এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হাতিবাগান রহস্য - ৮

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৭৫৫ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)
  • (শেষ পর্ব)

    অনেকক্ষণ পরে বাথরুমের দরজা ভেঙে শ্রুতির নিথর দেহ বার করল পুলিশ কর্মীরা। তখনও হাতে ধরা আছে রিভলভার। মাথা এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে যাওয়া প্রাণহীন দেহটা নিয়মমাফিক আর জি কর হাসপাতালে পাঠানো হল মৃত্যু শংসাপত্র সুনিশ্চিৎ করার জন্য।

    মনীষাদেবী প্রায় অচেতন হয়ে সোফায় শুয়ে রইলেন। তিনি কিছুই দেখতে পেলেন না।

    এত সব গন্ডগোলের মধ্যে কলতান মাথা ঠান্ডা রাখল। ঋজুকে বলল, ‘এদিকে একটু আয় না ..... যা কথাবার্তা হবে প্লিজ ....রেকর্ড কর মোবাইলে।’
     
    শ্রুতির দেহ নিয়ে পুলিশের গাড়ি চলে গেলে ঋজুর সামনে সে সত্রাজিৎ সেনকে  বলল, ‘দিব্যি তো দুই ডালেরই ফল খাচ্ছিলে মা ও মেয়ের মানসিক ভারসাম্যহীনতার সুযোগ নিয়ে, মিছিমিছি খুন খারাপির মধ্যে যেতে গেল কেন? সব সম্পত্তি তো শ্রুতিই পেত। তর সইছিল না নাকি?’
    — ‘কি সব বলছেন .... আমি খুন খারাপি কেন করতে যাব? আর দুই ডালেরই ফল .... মানে?’
    — ‘আমি যথেষ্ট প্রমাণ ছাড়া কোন কথা বলি না। প্রমাণ নিশ্চয়ই পেয়ে যাবে .... তখন আর নিজেকে লুকোবার জায়গা থাকবে না।’
    এ কথায় যেন জোঁকের মুখে নুন পড়ল। সত্রাজিৎ একদম কুঁকড়ে গেল।
    — ‘তার জন্যে কি আমি দায়ী নাকি? ওরা মা মেয়ে দুজনেই আমাকে চাইত। আমি অনেকদিন ধরে আটকাবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর নিজেকে আটকাতে পারি নি। আমি তো একজন সাধারণ মানুষ। এর মধ্যে মনীষা মৈত্রের নেশা ছিল উৎকট। আমাকে একেবারে হিপনোটাইজড করে ফেলেছিল।’

    সত্রাজিৎ হাঁটুর ওপর দুটো কনুই রেখে দুহাতে মুখ ঢেকে খানিকক্ষণ বসে রইল। তারপর আবার বলল, ‘.... কিন্তু নীলাম্বর মৈত্রের মৃত্যুর ব্যাপারে আমি সত্যিই কিছু জানিনা ....’

    — ‘তা বললে কি করে হবে? মার্ডারটা নিজের হাতে না করতে পারো, কিন্তু শ্রুতিকে মারকিউরিক ক্লোরাইড সাপ্লাই তুমি ছাড়া আর কে করবে? আর .... ওকে দেশী পিস্তল সরবরাহ করা তো তোমারই কীর্তি .... তাই তো?’

    সত্রাজিতের চোখের দিকে অন্তর্ভেদী দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে যায় কলতান। 

    সত্রাজিৎ যেন বিবশ হয়ে নুয়ে পড়ে একেবারে। 

    করুণ সমর্পণের স্বরে যেন কাতরে ওঠে, ‘ও - ও - ও ..... ও : ..... আর পারি না ..... আমাকে কি করতে হবে এখন?’
    তারপর সরল শিশুর ভঙ্গীতে বলল, ‘আমাকে ধরলে ওই ইরাবানকেও ধরতে হবে কিন্তু .... ওর দোষ কিন্তু আরও বেশি .....পিওর ইনসেস্ট ...ইনসেস্ট .....ইনসেস্ট বোঝেন নিশ্চয়ই? এদের ক্লোজ অ্যাসোসিয়েশানে থাকতে থাকতে আমি টোটালি ইনসেন হয়ে গেছি। পুরো পাগল .... উফফ্ ... মোটর বাইক চার্জ করে মিস্টার মৈত্রকে এলিমিনেট করার চেষ্টা করেছি মা আর মেয়ের কথায় .... ও: ... আই ওয়াজ সাচ আ ফুলহার্ডি সিম্পলটন..... ’

    সত্রাজিৎ আবার অবসন্ন বিধ্বস্ত ভঙ্গীতে মাথা ঝুঁকিয়ে বসে থাকল দুহাতে মুখ ঢেকে। 

    কলতান নরম স্বরে বলল, ‘এসব কথা অবশ্য এখানে জিজ্ঞেস করার কথা নয়। থানায় বসে হবার কথা। তবু এখানেই করলাম, যদি তোমার একটু কম্ফর্টেবল লাগে। পুলিশ স্টেশনের এনভায়রনমেন্ট তো  বাড়ির মতো হবে না। ওখানে সাসপেক্ট-এর ঘনিষ্ঠ মানুষ হিসেবে ইরাবানকেও ডাকা হবে। তোমাদের দুজনকে মুখোমুখি বসানো হবে। শেষে ডাকা হবে দেবযানী ও মনীষাদেবীকে। ’

    ঋজু বলল, ‘যাই বলিস খুনের মোটিভটা কিন্তু মোটেই ক্লিয়ার নয়......শুধু সেনসুয়াল অ্যাবারেশান ..... ডাজ ইট সিম টু বি ভ্যালিড .....।’

    সন্ধে সাতটায় বটতলা থানায় কলতান ঋজুর মুখোমুখি বসে। দুজনেই চুপচাপ বসে আছে। বাইরে ঝিরঝির করে বৃষ্টি হচ্ছে।

    — ‘খুব খারাপ লাগছে ..... মেয়েটাকে বাঁচানো গেল না। কেসটা অবশ্য সিম্পল হবে। এটাও সুও মোটু করতে হল পুলিশকে। এভিডেন্টলি প্রাইমা ফেসি সুইসাইডাল কেস। সে ব্যাপারে অসুবিধে হবে না’, ঋজু বলল।
    — ‘ হ্যাঁ সে সবই তো বুঝলাম। কিন্তু খারাপ লাগছে এই ভেবে এ ক্যাসুয়ালটিটা বোধহয় আটকানো যেত। হিসেবে একটু ভুল হয়ে গেল। ওকে ডায়রেক্ট প্রোব না করে কাস্টডিতে নিয়ে কুইজ করা উচিৎ ছিল। মেন্টালি হাইলি ভালনারেবল ..... টোকা মারতেই সাকাম্ব করে গেল। ব্রেক ডাউন করে গেল’, কলতান আফশোষ করে। 
    — ‘ তোর কি মনে হয় শ্রুতি কালপ্রিট না অ্যাকমপ্লিস?’
    — ‘ আমার ধারণা, কালপ্রিট। তবে ওর কনভিকশান অনেকটা লিনিয়েন্ট, মানে লঘু হত। ওর মেন্টাল ডিসঅর্ডার সহজেই প্রমাণ করা যেত বলে আমার ধারণা। কিন্তু সে সুযোগই তো পাওয়া গেল না’, কলতান জানায়।
    — ‘ কিন্তু কোন ট্যানজিবল ক্লু না পেলে তো কাস্টডিতে নেওয়া সম্ভব নয়। তাহলে তো ওই ফ্যামিলির সকলকেই কাস্টডিতে নিতে হত ..... ’
    — ‘ ঠিক কথা। কিন্তু ট্যানজিবল ক্লু তো একটা ছিল।’
    — ‘ কিরকম .... কিরকম? ’

    কলতান তার ওয়ালেট বার করে তার থেকে মুড়ে রাখা এক টুকরো কাগজ বার করল। অতি সাবধানে কাগজের ভাঁজ খুলে ঋজুর দিকে এগিয়ে ধরল।
    — ‘ এই যে ..... ’
    — ‘ কি? ’
    — ‘ একটা মেরুন টিপ বা বিন্দি। ক্রাইম স্পট থেকে স্যাম্পলটা কালেক্ট করেছিলাম। কিন্তু প্রোডিউস করার আগেই সাসপেক্ট পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল।’ 
    — ‘ এটা শ্রুতির?’, ঋজু অবাক হয়। 
    — ‘ অনুমান করছি। কারণ মনীষাদেবী কোন আর্টিফিশিয়াল বিন্দি ব্যবহার করেন না বলে জানতে পেরেছি। এখন এটা তোদের জিম্মায় দিলাম। ’
    — ‘ আমার মনে একটা কৌতূহল ভীষণ খোঁচা মারছে। মনীষা সত্রাজিৎ এপিসোড অ্যান্ড মারকিউরিক ক্লোরাইড মোটরবাইক চার্জ এবং দেশী পিস্তল ছবিটা কিভাবে ঝুলিয়ে দিলি .... কোন ভ্যালিড এভিডেন্স আছে? ’
    — ‘‘ আরে না না ..... কিচ্ছু নেই। এ হল এক্সট্রাপোলেশান মেকানিজম। একটা এভিডেন্সের সূতোয় টান মারতে থাকা। ফরফর করে সূতোর বুনোট খুলতে খুলতে আর একটা এভিডেন্সের সূত্র তৈরি হয়ে যাবে। এটা অবশ্য চান্সের ব্যাপার। সেটা যে একেবারে সেন্ট পারসেন্ট সাকসেসফুল হবে সেটা বলা যায় না। এটা ভীমরুলের চাক টিপ করে অনেক দূর থেকে ঢিল ছোঁড়া। ঢিলটা নাও লাগতে পারে। কিন্তু যদি লেগে যায় .... চাক থেকে হুড় হুড় করে ভীমরুল বেরোতে থাকবে। আমিও তেমনি টিপ করে ঢিল ছুঁড়লাম। লেগে গেল। এক্সট্রাপোলেশান মেকানিজম।

    একটা রিয়েল এভিডেন্স স্ট্রেচ করে আর একটা হাইপোথেটিক্যাল এভিডেন্সের জন্ম দেওয়া। সেটা সবসময়ে সফল হয় না। শ্রুতি এবং ইরাবান আমার বাড়িতে গিয়ে তাদের মায়ের সম্বন্ধে যা বলেছিল তা থেকে আমি এক্সট্রাপোলেট করে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলাম যে এরা দুজনই ‘রেকারেন্ট ডিপ্রেসন’-এর শিকার। শরীরে সেরাটোনিন হর্মোন অস্বাভাবিক মাত্রায় কমে গেলে এ অবস্থা হয় সাধারণত :। শরীরে সেরাটোনিন হর্মোনের যথাযথ উপস্থিতি আমাদের মানসিকভাবে সুস্থ, স্বাভাবিক এবং সুখী থাকতে সাহায্য করে।  কিন্তু চিকিৎসা কিছু হয় নি। এতে দীর্ঘদিন  ভুগলে মানুষের মনে নিকট কাউকে হত্যার প্রবণতা জন্ম নিতে পারে কোন নির্দিষ্ট মোটিভ ছাড়াই।

    তারপর ধর ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টের মিস্টার আচার্যের কাছ থেকে পিএম-এর প্রাথমিক খবর এবং ডেক্সটার অ্যান্ড স্মিথের সামনে সত্রাজিৎ এবং শ্রুতির একত্রে উপস্থিতি আবিষ্কারের ঘটনা এক্সট্রাপোলেট করে শ্রুতিকে সত্রাজিতের মারাত্মক রাসায়নিক সরবরাহ এবং সিগারেটের তামাকে তা মিশিয়ে রাখার ছবিটা আঁকা হল। প্যাকেটে মাত্র একটাই সিগারেট ছিল। ওই প্যাকেটটা রাত্রে নীলাম্বরবাবুর কাছে দিয়ে আসার সময়ে কোনভাবে শ্রুতির কপাল থেকে এই মেরুন বিন্দিটা পড়ে যায়। কোন ক্লিয়ার এভিডেন্স নেই। শুধু এক্সট্রাপোলেট করে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি।

    দেবযানীদেবীর কথা নীলাম্বরবাবুর দাদা আশুতোষবাবু আমার বাড়িতে এসে জানিয়েছিলেন। উনি যে সত্যি কথাই বলেছিলেন সেটা কাল প্রমাণিত হয়েছে। শ্রুতি আর ইরাবানের মধ্যে কোন ইনসেস্ট রিলেশান ছিল কিনা সেটা এক্সট্রাপোলেট করে বার করতে পারি নি। এ মামলায় তার প্রয়োজনীয়তাও এখন আর নেই। এটা জিনেটিক সমস্যা হতে পারে। এটা দেবযানী এবং নীলাম্বরের জিন কালচার করলে হয়ত জানা যেত। কিন্তু ওগুলো এখন আর সম্ভব নয়। 

    দেবযানী মনীষার সম্পর্কের প্রবল টানাপোড়েনের বহি:প্রকাশ কাল আমরা হরি ঘোষ স্ট্রীটে দেখতে পেয়েছি। এটাকে এক্সট্রাপোলেট করলে মনে হয় নীলাম্বরবাবুর ওপর মনীষাদেবীর বিতৃষ্ণা থাকা অসম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে ওনার ফিঙ্গার প্রিন্ট মিলিয়ে দেখার দরকার আছে , সিগারেট এবং সিগারেটের প্যাকেটে। 

    অবশ্য সত্রাজিৎ কনফেস করেছে এবং তা রেকর্ডেড হয়েছে। এখন তোরা ওকে রিম্যান্ডে নিতে পারিস।ফিঙ্গার প্রিন্ট এই মুহুর্তে খুব জরুরী নয়।

    আর ডেক্সটার অ্যান্ড স্মিথের সিইও-র সঙ্গে আমার কথা হওয়ার গল্পটা বানানো। সত্রাজিতের মস্তিষ্ক  অতিরিক্ত উত্তেজিত না থাকলে সে খেয়াল করত দেবপ্রসাদ রায় এখন বিদেশে। তার সঙ্গে আমার বাক্যালাপ হওয়ার প্রশ্নই নেই। ওটা চাকে ঢিল ছুঁড়ে দেখা আর কি ....।

    আসলে এটা একটা ভিশিয়াস সার্কেল অফ সাইকোলজিক্যাল আপহিভল। সার্কেলের সকলেই মানসিকভাবে অস্থিতিশীল। অপরাধীর, খুব সম্ভবত: কোন কংক্রিট মোটিভ  ছিল না। 

    একটা কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলাম..... মনীষা দেবীর ক্ষেত্রেও যাতে কোন দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য প্রপার কেয়ার নিতে হবে। দুজন ট্রেন্ড ফিমেল অ্যাটেনডেন্ট প্রভাইড করতে হবে অন্তত পনের দিনের জন্য।’’

    — ‘ হ্যাঁ .... এখন একজন আছে। কাল চেষ্টা করব আর একজনের জন্য। ওপরতলায় জানিয়েছি।’

    বাড়ি ফিরে কলতান দেখল কুলচা এসে বসে আছে অনেকক্ষণ ধরে। সে হাতিবাগানের সারাদিনের বৃত্তান্ত শুনে মুখ ভার করে রইল। বলল, ‘আমি কি এতই অপদার্থ যে এমন একটা ইভেন্টফুল মিশন থেকে আমাকে ছেঁটে ফেললে ..... ’

    — ‘ আরে .... কি যে বলিস! তোকে ছেঁটে ফেললে আমার চলবে? কালই তোকে নিয়ে যাব মনীষা মৈত্রের কাছে। তুইই পারবি ওনাকে বাঁচিয়ে তুলতে। ওটা খুব দরকার বুঝলি ..... ’

    বৃষ্টিটা জোরে নামল।

    (সমাপ্ত)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ০৫ মার্চ ২০২২ ১২:৫৮504712
  • বেশ।
  • Anjan Banerjee | ০৬ মার্চ ২০২২ ১২:৩১504745
  • ধন্যবাদ ও শুভকামনা
  • Prodip Kumar Bhattacharjee | ১০ মার্চ ২০২২ ০২:৩৮504807
  • আগের পর্ব গুলি পাওয়া যাবে ? 
  • lcm | ১০ মার্চ ২০২২ ০২:৪৬504808
  • প্রদীপ,
    ওপরে লেখকের নামে ক্লিক করুন, একটা লিস্ট পাবেন।
  • বিপ্লব রহমান | ১৭ মার্চ ২০২২ ০৮:৩৬504933
  •  ১
     সবগুলো পর্ব একে একে পড়লাম। বেশ জমজমাট উত্তেজনা গল্পে, রহস্য তো আছেই। 
     
    একারণেই আরেকটু ধীরে সুস্থে বিস্তারিত বর্ণনাসহ লিখলে পাঠক কিছুটা দম নিতে পারতেন,

    ২ 
    যত্রতত্র অহেতুক ইংরেজি ব্যবহার বাহুল্য মনে হয়েছে। আগেও বলেছি, মূল চরিত্র কলতান ও পুলিশ কর্তারা কী ইংরেজি ছাড়া কথাই বলতে পারেন না? 

    এটি লেখার পাঠ সাবলীলতা নষ্ট করে।


    চরিত্রগুলোকে আরেকটু বর্ণনায় বলিষ্ঠ করা যেত। 

    শ্রুতি ও সত্রাজিৎ দুজনকেই চরিত্রের উচ্ছিষ্ট মনে হয়েছে। বিশেষ করে দেশি পিস্তলের উপস্থিতিতে আত্মহত্যা কিছুটা আরোপিত যেন। 



    পুরো লেখাটিকে সম্পাদনা করা গেলে এটি ভালর চেয়ে ভাল হতে পারে। 

    লেখক অঞ্জন ব্যানার্জির জন্য অনেক শুভ কামনা। আরো লিখুন yes
      
  • Anjan Banerjee | ১৯ মার্চ ২০২২ ১০:২৪504985
  • অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য । অনেক ধন্যবাদ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন