প্রশ্নটা হচ্ছে, কফি হাউসের ভেতরেও কি পোস্টার গুলো মারা ছিল। কিছুদিন আগেই গিয়েছিলাম। দেখলাম না তো। অদৃশ্য হয়ে ছিল বোধহয় বা চোখ খারাপ ছিল। তাই কাল চশমা নিয়েছি।
পাহাড়ী বাবু বলেছেন গত ছাব্বিশ বছরে এরকম তান্ডব তিনি দেখেননি কফি হাউসে। প্রথমে বিদ্যাসাগর , তারপর একে একে বিবেকানন্দ থেকে শুরু করে দাঁড়ি বাড়িয়ে রবীন্দ্রনাথ সব প্রচেষ্টা কি বিফলে তাহলে? তাই এবার কফি হাউসে শক্তি প্রদর্শন। আহা, গোবর ভরা মাথায় খালি প্রশ্নগুলো আসছে। উত্তর কে দেবে?
ওদিকে কাকে যেন নিজের গাড়ির দরজা চেপে দিয়েছে। ভগবান, এত অনাচার, অত্যাচার কেবল মানুষের সেবা করার ইচ্ছা নিয়ে থাকা মানুষগুলোর উপর কেন? রক্ষে করো রঘুবীর। বিষ্ণুমাতা একটু দেখো।
আর আমরা সাধারণ মানুষ। এই তরজাগুলোকে গোগ্রাসে গিলি। চায়ের দোকানের আডডায়, গঙ্গা স্নানের ঘাটে অথবা ময়দানের মাঠে বসে তর্কে ব্যাস্ত। আমাদের বিনোদনের মানে আলোচনার বিষয়বস্তু এগুলো। তবে, এই আলোচনা করতে করতে আর বিষ্ণুমাতা, রাম অথবা আল্লাহ নিয়ে লড়াই করতে করতে দেশটা আবার না চুপি চুপি বেসরকারি হয়ে যায়। হয়ত দেখলাম আবার আমেরিকা কিংবা ইউরোপকে বেচেই দিল একজন অথবা অন্যজন বাংলাদেশকে উপহার স্বরূপ দিয়ে দিল। বলা যায়না কত কি যে হচ্ছে।
কোন রাজনৈতিক দলের প্রচারে নেমে কথাগুলো বললাম না। গনতান্ত্রিক দেশে বাস করার এই একটা সুবিধা। আর তাছাড়া কথায় আছে "পাগলে কি না বলে, ছাগলে কি না খায়।" এখন পাগলের পথে। কিছুদিন পর ছাগল হয়ে পোস্ট করব।