এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • শুভ নববর্ষ– সুখ স্মৃতিতে ১

    Mousumi Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৭ এপ্রিল ২০২২ | ৫৬৩ বার পঠিত
  • বাঙালির আর একটা নতুন বছর শুরু হল।  সকাল থেকেই  শুরু মন্দিরে মন্দিরে বিশেষ পূজো, হাল খাতা, সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিত, স্বল্প পরিচিত, আত্মীয়, বন্ধুদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় – বাংলা দূরদর্শনের নববর্ষের বৈঠক,  খাওয়া দাওয়া দিয়ে।   

    মনে পড়ছিল, ছোটবেলার দিনগুলোর কথা।  নববর্ষের নতুন জামা মা নিজেই বানিয়ে দিতেন। নতুন বছর শুরু হত আমার মায়ের হাতের জামা পরেই। বাবা অফিস ফেরৎ পাতলা সুতির কখনও একরঙা, কখনোও বা ছিটের কাপড় নিয়ে এসে দিতেন।  ঘরের সব কাজকর্ম সেরে দুপুরে একটু কম বিশ্রাম নিয়ে মাকে সেই কাপড় নিয়ে বসতে দেখলেই বুকের মধ্যে আনন্দের বাজনা বেজে উঠত। নতুন জামা হচ্ছে –কিছু তো কারণ হবেই– না জানলেও চলে যেত কারণ –  বেশী আনন্দ  তো মা কে  অমন সময়ে ঘরে নিজের মতো পেয়ে! সারাদিন তো মা শুধু কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন।  প্রায় হাঁটু ছোঁওয়া কুচকুচে কালো চুল তখন মায়ের। আলগা হাত খোঁপা,  চৈত্রের গরমে বিন্দু বিন্দু ঘামে ভেজা  মায়ের ছোট  কপালে গোল বড় সিঁদুরের টিপ  ,ফর্সা লালচে গাল, সঙ্গে চোখা নাক – মা মন দিয়ে কাপড়ে জামার কাটিং করতেন মেঝেতে বসে। সেইদিন আমিও হুমড়ি খেয়ে পড়তাম  দেখবার জন্য। আজ কিন্তু মনে হচ্ছে , আমি সেই ফেলে আসা দিনগুলোতে আমার পরমাসুন্দরী মায়ের দিকেই তাকিয়ে থাকতাম শুধু। তাই আজ মায়ের সেই মুখের ছবি  খুব সহজেই  মনের আয়নায় জ্বলজ্বল করে উঠছে ।  যাই হোক, কাটিং হল।  সেলাই মেশিনে পা রেখে কেমন করে মা সেলাই করেন খুব মন দিয়ে দেখতাম এরপর। একটু বড় হলে , বোন যখন অনেক ছোট ,  অপেক্ষা করতাম কখন মা ডাকবে সূঁচে সুতো ভরে দিতে। সুতো ভরে দিয়ে বেশ একটা গর্ব অনুভব করতাম, যেন কত কিই  করে ফেলেছি!  এক রঙা কাপড়ের ফ্রকগুলি এরপর  মায়ের হাতের রঙীন সুতোর নকশায় ভারী সুন্দর সেজে উঠত। ছেলেমানুষ মনে রঙীন সুতোর ফুলপাতা, প্রজাপতি  বা ছোট্ট খরগোশ, বিড়াল  এক সুন্দর ছবি এঁকে দিয়ে যেত। আজও মনের চোখে দেখি  আকাশী নীল রঙের জামায় একটি পেখম তোলা ময়ূরের নকশার ছবি । পুরো জামা তৈরী হয়ে গেলে  অধীর হয়ে অপেক্ষা করতাম জামাটি পরবার জন্য।   

    প্রতিবছরই পয়লা বৈশাখে আমাদের বাড়িতে আত্মীয় বন্ধুদের আসাযাওয়া ও খাওয়াদাওয়ার আয়োজন থাকত। কোনোওবার মাসী, মেসো তো কোনোওবার কাকা, কাকিমা বা অন্যান্যরা। বাবা  আজীবন বাজার করা  কাজটিকে খুব ভালোবেসেই গিয়েছেন ।  ওপার বাংলার লোক ছিলেন তো !   বড় হয়ে দেখেছি  বা বুঝেছি  পরিমিত খাওয়াদাওয়া করলেও  ব্যাগ ভর্তি বাজার করে বাবার আনন্দের সীমা থাকত না।  

    মায়ের আমার রান্নার হাতটি ছিল ভারী চমৎকার।  পেঁয়াজ রসুন ছাড়াই বেশীরভাগ পদ মা রাঁধতেন  বাবা, জেঠু, কাকুরা পেঁয়াজ, রসুন খেতেন না বলে। বিভিন্ন পদ মায়ের হাতের গুণে সুস্বাদু হয়ে উঠত।  কম তেল, মসলায় মায়ের হাতের পোলাও ও কষা মাংস ছিল সুপারহিট মেন্যু।  ঐ মায়ের মেয়ে হয়ে অমন স্বাদ  আনা আমার দ্বারা আর হয়ে উঠল না। সেই স্বাদের সুখ্যাতি আজও চেনা পরিচিতরা করে থাকেন। 

     বছরের প্রথম দিন খাওয়া দাওয়া হাসি আনন্দ  কবিতা, গান দিয়ে পার হত। পরমক্ষণ ছিল বিকেলবেলা,  মায়ের হাতে তৈরী জামা পরার সময়।  জামা পরে  নিজেকে রূপকথার গল্পের  রাণী, রাজকুমারী বা পরীর মতোই  কিছু একটা মনে হত তখন। আজ মনে হয় মায়ের তৈরী জামাটির প্রতিটি সুতোয় মায়ের পরশ পাওয়া যেত বলেই অমন আনন্দে গর্বে  ভরে উঠত মন। অমন দিন আর  ফিরে আসবে না ! 

    নতুন জামা পরে ছোট থেকেই শিখেছিলাম বড়দের দুই পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে। ছোটতে পায়ে হাত দিলেই সকলেই প্রায় কোলে তুলে নিতেন স্বাভাবিক ভাবেই। এরপর বাড়িতে আসা মাসী, কাকু, বা মামারা ফিরে যাবেন। সকলেই প্রায় বাসে আসা যাওয়া করতেন তখন। কেউ কেউ কালো, হলুদ ট্যাক্সিতে।  আর তাঁদেরকে এগিয়ে দিতে যেতাম বাবার কোলে চড়ে। সারাদিন হৈ চৈ এর পর বেজায় মন খারাপ হত। খুব কাঁদতাম কেউ চলে গেলে।  এরপর ফাঁকা ঘরে এসে মন খারাপ করে ঘুমিয়ে পড়তাম।

    এরপর একটু বড় – তবে প্রাথমিক শ্রেণীর নীচের দিকেই। আমাদের নিজেদের তখন নতুন বাড়ি হয়েছে। ছবির মতো ছোট একতলা বাড়ি। সামনে গ্ৰীল দেওয়া বারান্দা। তার বাইরেই রাস্তা। বাড়ির পিছনে বড় মাটির উঠোন। গাছপালা ভরা।  চৈত্র মাস জুড়ে সমানে 'বাবা তারকনাথের চরণের সেবা লাগে– মহাদেব! 'বলে হাঁক।  কোনোও কোনোও দলে  থাকতেন শিব-পার্বতীও।  পার্বতীর লাল চকচকে শাড়ি, মাথায় মুকুট , গলায় মালা– সাজটা বেশ চড়া থাকলেও আমার আকর্ষণের মূল কেন্দ্র মহাদেব। ডমরু বাজিয়ে, ত্রিশূল নিয়ে, বাঘছাল পরে, গলায় জ্যান্ত সাপ নিয়ে সদলবলে নীল রঙা শিব ঠাকুর গ্ৰীলের বারান্দার বাইরে আসতেই ঘর থেকে বারান্দায় দৌড় লাগাতাম। মা তালা দেওয়া গেটের মধ্যে দিয়ে হাত বাড়িয়ে কি কি দিতেন বিশেষ দেখি নি, কারণ, দৃষ্টি তো মহাদেব পার্বতীর দিকেই আটকে থাকত। বেশ মনে পড়ে , মা সাবধান করতেন এরপর 'কেউ ডাকলেই অমন বেরিয়ে পড়তে নেই' বলে। 
     'কেন মা, কি হয়? ঠাকুর তো!'  মা বলেছিলেন, 'ছেলেধরা  ধরে নিয়ে যাবে।'  
    'আমি তো মেয়ে – ছেলেধরা কেন ধরবে? আর ঠাকুর ঠিক পাপ দেবে।' 
    মা তখন বলতেন, 'মায়ের কথা না শুনলে ঠাকুর পাপ দেয়। কথা শুনতে হয়।'
    বেশ কথা!   মা কে বেশ ভয় পেতাম। তাই আর  বিশেষ কিছু জানতে চাই নি। নতুন বাড়ির কাছাকাছি একটু দূরে বসত চড়কের মেলা। সে বছর মেলা থেকে কি কিনেছিলাম সব মনে না পড়লেও পালক সাঁটা  মাটির ময়ূর একটা কিনেছিলাম যে তা বেশ মনে আছে। নতুন বছরের প্রথম দিনে আমার বড়মাসী সেইবার এসেছিলেন। তাঁকে দেখাতে গিয়েই সেই ময়ূর হাত থেকে পড়ে ভেঙে যেতে খুব কেঁদেছিলাম। 

    আরোও যখন বড় হলাম স্কুলের বন্ধুদের মধ্যে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে কার্ডের দেওয়া নেওয়া চলত। নিজের হাতে আঁকা ছবিতে নীল আকাশ, সবুজ পাহাড়ের কোলে ঘর বাড়ি বা নদী , কোনোটাতে গাছপালা, অথবা শুধুই সূর্যোদয় , সূর্যের প্রতিবিম্ব নদীর জলে – সঙ্গে দুই বা চার লাইনের ছন্দ মিলিয়ে  আজীবন বন্ধুত্বের অঙ্গীকার। তখন বন্ধুদের মধ্যে আড়ি হয়ে গেলে নববর্ষের এই হাতে বানানো কার্ড অন্য কোনোও বন্ধুর মাধ্যমে পৌঁছে দিয়ে ভাব করা  হয়ে যেত। কত সাদামাটা ছিল সেসব দিন! 

    এ তো হল বন্ধুদের কথা। চারিদিকে যেখানে যত আত্মীয় স্বজন–  পোস্টকার্ড বা ইনল্যাণ্ড লেটারের মাধ্যমে  নববর্ষের প্রণাম জানান ও শুভেচ্ছা বিনিময় করা বাধ্যতামূলক ছিল।   আমরা দুই বোন অবশ্য ভালোবেসেই এসব চটপট সেরে ফেলতাম। পাড়ার কাকু, জেঠুদের ঘরে গিয়ে প্রণাম করবার রীতি তখনও  ছিল। 

    আরোও বড় হয়ে কলেজ জীবনের পয়লা বৈশাখে বেশিরভাগ সময় পরীক্ষার চাপেই কেটে যেত।  চিঠি লেখা তখনও নিয়মিত ই ছিল। এই সময় একটি নতুন দায়িত্ব মা আমাকে দিয়েছিলেন। সেই দায়িত্ব পালনের জন্যই বছরের প্রথম দিনে সকালবেলা কালীবাড়িতে পূজো দিতে বাবার সঙ্গে চলে যেতাম। বাড়িতে কেউ না কেউ তো আসবেনই। মা বেরোতে আর পারতেন না।  খুব মনে পড়ে এইদিনে আমার বড় প্রিয় এক কাকিমার কথা। কালীঘাট মন্দিরের কাছেই ওঁদের বাড়ি।  কাকিমার কাছে কি অদ্ভুত ভালোবাসা যে পেয়েছি তা বলবার নয়। বড় তাড়াতাড়ি না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন কাকিমা। বৃদ্ধ কাকু, আমি কাকাই বলে ডেকেছি তাঁকে বরাবর, এখনও বড় স্নেহ করেন আমাকে।  যাই হোক,  কোনোও কোনোও বছর কাকিমার সঙ্গে ভোরবেলা  কালীঘাট মন্দিরে গেলে আলাদা পাওনা হত ঁমায়ের গর্ভগৃহে বড় আরামে পূজো ও দর্শন। কাকাই, কাকিমা  অনেক পুরনো ,খুব পরিচিত পরিবারের ঐ অঞ্চলের।  পূজো দিয়ে মনের আনন্দে প্রসাদ নিয়ে বাড়ি ফিরে এসে দেখতাম ঘরের পূজো শেষ হয়েছে। ঠাকুরঘর থেকে  ভেসে  আসছে পাক দেওয়া ধূপের ধোঁওয়া।  বাড়ির পিছনের উঠোনে বাবার হাতে লাগানো বেলফুলের গাছ ছিল। গরমে ফুটত সেই ফুল অনেকগুলো করে।  ভোরবেলা সেই ফুল তুলে বাবা জল দিয়ে  একটা  কাঁচের বাটিতে  রেখে দিতেন।  ধূপের গন্ধ ও বেলফুলের গন্ধ মিলেমিশে সকালবেলা  ছড়িয়ে পড়ছে দোতলা থেকে একতলার ঘরে ।  অদ্ভুত এক পবিত্রতা যেন সারা বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ছে!  কি ভালো যে লাগত!  আলাদা করে 'শুভ নববর্ষ' বলবার আর দরকার হত না । মন্দির থেকে ফিরে পোশাক বদলে মায়ের সঙ্গে টুকটাক কাজে হাত লাগাতাম এই বিশেষ দিনগুলোতে। টিভিতে তখন চলত 'নববর্ষের বৈঠক।' মা আমার  ততক্ষণে বাঙালির আটপৌরে ধরণের শাড়িতে,  তখন কোমড় ছাড়ানো লম্বা চুলের শেষপ্রান্তে গিঁট আর কপালে বড় সিঁদুরের টিপ পরে দুর্গা রূপে । কতরকম কাজে হাত লাগিয়েছেন !  ময়দা মাখা শেষ। লুচির সঙ্গে আলু চচ্চড়ি – চন্দ্রমুখী আলু দিয়ে– কালোজিরে, শুকনো লঙ্কা , হলুদ মাখামাখা আলু চচ্চড়ি – কি অপূর্ব স্বাদ – মা ই পারত শুধু। 
     
    বিয়ের পর......(পরের অংশে)
     

     

     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • আশিস | 117.237.192.232 | ১৭ এপ্রিল ২০২২ ১৬:৪৭506516
  • খুব সুন্দর স্মৃতি চারণ।সেই সময়ের বর্ষবরণ ,মনে রাখার মতন।
  • Saswati Mukherjee | 2409:4060:2d90:bab9::2d0a:c303 | ১৭ এপ্রিল ২০২২ ২১:৫১506558
  • মৌসুমী তোর লেখাটা পড়ে নিজের ছোটবেলার কথা ভীষণ ভাবে মনে পড়ে গেল। অসাধারণ লেখা।
  • Sangeeta Chatterjee | 2402:3a80:1cd6:bdc1:778:5634:1232:5476 | ১৭ এপ্রিল ২০২২ ২৩:৪০506597
  • Boudi tomar borsho boron er lekha pore abar ami sei choto bela r din gulo te fire gelam.chokher samne cinema r moto fute uthlo sei nana ranger din guli.ja aj sab harie geche.aro aro sundor lekho.amadrr mon vore jak tomar lekha pore
  • Kasturi Das | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ১২:২৮506639
  • প্রতি স্তবকে সুস্নিগ্ধ স্মৃতি কথা। অপরিসীম ভালোলাগা ছড়িয়ে গেল মনে। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন