এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • Targeted vaccination করলে রাজ্যে স্কুল দ্রুত শুরু করা এবং চালু রাখা সম্ভব

    ANIRBAN MITRA লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ২০৯৫ বার পঠিত
  •  সাম্প্রতিক রিপোর্টে UNICEF জানিয়েছে যে "The losses that children and young people will incur from not being in school may never be recouped.....the consequences for children will be felt in their academic achievement and societal engagement as well as physical and mental health...'' শুধু UNICEF নয় ,   স্কুল খোলা যে ভীষণ দরকার সে বিষয়ে দেশে-বিদেশে প্রায় সব বিশেষজ্ঞ একমত। এবং শুধু অফিসিয়াল সিলেবাস শেষ করার জন্যে নয়, পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে ওঠার জন্যে ছেলেমেয়েদের স্কুলে যাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। স্মার্টফোনে অনলাইন ক্রিকেট খেললে যেমন সচিন-সৌরভ-রাহুলের সমকক্ষ হওয়া যায় না, তেমনি পড়াশোনা ও সামাজিক bonding শুধু স্ক্রিন টিপে হয় না। এবং এই বিপদ এড়াতেই ১৭৫টি দেশে স্কুল খুলে গেছে, যদিও কোন দেশেই ১২ বছরের কম বয়েসী কারুরই টিকাকরণ হয়নি। তাই যদি কেউ কেরদানি মেরে বলে - 'না না, ফোনেই তো পড়া যথেষ্ট' তাহলে বুঝবেন তার সঙ্গে এ বিষয়ে সময় নষ্ট না করা ভাল।


    অনেকেই অবশ্য ভাবছেন যে বাচ্ছাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে গেলেই সমস্যার সমাধান হবে। দুঃখের বিষয়, হবে না ! কারণ আজ অবধি যে সব টিকা দেশে-বিদেশে ব্যবহৃত হচ্ছে তাদের মূল কাজ সিরিয়াস অসুখ, হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যু রোধ করা । ভাইরাস ঢুকলে শরীরের ভ্যাকসিন সমৃদ্ধ রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থা কয়েকদিনের মধ্যে রোগকে অঙ্কুরেই ধ্বংস করতে পারে এবং সে কাজ যে ভ্যাকসিনরা ভালই করছে সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু ইনফেকশন তারা কতটা ঠেকাতে পারে সে নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে দ্বিমত আছে। কিছুটা নিশ্চয়ই পারে (সিরিয়াস অসুখ না হলে রোগীর শরীর থেকে নিঃসৃত ভাইরাস কিছুটা তো কমবেই), তবে ১০০% কোন মতেই না । আর তাছাড়া, যে ভাইরাস আকাশে-বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাকে কোন পদ্ধতি গ্যারান্টি দিয়ে আটকাবে বলুন তো? মোদ্দা কথা, স্কুল খুললে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ইনফেকশন বাড়বে। এবং সেটাই স্বাভাবিক। এটা আটকাবার অনেকরকম চেষ্টা বিজ্ঞানসম্মত ভাবে করলে সংক্রমণের মাত্রা কম থাকবে, তবে জিরো হবে না।

    তাছাড়া, এখানে একটি 'ভাল খবর' আমাদের পক্ষে। গত দেড় বছরে বিশ্বব্যাপী গবেষণায় বিজ্ঞানী ও ডাক্তাররা ভালোই বুঝেছেন যে এই অতিমারী মূলত বড়দের অসুখ। বাচ্চাদের ইনফেকশন হয় ঠিকই এবং তাদের থেকে অন্য বাচ্ছাদের এবং বড়দের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে, কিন্তু আজ অবধি বেশিরভাগ শিশু ও কিশোরদের খুবই mild অসুখ করেছে। তিন-চারদিন আগে প্রকাশিত American Association of Pediatricsর 'Children and COVID-19' রিপোর্ট বলেছে Among states reporting, children ranged from 1.6%-3.6% of their total cumulated hospitalizations, and 0.1%-1.9% of all their child COVID-19 cases resulted in hospitalization এবং children were 0.00%-0.24% of all COVID-19 deaths, and 7 states reported zero child deaths..... 0.00%-0.03% of all child COVID-19 cases resulted in death. বলতে পারেন, আমাদের সৌভাগ্য যে যে প্রকৃতি এই নতুন ভাইরাসকে জন্ম দিয়ে বেশ কয়েক লক্ষ মানুষকে অকালে কেড়ে নিয়েছে, সেই প্রকৃতিই মানবশিশু ও কিশোর-কিশোরীদের এমন এক সহজাত ক্ষমতা দিয়েছে যার ফলে কোভিড-১৯ চট করে ওদের ঘায়েল করতে পারে না। কেন এমন হয় সেটাও এখন অনেকাংশে বুঝতে পারছেন বিজ্ঞানীরা - একাধিক গবেষণাপত্র ও বেরিয়েছে, বেরোচ্ছে।

    এবং সেই জন্যেই আমাদের দেশে করোনায় যে ৪ লক্ষ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ অফিসিয়ালি মারা গেছেন তাঁদের মধ্যে মাত্র ১৫০০ ছোট ছেলেমেয়ে আছে। কোন মৃত্যুই তুচ্ছ করার মত নয়, শিশু মৃত্যু তো নয়ই। কিন্তু এই যে 'ভারতে করোনার কারণে মৃতদের মধ্যে মাত্র ০.৩৩% শিশু ও কিশোর' এটা তো আমাদের সবাইকেই একটি স্বস্তি দিল, তাই নয় কি? আর একই তথ্য আমাদের রাজ্যের হিসেব-নিকেষেও দেখা যায়। রাজ্যের স্বাস্থমন্ত্রক দৈনিক বুলেটিন অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে যতজন মারা গেছেন তাদের মধ্যে ০.৩% র বয়স ১৫ বছরের কম। অর্থাৎ, যে ১৮ হাজার ৪০০ জনকে এই অতিমারী ছিনিয়ে নিয়েছে তার মধ্যে মাত্র ৫৫ জন শিশু বা কিশোর। শুধু তাই নয়, একই বুলেটিনে পাবেন আরেকটি তথ্য -  এ রাজ্যে আজ অবধি যতজন children করোনা-আক্রান্ত হয়েছে তাদের মধ্যে ০.০৮% fatality rate, অর্থাৎ দশ হাজারে ৮ জন।


    আরেকটা ভাল খবর দিই। খুব সম্ভবত এই ০.০৮% একটি over-estimation. কারণ জাতীয় সেরোসার্ভে'র চতুর্থ দফা'র ~৬০% বাচ্ছাদের শরীরে করোনা বিরোধী এন্টিবডি'র সন্ধান পেয়েছে। জুলাই-তে প্রকাশিত তাঁদের রিপোর্ট বলছে দেশের 'In people of 6-9 years age group, seroprevalence was 57.2%; in 10-17 years, it was 61.6%' ।

    সংখ্যাগুলির মানে সোজা করে বলে দিই। দেখুন, ২০২১র জনসংখ্যা estimate অনুযায়ী দেশে ৬-১৭ বছর বয়েসী আছে ২৯.৬ কোটি। তার মানে, সেরোসার্ভে অনুযায়ী তাদের মধ্যে প্রায় ১৮ কোটির (৬০% এর) শরীরে করোনা এন্টিবডি পাওয়া গেছে, অর্থাৎ কোন না কোন সময়ে এই ১৮ কোটি ছেলেমেয়ে'র করোনা ইনফেকশন হয়েছিল। অথচ ভয়ঙ্কর অসুস্থ হয়েছে বা মারা গেছে এমন সংখ্যা হাজার খানেকের বেশি নয় (তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম যে ১৫০০ নয়, অতিমারীতে হারিয়ে গেছে তার দ্বিগুন ছেলেমেয়ে)। বেশির ভাগের ক্ষেত্রেই কেউ বুঝতেই পারেনি এবং কোনো টেস্টও (RTPCR বা rapid antigen) হয় নি, কারণ প্রায় সবাই asymptomatic ছিল। অর্থাৎ, ওই fatality ratio ০.০৮% নয়, তার থেকে অনেকটাই কম। কত কম তার আন্দাজ সম্প্রতি সংবাদপত্রে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন AIIMS-র অধ্যাপক ডঃ সঞ্জয়কুমার রাই। তাঁর মতে শিশুদের করোনায় মৃত্যুর আশংকা প্রতি ১০ লক্ষে মাত্র দুজনের। শতাংশের বিচারে ০.০০০২%র ও কম।


    এই সব তথ্য থেকে দুটো জিনিস conclude করা যায় -

    ১. শিশু ও কিশোররা এই অতিমারীতে বেশি vulnerable নয়। ওদের নিয়ে বেশি ভয়ের কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। বরঞ্চ, যথেষ্ট তথ্য আছে যে তারা এই ভাইরাস থেকে সহজাত সুরক্ষা পেয়েছে। এবং শাপে বরের মত এখন একবার ইনফেকশন হওয়াতে এই ৬০% কিছুটা সুরক্ষিত ও বটে। এন্টিবডি ও তৈরী হয়েছে এবং সবচেয়ে বড় কথা, শরীর নতুন কোরোনাভাইরাসকে চিনে রেখেছে।

    ২. দেড় বছর ধরে তাদের বাড়িতে আটকে রেখে আমরা স্কুলপড়ুয়া ছেলেমেয়েদের ইনফেকশন তেমন কিছুই আটকাতে পারেনি। 'বজ্র আঁটুনির ফস্কা গেরো' হয়ে ঠিকই ভাইরাস বাচ্ছাদের শরীরে সংক্রমণ করেছে। আমাদের '১৪ পুরুষের ভাগ্য ভাল' ওদের natural immunity প্রাপ্তবয়স্কদের মত নয়।

    তাহলে আমরা নিজেদের প্রশ্ন করতেই পারি যে নীচু থেকে উঁচু ক্লাস সব স্কুল পড়ুয়া ছেলেমেয়ে যদি সহজাত-সুরক্ষিত থাকে এবং আমাদের যতরকম 'বাড়ি থেকে বেরোস না, কারুর সঙ্গে মিশিস না, খেলিস না' যদি ইনফেকশন আটকাতে না পারে তাহলে এখনো আমরা স্কুল বন্ধ রেখে কি লাভ করছি?

    তবে,আমার মতে  পশ্চিমবঙ্গে এখনো কিছুদিন স্কুল বন্ধ রাখার প্রয়োজন আছে। কিন্তু সেটা ছেলেমেয়েদের স্বাস্থ্যর জন্যে নয়। তাদের বাড়ির বড়দের জন্যে - বাবা, মা, ঠাকুরদা-ঠাকুমা, দাদু, দিদা, কাকা, জ্যাঠা, মামা, পিসি সবার সুরক্ষার জন্যে।

    দেখুন, তথ্য দিয়ে আর ভারাক্রান্ত করব না, কিন্তু প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যে করোনা সংক্রমণ সাংঘাতিক হতে পারে সেটা এতদিনে আমরা সবাই জানি। বেশ কিছু রাশিবিজ্ঞানীর গণনা বলছে দুই ঢেউ'র ঝাপ্টা'র বলি হয়েছেন ২৫-৪০ লক্ষ ভারতবাসী! সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন এ বছর এপ্রিল এবং মে মাসে। এবং তার ফলে অনাথ হয়েছে অন্তত ১ লক্ষ ছেলেমেয়ে। অর্থাৎ, প্রত্যক্ষ বিপদ বেশি বড়দের, ছোটদের নয়। কিন্তু গন  বড়রা করোনা-র হাতে নিহত বা আহত হলে পরোক্ষে যে ছেলেমেয়েদের দুর্দশার অন্ত থাকবে না সে বলাই বাহুল্য।

    এই হল আমাদের বর্তমান অবস্থা। টিকাকরণ চলছে কিন্তু সময় লাগবে। স্কুল খোলা প্রয়োজন এবং ছেলেমেয়েরা মোটামুটি সুরক্ষিত। কিন্তু স্কুল খুললে যে ছাত্র ছাত্রীদের সংক্রমণ বাড়বে এটা অবধারিত। অনেক রাজ্যেই already বাড়ছে। স্বাভাবিক। সুতরাং, স্কুলে কয়েক ঘন্টা থাকার সময় যদি তাদের মধ্যে ভাইরাস ঘুরে বেড়ায় এবং সেইটা নিয়ে বাড়ি ফিরে তারা পরিবারের unvaccinated কাউকে সংক্রমিত করে ফেলে? তখন তো তিন-চার দিনের মধ্যে কোয়ারেন্টাইন হতে হবে এবং হাসপাতাল-ওষুধ-ডাক্তার সবকিছুর জন্যে ছোটাছুটি শুরু হবে। পড়াশোনা তখন লাটে উঠবে।

    শুধু তাই নয়, এরকম বেশ কিছু কেসের খবর মিডিয়ায় sensational ভাবে উপস্থাপিত হলে সামাজিক লেভেলে যে আতঙ্ক ছড়াবে তার ফলে সরকারের ওপর বিশাল চাপ আসবে স্কুল আবার বন্ধ করে দিতে। অর্থাৎ, অফলাইন ক্লাস চালুর এক-দু সপ্তাহ'র মধ্যে আবার সব তালা লাগাতে হবে। আর তারপর ? .....খুলবে কবে? খুললেই তো আবার ইনফেকশন বাড়বে। কেন বাড়াবে একটু আগেই ওপরে পড়েছেন। ভ্যাকসিন থাকলেও বাড়বে। মানে একটা বিচ্ছিরি চক্রের মধ্যে আমরা ফেঁসে যাব।  সব মিলিয়ে জটায়ুর ভাষায় 'সুপার কেলেঙ্কারি' !

    তার মানে এমন কিছু করতে হবে যে দ্রুত স্কুল চালু করা সম্ভব হয় অথচ বাড়ি বড়রা (এবং স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা) অসুস্থ না হয়ে পড়েন। তবেই স্কুল খোলা এবং লং-টার্ম চালু রাখা সম্ভব।

    এবার আমাদের রাজ্যের কিছু তথ্য দেখে নেওয়া যাক। ভ্যাকসিন, স্কুল, পরিবার সবরকম তথ্য যতটা এখানে দরকার ততটাই দেখিয়েছি।

    ১. ২০২১এ পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যা ৯.৮ কোটি মত, যাদের মধ্যে ১৮+ বছরের বেশি বয়েসের সংখ্যা ৭.২ কোটি। অর্থাৎ, সবার টিকাকরণের জন্যে প্রয়োজন ১৪.৪ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ।

    ২. ৩০শে আগস্ট পর্যন্ত ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ৩.৯৮ কোটি। এর মধ্যে দু ডোজ পেয়েছেন ১.১২ কোটি (অর্থাৎ, ১৫.৫%) রাজ্যবাসী। এবং প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১.৭৩ কোটি'র কিছু বেশি (অর্থাৎ ২৪%)। দুয়ে মিলে ৪০% । বড়-জনসংখ্যার রাজ্যদের মধ্যে এই প্রগতি ভালোই। তবে এটা রাজ্যের গড় হিসেব। অবশ্যই জেলাভিত্তিক, শহর-গ্রামাঞ্চল, নারী পুরুষ তফাৎ আছে।

    ৩. Unified District Information System for Education (UDISE) ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী সব বোর্ড মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ক্লাস ১ থেকে ক্লাস ১০ অবধি ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১.৫ কোটির কিছু বেশি। এর মধ্যে ক্লাস ১-৩ তে পড়ে ৫০ লক্ষ্, ক্লাস ৪ থেকে ক্লাস ৬এ পড়ে সাড়ে ৪৫ লক্ষ, ক্লাস ৭ এবং ৮ মিলিয়ে ২৭.৭ লক্ষ এবং নবম ও দশম শ্রেণীতে ~২৮ লক্ষ।

    ৪. পঞ্চম জাতীয় পরিবার স্বাস্থ সার্ভে (NFHS-৫) অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে পরিবার পিছু গড় সদস্য সংখ্যা ৪; এবং এদের মধ্যে ২৪% বয়স ১৫'র কম। তাহলে আমরা ধরে নিতেই পারি প্রতি পরিবারে ৪জনের মধ্যে একজন আছে যে স্কুলে কোন এক শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। তাহলে বাকি থাকল পরিবারে ক'জন? তিনজন প্রাপ্ত বয়স্ক। তার মানে সব মিলিয়ে দেড় কোটি স্কুলপড়ুয়ার পরিবারে আছেন ৪.৬ কোটি প্রাপ্তবয়স্ক - বাবা, মা, ঠাকুরদা-ঠাকুমা, দাদু দিদা, কাকা, জ্যাঠা।... যাঁদের টিকাকরণ সম্পূর্ণ করা প্রয়োজন।

    এখানেই আমরা একটা এক-ঢিলে-দুই-পাখি স্ট্রাটেজি অবলম্বন করতে পারি। যাকে বলে TARGETED VACCINATION।

    বিস্তৃত করে বলি -  ধরুন  ক্লাস ৪-৫-৬র কথা। কতজন স্টুডেন্ট আছে সারা রাজ্যে? ৪৫ লক্ষ ৪৪ হাজার। তার মানে, NFHS-৫ সমীক্ষা অনুযায়ী, তাদের পরিবারে প্রাপ্ত বয়স্ক কতজন আছেন? ১.৩৬ কোটি মানুষ।Generalize করে ধরে নিতেই পারি যে এঁদের মধ্যে ১৫.৫% দু ডোজ পেয়েছেন, এবং ২৪% এক ডোজ (কারণ,স্কুল পড়ুয়াদের বাবা-মা-বাড়ির বড়রা তো রাজ্যেরই মানুষ)।  অর্থাৎ, এঁদের মধ্যে ২১.১ লক্ষ'র টিকাকরণ সম্পূর্ণ এবং ৩২.৭ লক্ষ এক ডোজ পেয়েছেন। তাহলে সব মিলিয়ে ক্লাস ৪-৫-৬র ছেলেমেয়েদের পরিবারের বড়দের কত ডোজ দেওয়া বাকি রইল? ১.৯৭ কোটি ডোজ।

    রাজ্যে গড়ে কত ডোজ দেওয়া হচ্ছে প্রতিদিন? ৪-৪.৫ লক্ষ (আজকে অবশ্য দেখলাম ১১ লক্ষে'র বেশি ডোজ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। অবাক হয়নি। টিকাকরণের ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ বহু বছর খুবই সফল ও অভিজ্ঞ, এবং বহু বাধা-বিপত্তি এবং ভ্যাকসিনর আকাল কাটিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ কর্মীরা টিকাকরণ করছে এ যে দেখেছে সেইই জানে)। কিন্তু ৪.৫ লক্ষ ধরলে যদি শুধু ক্লাস ৪-৫-৬র ছাত্রছাত্রীদের পরিবারের সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় কতদিন লাগবে? ৪৪ দিন। বাস্তবে অবশ্য কোন দেশেই ১০০% টিকাকরণ হয় না। আশা করলেও সেটা realistically সম্ভব না। অবশ্য ডেল্টা variantর আবির্ভাবের পরে মোটামুটি ধরে নেওয়া হয়েছে যে সমাজে সবার সুরক্ষা দিতে ৮০-৯০%র টিকাকরণ জরুরি। তাই, আমরা ধরে নিই (কিছুটা arbitrarily) ৯৩% টিকাকরণ প্রয়োজন এবং সম্ভব হবে। সেটা করতে কতদিন লাগা উচিত? ৪১ দিন। দেড় মাসের ও কম। এর মধ্যে টিকা'র supply বাড়লে আরো কম সময়ে। তারপর দু সপ্তাহ গ্যাপ দিয়ে (বড়দের শরীরে immunity বাড়তে সময় দিয়ে) ক্লাস ৪-৫-৬ শুরু করা যাবে ।

    আর ওই দু-সপ্তাহ তো টিকাকরণ থেমে থাকবে না। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যাবে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণীর ছেলেমেয়েদের 'বাড়ির বড়দের' targeted vaccination। কতদিন লাগবে? মাত্র ২৫ দিন। ৪১+২৫ = ৬৬ দিন, আরো ১০ দিন যোগ করে দিন for delays এন্ড bottlenecks . তাহলেও ৭৫-৭৬ দিন। আড়াই মাস। অর্থাৎ, ৮০ দিনের মধ্যে ক্লাস ৪- ক্লাস ৮ রাজ্যজুড়ে চালু করে দেওয়া শুধু যে সম্ভব তাই নয়  তখন চিকিৎসাবিজ্ঞানের সব হিসেব অনুযায়ী এবার  সংক্রমণ বাড়লেও ওই ক্লাসের পড়ুয়ারা এবং তাদের বাড়ীর সবাই বেশ সুরক্ষিত।


    আর তার পর ছোট্টদের? প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণী? UNICEF, WHO এবং দেশি-বিদেশী সব বিশেষজ্ঞদের মতে যাদের সবার আগে স্কুলে ফেরা উচিত? সেই হিসেবে ক্লাস ১-২-৩ এর বাবা-মা-গুরুজনদের targeted vaccinationই আগে হবার ছিল। কিন্তু সামাজিক দ্বিধা, স্কুলে ওদের সামলানো, pediatric পরিকাঠামোর সুবিধে অসুবিধে অভিজ্ঞতা ইত্যাদি ধরে  না হয় পরেই রাখা গেল। এদের কতদিন লাগবে? ৪৫ দিন। আর স্কুলের দাদা-দিদি অর্থাৎ ৯-১০র ছেলেমেয়েদের পরিবারের টিকাকরণ সম্পূর্ণ করতে? মাত্র ২৫ দিন। দু-তিন দিন এদিক-ওদিক ধরে নিলেও এক মাসের কম।

    বাকি রইলেন শিক্ষক-শিক্ষিকা - শিক্ষাকর্মীরা। জাতীয় ডেটাবেস অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে স্কুল শিক্ষকের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৬৬ হাজারের কিছু বেশি। ধরে নিই শিক্ষাকর্মীর সংখ্যা আরো ২ লক্ষ। এদের মধ্যে অনেকেই ওই ৪০% তো পড়বেনই , তাছাড়া নির্বাচন ডিউটি ছিল বলে অনেকেই ভ্যাকসিন পেয়ে গেছেন। সব মিলিয়ে targeted vaccine দিলে রাজ্যের সব শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের মাত্র দু-তিনদিনে টিকাকরণ শেষ করা সম্ভব। কোন ব্যাপার নয়।

    প্রশ্ন উঠতে পারে, সবগুলি একসঙ্গে দিলেই তো হয়। হতে পারে, তবে সব ক্লাসের পরিবারদের একসঙ্গে দিতে গেলে ৫ মাসের আগে প্রথম থেকে দশম কোন ক্লাসই অফলাইন খোলার জন্যে সুরক্ষিত অবস্থায় পৌঁছবে না। এই সময় যে কোন শ্রেণী খোলা মানে আমাদের দূর্গের দেওয়ালে অনেক ছোট বড় গ্যাপ রেখে যাওয়া, এবং শত্রু-ভাইরাস তা দিয়ে যে ঢুকবেই তা গ্যারান্টি দিতে পারি। আর যেভাবে চলছে সেভাবেই চললে?
    সে হিসেবে ও করা যায়। গোটা রাজ্যের প্রাপ্ত বয়স্কদের ৯৩%কে যদি ভ্যাকসিন coverage দিতে হয় তাহলে লাগবে ১৩.৪ কোটি ডোজ । এখন অবধি দেওয়া হয়েছে ৪ কোটি ।তাহলে বাকি থাকল ৯.৪ কোটি ডোজ - প্রথম ও দ্বিতীয় সব মিলিয়ে । এবার দিনে ৪.৫ লাখ করে দেওয়া গেলে কতদিন লাগছে? ২০৮ দিন। ৭ মাস। 
     
    এবার ভেবে দেখুন ৭ মাস wait করবেন না  ৫ মাস ? না কি targeted vaccination শুরু করে  ২.৫ মাস পর থেকেই দুটি-তিনটি শ্রেণী দিয়ে শুরু করবেন? মনে রাখতে হবে, অন্তত আংশিক ভাবেও ক্লাস শুরু করলে ছেলেমেয়েদের পক্ষে ভাল। উত্তর আমাদের জানা । তাই মনে হয় ক্লাসভিত্তিক ভাবে বাড়ীর বড়দের টিকাকরণ করলে স্কুল খোলার ব্যাপারে আমরা অনেক দ্রুত safety zoneএ পৌঁছতে পারব। যুদ্ধ পরিচালনার উপমা দিলে আমরা সব ফ্রন্টে একসঙ্গে লড়াই করার চেষ্টা করে নিজেদের ক্ষমতা dilute করব না । বরং একটা সেক্টরে প্রায় সব কামান-বন্দুক-সৈন্য-অফিসার কাজে লাগিয়ে সেটা জয় করে তারপর অন্য সেক্টরে সর্বশক্তি নিয়োজিত করব।
    এবং এটা তো ঠিক নতুন না। আমাদের রাজ্যেই তো পেশাভিত্তিক targeted vaccination আগেও হয়েছে - অটো টোটো ড্রাইভার, হকার, স্বাস্থকর্মী, পুলিশকর্মী, নির্বাচনকর্মীদের জন্যে (যাঁরা সবাই কোন না কোন পরিবারের সদস্য হয়েছে)। সেটা হতে পারে আর আমাদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার সুবিদার্থে কেন হবে না?

    তাছাড়া, এটা তো জেলাভিত্তিক decision নেওয়া যাবে। কোন এক জেলায় এই targeted টিকাকরণ সম্পূর্ণ হলেই সেখানে অনেক স্কুল খুলে দেওয়া যেতে পারে। যেমন ২৯শে অগস্ট অবধি কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা মিলিয়ে যতজন ১৮+ নাগরিক তাদের মধ্যে ৪৮% এক ডোজ এবং ২৭%র বেশি দুটি ডোজই পেয়েছেন। তার মানে পনেরো-কুড়ি দিন effort দিলেই এই অঞ্চলের বহু স্কুল খুলে যাবার অবস্থায় চলে আসবে। 

    By the way, একই কথা কিন্তু রাজ্যের সব টিউটোরিয়ালের ক্ষেত্রেও সত্যি। বলতে পারেন বেশি সত্যি। স্কুল-খুলল-না-অথচ-সবাই-কোচিংক্লাসে-গাদাগাদি করতে মাস্ক না পরে বসল - এটা কি? ইচ্ছে করে বিপদ ডেকে আনার চেষ্টা? সহকর্মী হিসেবে শিক্ষকদের অনুরোধ, ছাত্রছাত্রীদের বাড়ির elderরা যেন টিকা নিয়ে নেন সে বিষয়ে একটু জোর দিন। এর সঙ্গে যে অর্থনীতি ও জড়িত সেটা বলাই বাহুল্য।

    আজকের মত 'টাটা' বলার পালা। প্রয়োজনীয় মনে হলে এই লেখা এবং তথ্য শেয়ার করবেন। আমি নিজে শিক্ষক এবং ছেলেমেয়েরা যাতে নির্ভয়ে নির্দ্বিধায় দ্রুত নিজেদের ক্লাসে ফিরতে পারে তা নিয়ে আশাবাদী। তাই, এ বিষয়ে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কি করা সম্ভব তার বোঝাবার চেষ্টা করলাম। তবে, এটা implement করতে হলে যেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেটা হল science communication to the public । কেন এই পদ্ধতি নেওয়া হচ্ছে? কি লাভ হবে? কেন কোন কোন ক্লাস আগে শুরু? এই সব প্রশ্ন অবধারিত ভাবে উঠবে এবং সাধারণ মানুষকে (যার মধ্যে স্কুল পড়ুয়া, তাঁদের বাড়ির বড়রা, মিডিয়া, সরকার পক্ষ, বিরোধী সবাই আছেন ) বোঝাতে হবে। গতানুগতিক সরকারি নোটিশ বা দায়সারা কেউ-শোনে-না প্রেস স্টেটমেন্ট দিয়ে নয়; বোঝাতে হবে সহজ চলিত ভাষায়, আড্ডার মাধ্যমে, গানের ভাষায়। যে ভাষায় আমরা সবাই relate করতে পারি। যে ভাষায় একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি। বোঝাতে পারি - এই আমাদের আশা, আশা করি কাজ করবে আর বাচ্ছাদের ভাল হবে। আজ ক্লাস ৪ শুরু হলে আখেরে ক্লাস ৭র-ও লাভ। কারণ আমরা সবাই একই সমাজে। দেখবেন, সমাজের বড় অংশ এর প্রয়োজনীয়তা বুঝলে এই কাজ হিসেবের চেয়েও দ্রুত করা সম্ভব। অনিচ্ছুক দায়সারা সৈন্য নিয়ে যুদ্ধ জেতা যায় না, এবং এই অতিমারী যুদ্ধে আমরা সবাই সৈনিক। সবার পক্ষে তো জানা বা বোঝা সম্ভব নয়। কিন্তু, না বুঝলে বিভ্রান্তি বাড়ে এবং কান-ভাঙ্গানো দূর্জন সুযোগ পায় (বিশেষত হোয়াটসাপের মাধ্যমে)। সেই জন্যেই বিজ্ঞান-নির্ভর জনসংযোগ এত বেশি প্রয়োজনীয়।

    একটা কথা না বলে শেষ করা অনুচিত হবে। ব্যাটসম্যান যেমন গ্লাভস-প্যাড-হেলমেট-গার্ড সবই পরে খেলতে নামে, যেমন কেউ বলে না 'হেলমেট পড়েছি তাই প্যাড না পড়লেও চলবে' তেমনি শুধু এই targeted ভ্যাকসিন দিলেই অতিমারীকালে স্কুল খোলা সহজ হবে না। স্কুল চত্বরে ইনফেকশন হবেই, কিন্তু সেটা একটি সহজ উপায়ে আমরা অনেকটা কমিয়ে দিতে পারি। আলাদা সেভাবে খরচ ও নেই। কি উপায় ? - সব ক্লাসের সব জানলা-দরজা সারাক্ষন খুলে রাখা। বিস্তারিত আলোচনা কয়েকদিন পরেই করব। ভাল থাকবেন।

    রেফারেন্স :

    https://www.unicef.org/press-releases/statement-reopening-schools-cannot-wait

    https://www.wbhealth.gov.in/pages/corona/bulletin

    https://main.mohfw.gov.in/sites/default/files/Population%20Projection%20Report%202011-2036%20-%20upload_compressed_0.pdf

    https://www.ndtv.com/education/opinion-what-parents-need-to-know-ko-to-facilitate-school-reopening-latest-news-today

    https://eisamay.indiatimes.com/editorial/post-editorial/poor-students-are-in-trouble-as-schools-closed-for-long-time-due-to-covid-19/articleshow/85061582.cms

    https://www.dnaindia.com/india/video-4th-round-of-national-serosurvey-included-children-of-6-17-years-of-age-icmr-2901574

    https://www.newindianexpress.com/opinions/columns/2021/jul/26/making-sense-of-the-fourth-national-sero-survey-2335314.html

    https://www.orissapost.com/no-scientific-proof-to-show-third-wave-will-impact-kids-aiims-experts/

    https://theprint.in/health/4th-sero-survey-finds-2-of-3-indians-with-covid-antibodies-but-still-avoid-crowds-icmr-warns/699600/

    https://www.aap.org/en/pages/2019-novel-coronavirus-covid-19-infections/children-and-covid-19-state-level-data-report/

    https://thewire.in/video/watch-estimate-india-25-lakh-covid-19-deaths-rukmini-s-karan-thapar

    https://twitter.com/muradbanaji/status/1428633003140517893

    https://www.indiatoday.in/coronavirus-outbreak/story/covid-orphans-lancet-study-india-death-primary-caregivers-1831040-2021-07-22

    https://www.thehindu.com/news/national/119000-indian-children-lost-caregivers-to-covid-during-first-14-months-of-pandemic-says-report/article35438967.ece

    https://dashboard.udiseplus.gov.in/#/home

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ২০৯৫ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    শপথ  - Prolay Adhikary
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন