এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • Portrait of a lady - Jerome K Jerome 

    প্রিয়তমাসু লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৭ এপ্রিল ২০২২ | ৭১১ বার পঠিত
  • কাজের চাপ বাড়ছিল, আর যতই জোরালো গলায় কাজ আমাকে চ্যালেঞ্জ করছিল, ভীতু সৈনিকের মত, ততই বেশী আমার পেট গুড়গুড় করছিল, ততই বেশী আমি পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ খুঁজছিলাম I পড়ার ঘরে আমি আর পড়তে পারছিলাম না,  ঘুরতে বেড়িয়েও কাজ সংক্রান্ত  দুশ্চিন্তার হাত থেকে বাঁচতে আমাকে সিনেমা বা থিয়েটারে ঢুকে পড়তে হচ্ছিল ৷ খাওয়ার টেবিলে আমার পাশে বসে থেকে এই দুশ্চিন্তা আমার ক্ষিধে নষ্ট করছিল, এমন কী  বন্ধুদের সঙ্গে কথাবার্তার সময় এই দুশ্চিন্তারই নাছোড় ছায়া এসে দাঁড়াতে শুরু করেছিল আমার আর বন্ধুদের মাঝে ৷ ফলে বলার কথা আমার ঠোঁটেই শুকিয়ে যাচ্ছিল, শুষ্ক সৌজন্য বিনিময়ের পর আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছিলাম ভূতগ্রস্থের মত ।

    এইরকম একটা সময়, যখন এই কল্লোলিনী শহর তার হাজার বিরক্তিকর শব্দবাহুল্যে আমাকে পাগল করে তুলছিল, তখন আমি নির্জনতায় আবার নিজেকে আবিষ্কার করার দরকার খুব বেশী করে অনুভব করছিলাম ৷ নির্জনতাতেই আমার সমস্ত শিল্পের উৎস ও শিক্ষা ৷ আমি ভাবছিলাম ইয়র্কশায়ারের জঙ্গলের কথা, সেখানে, সারাদিন হাঁটলেও কোনো মানুষের মুখদর্শন করার বাধ্যবাধকতা নেই, পাখীর ডাক ছাড়া অন্য কোনো শব্দদূষণ নেই , সেখানে ঘাসের ওপর নির্বাধে চিৎ হয়ে শুয়ে পৃথিবীর বুকের স্পন্দন আর ক্রমাগত ঘুরে ঘুরে চলা গতিটুকুও যেন অনুভব করা চলে I

    সুতরাং হঠাৎ একদিন সকাল বেলা আমি মোটঘাট  বেঁধে ফেলতে শুরু করলাম । কিছু দরকারী, কিছু অদরকারী জিনিসপত্র নিয়ে একখানা ব্যাগ প্যাক করে ফেললাম  নিতান্ত তাড়াহুড়ো করে, পাছে মাঝে আমার যাত্রা ভণ্ডুল করার মত কিছু বা কেউ এসে পড়ে ৷ সেদিন আমার রাতটা কাটল উত্তুরে একটা সীমান্ত-শহরের ছোটো সরাইখানায় , আর পরদিন সাতসকালে আমি চড়ে ব্সলাম একটা বুড়ো ঘোড়ায় টানা গাড়িতে, তার এক চোখওয়ালা মালিকের ঠিক পাশে। এক্কাচালকের চাবুক আস্ফালনের সঙ্গে সঙ্গে বুড়ো ঘোড়াটি আমাদের বয়ে নিয়ে চলল । দুরের পাহাড়গুলো যত কাছে এগিয়ে এসে আমাদের তাদের সর্পিল বাঁকে বাঁকে গিলে নিতে শুরু করল,  এই উনবিংশ শতক  তার হাজার সমস্যাগুলোকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের  থেকে ততই পিছিয়ে পড়তে শুরু করল, ও একসময় নিতান্ত অদৃশ্য হয়ে গেল ৷

    আমরা শেষ বিকেলে একটা গ্রামে পৌছলাম I মনের ভেতর থেকে যায় দীর্ঘ দিন, এরকম একটা গ্রাম I তিন দিকে তিনটে পাহাড় তাদের খাড়াই দেওয়াল তুলে গ্রামটিকে বাকি জগৎ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে ৷ এখনও , আমাদের কর্মব্যস্ত জগৎের অস্থির ফিসফিসানি পৌছে দেওয়ার জন্য টেলিগ্রাফ লাইন এখানে এসে পৌছয়নি ৷ বদলে, পাহাড়ী এলাকায় ইতস্তত ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসত-গড়া চাষিদের  চিঠি চাপাটি আমার একচক্ষু বন্ধুটি বয়ে এখানে দিয়ে যান দিনে একবার করে, এবং সেটাও ঘটে তাঁর বুড়ো ঘোড়াটির সুপ্রাচীন শরীর সুস্থ থাকলে তবেই ৷

    এই গ্রামেরই প্রান্তে দুটি ছোট পাহাড়ী নদীর মোহনা ৷ ঘুমের আবেশ লাগা দিনে, শব্দহীন রাতে,  নদী দুটিকে একে অন্যের সঙ্গে অনবরত আড্ডা দিতে শোনা যায়,  শিশুর অস্ফুট বিড় বিড়ানির মত তাদের গলার স্বর ৷  দূর পাহাড়ের থেকে এসে এখানে তারা একে অন্যের দেখা পায় , একসঙ্গে মিলে যাত্রা শুরু করে । কিছুদূর যাওয়ার পর তাদের কথাবার্তা সিরিয়াস হয়ে উঠতে থাকে , তরুন-উচ্ছাসে তারা একে অন্যকে জড়িয়ে জীবনযাত্রার স্বপ্ন দেখে I তারপর অনিবার্য ভাবে একসময় জীবনের ক্লান্তি তাদেরও গ্রাস করে , তারা দুঃখে আর দূশ্চিন্তায় আগাগোড়া মোড়া  কংক্রিটের ক্লান্ত, কর্দমাক্ত, নোংরা শহরে এসে পড়ে ৷ এখানে হাতুড়ির শব্দ মানুষের গলাকে সহজেই ঢেকে দেয়,  বাচ্চারা সারাদিন ছাই নিয়ে খেলা করে , নরনারীর জীবন রুটিনে বাঁধা, উত্তেজনাহীন বার্ধক্যের স্বাভাবিক ধৈর্য্যে পরিপূর্ণ | এইসব শহর পেরিয়ে শেষটা নদীরা যায় গভীর সমুদ্রের অনন্ত আহ্বানে সাড়া দিতে ৷ 

    যাই হোক,  এই গ্রামে নদীর জল দূষনমুক্ত ও কাকচক্ষুর মত পরিষ্কার , এবং জলের শব্দই গ্রামে একমাত্র শব্দ । ফলে সন্দেহাতীতভাবে আমার মত কর্মক্লান্ত মানুষের পক্ষে শান্তি খোঁজার জন্য এর চাইতে ভাল জায়গা আর হয় না ৷ আমার একচক্ষু বন্ধুর পরামর্শ মেনে এক মিসেস চোলস এর বাড়িতে আমি বাসা খুঁজতে গেলাম । ভদ্রমহিলা বিধবা , থাকেন তাঁর একমাত্র মেয়ের সঙ্গে I তাঁর সাদা চুনকাম করা ছোটখাটো বাড়িটা, কোল ঝর্ণার দিকে গ্রামের একেবারে শেষ বাড়ি l

    "অন্যসব বাড়ির অনেক উঁচুতে,  তাই চোলসদের বাড়িটা এখেন থেকে দেখা যায় " যেতে যেতে এক্কাচালক জানালেন, "তবে লোকজন অতটা নির্জন জায়গায় খুব বেশী একটা ওঠে না I" 

    দূর থেকে জুন মাসের বুনো গোলাপে অর্ধেক ঢাকা ছোট বাড়িটা বেশ একটা অলস অনুভূতি এনে দিচ্ছিল মনের মধ্যে । গ্রামের রেস্তোরায়  রুটি আর চীজ দিয়ে লাঞ্চ সেরে , আমি যে রাস্তাটা ধরে চোলসদের বাড়িতে পৌঁছলাম , সেটার পাশে একটা চার্চও পড়ে, দেখলাম ৷ বাড়িটার দরজা ঠেলে যখন আমি ঢুকছি , তখন মিসেস চোলস-এর যে ছবিটা  আমি মনে মনে উদ্ভাবন করে রেখেছি সেটা  শক্ত সমর্থ স্নিগ্ধ প্রশান্ত-দর্শনা এক মহিলার , যাঁকে সাহায্য করার জন্য থাকবে তাঁর সুন্দরী তরুণী কন্যা , যে টোল পড়া গোলাপী গাল ও সূর্যস্নাত দামী হাতে আমাকে শহরের সব গ্লানি ভুলে যেতে সাহায্য করবে ৷ 

    দেখলাম গৃহসজ্জা আসবাবপত্র ইত্যাদি বেশ চমৎকার রুচির পরিচয় বহন করে , কিন্তু আমার গৃহকর্ত্রীরা আমাকে নিতান্তই হতাশ করলেন ৷ আমার আঁকা স্নিগ্ধ প্রশান্ত-দর্শনা মহিলাটি বাস্তবে পরিনত হলেন গাল-ফাল কুঁচকে যাওয়া , ঘোলাটে চোখওয়ালা সত্তরোর্ধ এক বুড়িতে যিনি সারাদিন ঠেস-চেয়ারে বসে বসে ঢোলেন, বা আগুনের ধারে গুটিশুটি মেরে বসে লোলচর্ম হাত শেঁকতে থাকেন ৷ আমি এক সদ্য-যৌবনা স্বপ্নালু পরীকে এঁর কন্যা হিসেবে কল্পনা করে রেখেছিলাম , দেখা গেল তাঁর বয়স চল্লিশ-পঞ্চাশ, যাঁকে দেখেই মনে হয়....ক্লান্ত l  সুদূর অতীতে কোনো এক সময় হয়ত এঁর চোখেও রোমান্টিক কৌতুক খেলা করত , হয়ত এই ঠোঁটেও চপল আহ্বান ছিল কোনো এক সময় , কিন্তু দূর্ভাগ্যজনকভাবে কৌমার্য  মধ্যবয়সী মহিলার মাধুর্য বৃদ্ধি করে না , গ্রামের তীব্র বিশুদ্ধ হাওয়া মধ্যে মধ্যে সেবন করলে তা টনিকের মতই বলবর্ধক , কিন্তু সেই বাতাসে যারা সারা বছর বাঁচে , বাতাস তাদের বুদ্ধি খেয়ে নেয় l আমি দেখলাম ভদ্রমহিলা নিতান্তই সঙ্কীর্ণমনা , অহেতুক রকমের লাজুক অথচ যখন কথা বলেন তখন বাজে বকবক করেন তাঁদের "প্রাচীন গৌরব" ও ফেলে আসা "সুদিন" নিয়ে , সঙ্গে থাকে তাঁর কমবয়সী সাজার একরকম চেষ্টা, যেটা ক্ষতিকারক না হলেও বেশ বিরক্তিকর ৷

    যাইহোক, খাওয়া থাকার বাকি সব বন্দোবস্ত ভালই ছিল , ফলে  আমি ঝর্ণাগামী রাস্তার দিকে, জানালার ধারে চেয়ার পেতে , বসে গেলাম নিজের লেখালিখির কাজে ।

    ( চলবে )

    (এই অনুবাদে কিছু বানান বা ভাষার ভুলটুল থাকা খুবই সম্ভব ৷ যদি দেখতে পান,  জানাবেন, শুধরে নেব )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Abhyu | 47.39.151.164 | ০৭ এপ্রিল ২০২২ ১১:২৪506105
  • ভালো লাগল। তবে আরো একটু সাবলীল অনুবাদ হলে আরো ভালো লাগবে।
     
    কিছু দরকারী, কিছু অদরকারী জিনিসপত্র নিয়ে একখানা ব্যাগ প্যাক করে ফেললাম  নিতান্ত তাড়াহুড়ো করে , পাছে মাঝে আমার যাত্রা ভণ্ডুল করার মত কিছু বা কেউ এসে পড়ে ৷
     
    একান্তই ব্যক্তিগত মত - কিন্তু মনে হয় - পাছে আমার যাত্রা ভণ্ডুল করার মত কিছু বা কেউ এসে পড়ে, এই ভেবে খুব তাড়াহুড়ো করেই কিছু দরকারী আর কিছু অদরকারী জিনিসে একখানা ব্যাগ ভরে ফেললাম - হয়তো শুনতে বেটার লাগত। এই রকম কিছুমিছু। 
  • প্রত্যয় ভুক্ত | ০৭ এপ্রিল ২০২২ ১২:০৭506107
  • আমার এটা অন্যতম প্রিয় ছোটগল্প,অনুবাদখানা সুখপাঠ্য হবে আশা করছি,তবে বারংবার একচক্ষু শব্দটার উল্লেখ করাটা মনে হয় অপ্রয়োজনীয়, একটু হলেও কানে লাগে--আসলে কথ্য বাংলায় একচক্ষু হরিণ কথাটাই বেশি চলে,একচক্ষু র পরিবর্তে একচোখ কানা বা এরকম অন্য কোন শ্লীলতর শ্রুতিমধুর শব্দবন্ধ ব্যবহার করা যেতে পারে আমার মনে হয় ।চলুক এটা।
  • প্রিয়তমাসু | ০৭ এপ্রিল ২০২২ ১৩:১৯506108
  • @ প্রত্যয় ভুক্ত 
     
    হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন , এটা আমি খেয়াল করিনি ৷ মাথায় রাখব ব্যাপারটা ৷ আর , এই ছোটগল্পটা আমারও খুব প্রিয় ৷
     
     
    @ Abhyu 

    আপনার পরামর্শ অত্যন্ত কনস্ট্রাকটিভ উদ্দেশ্যে দেওয়া; বুঝতে পারছি এবং সাধারনভাবে আমার মাথায় থাকবে , কিন্তু সাবলীলতা শ্রুতিমধুরতা এগুলো একটু আপেক্ষিক ব্যাপার । প্রত্যেকের একরকম নিজের নিজের স্টাইল থাকে কথা বলার, বাক্য ছুঁড়ে দেওয়ার ৷ যে প্যারাগ্রাফে লিখছি সেটারও একটা মেজাজ থাকে ..এবং আমি সবসময়ই চেষ্টা করব নিজের কাছে শ্রুতিমধুর ও নিজের পছন্দসই করে লিখতে I আমার নিজের শ্রুতিমধুরতার আইডিয়া আপনার থেকে আলাদা , ফলে এই পার্টিকুলার উদাহরণটার ক্ষেত্রে আমি ঠিক আপনার সঙ্গে একমত নই । ভাল থাকবেন ৷
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন