এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • রাজনৈতিক চিন্তা ও ব্যক্তিমানুষের অসহিষ্ণুতা

    কল্লোল লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ০৮ মে ২০২১ | ২৭৪৯ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • লিখতে বসেছি, ভারাক্রান্ত মনে। এ লেখা না লিখতে হলে স্বস্তি পেতাম। কিন্তু মনে হলো আমার ব্যক্তিগত খারাপ লাগা ছাড়িয়ে আরও বড় একটা দিক আছে, সেটা বলে ফেলা জরুরী।

    সমাজমাধ্যমে অসহিষ্ণুতা নতুন কোন বিষয় নয়। গালি গালাজ, অসম্ভব নিম্ন রুচির অপমানজনক কথা, অযৌক্তিক গা জোয়ারী খিস্তির বান, এসব আমরা কমবেশী সকলেই দেখেছি। এতে অবাক হবার মতো কোন উপাদান নেই। আমি আজ তুলনায় যথেষ্ট কম খারাপ ধরনের অসহিষ্ণুতাকে গড়ে উঠতে দেখছি। কম খারাপ, কারন, এতে সেই চূড়ান্ত অসভ্যতা নেই, নোংরা গালি গালাজ নেই, অসম্মান থাকলেও মাত্রাছাড়া নয়। সেরকম চূড়ান্ত কোন উদাহরণ খুঁজতেও হবে না, চোখ বন্ধ করে সমাজমাধ্যমগুলির যে কোন একটির পাতা খুললেই শত সহস্র নর্দমা তার পাঁক ও কীটসমূহ নিয়ে হাজির হয়ে যাবে চোখের সামনে। সেগুলোকে পাঠকের কাছে আবারও পেশ করার মতো রুচি এখনও আয়ত্বে নেই। তাই ঐ যে বললাম তুলনায় যথেষ্ট কম খারাপ ধরনের অসহিষ্ণুতাকে কাটা ছেঁড়া করে দেখবো।

    যার অসহিষ্ণুতার কথা লিখছি, তাকে বহুদিন ধরে চিনি। প্রায় ১৫/১৬ বছর তো হবেই। আমাদের সম্পর্ক, অন্ততঃ আমার দিক থেকে দেখলে খুবই ভালো ছিলো। সে মানুষ হিসাবে খুবই ভালো, সংবেদনশীল, পরিবারের প্রতি যত্নবান, একজন খুব ভালো পিতা ও সহধর্মন। লেখকের মতো বিবাহ বহির্ভূত প্রেম ট্রেমে নেই। সে সুমন এবং প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের গানের অনুরাগী ও নিজে বেশ ভালো গায়ক। ঘুরতে ভালোবাসে। লেখার হাতও ভালোই। এমন একজন মানুষ বিরোধী মতের সামনে কিভাবে অসহিষ্ণু হয়ে ওঠে সেটা খেয়াল করার।

    যে মানুষটি নিয়ে লিখছি, সে এখানে প্রতীকমাত্র। আমি আপনি যে কেউ এই অবস্থায় চলে যেতে পারি, যদি সতর্ক না থাকি। তার প্রতি ভালোবাসা থেকেই এই অপ্রিয় মনখারাপের লেখাটি।

    একজন মানুষ, সিপিএম সমর্থক। এই ঘটে যাওয়া নির্বাচনে দলের খারাপ হারে, ভেঙ্গে পড়েন নি, কিন্তু ক্লান্ত বোধ করছেন। কিছুদিন রাজনীতি নিয়ে সমাজমাধ্যমে কিছু লিখবেন না, তেমন ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। খুব স্বাভাবিক। এমনটা হওয়াতে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায় না। শরীর অতিরিক্ত অ্যাড্রোনালিনের বোঝা বয়ে ক্লান্ত। নিজেকে চাঙ্গা করতে একটা বিরতি লাগে, লাগেই। বন্ধুরা কেউ সমর্থন করছেন, কেউ উৎসাহ দিচ্ছেন চালিয়ে যাবার। সেগুলিও স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ নিজেরাও ক্লান্ত বোধ করছেন, তাই মানুষটির সিদ্ধান্তের সাথে একমত। কেউ কেউ মনে করতেই পারেন, এই পরাজয়ের ক্ষনটিই ঘুরে দাঁড়ানোর আসল সময়। প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের গান – যদি একবার হারো বারবার, লড়ো বারবার লড়ো বারবার / যতদিন না বিজয়ী হও………। যে যেভাবে পরিস্থিতিকে দেখেন।

    আর এটাই তো বন্ধুদের কাজ। বন্ধুর পাশে তার মনখারাপের দিনে দাঁড়ানো। পাশে দাঁড়ানোর ধরন আলাদা আলাদা। সেটাই তো কাম্য আর স্বাভাবিক। এই যে বন্ধুদের মধ্যেকার ছোট ছোট পার্থক্য, জীবনকে বুঝে নেওয়ার ক্ষেত্রে বহুস্বরের অস্তিত্ব, এটাই তো আমাদের চারপাশ, আমাদের যাপনকে এতো সুন্দর এতো নানা রঙে মাতিয়ে তোলে। আমারা বেঁচে থাকাকে উপভোগ করি তারিয়ে তারিয়ে।

    তা যদি না হতো, সব বন্ধুরাই যদি ঠিক এক রকম ভাবতো, ঠিক এক কথা বলতো, ঠিক এক সুরে গাইতো, ঠিক এক রঙে রাঙ্গা হয়ে উঠতো, তবে সে তো তাসের দেশ বা রক্তকরবীর সর্দারদের মত নিষ্প্রাণ নিরক্ত এক অচলায়তন। সেখানে প্রাণের আরাম থাকে না।

    আমরা যে জীবনের জয়গান গাই, সে জীবন বৈচিত্রে ভরপুর। তার এই বহুত্বের সৌন্দর্য আমাদের সম্পদ।

    অথচ সে কথা বিস্মরণ ঘটে, আমরা সে বহুত্ব, সে বৈচিত্রকে অস্বীকার করে একটা একমেটে একস্বরের জীবনের শবসাধনায় মাতে উঠি।





    কেউ কেউ উৎসাহিত করার জন্য অন্য মতের কিছু বক্তব্যকে তুলে ধরে বন্ধুকে চাঙ্গা করতে চাইছেন। সেই সব কথার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর কথা বলছেন। সেসব কথা যারা বলছেন তাদের “ছাগল” আখ্যা দিচ্ছেন। যদিও যিনি যাদের ছাগল আখ্যা দিচ্ছেন, তিনিও তাদেরই সংগঠনের একজন। সংগঠন বলতে “গুরুচন্ডা৯” নেট পত্রিকা। বইমেলার সময় তিনিও স্টলে আসেন বহু দূর থেকে। আনন্দেই কাটে বইমেলায় বন্ধুদের সাথে। আজ মতে না মেলায় তাদের “ছাগল” বলছেন।



    কথা উঠেছে রেড ভলেন্টিয়ার্স নামে সংগঠনটির কিছু মহিলা সদস্যকে নির্বাচনের পর ফোন করে উত্যক্ত করা হয়েছে। তাতে অন্য একজন যিনি একই সাথে পত্রিকা চালান এবং নির্বাচনে সিপিএমের দৃষ্টিভঙ্গীকে ঠিক বলে মনে করেন নি। তিনি মন্তব্য করেছেন -



    মন্তব্য ঠিক কি ভুল সে তর্কে না গিয়ে এটুকুই বলা যায়, তিনি এই কাজকে সমর্থন করেন নি, পুলিশে রিপোর্ট করতে বলেছেন, তার সাথে এও বলেছেন ফোন নম্বর সাধারণ পরিসরে থাকলে কিছু বদমায়েশ লোক এধরনের বদমায়েশীর সুযোগ পায়। তবে আজ যারা এটা নিয়ে ক্ষুব্ধ, তারা নিজেরাই অন্যের (বিজেপি প্রার্থীদের) ফোন নম্বর সাধারণ পরিসরে দিয়ে দিয়েছেন।

    এর আগে মতের পার্থক্য থাকলেও (কিভাবে খারাপ সময়ের মোকাবিলা করা যায়, সে বিষয়ে), তা নিয়ে রাগত মন্তব্য দেখা যায় নি। কারন বিষয়টা ঠিক মতের নয় পথের পার্থক্য, তাই সহনীয়। সেটাও প্রশংসার। এটুকু অমিলও অনেকে সহ্য করেন না আজকাল।

    কিন্তু যেই একটা বিরুদ্ধ মতের কেউ, কথা বলছেন, তার মত ব্যক্ত করছেন; তখনই অসহিষ্ণুতা ফনা তুলে ওঠে। অন্য মতের মানুষটি/মানুষদের “ছাগল” বলা হতে থাকে।
    ছাগল সে অর্থে খুব খারাপ কোন গালাগালি নয়। বুদ্ধিহীন অর্থে এটির ব্যবহার বাঙ্গালীদের মধ্যে প্রচলিত। এতে একটা তাচ্ছিল্য আছে। আমি যা ঠিক বলে মনে করি, তার সাথে যারা একমত নয়, তারা আসলে চিন্তাশক্তিরহিত “ছাগল”। ঠিক চিন্তার একচেটিয়া দাবীদার “আমরা”। উল্টো দিকে সব”ছাগল”। এটা একটা দর্শন, একটা রাজনীতি। যা নিয়ে পরে বিস্তারে আসবো।
    ফলতঃ বন্ধুদের কেউ (ঘটনা চক্রে এ অধম) বন্ধু ও শত্রুতে ফারাকের কথা মনে করিয়ে সামলে চলার উপদেশ দেয়।



    তাতে অসহিষ্ণুতার পলতেয় আগুন লাগে। ও তার জবাবে উপদেশ দেওয়া থামাতে বলা হয় ও না থামলে “আর সামলানোর দায় রাখবো না” এই ধমকি দেওয়া হয়।

    প্রসঙ্গতঃ এঁর সাথে এই অধমের, এই নির্বাচন নিয়ে মতপার্থক্য হয়। তাতে এই অধমের বিজেপিকে একটি ভোটও নয় অবস্থানটিকে “চালচোর” ও “চটিচাটা”দের দালাল অভিধায় অভিহিত করা হয়। এই হলো “সামলে চলা”র নমুনা।



    এ অধম তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে, ধমকি না দিয়ে তার প্রাণে যা চায় তাই করতে বলে।
    তাতে জবাব আসে এ অধম সম্মানের যোগ্য নয়, তাই ধমকিরও যোগ্য নয়।



    এর আগে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলো এ অধম মতে না মিললেও বন্ধু হওয়া যায়। তাতে উপদেশ এলো তবে বিজেপির রাজ্য সম্পাদকের সাথে বন্ধুত্ব পাতানোর উপদেশে।

    এভাবে আর দীর্ঘায়ীত করবো না এই অরুচির তরজা।

    যেটা চিন্তার সেটা হলো এই দর্শন, এই রাজনীতি। ইরাক যুদ্ধের সময় বুশ সিন্ড্রোম বলে কুখ্যাত হয়েছিলো যে উক্তিটি – “যদি তুমি আমার বন্ধু না হও, তবে তুমি আমার শত্রু”। এক সাম্যাজ্যবাদীর যে দর্শন মানায়, তাতে যদি বামপন্থী বলে দাবী করা কেউ আস্থা রাখে, তবে বুঝতে হবে সমস্যা গভীরে। এ দর্শন সাম্রাজ্যবাদ তথা ফ্যাসীবাদের দর্শন, যে তার মদমত্ত অহংকারে বন্ধু চিনতে ভুল করে, বা বলা ভালো বন্ধু চিনতে অস্বীকার করে। এ দর্শন বাম বলে কথিত পরিসরে জোরেশোরে মান্যতা পাচ্ছে মানে এ রাজ্যে বিজেপি ভোটে যতই হারুক, সে তার “কার্বন ফুটপ্রিন্ট” ছেড়ে গেছে। আজ না হলে তা বিষবৃক্ষ হয়ে ওঠার আগেই তাকে নির্মূল করে ফেলার কাজে সচেষ্ট হতে হবে।

    চিন্তায় চেতনায় ধারনায় মননে এই ধরনের রাজনীতির বিপ্রতীপে – বিরুদ্ধতার চাবুক ওঠাও হাতে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৮ মে ২০২১ | ২৭৪৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অসীম | 2607:5300:203:6f21:158:69:35:227 | ০৯ মে ২০২১ ০৭:৪৬105725
  • কল্লোলবাবুর মতো মানুষকেও এভাবে আক্রমনের শিকার হতে দেখে খারাপ লাগে। এটা সত্যি দুঃসময়। 

  • Somnath Roy | ০৯ মে ২০২১ ০৭:৫৭105726
  • কল্লোলদা, দুটো ব্যাপার আছে।


    ১) মানুষের সাইকোলজি। সে একটা জিনিস বিশ্বাস করলে সেটাকে নিজের অস্তিত্বের অংশ বানিয়ে ফেলে। অস্তিত্বের সংকট কীভাবে সে ডিল করবে সেইটা সমস্যাজনক হয়। ধর্মগুলিতে তাই দ্বিন, বিনয়, সত্ত্বগুণ ইত্যাদির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। যাতে ডগমা নিয়ে ব্যক্তিমানুষ সমস্যায় না পড়ে


    ২) রাজনীতি জিনিসটার নিজস্ব সমস্যা প্রচুর। মানুষ সামাজিক জীব, রাজনৈতিক না।

  • Ranjan Roy | ০৯ মে ২০২১ ০৮:৩৫105732
  • একদম। কিন্তু আমরা আবেগে ভেসে ভুলে যাই।

  • ঐশী | 2.58.28.214 | ০৯ মে ২০২১ ০৮:৫৬105734
  • বিরুদ্ধ মতকে “ছাগল” বলে দাগিয়ে ​​​​​​​দেওয়ার ​​​​​​ফ্যাসিবাদী ​​​​​​​মানসিকতা​​​কে ​​​​​​​ধিক্কার জানাই। ​​​​​​​ 

  • হুলো | 195.206.105.217 | ০৯ মে ২০২১ ১০:৪৭105745
  • হেঁ হেঁ হুমকি টুমকি দেয়া এ মানুষের বহুতদিনের অভ্যেস।  বাংলালাইভের মজলিশের এক সর্বজনপ্রিয় লেখিকাকে বেনামীতে হুমকি চিঠি লিখেছিল এই লোক। সেই লেখিকা তখন সিপিএম ছিল আর এরা তখন ছিল অ্যান্টি বুদ্ধ। এক নাট্যকারের ভাইপোর নাম নিয়ে মেল করেছিল নিজের অফিশিয়াল আইডি থেকে। সেই নিয়ে সাইক্লোন বয়ে যায় মজলিশে। নাট্যকারের আত্মীয় তার নাম ব্যবহারের জন্য লেখিকার কাছে ওপেন ক্ষমা চায়। গুরু লঞ্চ হতে এর বন্ধুরা একে নির্দোষ প্রমাণ করতে ভাটের পাতায় ম্যালা পস্ট নামাচ্ছিল। যেই দেখা গেল অফিশিয়াল আইডি থেকে করা দুটো মেলের মধ্যে তফাৎ ১ সেকেন অমনি বন্ধুরা চেপে গেল। আর এগোয় নি। তার আগে অবধি বন্ধুরা বলে চলেছিল এর অফিশিয়াল আইডি হ্যাক হয়েছে। আরে ভাই হ্যাক হলে অফিস স্টেপ নেয় না?ভারতের অন্যতম বড় আইটি কোম্পানি অমনি ছেড়ে দেয় হ্যাক হলে? লোকে কিচ্ছু বোঝে না?  বন্ধুরাও বুঝেছিল ১ সেকেন্ডের তফাতে হ্যাক হবার গল্প চলে না তাই চেপে গেছিল।


    এবার ২০১১ ভোটে হেরে সিপিএমরা দুখি তখন এ লোক এসে বেনামে খিস্তি মেরে গেছিল বিদেশ থেকে সিপিএমকে ভোট দিতে আসা লোকেদের। ততদিনে চ্যা ভ্যারাও আইপি ট্র‍্যাক করতে শিখে গেছে,যেই ধরেছে আবার অস্বীকার। আবার বোঝানোর চেষ্টা যে ও হুমকি দেয় নি ওকে নকল করেছে কেউ। নতুন লোকজন যারা আগের কথা জানত না তারা বিশ্বাসও করল।


    এখন আবার সিপিএমের হয়ে হুমকী দিচ্ছে?এতদিন যারা হুমকির রিসিভিং এন্ডে থাকত তারা আবার সাপোর্টও করছে। একটা ভোটের লোভে না ওদের হয়ে অন্যদের খিস্তি করে দেবে সেই লোভে?


    এই লোকই ঋতুপর্ণকে নিয়ে কুচ্ছিত কথাবার্তা লিখেছে,গৌতম দেবের শারিরীক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে কুচ্ছিত কথা লিখেছে। অনিল বিশ্বাস মারা গেলে পিজা খেয়ে সেলিব্রেট করেছে,জ্যোতিবোস মারা গেলে আনন্দ করেছে এখন সিপিএমের হয়ে খিস্তি দিচ্ছে হুমকি দিচ্ছে। নর্দমায় ঘোঁত ঘোঁত করা শুয়োরেরও এর থেকে বেশী বিশ্বাসযোগ্যতা থাকে।


    আর এ লোকের এখানকার বন্ধুদেরও বলিহারি সমানে নোংরামি দেখেও চুপ থেকেছে,  বই ছাপিয়েছে এখন দ্যাখ কেমন লাগে।

  • র২হ | 2401:4900:33b2:c4ab:2802:34c9:bd73:2f2d | ০৯ মে ২০২১ ১১:২০105748
  • কল্লোলদার খারাপ লাগা বুঝতে পারছি... কিন্তু আমার কাছে সামহাও এই আলোচনাটা অপ্রয়োজনীয় ও অবাঞ্ছিত। এক সময় বন্ধুত্ব ছিল, এখন নেই... এই সব উত্তেজিত বাক্য বিনিময়, এগুলি ব্যক্তি মানুষের প্রেফারেন্স ও অভিরুচি বলে মনে করি। বিরুদ্ধ মতের সঙ্গে কীভাবে কথা বলবো তা শিখিয়ে দেওয়ার মত সংগঠন দলের নেই। 


    আর ব্যক্তিকে নিয়ে আলোচনা করে কী লাভ? আমার চোখে এই লেখার সমস্যা হলো একদিকে এটা ব্যক্তি কেন্দ্রিক আলোচনার দিকে যাবে, আর তা থেকে বাইরে, দেখো চালচোরদের সাইটে কী হয় মূলক একটা ঘোঁট শুরু হবে। তাতে কিছু এসে যায় না যদিও, তবে সেটা নিতান্ত অপ্রয়োজনীয়।

  • ?? | 2405:8100:8000:5ca1::3c6:e59b | ০৯ মে ২০২১ ১১:৪৭105751
  • শমীক নাকি?ও আবার সিপিয়েম সাপোর্টার হলো কবে?

  • :-) :-) | 2405:8100:8000:5ca1::545:9527 | ০৯ মে ২০২১ ১২:১০105752
  • এখন গর্ভিত সিপিএম।  সিপিএমের ফেবুট্রোল বাহিনির রত্ন।

  • -- | 43.239.80.73 | ০৯ মে ২০২১ ১৪:১২105757
  • আজকের দিনে দাঁড়িয়ে কোনো শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের সিপিএম হওয়া ছাড়া উপায় আছে? অল্টারনেট কী? বিজেপি আর তৃণমূল! 


    যারা একদা সিপিএম কে অন্তর থেকে ঘৃণা করেছে তারাই পারে সিপিএম জয়েন করে সেই ঘৃণার কারণ গুলোকে উপড়ে ফেলে আগামী দিনের জন্য একটা যোগ্য রাজনৈতিক প্রতিস্পর্ধী দল তৈরি করতে। পাঁচ বছর কম সময় নয়। 


    আত্মসমালোচনা করে, স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে ফোকাস করে কার্যপদ্ধতি ঠিক করে এগোলে ২০২৬ এ অন্তত প্রধান বিরোধী হয়ে ওঠা অসম্ভব নয়। প্রচুর তরুণ কর্পোরেট চষা, টেক স্যাভি, ম্যানেজমেন্ট পড়া টেকনোক্রাটরা রয়েছেন। সিপিএম এর বর্তমান স্ট্রাকচার, ডিসিশন মেকিং সব খোলনলচে বদলে একে একটা সত্যিকারের আধুনিক রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব মেধাবী ছেলেমেয়েরই নিতে হবে। সাতান্ন বছরের পুরনো একটা দলের গঠনতন্ত্র আর আভ্যন্তরীন পরিচালন কাঠানো সংস্কার না করে এগোলে অবশ্য এতদিন যেভাবে চলেছে সেভাবেই ক্রমশ জনসমর্থন থেকে দূরে সরে অপ্রাসঙ্গিক হতে থাকা আটকানো যাবে না। গোটা পার্টি সিস্টেমটাকে ভিগোরাসলি ঝাঁকানো উচিত। লক্ষ্য হওয়া উচিত পশ্চিমবঙ্গে অন্তত বিজেপিকে ঝাড়ে বংশে শেষ করে দেওয়া। ফেসবুকে আর অন্যান্য মিডিয়ায় অকারণ সময় আর শক্তিক্ষয় না করে পাঁচ বছরের পুরো প্ল্যান চক আউট করে নেওয়া। তবেই আবার ক্ষমতায় ফেরার আশা থাকে।


    সিকি-র নিজেকে সিপিএম ঘোষনা করাটা আশাই জাগালো।

  • শুভবুদ্ধি | 2405:8100:8000:5ca1::3bd:9394 | ০৯ মে ২০২১ ১৪:৩৬105758
  • শুভবুদ্ধি ফেটে বের হচ্ছে।

  • হুঁ | 2a0b:f4c0:16c:1::1 | ০৯ মে ২০২১ ১৪:৫১105759
  • দেরিতে সিপিএম হলে একটু বেশিই ফেটে বেরোয়। নতুন বৈরাগী, ভাতেরে কয় অন্ন।

  • Somnath Roy | ০৯ মে ২০২১ ১৭:৩৩105772
  • পার্টিচালনার দুটো পার্ট- কর্মসূচী আর গঠনতন্ত্র। সিপিএম সমর্থকরা ভাবতে ভালোবাসেন কর্মসূচী বাম্পার ছিল, শুধু প্রবলেম তার স্ট্রাকচারে।

  • b | 14.139.196.12 | ০৯ মে ২০২১ ১৭:৪২105773
  • আরেকটা কথা বলি, কল্লোলদা, এই গুরু  ফেসবুক হোয়াতে সব সময়েই ঝগড়া মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। মুখোমুখি তক্কাতক্কিতে  অতটা হয় না। ঝগড়া করিয়েদের সাথে একদিন  বসে খাওয়া দাওয়া গপ্প করুন, দেখবেন অকারণ তিক্ততা  মিটে যাবে। 

  • খ্যাক | 2a0c:b807:8000:c93a:ff51:90ac:0:3013 | ১০ মে ২০২১ ১০:২৫105808
  • গুরুচাঁড়ালের ঘরেলু মামলা বাহার আ গিয়া।


    খাওয়াদাওয়া গপ্পসপ্প এক তরফ চাইলেই ত হবেনি দুই তরফকেই চাইতে হবে। কাক নতুন গু খেতে শিখলে চাদ্দিকে ল্যাপ্টাবেই। ও পিরিয়ড শেষ না হলে কিচ্ছু হবে নি এই বলে দিলাম।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন