এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  সিনেমা

  • OTT রিলিজ । নিউ সিনেমা 

    netai
    সিনেমা | ২৫ জুন ২০২১ | ১১১০ বার পঠিত
  • রায়া অ্যান্ড দ্য লাস্ট ড্রাগন

    আচ্ছা, পৃথিবীটা যদি গোল না হয়ে সত্যি চারকোনা হত, তবে কেমন হত। এখনো নাকি পঞ্চাশ হাজার লোক আছে যারা ঠিক এটাই বিশ্বাস করে। চিৎ হয়ে শুয়ে এইসব হবিজাবিই ভাবছিলাম। পাশে রুবি ল্য্যপটপে খুটখাট করতে করতে বলে উঠলো - শোনো, দেখে যাও, ওর লেজটা কত মোটা। আমি বললাম - কার? বেড়ালের? বলল - না না, ড্রাগনের। উঠে দেখতে গেলাম। মোটা কিনা জানি না, তবে ভারি সুন্দর ছিল অস্বীকার করা গেল না। ব্যাস। দেখতে বসে পড়লাম। রায়া অ্যান্ড দ্য লাস্ট ড্রাগন।

    সিনেমার শুরুতে পাঁচ মিনিটের থিওরি। গল্প শুরু রায়ার কথায়। ভাঙাচোরা পৃথিবী, চারদিকে ছড়ানো ছেটানো পাথরের মূর্তি। তার মাঝে গড়গড়িয়ে চলেছে রায়া। অথচ ৫০০ বছর আগেও এমন ছিল না। পুরো পৃথিবী ছিল একটাই ভুখন্ড আর সব পেয়েছির দেশ। মাঠ ভরা ধান আর নদীতে মাছের মেলা। শস্যশ্যামলা, একেবারে সোনার বাংলা (সিনেমাতে নাম দিয়েছে কুমান্দ্রা)। সবাই ধরিত মৎস আর খাইত সুখে। আর আকাশে বাতাসে ভেসে বেড়াতো রং বেরং এর সব ড্রাগন। সোনার বাংলার রূপকার। যারা তাদের ম্যাজিক শক্তি দিয়ে ফুলে ফলে জলে ভরিয়ে দিয়েছিল দেশ। কিন্তু সেই সুখে কারোর নজর লাগলো। হানা দিল ভাইরাস (থুড়ি Druun)। সোনার বাংলা ছারখার হয়ে গেল। ওরা সবাইকে ধরে শরে পাথর বানিয়ে দিত। ড্রাগনরা প্রাণপনে লড়াই করলো কিন্তু তারাও শেষে পাথরই হয়ে গেল। আর প্রাচীন আরণ্যের প্রবাদ, শেষ মুহুর্তে অবতীর্ণ হল ড্রাগন সিসু। তার সব শক্তি দিয়ে বনালো ম্যাজিক ভ্যাকসিন মনি। আর ম্যাজিক মনি যাস্ট হাওয়া করে দিল সব ভাইরাসদের । পাথর থেকে আবার মানুষ ফিরে এলো। ফিরে এলো সুখ শান্তি। ফিরলোনা শুধু ড্রাগনেরা। ড্রাগন সিসু নিজে ঘুমিয়ে পড়লো। কোথায়? কেউ জানে না আজও। এবার সব ঠিক হয়ে যাবার কথা হলেও কিছুই ঠিক হল না। সেই ম্যাজিক মনির লোভে মানুষ দের মধ্যে শুরু হয়ে গেল খেলা - মারামারি কাটাকাটির। সোনার বাংলা ভেঙে গেল পাঁচ ভাগে।

    এরপর গল্প চলে আসছে রায়ার জমানায়। পাঁচ প্রজাতির মানুষ এখন। ড্রাগনের পাঁচ অংশের নামে নাম - Fang, Heart, Spine, Talon, and Tail. রায়ার বাবা হার্টল্যান্ডের ​​​​​​​চিফ বেনজা ম্যাজিক মনি রক্ষা করেন চোখের ​​​​​​​মনির ​​​​​​​মত ​​​​​​​আগলে রাখেন। ​​​​​​​রায়া ​​​​​​​তার ​​​​​​​বাবার কাছে ​​​​​​​ট্রেনিং নেয়। চিফ বেনজার সপ্ন সব প্রজাতির মানুষ ভেদাভেদ ভুলে এক হয়ে যাক। হয়ে উঠুক সোনার বাংলা। কিন্তু চাইলেই তো হচ্ছে না। চিফ বেনজা তাই সব প্রজাতির প্রতিনিধিদের ডেকে পাঠালে শুরু হয়ে গেল বিশ্বাসভঙ্গের নতুন গল্প। ভেঙ্গে গেল ম্যাজিক মনি (গুনে গুনে পাঁচ টুকরো)। মনি ভেঙ্গে যেতেই ফিরে এল Druun. ধরে ধরে সবাইকে পাথর বানিয়ে দিতে থাকলো। রায়ার কাছে রয়ে গেল এক টুকরো। বাকি চার প্রজাতির কাছে চার টুকরো। (ভাগ্যিস ছ সাত টুকরো হয়নি, নইলে ভাগ্নাংশ ত্রিরাশিকের অংক কষতে হত)। রায়ার সামনে এখন অনেক লড়াই। প্রথম কাজ ঘুমন্ত ড্রাগন সিসুকে খোঁজা। সে তো সহজেই পাওয়া গেল। মাত্র ছ বছরের চেষ্টাতেই। সিসুর কাছ থেকে জানা গেল, ম্যাজিক মনি তো একা সিসুর বানানো নয়। মনিতে ছিল তার আরো চার ভাই বোনের ম্যাজিক শক্তি। কেই জ্বলে জোনাকির মত, কেউ যেরূপ খুশি সেরূপ ধারণ করতে পারে, কেউ ছড়ায় কুয়াশা, কেউ নিয়ন্ত্রন করে জলের প্রবাহ। তো পরের মিশন ম্যাজিক মনির সব টুকরো গুলো আবার এক করা। কাজটা কঠিন। সবে কিনা সহজ হলে আপনাদেরও কি আর ভালো লাগতো? একাজে রায়ার সঙ্গী, পোষ্য আর বাহন টুকটুক। টুকটুক হল kiuT armadillo mutant (এইটা ​​​​​​​রুবির ফেবারিট )। এমনিতে ​​​​​​​টুক ​​​​​​​টুক ​​​​​​​করেই ​​​​​​​চলে ​​​​​​​আর ​​​​​​​গুটিয়ে ​​​​​​​গেলে ​​​​​​​গড়গড়িয়ে। মিশনে বেরিয়ে রায়া একে একে আরো সঙ্গী পেয়ে গেল। বাচ্চা বুন আর তার রেস্টুরেন্ট নৌকা। চালবাজ লিটল Noi আর তার আরো চালবাজ তিন বানর। বজ্রের মত শক্তিশালী আর মাখনের মত নরম মনের দৈত্য টং। আর রায়ার পথের কাঁটা নামারি আর নামারির হিংস্র berhaal। আর কি চাই। চলুন চলা যাক রায়ার সঙ্গে মিশনে। রাতের অন্ধকারে ওত পেতে বসে থাক Druun দের এড়িয়ে। বিশ্বাস আর বিশ্বাসভঙ্গের টানাপোড়েনে জমজমাট। ড্রাগন সিসুর ম্যাজিক দেখতে দেখতে। অনুমান করি ভালই লাগবে। আমাদের তো লেগেছে। হ্যাঁ হ্যাঁ পপকর্ন ছাড়াই।

    দেখতে পাবেন হটস্টারে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 68.184.245.97 | ২৫ জুন ২০২১ ২৩:৫৩734642
  • নেতাই অনেকদিন পরে আবার সিনেমার রিভিউ লিখছে দেখে খুব আনন্দ পেলাম। গল্পটা কিছুটা 'ট্রোলস ওয়ার্ল্ড ট্যুর' এর সঙ্গে মিল আছে না?

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন