মনোয়ারঃ তোমার ঐ বন্ধুর নামটা কি যেন? আরে ঐদিন যে বললে, প্রাথমিকে একসাথে পড়েছ। এখন রিকশা চালায়। দুই সন্তানের বাপ।
পিয়ালঃ বিপ্লব! এক মেয়ে, এক ছেলে। হঠাৎ তার কথা কেন?
মনোয়ারঃ ঐ-ই আমাদের থেকে সুখী, বলতে পার ধনী; সঙ্গমের দিক দিয়ে। কি সুন্দর! এই সাতাশ-আটাশ বছরে দারুণ তৃপ্তি নিয়ে রতিক্রিয়া উপভোগ করে চলেছে।
পিয়ালঃ বলো কি! ধনী? রিকশাচালকের সুখ? সপ্তাহে বারকয়েক বৌ পেটানো, সংসারের বারোমাসি অভাব, ছেলেমেয়েদের এটা নাই-ওটা নাইয়ের বিরক্তিকর ঘ্যানঘ্যান আওয়াজে দুকান ঝালাপালা হওয়ার জোগাড়! তবু্ও বলছো সুখে আছে?
মনোয়ারঃ ধূর, অত হিসেবে যাচ্ছ কেন? যৌন সুখের ব্যাপারটাকে একদম এড়িয়ে যাওয়া ঠিক হচ্ছে না, অন্তত তোমার মতন আটাশ বছরের সুপুরুষ অথচ কৌমার্য অটুট থাকা(রাখা) যুবকের পক্ষে!
পিয়ালঃ কেবল যৌন সম্ভোগের বিচারে বলতে গেলে আমার রিকশাচালক বন্ধু যে সুখী অথবা পূর্ণ অথবা অন্যকোনো বিশেষণে এগিয়ে তা মেনে নিলেও এই সুখের উপজাতসমূহের তো কম পীড়া নাই হে বন্ধু!
মনোয়ারঃ হ্যাঁ, সংসারে কেবল স্ত্রী-সন্তানের ভরণপোষণসহ তাবৎ ক্ষুৎপিপাসার ব্যাপারটা মাথায় নিলে পরে যৌন সম্ভোগ আর তোমার বন্ধুর জন্য একদমই ইকোনমিক নয়। কিন্তু তোমার আর আমার কিংবা আমাদের মতন অবিবাহিত যৌনসুখবঞ্চিত যুবকের তুলনায় সে যে অন্তত এই একটা দিক থেকে ঢের সুখী তা তোমায় বিনাবাক্যব্যয়ে মানতেই হবে বন্ধু।
তবে স্ত্রী-সন্তান তথা সংসার তথা বিয়ে বাদ দিয়ে কেবল যৌনতাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা সম্পর্কের সংস্কৃতি প্রচলিত থাকলে পরে আমাদের আর অন্তত এই একটা ব্যাপারে হা-হুতাশ করতে হত না!