নেত্রী বলেছিলেন দুদিন পরে আধা সামরিক বাহিনী থাকবে না, তখন দেখে নেব। ভাইরা বলেছিলেন রেশন বন্ধ করে দেব। তাই, এটা হবে জানাই ছিল। শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের ভোটে তবু জয়ী গত বারের শাসক দল। তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটে নয়, জিতেছে সাধারণ মানুষের ভোটে দলটি। যে হিংসার খবর ছড়িয়ে পড়ছে তা নিছকই প্রধান বিরোধী দলের সাজানো নাটক। কিন্তু যে দল দুটি আজ বাংলা থেকে লুপ্তপ্রায় হয়ে গেছে আপনার আমার কথায় তাদের কর্মীদের ওপর আক্রমণ চলছে সেটা তো আমাদের সামনেই ঘটছে।
আমি জানি হিন্দু ধর্মের লোকজন শাষক দলকে ভোট দিয়েছেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেক মানুষেরা আগে মানুষ তারপর হিন্দু, তার পর ব্রাম্ভণ শূদ্র। আমাদের মতো প্রচুর বামমনস্ক মানুষসহ, তারা রাজনীতিতে তেমন আগ্রহী নন, এমন মানুষরাও এক ফ্যাসিস্ট শক্তিকে পরাভূত করতে, আজ ঘাসফুলে ভোট দিয়েছেন। শুধু মাত্র বাংলাভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি দায়বদ্ধতার কারণে। কারণ গত দুই বছরে একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছিল যেখানে প্রমাণ করা চেষ্টা করছি আমরা বাঙালি সংকটে। এমন কি সামরিক বাহিনী তে আপত্তি ছিলো আমাদের।
অথচ "খেলা হবে" প্রথম পর্যায় পেরিয়ে শুরু হয়ে গেলো দ্বিতীয় পর্যায়। বিরোধী পার্টি অফিস ভাঙা চলছে। কর্মীদের মারধোর করা, গরিব মানুষের দোকান ভাঙা, রিকশা বন্ধ করা, জল বন্ধ করা, ঘরছাড়া করা --- পুরানো খেলাগুলো নতুন হয়ে ফিরে আসছে। অথচ এক সময় এনারা বলতে "বদলা নয় বদল চাই"।
আচ্ছা এখন কি হচ্ছে। বাঙালিই বাঙালিকে মারছে। আমি যদিও অবাঙালিদের মারা হলে খুশি হতাম এ কথা বলছি না। এভাবেই কি বাংলার সংস্কৃতি রক্ষা করা হবে? তাহলে আর বহিরাগত বর্গীদের সঙ্গে তফাৎ কী হলো আপনাদের?
এখন কি হুঙ্কার দিয়ে সেই বাঙালি প্রেমিকরা বলতে পারবেন, এখনই এসব কড়া হাতে দমন না করলে আমরাও দ্বিতীয় পর্যায়ে (আগামী মিউনিসিপ্যাল ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে) #NoVoteforTMC campaign শুরু করতে বাধ্য হব।