এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • প্রেম অপ্রেম এলোমেলো ভাবনা

    Jaydip Jana লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৩ অক্টোবর ২০২০ | ১২০৩ বার পঠিত
  • ভালবেসে ভালবাসার প্রতিদিনের  রোজনামচায়  থাকাটা সমাজের নির্মাণ। নাকি সেটা আসলে আত্মপ্রেম প্রতিদিনের আত্মপ্রত্যয়। নিজেকে খুঁজে পাওয়া.. 


    প্রতিদিনের থোড় বড়ি খাড়া প্রেম কিংবা রাঁধার পর খাওয়া নয়তো খাওয়ার পর রাঁধা সম্পর্কের অভ্যাসটা আপাতদৃষ্টিতে  সুখের সংজ্ঞা  হলেও সে সুখ  বোধ  হয় কেউ কেউ চায়না তাই তো "সুখে থাকতে ভুতে কিলোয়"। এলোমেলো ভাবনার ভুত । স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয়  অনুভুতি গুলোর চাওয়া পাওয়ার  সাথে সাথে আমার মধ্যেও  অন্য একটা আমি আছে।   ভালবাসাটাও নিজের কাছে নিজের অ্যাসাইনমেন্ট। "মধুর তোমার শেষ যে না পাই... "


    আবার একটা নতুন অ্যাসাইনমেন্ট, নতুন কাজ নিয়ে নতুন  ভাবনার ট্রেলর দেখলে বুঝতে পারি  মুখে যাই বলিনা কেন এটাই আমার সংসার। প্রতিদিনের শোয়াবসার বাইরে ভালবাসার  ভালবাসায় জড়িয়ে থাকার আনন্দ  অনেক বেশি।  আজ আর নিজের সঙ্গে  নিজে প্রতারণা  করব না।  অস্বীকার  করবনা ভালবাসায় ছুঁতে চাওয়ার ইচ্ছে , শরীরের আশ্লেষে পিষে যাওয়ার ইচ্ছেগুলো মাঝে মাঝে উঁকি দিলেও সেগুলোই সব না।  কারও কাছে কোনও কিছু প্রমানের দায় নেই।  নিজের  সবটুকু ছাপিয়ে গিয়ে ভালবাসাটুকু ভাল রাখাই  ভালবাসা। আর সবটুকুর মধ্যে নিজেকে ভালবাসা,নিজেকে ভালরাখাটাও বড্ড জরুরি । নিজেকে ভাল না বাসলে  ভালবাসা থাকবে কি করে।


    আমরা আঁতলামি  করে বলি প্রেমটা আসলে কোমরের নীচে না, প্রেম টা আসলে মাথায়। আবার কেউ  কেউ বলি আমার যৌনাঙ্গ  আমাকে ডিফাইন করেনা নয়তো আমার যৌনতা আমার পরিচয় না। আসলে সব কেমন মিলেমিশে  একাকার হয়ে যায় যখন কামনার তুরীয়তাটাও মস্তিষ্কই শুধু   জানান দেয়। কেউকেউ  যৌনতাকে জিভের স্বাদদিয়ে বোঝার কথা বলি। স্বাভাবিকভাবেই তাই আমিশাষী আর নিরামিষাশীর তুলনা টানি হেটারো নর্ম্যটিভিটির সাথে সমকামীতার তুলনায়। আজকাল একগামী বহুগামিতা র তর্কে যাইনা কেননা আমি ঠিক কোন্ গ্যমাস সেটা তো নিজেও বুঝিনা। খালি এটা বুঝি শরীরে শরীরের ছোঁয়া  পেতে চায়। কেউ কেউ একটা নির্দিষ্ট শরীরে যেমন তৃপ্তি  পাননা আমি তেমন অন্য শরীরেও শুধুই  ভালবাসাটুকু  খুঁজে  বেড়াই।  আর "শরীরের প্রেমটাও প্রেম" যার গাল ভরা নাম আমার কাছে টাচথেরাপি।


    "কৃষ্ণ" কাল্পনিক নাকি সত্য না কি আসলে জীবাত্মার সাথে পরমাত্মার মিলনের পথমাত্র।  রাধা নাকি কৃষ্ণের হ্লাদিনী  শক্তি । রাধা কি আদৌ কোনও সত্য নাকি যা আমার মনের গভীর গোপন তাকেই রাধা বলে চালানো।  তাই রাধার প্রেমে পরকীয়ার মুখোশ আমরাই পরাই। পরকীয়ার আড়ালে সত্যটাকে গোপন করতে চাই নিজের কাছে।মাঝে মাঝে মনে হয়  রাধা আসলে একটা না পাওয়ার রূপক নয়তো ।  নিজের সাথে নিজের প্রতারণার হাতিয়ার হিসাবে পরকীয়া শব্দটা আমরা ব্যবহার করি কিনা কে জানে। আর রবিঠাকুরকেও তাই  চারুলতা  আর ভূপতির মাঝে অমলকে আনতে হয়, চারুর মনের খবর স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও রাখেন নি।  আর তাই আজও এত বছর পর শ্রীমতী 'হে-র  নিকষিত প্রেম আমরা কলুষিত  করতে বিভিন্ন  ভাবে কাঁটা ছেড়া করার সুযোগ পেলে ছাড়িনা। নিজের অ-সুখ অন্যের সুখ বা "নিজের অ-প্রেম" অন্যের প্রেমকে অসুয়াসূচক মুখরোচক আলোচনার বিষয় করে তোলে।


     কোনও কোনও দর্শন মতে যদিও একমাত্র জীবাত্মার  


    পরমাত্মার সাথে মিলনের ইপ্সাই স্বকীয়া বাকি সটুকুই পরকীয়া।  আত্ম প্রেমের নয়তো আত্মরতির সাথে সাথে "আপনাকে এই জানা আমার ফুরাবেনা"। নিজেকে সত্যিই কি আমরা জানতে চাই। নিজেকে স্বীকার  করতে পারাটাও যে ভালবাসা আর তাই   মীরাবাই হয়তো ঐতিহাসিক  প্রমাণ হিসাবে আজও  সবসময় সামনে চলে আসে ।  কিন্তু মীরার প্রেমের মিথ দিয়ে কি বোঝাতে চাই, কোন অনুভুতিকে আঁকড়ে ধরতে চাই আমরা তা যদি বুঝতাম তাহলে তো অন্য কিছু হত।  প্রতিদিনের রোজনামচায় ঈশ্বর প্রেমই হয়তো একটা ভাবনার দ্যোতক। মীরা আসলে আমাদের সেই ভাবনার উদাহরণ নাতো।নইলে প্রেমের জন্য মীরাকেই এতবছর আমরা উদাহরণ করে রাখিকেন?  কেন আমরা সুদামাকে  মনে রাখতে চাই। কেনই বা সখা হিসাবে কৃষ্ণকেই অর্জুনের সারথি হতে হয়। আসলে সারথি তো পথ দেখায়। মনের ঘোড়ারলাগাম তাই তার হাতে তুলে দিয়ে নিশ্চিন্ত হতে চাই আমরা।    কিন্ত সেও কি অন্তরাত্মার সাথে  জীবাত্মায় মিশে যেতে চাওয়া না।  সবটাই  তো আসলে স্বার্থপরতা কেননা, 


    "আমার সুরগুলি পায় চরণ আমি পাইনে তোমারে... " 


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন