এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  পড়াবই  বই পছন্দসই

  • ‘ছোটো এ বাঁশিটিরে’

    অমিয় দেব
    পড়াবই | বই পছন্দসই | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ৩৪০৯ বার পঠিত
  • গীতবিতান সংকলনে বাঁশি প্রতুল। কিন্তু তাদের তাৎপর্য ভিন্ন ভিন্ন। তেমনই পাঁচটি গানে বাঁশির অভিজ্ঞান-ইঙ্গিত অনুসরণ করলেন অমিয় দেব



    ফেসবুকে ‘স্নোউল্‌ফ্‌স উডল্যান্ড নুক’ নামে একটি কবিতার ‘পেজ’ আছে। স্পষ্টতই ইওরোপ বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে চালিত। এই লেখার সঙ্গে কী ছবি দেওয়া যায় খুঁজতে খুঁজতে চোখে পড়লো ২০২০ সালের ২০ নভেম্বর ‘সং অফারিঙ্‌স’ (গীতাঞ্জলি-র রবীন্দ্রনাথ-কৃত ইংরেজি তরজমা) থেকে ‘লিট্‌ল ফ্লুট’ কবিতাটি পোস্ট করা হয়েছে সেই পেজটিতে। কবিতাটি শেয়ার হয়েছে ২৩৭ বার। অজস্র উচ্ছ্বসিত কমেন্ট। সঙ্গে দেওয়া আছে এই ছবিটি। শিল্পী এমিলিয়া জিউবাক, তিনি পোল্যান্ডের শিল্পী। — সম্পাদক

    ‘গীতবিতান’-এ ঢের বাঁশির কথা আছে। তবে তাদের সকলের তাৎপর্য এক নয়। কোনো বাঁশি ‘ডাকে’। কোনো বাঁশি কবিই বাজান। কোনো বাঁশি প্রকৃতির কোলে স্বতই বাজে। আর বিশ্ব জুড়েই আছে এক বাঁশির তান। আবার, কবি নিজেই এক বাঁশি যার কাজ বেজে ওঠা। এই পাঁচ রকম বাঁশির অভিজ্ঞানবাহী কয়েকটি গানের আমি উদাহরণ দেব। খুবই চেনা গান তারা। মাত্রই উদাহরণ, অর্থাৎ আরও অনেক গান আছে ‘গীতবিতান’-এ যাতে ওই পাঁচ ধরন প্রতিফলিত। আর গান মানে গানের সুর নয়, কথা। তবে শুনে শুনে তো সুর আমাদের মনোজগতের অধিবাসী হয়ে আছে।


    মরি লো মরি, আমায় বাঁশিতে ডেকেছে কে।
    ভেবেছিলেম ঘরে রব, কোথাও যাব না—
    ওই-যে বাহিরে বাজিল বাঁশি, বলো কী করি।
    শুনেছি কোন্‌ কুঞ্জবনে যমুনাতীরে
    সাঁঝের বেলায় বাজে বাঁশি ধীর সমীরে—
    ওগো, তোরা জানিস যদি আমায় পথ বলে দে।
    দেখি গে তার মুখের হাসি,
    তারে ফুলের মালা পরিয়ে আসি,
    তারে বলে আসি ‘তোমার বাঁশি
    আমার প্রাণে বেজেছে’।

    কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়


    এই লিঙ্কে ক্লিক করে দেখুন স্বরলিপি।

    এতে জয়দেবের এক ধ্রুবপদ ‘ধীর সমীরে যমুনাতীরে বসতি বনে বনমালী’র স্মৃতি জেগে ওঠে। এই গানের তারিখ ১২৯০। ওই সময়েই ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’র দ্বিতীয় গুচ্ছও লেখা হয় (প্রথম গুচ্ছ লেখা কয়েক বছর আগেই, ১৮৭০-এর মধ্য দশকে)। তার একটি, ‘শুন, সখি, বাজই বাঁশি’ই যেন-বা, একই সময়ে লেখা, বাঁশির অনুরূপকর্মের আর-এক দৃষ্টান্তে রূপান্তর নিয়েছে:

    সখী, ওই বুঝি বাঁশি বাজে—বনমাঝে কি মনোমাঝে।
    বসন্তবায় বহিছে কোথায়,
    কোথায় ফুটেছে ফুল,
    বলো গো সজনি, এ সুখরজনী
    কোন্‌খানে উদিয়াছে—বনমাঝে কি মনোমাঝে।
    যাব কি যাব না মিছে এ ভাবনা,
    সখী, মিছে মরি লোকলাজে।
    কে জানে কোথা সে বিরহহুতাশে
    ফিরে অভিসারসাজে—
    বনমাঝে কি মনোমাঝে।

    সুচিত্রা মিত্র

    এই লিঙ্কে ক্লিক করে দেখুন স্বরলিপি।

    তবে, বলা বাহুল্য, রবীন্দ্রনাথের গান ভানুসিংহের পদের কৃত্রিমতা বা নির্মাণনির্ভরতা থেকে মুক্ত। ‘মনোমাঝে’ পদাবলি সঞ্জাত নয়, ‘মনোমাঝে’ রবীন্দ্রনাথ। এই গান দুটিই ‘গীতবিতান’-এর ‘প্রেম’ পর্বে‌র, ‘প্রেম-বৈচিত্র্য’ উপপর্বভুক্ত। দ্বিতীয়টিরও রচনা ১২৯০-তে।


    আমার একটি কথা বাঁশি জানে, বাঁশিই জানে।
    ভরে রইল বুকের তলা কারও কাছে হয় নি বলা,
    কেবলবলে গেলেম বাঁশির কানে কানে।
    আমার চোখে ঘুম ছিল না গভীর রাতে,
    চেয়ে ছিলেম চেয়ে-থাকা তারার সাথে।
    এমনি গেল সারা রাতি, পাইনি আমার জাগার সাথী—
    বাঁশিটিরে জাগিয়ে গেলেম গানে গানে ।

    দেবব্রত বিশ্বাস

    এই লিঙ্কে ক্লিক করে দেখুন স্বরলিপি।

    এটিও ‘প্রেম’ পর্বের, ‘প্রেম-বৈচিত্র্য’ উপপর্বভুক্ত। রচনা ১৩২২-এ। কারকের হিসেবে, আমাদের ১-এর প্রথম উদাহরণে ‘বাঁশি’ করণ, ‘আমায়’ কর্ম, আর ‘কে’ কর্তা। এখানে গোড়ায় ‘বাঁশি জানে’তে ‘বাঁশি’কে কর্তা মনে হলেও তা আসল কর্তা নয়। একটু এগোলেই স্পষ্ট যে কর্তা ‘আমি’, ‘বাঁশি’র বাদক। আর ‘আমি’ শব্দটি কর্তৃকারক রূপে না থাকলেও ক্রিয়াপদ ‘বলে গেলেম’ বা ‘জাগিয়ে গেলেম’ই যথেষ্ট। তা ছাড়া ‘আমার একটি কথা’ যে কী তারও দ্যোতনা যথেষ্ট। উল্লিখিত ১ (‘ভানুসিংহের পদাবলী’র মকশো বুঝি বিফল হয়নি) ও ২, প্রেমেরই দুই রূপ। বাঁশি তাদের যোজক।


    তুমি কিছু দিয়ে যাও মোর প্রাণে গোপনে গো—
    ফুলের গন্ধে বাঁশির গানে, মর্মরমুখরিত পবনে।
    তুমি কিছু নিয়ে যাও বেদনা হতে বেদনে—
    যে মোর অশ্রু হাসিতে লীন, যে বাণী নীরব নয়নে।

    রাজেশ্বরী দত্ত

    এই লিঙ্কে ক্লিক করে দেখুন স্বরলিপি।

    এর রচনা ১৩৩৭-এ। ‘ফুলের গন্ধ’ ও ‘মর্মরমুখরিত পবন’-এর মতোই ‘বাঁশির গান’ও ‘মোর’ বাইরেকার। প্রকৃতির কোলে বসে যেন কেউ বাজিয়ে যাচ্ছে—প্রকৃতিরই অংশভাক (‘মধ্যদিনে যবে গান বন্ধ করে পাখি,/হে রাখাল, বেণু তব বাজাও একাকী’ [১৩৩৩])। যেমন পৌষের এক গানে আছে (‘পৌষ তোদের ডাক দিয়েছে, আয় রে চলে, আয় আয় আয়’ [১৩৩০]): মাঠের বাঁশি শুনে শুনে আকাশ খুশি হল।

    আবার, ১৩২৯-এ লেখা বর্ষার এক গানও কি মনে পড়বে না?

    এ কী গভীর বাণী এল ঘন মেঘের আড়াল ধ’রে
    সকল আকাশ আকুল ক’রে।
    সেই বাণীর পরশ লেগে নবীন প্রাণের বাণী জাগে,
    হঠাৎ দিকে দিগন্তরে ধরার হৃদয় ওঠে ভরে।
    সে কে বাঁশি বাজিয়েছিল কবে প্রথম সুরে তালে,
    প্রাণেরে ডাক দিয়েছিল সুদূর আঁধার আদিকালে।
    তার বাঁশির ধ্বনিখানি আজ আষাঢ় দিল আনি,
    সেই অগোচরের তরে আমার হৃদয় নিল হ’রে।

    দেবব্রত বিশ্বাস

    এই লিঙ্কে ক্লিক করে দেখুন স্বরলিপি।

    প্রকৃতির সেই আদি বাঁশিই কি আমাদের পথ করে দেয় বিশ্বজোড়া বাঁশির তানের—‘গীতবিতান’-এ বাজতে থাকা বাঁশির চতুর্থ অভিজ্ঞানের?


    এবার নীরব করে দাও হে তোমার মুখর কবিরে।
    তার হৃদয়বাঁশি আপনি কেড়ে বাজাও গভীরে।
    নিশীথরাতের নিবিড় সুরে বাঁশিতে তান দাও হে পুরে,
    যে তান দিয়ে অবাক কর গ্রহশশীরে।
    যা-কিছু মোর ছড়িয়ে আছে জীবন-মরণে
    গানের টানে মিলুক আসি তোমার চরণে।
    বহুদিনের বাক্যরাশি এক নিমেষে যাবে ভাসি—
    একলা বসে শুনব বাঁশি অকূল তিমিরে।

    মোহন সিং

    এই লিঙ্কে ক্লিক করে দেখুন স্বরলিপি।

    ‘পূজা’ পর্বের ‘অন্তর্মুখে’ উপপর্বভুক্ত এই গান লেখা ১৩১৬-তে। উৎপ্রেক্ষা ‘হৃদয়বাঁশি’ মাত্র এই একবারই আছে ‘গীতবিতান’-এ (তৎকালীন রবীন্দ্র-সমালোচকদের কারও কারও শিরঃপীড়ার কারণও হয়ে থাকতে পারে)। আর যে-‘তোমার’ উদ্দেশে এই ‘মুখর কবি’র নিবেদন তাঁকে আমার মতো নিরীশ্বরেরও অন্তত ভেবে নিতে অসুবিধে হয় না। বস্তুত আস্তিক্য-নাস্তিক্য এক্ষেত্রে অবান্তর। প্রশ্ন বাঁশির চরিত্র নিয়ে। ‘বিশ্ব যখন নিদ্রামগনগগন অন্ধকার’, তখনই বেজে ওঠে এই বিপুল বাঁশি। তাতে যেমন ছন্দ পায় মানুষের জীবন-মরণতেমনি ধ্বনিত হয় মহাবিশ্ব, মহাকাশ, মহাকাল। হৃদয়বাঁশি নয়, একমাত্র সেই বিশ্ব-বাঁশিই শ্রোত্রপেয়।


    আমারে তুমি অশেষ করেছ, এমনি লীলা তব—
    ফুরায়ে ফেলে আবার ভরেছ, জীবন নব নব।
    কত-যে গিরি কত-যে নদীতীরে
    বেড়ালে বহি ছোটো এ বাঁশিটিরে,
    কত-যে তান বাজালে ফিরে ফিরে
    কাহারে তাহা কব।
    তোমারি ওই অমৃতপরশে আমার হিয়াখানি
    হারাল সীমা বিপুল হরষে, উথলি উঠে বাণী।
    আমার শুধু একটি মুঠি ভরি
    দিতেছ দান দিবস বিভাবরী—
    হল না সারা কত-না যুগ ধরি
    কেবলই আমি লব।

    সুবিনয় রায়

    এই লিঙ্কে ক্লিক করে দেখুন স্বরলিপি।

    রচনা ১৩১৯-এ। ‘পূজা’ পর্বের ‘বন্ধু’ উপপর্বের অন্তর্গত। আমরা জানি এই ‘গীতিমাল্য’ ২৩-এর অনুবাদেই আরম্ভ হয়েছে ইংরেজি ‘গীতাঞ্জলি’ (‘সং অফারিংস’) যা একদা জগৎ জয় করেছিল। এই গানেও ‘তুমি’ নিয়ে কোনো নিরীশ্বরী বাধা নেই; আসল গল্প তো ‘আমার’। আর আমরা যেহেতু বাঁশিতে বাঁধা, কবির বাঁশি-স্বভাবই আমাদের লক্ষণীয়। ‘গীতবিতান’-এর কবি যে নিজেকে বাঁশি ভাববেন তা-ই তো স্বাভাবিক। (এ যে কোনো কলেজ নোটবইয়ের ‘কবি গাহিয়াছেন’ নয় তা বলা বাহুল্য।) তা ছাড়া, বাঁশির কাজ যেহেতু স্বরক্ষেপণ তাই এই ঐক্য বোধকরি কষ্টকল্পনা নয়। অবশ্য বাঁশি না হয়ে বীণাও হতে পারত। ‘পূজা: প্রার্থনা’র ‘যদি এ আমার হৃদয়দুয়ার’-এ ‘এ বীণার তারে তব প্রিয়নাম নাহি ঝংকারে’-র স্মৃতি কি ভুলবার? তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব কালচার‍্যাল টেক্সট্‌স অ্যান্ড রেকর্ড্‌স কৃত রবীন্দ্ররচনার বৈদ্যুতিন সম্ভার, ‘বিচিত্রা’র হিসেবে তাঁর কবিতা ও গানে ‘বীণা’র চেয়ে ‘বাঁশি’র সংখ্যা বেশি। অবশ্য তাতে, শেষপর্যন্ত, কিছু প্রমাণ হয় না।



    আমাদের ১-এর দুই উদাহরণ যে ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’র সন্নিধ তা উপরে বলেছি। সেই প্রসঙ্গে ‘পূজা: বিবিধ’র ‘মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না’র (১২৯১-তে লেখা) শেষ কলিও মনে পড়ছে: ‘তুমি যদি বল এখনি করিব বিষয়-বাসনা বিসর্জন’। পাঠান্তরেও ‘বিষয়-বাসনা’। এই ‘বিষয়-বাসনা’র কি কোনো মধ্যযুগীয় উৎস আছে? কারণ তা ত্যাগ না করে ‘ভক্তি’তে পৌঁছোনো যায় না। ১৯৩৫-এ ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে লেখা এক চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ গোরক্ষনাথের অন্যতম শিষ্যের এক পদের অনুবাদ পাঠান—তাতে ‘বিষয়-তৃষা’ কথাটা ছিল। ‘বিষয়’ সূত্রে অসমের নব-বৈষ্ণববাদের জনক শঙ্কৰদেৱ-এর দুটো ‘বৰগীত’ থেকে উল্লেখ হয়তো অসমীচীন হবে না। ৫ নম্বরের গোড়ায় আছে ‘বিষয় বিলাস পাশে ছান্দি ইন্দ্রিয় মোহি/ওহি লুটে বাটোৱাৰী’ (ইন্দ্রিয়েরা আমায় বিষয়-বিলাসে বেঁধে ডাকাতের মতো সব লুটে নিচ্ছে)। আর ১৭-র গোড়ায়: ‘বিষয় বিষধৰবিষে জৰ জৰ জীৱন নাৰহে থোৰ’ (বিষয়-সর্পের বিষে জর্জরিত হয়ে প্রাণ যায় যায়)।

    যদিও রবীন্দ্রনাথকে ‘ভক্তি’র কবি বলা যায় না, তবু ‘ভক্তি’র সঙ্গে তাঁর যোগ কি অস্বীকার করা যায়? ছেলেবেলায় তিনি তুকারাম তরজমা করেছিলেন। মধ্যবয়সে করলেন কবির, ইভলিন আন্ডারহিল-এর সঙ্গে ইংরেজিতে। বিদ্যাপতির বেশ কিছু মৈথিলি পদও একসময় করেছিলেন। দুটি শিখ ভজন আছে তাঁর গানে অনূদিত। ‘গুরুগ্রন্থসাহেব’-এর একটি পদও বলা হয় তাঁর করা। অনুবাদ ছাড়াও তাঁর গভীর বোধ আছে ‘ভক্তি’ নিয়ে, বিশেষ করে কবির ও নানক নিয়ে। অতএব, তাঁর উনিশ শতক সঞ্জাত ও ক্রমান্বিত অভিজ্ঞতায় জারিত যে-আধুনিকতা তার সঙ্গে বোধকরি কোনো বিরোধ নেই ঐতিহ্যের।

    গীতবিতান অনলাইন দেখা যেতে পারে এখানে


    গ্রাফিক্স: মনোনীতা কাঁড়ার

    এই বিভাগের লেখাগুলি হোয়াটসঅ্যাপে পেতে চাইলে এখানে ক্লিক করে 'পড়াবই'এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • পড়াবই | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ৩৪০৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Abhyu | 198.137.20.25 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৮:২৪102958
  • বজ্রে তোমার বাজে বাঁশি



    রাজপূরীতে বাজায় বাঁশি


    ভালোবাসি ভালোবাসি এই সুরে কাছে দূরে জলে স্থলে বাজায় বাঁশি


    ওগো শোনো কে বাজায় বনফুলের মালার গন্ধ বাঁশির তানে মিশে যায়


    শূন্য করিয়া রাখ তোর বাঁশি বাজাবার যিনি বাজাবেন আসি, ভিক্ষা না নিবি তখনি জানিবি ভরা আছে তোর ধন


    আমার অঙ্গে অঙ্গে কে বাজায় বাঁশি


    সখি ঐ বুঝি বাঁশি বাজে


    বাঁশি আমি বাজাই নি কি


    বাজাও রে মোহন বাঁশি


    কবে নিয়ে আমার বাঁশি বাজাবে গো আপনি আসি আনন্দময় নীরব রাতের নিবিড় আঁধারে


    আমার বাঁশি তোমার হাতে ফুটোর পরে ফুটো তাতে তাই শুনি সুর এমন মধুর পরান ভরানো


    কোন ছায়াতে কোন উদাসী দূরে বাজায় অলস বাঁশি মনে হয় কার মনের বেদন কেঁদে বেড়ায় বাঁশির গানে


    ডাক দিয়ে যার সাড়া না পাই তার লাগি আজ বাজাই বাঁশি

     

  • kk | 97.91.195.43 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৮:২৯103001
  • আমি গান ইত্যাদি বিশেষ বুঝিনা, তাই লেখার কনটেন্ট ইত্যাদি নিয়ে কিছু লিখতে পারলামনা। এমিলিয়া জিউবাকের ছবিটা অসাধারণ ভালো লাগলো। সেটুকু জানানোর জন্য কমেন্ট করলাম।

  • অনিন্দিতা | 103.87.56.47 | ০৫ মার্চ ২০২১ ২০:৫৮103184
  • গীতি আলেখার ভাষ্যপাঠের মতো লেখাটির থেকে অনেক বেশি প্রাপ্তি পাঠকের সংকলনে এতোগুলো বাঁশির সুর শুনতে পাওয়া। গানগুলি পরপর শুনে মন ভরে গেল, লেখাটা পড়ে মন ভরল না। 

  • Abhyu | 47.39.151.164 | ০৫ মার্চ ২০২১ ২১:২৮103185
  • থ্যাঙ্কু। খানিকটা নিজেরই জন্যে দিয়েছিলাম গানগুলো। আপনার ভালো লেগেছে শুনে ভালো লাগল।

  • Abhyu | 47.39.151.164 | ০৬ মার্চ ২০২১ ১২:০২103196
  • আমার রাত পোহালো শারদ প্রাতে
    বাঁশি তোমায় দিয়ে যাব কাহার হাতে

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন