুরু হয়ে গিয়েছিল। 

    কবি মেহেরুন্নেসা বিহারীদের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে, তার দুই ভাই মিরপুর ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সদস্য রফিক ও টুটুলকে নিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ডাকা কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ২৩ মার্চ সকাল ১০টায় মিরপুরের ৬ নম্বর সেকশনের ডি-ব্লক, ১২ নম্বর রোডে নিজ বাড়িতে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করেন। 

    এবং ওইদিন বেগম পত্রিকায় প্রকাশিত হয় তার লেখা শেষ কবিতা (তাকে মারার মাত্র তিন দিন পূর্বে)। আর এই অপরাধে কাদের মোল্লার নির্দেশে ২৭ মার্চ তার মা, দুই ভাই ও তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হত্যার সময় তার বয়স হয়েছিল ঊনত্রিশ বছর।

    মেহেরুন্নেসার ছোট দুই ভাইয়ের কাটা মাথা দিয়ে ফুটবল খেলা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী মিরপুরের আলী আহাম্মদের ভাষ্য মতে কবি মেহেরুন্নেসাকে চুলের মুঠি ধরে উঠোনে এনে রামদায়ের এক কোপে গলা কেটে ফেলে।

    মেহেরুন্নেসার কাটা মাথার বেণী করা চুল ফ্যানের সঙ্গে ঝুঁলিয়ে ফ্যান ছেড়ে দেয়া হয়। উল্লাস করা হয় কাটা মস্তকের রক্ত ছিটিয়ে। এভাবেই কবি মেহেরুন্নেসা হন স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশের প্রথম শহীদ মহিলা কবি।

    মিরপুরের স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে তার নাম চিরকাল উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। কিন্তু এই মহান কবির বাংলাদেশে এক বোন ছাড়া কোন আত্মীয় নেই এবং তার বোন মোমেনা বেগম রক্ষণশীল পরিবারের গৃহবধূ হওয়ায় মেহেরুন্নেসাকে নিয়ে আমাদের দেশে উল্লেখযোগ্য তেমন কিছুই করা হয়নি।

    তথ্যসূত্রঃ 'দৈনিক জনকণ্ঠ'
    ২৭ মার্চ ২০০৯
  • দীপ | 42.110.148.88 | ২১ আগস্ট ২০২৩ ১১:৪০522780
  • শহীদ কবি মেহেরুন্নেসাকে সশ্রদ্ধ প্রণাম!
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই প্রতিক্রিয়া দিন