এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • শারদোৎসবের প্রাক্কালে করোনা - কিছু স্বস্তি , কিছু চিন্তা।

    ANIRBAN MITRA লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১০ অক্টোবর ২০২১ | ৮২৪ বার পঠিত | রেটিং ৪ (২ জন)
  •  
    প্রথমেই disclaimer - শারদোৎসবের প্রাক্কালে করোনা নিয়ে ভয় দেখানো কোন মতেই এই লেখার উদ্দেশ্য  নয়। Rather উল্টো। অনেককে খুব চিন্তিত দেখছি। তাই, চেষ্টা করছি কিছু তথ্য - যার মধ্যে বেশ কিছুটা 'তমসো মা জ্যোতির্গময়ঃ' - দেখিয়ে যদি আপনাদের মধ্যে যারা খুব বেশী আতঙ্কিত তাঁদের একটু নিশ্চিন্ত করা যায় আর কি। কারণ যেমন বড় বিপদ কাটেনি, তেমনই এটাও বুঝতে হবে যে বিজ্ঞানের এই আশ্চর্য যুগে বাস করছি বলে আমরা গত বছরের তুলনায় আজ বেশ কিছুটা সুরক্ষিত।  Anyway, কথার volume বাড়িয়ে দরকার নেই। তার থেকে কাজের জিনিস হবে যদি পশ্চিমবঙ্গে ভ্যাকসিন-সংক্রান্ত latest তথ্য এখানে দিয়ে দিই। দেখে নিন - ভালই লাগবে।

    ১। ২০২১'র estimate অনুযায়ী রাজ্যের জনসংখ্যা ৯.৮ কোটি। এবং এর মধ্যে ১৮ বছরের বেশী বয়সীর সংখ্যা ৭.২৬ কোটি। অর্থাৎ, প্রাপ্তবয়স্ক সবাইকে ভ্যাকসিন দিতে লাগবে ১৪.৫৩ কোটি ডোজ।
     
    ২। হিসেব বলছে ৯ই অক্টোবর অবধি দেওয়া হয়েছে ৬.৪১ কোটি ডোজ। এই তথ্য covid19india.org website থেকে নেওয়া। রাজ্য বুলেটিন'র তথ্য অনুযায়ী ৬.২৮ কোটি ডোজ। update, verification, source অনুযায়ী কিছু তফাৎ থাকে তথ্যে, কিন্তু মোটামুটি দেখা যাচ্ছে সাড়ে চোদ্দ কোটি ডোজের মধ্যে ৪৩-৪৪% দেওয়া হয়েছে।
     
    ৩। এর মধ্যে দু ডোজ পেয়েছেন ১.৭৯ কোটি রাজ্যবাসী (২৪.৭%), আর এক ডোজ পেয়েছেন (এক ডোজ বাকি)২.৮২ কোটি প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক (৩৮.৮%)। বড় রাজ্যেদের মধ্যে এই অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য।

    ৪। 'এতজনের এক ডোজ এখনো বাকি? তাহলে আর কি হল' ভেবে এক্ষুনি 'হায় হায়' করবেন না। কারণ, সারা পৃথিবীর সঙ্গে ভারতেও যে সব সার্ভে হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে এক ডোজ ইনফেকশন আটকাতে খুব একটা সমর্থ না হলেও গুরুতর অসুখ ও মৃত্যু থেকে অন্তত ৭০-৮০% সুরক্ষা দেয়। অবশ্য, আরও কিছু কিছু factorsর এই সুরক্ষা'র মাত্রা কিছুটা কমাতে-বাড়াতে পারে, কিন্তু overall যে  ৬৩.৫% পশ্চিমবঙ্গবাসী অন্তত আংশিকভাবে ভ্যাকসিন-জাত সুরক্ষা পেয়েছেন এটা নিশ্চয়ই স্বস্তিদায়ক খবর।
     
    ৫। শুধু তাই নয়, এ মাসের শুরু থেকে supply bottleneck কিছুটা সুরাহা হতে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর 'তেড়ে' ভ্যাকসিন দেবার আয়োজন করে চলেছেন। 'উৎসব চলে এসেছে=ভিড় হবেই= ভিড় থেকে ইনফেকশন বাড়বে= ইনফেকশন ঠেকাতে বেশী ভ্যাকসিন দিতে হবে' এই strategy করে ওঁরা এগিয়েছেন। তাই, গত ৭-৮ দিনে রাজ্যে টোটাল টিকাকরণ হয়েছে ৪৪ লক্ষের বেশী, অর্থাৎ দৈনিক গড় ৬ লক্ষ ৩৬ হাজারের বেশী! এবং এটা 'একদিন ১০গুন ভিড় করে পরের তিনদিন ঢুঁঢু ফাঁকা নয়', এটা দিনের পর দিন লেগে থেকে টিকাকরণের আয়োজন করা। নেহাত 'গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না' (আর বাঙালি তো আরই পাবে না), না হলে রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মীদের এই প্রচেষ্টা'র আমরা সবাই সমাদর করতাম।
     
    ৬। তার মানে অবশ্যই নয় সব সমস্যার সমাধান। কারণ পরিসংখ্যানই পরিষ্কার বলছে ৩৬% রাজ্যবাসী এখনো এক ডোজও পাননি। অর্থাৎ, ২.৬৫ কোটি রাজ্য বাসী এখনো vulnerable। অবশ্যই এর মধ্যে একটি % আগেই করোনা-আক্রান্ত হয়েছেন বলে কিছুটা naturally-protected কিন্তু সেই আশায় বসে থাকলে তো চলবে না। বিশেষত যখন একাধিক বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র দেখাচ্ছে যে দেশে নিহতের সংখ্যা আসলে ৪.৫ লক্ষ নয়, ২৮-৫২ লক্ষ'র মধ্যে কোথাও ঘোরাফেরা করছে!!!! করোনা কালান্তক!

    ৭। আরও আছে। এতদিনে আমরা সবাই জানি যে করোনা মূলত সুগার/প্রেসার/ ক্যন্সার/হার্ট/ফুসফুস/কিডনি'র co-morbidity আছে এমন লোকদের কাছে অনেক বেশী dangerous. বয়স্কদের করোনা সংক্রমণ সহজেই মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে ( মিলখা সিং, বুদ্ধদেব গুহ, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় আরও কত নাম করবেন?...) কারণ বার্ধক্যের সঙ্গে এসব অসুখও বাড়তে থাকে। বয়সের সাথেসাথে শরীরের immunity ক্ষমতা-ও কমতে থাকে। কমবয়সী এক ডোজ পেলেই যা প্রতিরোধ করতে পারবে, বুড়ো মানুষের শরীরে সেখানে লাগবে দুটি ডোজই। এবং, সেই জন্যেই প্রথমে শুরু হয়েছিল বয়স্কদের টিকাকরণে অগ্রাধিকার।
     
    ৮। এক্ষেত্রে রাজ্যের কি হাল? ২০২১র হিসেব মত রাজ্যে ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক আছেন ১.১ কোটি জন। তাহলে এই গ্রুপের জন্যে প্রয়োজন কত ডোজ? ২.২ কোটি। ৯শে অক্টোবর অবধি দেওয়া হয়েছে কত? ১.২১ কোটি, প্রয়োজনের ৫৫%। 45% বাকি। এর বেশী পরিসংখ্যান  পাবলিক domainএ দেওয়া নেই সুতরাং আমার পক্ষে জানা সম্ভব হয়নি এর মধ্যে কটা প্রথম ডোজ আর কটা দ্বিতীয় ডোজ। তবে ধরে নেওয়া যাক এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজই মূলত বাকি। এবং এর মধ্যে অবশ্যই শহরে টিকাকরণ অনেক বেশী হয়েছে (কলকাতা ও গ্রেটার কলকাতায় তো খুব সম্ভবত ৯০%র বেশী এক ডোজ আর ৬০%র বেশী দ্বিতীয় ডোজ হয়ে গেছে)। কিছু জেলা-সদরের চিত্রও আশাব্যঞ্জক। কিন্তু, গ্রামে যে বেশ কিছুটা বাকি সেটা বুঝতে অসুবিধে হবার কথা নয়। এবং এই হল আমাদের বড় gap.
    ৯। মাঝবয়সীদের ক্ষেত্রে কি অবস্থায় টিকাকরণ? রাজ্যে আছেন ~১.৭৩ কোটি মানুষ যাঁদের বয়স ৪৫-৫৯র মধ্যে। কত হল ভ্যাকসিন? ১.৯৪ কোটি (৫৬%)। আরেকটা বড় গ্যাপ! আর ১৮-৪৪ বয়সীদের ক্ষেত্রে? টোটাল ডোজ দরকার ৩.২৬ কোটি। দেওয়া হয়েছে ৩৮%।
     
    ১১। তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়াচ্ছে ? বেশ কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে, আরও অনেকটা পথ বাকি। সব মিলিয়ে স্বস্তির কারণ আছে, আবার দুশ্চিন্তার-ও।অস্বাভাবিক কিছু না; রাজস্থান, অরুনাচল, তেলেঙ্গানা বা কেরলের মত ছোট-জনসংখ্যা রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তুলনা করা চলে না। তাও...
     
    ১২। কিন্তু সুরক্ষা দ্রুত আরও বেশ কিছুটা বাড়িয়ে নেবার উপায় কি নেই? হয়ত আছে। যারা রাজ্যের ভ্যাকসিন পলিসি'র কর্ণধার তাঁদের বিজ্ঞান ও বিজ্ঞান-বহির্ভূত বেশ কিছু সুবিধে-অসুবিধে বিচার করেই এগোতে হচ্ছে, তাই সব কিছু না জেনে তাঁদের পরিকল্পনা'র খুঁত ধরতে যাওয়া অনুচিত হবে (সবকিছু কি ফেসবুকের কী-বোর্ডে মারিতং জগত নাকি?)। কিন্তু, একটা-দুটো suggestion নিয়ে বলতেই পারি।
     
    এক - যেহেতু বিশ্বব্যাপী (এবং ভারতের নিজের) তথ্য-বিশ্লেষণ দেখাচ্ছে যে এক ডোজ ভ্যাকসিন গুরুতর অসুখ এবং মৃত্যু আটকাতে ভালই সক্ষম তাই সব প্রাপ্তবয়স্ককে আগে প্রথম ডোজ দেওয়া শেষ করা হোক।  যে ৩৬% রাজ্যবাসী এখনো এক ডোজ-ও পাননি এঁদের মধ্যে যাঁদের বয়স ৪৫-৬০ এবং ৬০র বেশী তাঁদের তো একদম ফাস্ট-ট্রাকে এক ডোজ দেওয়া সবচেয়ে জরুরী।
     
    দুই - এই ডোজ কোথা থেকে পাওয়া যাবে? এখানে একটা prioritization করলে মন্দ হয় না। হিসেব-নিকেশ করলে দেখবেন ৮-৯ দিনে রাজ্যে যত ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে তার ৮০% হল প্রথম ডোজ এবং বাকি ২০% হল দ্বিতীয় ডোজ। ভাল, কিন্তু এটা আরও বাড়িয়ে দু-তিনের সপ্তাহ জন্যে ৯০-৯৫% শুধু-প্রথম-ডোজ করলে দ্রুত আরও অনেকজন অন্তত partial safe-zoneএ পৌঁছে যাবেন। নেই-মামা'র চেয়ে কানা-মামা ভাল'র অতিমারি সংস্করণ আর কি? হিসেব-টা বলি। গত ১০ দিনে ১১ লক্ষের কাছাকাছি দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। এর প্রাপকদের মধ্যে নিশ্চয়ই ১৮-৪৪, ৪৫-৬০ আর ৬০'র বেশী সব age-groupর লোকজন আছেন। প্রস্তাব - পরের সপ্তাহ দুই-তিন এই ১৮-৪৪ গ্রুপের দ্বিতীয় ডোজ বন্ধ রেখে মাঝবয়সী আর সিনিয়র সিটিজেন দুই গ্রুপের প্রথম ডোজ হাই-স্পিডে খতম করে দিন। বিশেষত, গ্রামাঞ্চলে যেখানে হাসপাতাল পরিকাঠামো দুর্বল। ওখানে এই 'সিকিউরিটি' বেশী প্রয়োজন। আর হ্যাঁ, ৬০+ গ্রুপের দ্বিতীয় ডোজ অগ্রাধিকার দিয়ে শেষ করে দিন। ভ্যাকসিন কম পড়লে একদম কমবয়সী(২০-২৫ বয়স যাঁদের) প্রথম টিকাকরণ এক সপ্তাহ minimum করে দিন। বিপদ নেই বলছি না, কিন্তু অনেকটাই কম। এটা trade-off.
     
    তিন - আগেও লিখেছি। স্কুল তো আশাকরি পুজো'র পরেই খুলবে। তাই স্কুলপড়ুয়াদের বাড়ীর বড়দের অগ্রাধিকার দিয়ে টিকা দিলে খুব ভাল হয়। কারণ, বাচ্ছাদের সিরিয়াস করোনা হয় না এটা মোটামুটি নিশ্চিত। কিন্তু তারা স্কুলে বেশ কয়েক ঘণ্টা কাটিয়ে যদি বাড়ী ফেরে ভাইরাস নিয়ে এবং তা থেকে বড়রা সংক্রমিত হলে পরিবারে বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে। মনে রাখা আবশ্যক, দুই ঢেউ মিলিয়ে দেশে অন্তত ১ লক্ষ শিশু ও কিশোর অনাথ হয়েছে!
    --- ---
    শেষ করি রাজ্যে করোনার সর্বশেষ হিসেব দিয়ে। একটা কথা স্পষ্ট বলি - প্রতিদিন যে কাগজে লেখে বা টি ভি-তে (অতিনাটকীয় ভাবে) বলে 'আজ করোনা বাড়ল' 'আজ সংক্রমণ কমল' এই সব কথার খুব একটা বৈজ্ঞানিক মানে হয় না। সমাজে রোগ বাড়ছে কি কমছে সেটা এইরকম দৈনন্দিন একমাত্রিক হিসেব থেকে বোঝা যায় না। কারণ, কার হবে সিমটম দেখা যাচ্ছে, কে কবে টেস্ট করল, বা রিপোর্ট পেতে দেরি হল বা কটা টেস্ট হল বা হল না এই সব ছোটছোট তারতম্যের জন্যে দিনকে-দিন পজিটিভের সংখ্যা ওঠা-নামা করে। সেটাই স্বাভাবিক। তাই, গতিপ্রকৃতি বা trend বুঝতে অন্তত সাপ্তাহিক positivity ratio দেখা দরকার - অর্থাৎ, এই সপ্তাহে টোটাল কত টেস্ট হয়েছে আর তার মধ্যে ক'জন আক্রান্ত; আর এই হিসেব গত সপ্তাহের বা ১৫ দিন আগের হিসেবের পাশে কেমন দেখাচ্ছে।
     
    সেই হিসেব করেই বলি - ১৬ই থেকে ২৩শে সেপ্টেম্বর রাজ্যে টেস্ট হয়েছিল ২ লক্ষ ৫৪ হাজার মত। পজিটিভ এসেছিল ৪৫৭২জনের ক্ষেত্রে। অর্থাৎ positivity ratio = ১.৮০। তার পরের সাত দিনে টেস্ট সংখ্যা 2,70,031 এবং আক্রান্ত 4,931 । positivity ratio = ১.৮৩, মোটামুটি একই। কিন্তু, ১লা থেকে ৭ই অক্টোবর সুড়ুৎ করে positivity ratio চড়ে গেছে ১.৯৯! এবং গত চার দিনে (অর্থাৎ আজ ১১ই অক্টোবর অবধি) positivity ratio পৌঁছে গেছে ২.১৫এ !  ... এবং কলকাতা, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা'র হিসেব দেখলাম রাজ্য বুলেটিনে, সর্বত্র সাপ্তাহিক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে! কি আর বলব বলুন ...।

    না না, চিন্তায় ঘরে ঢুকে কোন লাভ নেই। করোনাভাইরাস আছে এবং চিরকাল থাকবে। এই দুর্গোৎসবে থাকবে, পরের বছরেও। তবে যেসব অঞ্চলে অনেকে অন্তত এক ডোজ ভ্যাকসিন পেয়ে গেছেন সেখানে এর দাপট কম হবে। সেটাই বিজ্ঞান। ইনফেকশন হবে, কিছু করার নেই। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি, ICU কেস এবং মৃত্যুর দাপট কম হলেই হল - সেটাই ভ্যাকসিনের মূল কাজ। সুতরাং, উৎসবে আনন্দ করুন। উৎসব আসবেই। এবং উৎসব শুধু উৎসব নয়, লক্ষ লক্ষ বাঙালি বছরের এই সময়েই অনেকটা রোজগার করেন। সুতরাং, উৎসব হতেই হবে, উৎসব আনন্দের এবং উৎসব অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
    কিন্তু মাস্ক পরে আর জানলা-দরজা খুলে রেখে। মনে রাখতে হবে, শ্রীভূমি-খালিফা (বা অন্য কোথাও) outdoor ভিড়ে সংক্রমণের বিপদ কম, বিশেষত সেই ভিড় যদি চলমান হয়। করোনাভাইরাস বাঘ নয় যে ঘর থেকে বেরোলে ঘ্যাক করে ধরবে। আসল বিপদ indoor - কোন প্যান্ডেলের ভেতরে জটলা বা কোন get-together বা  দোকান - মলে এবং (সবচেয়ে বেশী) কোন রেস্তরাঁয়, যেখানে সবাই একসঙ্গে (মাস্ক খুলে) খাওয়া-দাওয়া করছেন। ধুর! তা বলে কি পুজো'র সময় বাইরে খাবেন না? নিশ্চয়ই খাবেন। শুধু খেয়াল রাখবেন যেন জানলা-দরজা খুলে ভাল করে হাওয়া-বাতাস চলাচল করে। করোনা একটি বায়ুবাহিত ভাইরাস। তাই, বদ্ধ লোক-ভর্তি ঘর থেকে ভাইরাস বের করে দেবার সবচেয়ে সোজা উপায় Indoor ventilation। সোজা কথায় - জানলা-দরজা খুলে রাখা। না হলে সংক্রমণ বাড়বে। আর যত বাড়বে তত বাড়বে কোন নতুন করোনা-বংশধর জন্মের সম্ভাবনা  - এমন বংশধর যে ডেল্টা'র থেকেও ছোঁয়াচে  এবং আমাদের ভ্যাকসিনকে পাশ কাটিয়ে যেতে পারে। ...আর তাছাড়া এক-তৃতীয়াংশ বঙ্গবাসী তো এখনো এক ডোজ-ই পাননি ...সুতরাং বুঝতেই পারছেন...।
     
    ভাল থাকবেন। শুভ শারদীয়া।
     
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১০ অক্টোবর ২০২১ | ৮২৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন