এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  স্মৃতিচারণ  নস্টালজিয়া

  • চেনা মানুষ অজানা কথা - ৮

    সুকান্ত ঘোষ লেখকের গ্রাহক হোন
    স্মৃতিচারণ | নস্টালজিয়া | ১৩ মার্চ ২০২২ | ১৬৬৪ বার পঠিত | রেটিং ৪.৩ (৩ জন)
  • আমরা তখন খুবই ছোট - সেবারে আমাদের ওখানে ব্লক ডেভলপমেন্ট অফিসের সিধু-কানু মঞ্চ প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পূর্তি হবে বলে হই হই অবস্থা। বিশাল বড় করে অনুষ্ঠান হবে – স্থানীয় নেতাদের মধ্যে প্রেষ্টিজের লড়াই, কে কত বড় আর্টিষ্ট এনে চমকে দিতে পারে।  তা ছাড়া সেবারে আলুর দাম ভালো গেছে, ফলে পাবলিকের হাতে পয়সাও বেশ।  টিকিট কেটে ফাংশান দেখতে হলেও পরোয়া নেই কারো। জনগণের দাবি বোম্বে থেকে আর্টিষ্ট আনা হোক – হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান দেখতে দেখতে কান পচে গেল!

    তখন সারা ভারত জুড়ে চলছে ডিস্কো জ্বর, ফলতঃ বিডিও-কে ঘেরাও করা হল একদিন এই দাবী জানিয়ে যে বোম্বে থেকে বাঙালীর ছেলে ডিস্কো সম্রাট বাপ্পি লাহিড়ি-কে আনা হোক।  সে সব দাবী শুনে বিডিও তো কোন ছাড়, স্থানীয় হোমড়াচোমড়া ব্যক্তিদের মাথায় হাত পড়ে গেল! আমাদের দৌড় বলতে হাওড়া ব্রীজ পেরিয়ে চিৎপুরে যাত্রা পার্টি খুঁজতে যাওয়া পর্যন্ত! এখন বোম্বে থেকে আর্টিষ্ট কিভাবে আসবে কেউ বুঝতে পারছে না!

    কথায় বলে মন খুলে চাইলে নাকি ভগবান চোখ তুলে তাকায়! কি করতে কি হয়ে গেল – এক কানেকশন বেরিয়ে এল অপ্রত্যাশিত ভাবে। হয়েছে কি বাপ্পি-দার এক দূর সম্পর্কের মামা আমাদের দিকে কালিমাতা কোল্ড স্টোরে আলু রাখত – মানে বিশাল আলু ব্যবসায়ী আর কি।  সেই মামা নাকি একদিন কোল্ড স্টোরের মালিকের সাথে গল্প করতে করতে শোনে যে আমাদের ওখানে বাপ্পি লাহিড়িকে আনার চেষ্টা চলছে, কিন্তু কেউ কোন সুতো খুঁজে পাচ্ছে না কিভাবে যোগাযোগ করা যায়! সব শুনে বাপ্পি-দার মামা বলে, এই কেস! আচ্ছা আমি ট্রাঙ্ককল লাগাচ্ছি বাপ্পি-কে।  
     
    সেই বাপ্পি লাহিড়ি-কে ট্রাঙ্ককল করে বললেন, “বাপ্পি, আমি ন-মামা বলছি।  একটা আবদার রাখতে হবে, এক ঘন্টার জন্য হলেও তোকে আসতে হবে বর্ধমানের দিকে একবার”।  বাপ্পি-দা গুরুজনদের খুব শ্রদ্ধা করতেন এটা আমরা সবাই জানি, তার উপর আবার মামা-র কথা। তাই আর ফেলতে পারলেন না। এমনই বাপ্পি-দার যাবার কথা ছিল সাউথ আফ্রিকা ওদের ওখান থেকে গানের ক্যাসেট বেছে আনতে – হাতে প্রচুর সিনেমা, গানের সুর করে করে সামলাতে পারছেন না। তাই নানা বিদেশী রেকর্ড থেকে অনুপ্রেরণা খোঁজার জন্য বছরে তখন তিনি দুবার করে বাইরে যান। 

    যাই হোক, ঠিক হল বাপ্পি-দা এসে গ্র্যান্ড হোটেলে উঠবেন আর সেখান থেকে নিয়ে আসা পৌঁছে দেওয়া গাড়ির ব্যবস্থা উদ্যোক্তা-দের করতে হবে।  সেই মত ফাংশানের দিন সকাল সকাল আমাদের ওখান থেকে অ্যামব্যাসেডার গাড়ি করে বাপ্পি-দা আনতে বেরিয়ে পড়ল ড্রাইভারের সাথে একজন।  তখনো দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে হয় নি – তাই হাওড়া পেরিয়ে জি টি রোড ধরেই গাড়িতে আসতে হল।  বাপ্পি-দা মাইডিয়ার লোক, গাড়ির ঝাঁকুনি হচ্ছে আর গায়ের গয়না ঝমঝম করছে।  গাড়িতে সাথে আমাদের ওখানের যে ছিল, সে অনেক ভয়ে ভয়ে বলল,

    - স্যার, কিছু মনে না করলে একটা কথা বলার ছিল 
    - আরে স্যার বলছো কেন, বাপ্পি-দা বলো কোন দিক্কত না রেখে
    - ঠিক আছে বাপ্পি-দা, মানে বলছিলাম কি আজ রাতে ফাংশানের পরে আর ফেরা মনে হয় না ঠিক হবে।  খুব ভোর ভোর রিটার্ণ করব
    - কেন? রাতে প্রবলেম কিসের? 
    - অত রাতে জি টি রোডের কিছুটা রাস্তা আছে রিস্কি
    - কিসের রিস্ক?
    - আসলে আপনি সারা গায়ে কিলো দুয়েক সোনার গয়না চাপিয়ে আছেন। যদি রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে লুট করে নেয়! কিছু দিন আগে পরপর কয়েকটা বরযাত্রীর বাস লুট হয়েছে এমন করে

    বাপ্পি-দা প্রচন্ড ভীতু মানুষ – সেই ডাকাতির গল্প শুনেই হয়ে গেছে! তড়িঘড়ি বললেন, “তাহলে রাতের বেলা দরকার নেই বাবা, কাল সকালেই ফিরব”।  

    গাড়ি যাচ্ছে – এর মাঝে রাস্তায় ব্রেক নিতে হল। বাপ্পি-দার আবার ধাবার চা খুব পছন্দ – সাথের ছেলেটা যতই বলে, “দাদা, যেখানে সেখানে চা না খেয়ে বৈঁচি রেলগেটের কাছে চা খাব! যা চা বানায় না ওরা!” 

    - তা বৈঁচি এখনো কতদূর
    - ধরুণ, এখনো প্রায় দেড় ঘন্টা মত লাগবে!
    - আরে ধূর! অতক্ষণ চা না খেয়ে থাকবো নাকি!

    চা খেতে গাড়ি দাঁড়ালো – মাটির ভাঁড়ে বাপ্পি চা-খাচ্ছেন। বললেন যে বোম্বে-তে নাকি ‘বাপুজীর’ কেক খুব মিস করেন।  তিন-টে বাপুজীর কেক খেলেন বেঞ্চে বসে বসে।  কালো চশমাটা গাড়িতে রয়ে গিয়েছিল বলে বিনা চশমায় বাপ্পি-দাকে চায়ের দোকানে কেউ চিনতে পারল না।  

    দুএকজন আবার গায়ের এত গহনা দেখে ভাবলো বাপ্পি-দা একজন যাত্রাভিনেতা, গতকাল রাতে কোন পৌরাণিক পালায় অভিনয় করে ফিরছেন।  জিজ্ঞেস করল – “দাদা, কি পালা করলেন”? বাপ্পি-দা থমকে গেলেন – বললেন, “আমি অভিনয় করি না, ম্যুজিক দিই”! যে প্রশ্ন করেছিল সে গেল এবার ঘাবড়ে – “বাব্বা, এত সাজ করতে তো কোন যাত্রার পার্টির মিউজিক দলকে দেখি নি!”  

    যাই হোক, চা খেয়ে আবার চলল গাড়ি – পুরানো দিনের অ্যামবাসাডর, ঢুক ঢুক করে চলছে। বাপ্পি-দা এবার প্রশ্ন করলেন –

    - আচ্ছা, তোমাদের ওদিকে কুলীন-গ্রাম বলে কোন জায়গা আছে?
    - আছে তো দাদা! আপনি কি করে জানলেন?
    - বর্ধমানের দিকে ফাংশান করতে আসছি শুনে মিঠুন বলল ওর মামার বাড়ি নাকি কুলীন-গ্রাম।  ইনফ্যাক্ট ওর জন্মও নাকি ওই গ্রামে!
    - তাই নাকি! জানতাম না তো!
    - আমিও কি জানতাম নাকি! পৃথিবীটা বড়ই ছোট বুঝলে।  আচ্ছা তোমরা রাতে ফাংশানে কি ম্যুজিক শুনবে?
    - একদম ডিস্কো নামাবেন দাদা! ড্যান্সের গান চাই।  স্টেজের সামনে বাঁশের বেড়া দিয়ে নাচার জায়গা করে রাখা আছে।

    এই ভাবে হালকা গল্প করতে করতে বাপ্পি-দা চললেন।  একসময় কি মনে হতে জিজ্ঞেস করলেন –

    - একটা কথা ভাবছিলাম।  রাস্তায় যাবার মাঝে, বা যেখানে যাচ্ছি তার আশেপাশে কোন জাগ্রত ঠাকুর-দেবতার স্থান আছে?
    - কেন দাদা?
    - আমি জানো তো খুব ঠাকুর মানি। যেখানেই যাই, সেখানের জাগ্রত ঠাকুর স্থানে প্রণাম না করে স্টেজে উঠি না
    - তাহলে দাদা যাবার পথেই পেয়ে যাব শিমলাগড়ের ঠাকুর বাড়ি।  খুব জাগ্রত
    - বলো কি? জাগ্রত?
    - একদম, কত ছেলেমেয়ে দূর দূর থেকে বিয়ে করতে আসে এই ঠাকুর বাড়িতে।  রেজিষ্ট্রি ম্যারেজের থেকেও এই ঠাকুর স্থানে মালাবদলের জোর বেশী। 
    - তাহলে ওখানে একবার দাঁড়িয়ে যাব বুঝলে।
    - ওকে দাদা।  অ্যাই বিশে, শিমলাগড়ের কাছে এলে একবার দাঁড় করাস কালী বাড়ির সামনে।
    - এটা কি কালী বাড়ি বলছো?
    - হ্যাঁ, কালী-ই তো দাদা।  নামকরা কালী, আমাদপুরের বড় কালী, মেজ আর ছোট কালীর পরেই এর নাম
    - কালী বাড়ি যখন বলছ, তখন আশে পাশে কোন ভালো তান্ত্রিক নেই? 

    এবার হয়েছে মুশকিল! এই দিনে দুপুরে কোথায় পাওয়া যাবে তান্ত্রিক! কিন্তু বাপ্পি-দার যদি মুড অফ হয়ে যায়, তাই সে ছেলে হাল ছেড়ে দিতে রাজী নয়। গাড়ির ড্রাইভার বিশে-কে জিজ্ঞেস করল

    - হ্যাঁরে বিশে শিমলা গড়ের কালীবাড়ির আশে পাশে কোন তান্ত্রিক আছে?
    - আশে পাশে ঠিক নয়, তবে খানিক দূরেই আছে সেন্টু!

    সেন্টু-র নাম শুনেই সে ছেলের হয়ে গেছে! সেন্টুকে দেখতে ঠিক তান্ত্রিকের মত নয় – আর পর বাপ্পি-দার স্ট্যান্ডার্ডের সাথে মিললে হয়! সেন্টু মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক ইংলিশ অঙ্ক, অবৈধ প্রেম ছাড়ানো, বৈধ প্রেম ঘটানো – এই সব নিয়ে ব্যস্ত থাকে।  লোকমুখে শোনা মাঝে মাঝে নাকি বড় বড় কাষ্টমার পাকড়ায়। বাপ্পি-দা নিয়ে সেন্টুর কাছে গেলে কি হবে কে জানে! তবুও মুডের কথা ভেবে সেন্টু-র কাছে যাওয়াই ঠিক হল 

    সেন্টুর সেই ছোট দর্মা দেওয়া ঘরে কি নেই! তখনকার দিনে টিভি ছিল ঘরে! বাপ্পি-দা সেই দেখে ইমপ্রেসড। সেন্টু কথা বেচে খায় – সে বাপ্পি-দা চিনতে পারলো, চিনেও চমকালো না।  বরং ঘুরিয়ে ফিরিয়ে জানালো এই টিভি থেকে শুরু করে ক্যাসেট প্লেয়ার সব নাকি ক্লায়েন্ট-দের গিফট করা!  তবে কনফিডেনশ্যাল কারণে সেই সব ক্লায়েন্ট-দের নাম করতে পারবে না!

    বাপ্পি-দা জমে গেল সেন্টুর সাথে।  ঘরে আর কেউ থাকলে হবে না – শুধু দুইজনাই কি সব ডিস-কাস করতে লাগলো।  প্রায় দেড় ঘন্টা পরে যখন বেরিয়ে এল দেখা গেল বাপ্পি-দার হাতে আরো একটা আঙটি বেড়েছে।  পরে সোনা দিয়ে বাঁধানো হবে, আপাতত নড়বড়ে ভাবে রূপোয় বসানো আছে সেই গোমেদ-টা।

    গাড়িতে যেতে যেতে বাপ্পি-দা বলল, “অনেক ধন্যবাদ ভাই তোমায়।  ভ্যাগিস এনার কাছে আনলা আমায়!” বাপ্পি-দাই শোনালো যে সেন্টু-বাবা নাকি বলেছে বাপ্পি-দার খ্যাতি এখন বাড়তেই থাকবে। আর তার সাথে বাড়তে থাকবে শত্রু।  সেই জন্যই গোমেদ পরে একটু সতর্ক থাকতে হবে।  আরো নাকি অ্যাডভাইস দিয়েছে যে হাই টেম্পোর ডিস্কো গান করে করে শরীরে যে বাড়তি এনার্জী জমা হচ্ছে সেগুলো ব্যালেন্স করার জন্য কিছু লো-এনার্জীর গান ঘাঁটতে হবে।  গজল টাইপের গান, যা শুনলে শরীর অবশ হয়ে আসে, হয়ে আসে নিস্তেজ।

    আর পরের ঘটনা ইতিহাস – সেন্টুর পরামর্শ মেনেই বাপ্পি-দা বাঁধেন সেই বিখ্যাত গজল “কিসি নজরকো তেরা ইন্তেজার আজ ভি হ্যায়”।  আর হ্যাঁ, এই গান যখন মারকাটারি হিট হয়ে গেল, বাপ্পি-দার চোখে ভেসে উঠল সেন্টু তান্ত্রিকের কথা।  বোম্বে থেকে ফ্রীজ কিনে পাঠান সেন্টুকে – এখনো গেলে সেন্টুর বাড়িতে সেই বাপ্পি-দার পাঠানো ফ্রীজ দেখা যাবে।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • স্মৃতিচারণ | ১৩ মার্চ ২০২২ | ১৬৬৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:b8d2:1393:53fc:ba4d | ১৪ মার্চ ২০২২ ০০:৪৯504873
  • চরম! জ্জিও সুকি!
  • Debasish Sengupta | ২৯ এপ্রিল ২০২২ ১৬:৫৭507003
  • বিষয়ের বৈচিত্র্যে ও লেখার মুন্সিয়ানায় লেখাগুলো পড়তে খুব ভালো লাগছে। পরবর্তী লেখার আগ্রহে অপেক্ষায় রইলা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন