এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • গ্রেট গেম ও একটি প্রতিশোধের কাহিনী

    বেঙ্গলি
    নাটক | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ১৯৮৬ বার পঠিত
  • ভারত সীমান্তে চীনা আগ্রাসনের ঘটনা গত ষাট বছর ধরে আমাদের বারে বারে উত্তেজিত করেছে। আমরা ভাবি শুধু চীনা কমিউনিস্ট পার্টিরই এই ষড়যন্ত্র। সেটা আমাদের বস্তুত এক ইনোসেন্ট ভ্রান্তি। কমিউনিস্ট পার্টির আগে থেকেই এই জিনিস ধারাবাহিক ভাবে হয়ে চলেছে। তার এক গোড়ার কথা নিয়ে আজ আলোচনা করতে চাই। কীভাবে দীর্ঘ সময়ের প্রস্তুতি নিয়ে এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হয়েছিল, এবং কীভাবে আমরা তার উপযুক্ত প্রতিশোধ নিতে পেরেছিলাম।
    বেশ কিছুদিন আগের কথা। ঘটনার কেন্দ্র বা সূচনা যাই বলি, উত্তর পশ্চিম চীনের গানসু নামের একটি রাজ্য। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের আলোচনায় এই রাজ্যের নাম প্রায় শোনাই যায় না, বিশেষ করে এর প্রতিবেশী সিংকিয়াং, ইনার মঙ্গোলিয়া বা কিংঘাইয়ের মতো হাই প্রোফাইল রাজ্যের প্রেক্ষিতে। তার ওপর গানসু আকারেও ছোট এবং কেমন একটা অদ্ভুত দেখতে। যাই হোক, সেই গানসুর গোটা পাঁচেক উপজাতি দল থেকেই এই গল্পের শুরু। এই পাঁচটি উপজাতি হলো 休密, 貴霜, 雙靡, 肸頓 এবং 都密, যাদের মধ্যে 貴霜 দলটিই ভবিষ্যতে সবচেয়ে বেশি পরিচিত হয়ে উঠবে। এদের সামগ্রিকভাবে 月氏 বলা হত।
    পরিকল্পনা সাঙ্গ হলে বেজিং থেকে এদের বিরুদ্ধে 匈奴 দলকে ব্যবহার করা হয়, তাদের তাড়ায় এরা ক্রমে রেশম পথ ধরে মধ্য এশিয়ার স্তান দেশগুলিতে এগিয়ে আসে। এই অংশে তখন ইউরোপীয় ও ইরানের প্রভাব ছিল প্রথাগতভাবেই, তার সঙ্গে চৈনিক আগ্রাসনে ভূরাজনৈতিক ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে এই অঞ্চল। ইউরোপীয় ভাষার এক ডায়ালেক্ট এখানে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার শুরু হয়। শেষ অব্দি কারা যে সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করলো সে নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, আমরা জানি ইরানের Σάκαι এবং চীনের 貴霜 দলদুটি মিলিতভাবে পরবর্তী ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করে।
    কী সেই পরিকল্পনা? মধ্য এশিয়ায় গ্রেট গেমের পরিকল্পনা হলে বলির পাঁঠা যে আফগানিস্তান হবে সে তো না ভেবেই বলা যায়। তাই হলো। তুরফান, কুচা, কাশগড় পার হয়ে এল সশস্ত্র বাহিনী, পতন হলো কাবুল, কান্দাহার, গজনীর।
    সেই সময়েও এটা জানা ছিল যে হিন্দুকুশ পেরিয়ে উপমহাদেশে ঢুকতে গেলে আগে নিশ্চিত করতে হয় কারাকোরাম গিরিপথের নিরাপত্তা। রাজা κανηþκε কারাকোরামের উত্তরপথে আকসাই চীনের সঙ্গে যোগাযোগ সুদৃঢ় করলেন। ভারতের তরফ থেকে একটা বড় সমস্যা রয়ে গিয়েছিল সিয়াচেন হিমবাহ ও কারাকোরাম পাসের কাছে কোনো সজাগ নিরাপত্তা না থাকা। এর মাশুল আমাদের সাময়িকভাবে দিতে হয়।
    ফ্ল্যাঙ্ক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে ইরান চীনের যৌথবাহিনী প্রথমেই পাকিস্তানে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ কায়েম করে। পেশোয়ার হয় নতুন রাজধানী। লবপুর, তক্ষশীলার পতন ঘটল। সমৃদ্ধ পঞ্চনদ অববাহিকায় ইকোনমিক ও মিলিটারি করিডর গড়ে তুললো আগন্তুক সাম্রাজ্য। কিন্তু নতুন বিজিত অঞ্চল পাকিস্তানের উস্কানিতে উদিত হল নতুন স্লোগান, 'ইয়ে তো সির্ফ ঝাঁকি হ্যায়, কাশী মথুরা বাকি হ্যায়।'
    ওয়াঘা পার হয়ে এগিয়ে এল এই অক্ষবাহিনী। প্রবল প্রতিরোধ সত্ত্বেও মূলত পিছন থেকে ছুরির আঘাতে সাময়িক পরাজয় মেনে নিতে হলো, আগ্রাসনের শিকার হলো গঙ্গা যমুনা অববাহিকা। অস্থায়ী রাজধানী তৈরি হলো মথুরায়। কাশীর পতন ঘটলো খুব অল্প সময়ের মধ্যে। কয়েকটা বছর কেটে গেল এই স্থিতাবস্থায়।
    এবার প্রতিশোধের সময়। প্রাথমিক উত্তেজনা থিতিয়ে গেলে শোধ নেওয়া হলো কড়ায় গণ্ডায়। দের আয়ে, দুরস্ত আয়ে। তিন দফায় সম্পূর্ণ হলো সেই সাফল্য। প্রথমেই আমরা যেটা করলাম, অ্যাপ ব্যান। মানে মোবাইল স্মার্টফোনের এত রমরমা তখন ছিল না, লোকজন পারস্পরিক আত্মিক যোগাযোগ রাখত ধর্মীয় লোকাচার মারফৎ। সেখানে আঘাত পড়ল। ইরান বা চীনের সঙ্গে 貴霜-দের যোগাযোগ কমে এল ক্রমেই। এরই ক্রম ধরে এল দ্বিতীয় আঘাত - ঘর ওয়াপসি। ভগবান বিষ্ণুর নবম অবতারের মতাদর্শের হাত ধরে ঘটল এই মহৎ সামাজিক পরিবর্তন। মুছে যেতে লাগলো বিধর্মী চিন্তাধারা। সামাজিক বিপ্লব যখন প্রায় স্থাপিত হয়ে এসেছে, তখন এল মিলিটারি ও পলিটিক্যাল মার্জিনালাইজেশন, শক্তিশালী বিহার রেজিমেন্টের হাত ধরে। পাটনা শহর কেন্দ্র করে বেড়ে ওঠা এক লুকোনো রাজনৈতিক শক্তির জোরে আর্যাবর্ত গিলে নিল এই হানাদারদের, সামূহিক সেই গলাধঃকরণ। লুকোনো শক্তি হওয়ায় এই গোষ্ঠী পরবর্তীকালে 'গুপ্ত'নামে আত্মপ্রকাশ করে।
    একটা ব্যক্তিগত শোধ নেওয়া তখনও বাকি ছিল। ভুলে যাওয়া হয়নি রাজা κανηþκεর কার্যকলাপ। আমাদের অবিচ্ছেদ্য এক রাজ্য ছিনিয়ে নিয়ে রাস্তা বানিয়েছিলেন তিনি। মথুরানগরে নিজের প্রতিকৃতি বানিয়ে দম্ভের পরিচয় দিয়েছিলেন। মুণ্ডু কেটে লোপাট করে দেওয়া হলো, কোনো নাম নিশান মেলে নি কোনোদিন। বিশ্ব ইতিহাসে তাঁর ঠাঁই হলো কবন্ধের মতো, কোনো সিলেবাস এই অখ্যাতি মেটাতে পারেনি কোনোদিন।
    উপসংহার: গুপ্ত রাজাদের এক উপ-প্রতিনিধি কথিত আছে এই কাণ্ডে সন্ন্যাসী ছদ্মবেশে জড়িত ছিলেন। উক্ত কার্যের পরে তিনি মথুরাপুরীর প্রাচীরের তলে একদা সুপ্ত থাকার সময় এক প্রখ্যাত জনপদবধূ কৃতজ্ঞতায় এসকর্ট সার্ভিসের অফার দেন। কর্মসমাপনের শ্রান্তিতে তৎকালে উপগুপ্ত ঘুমকেই বেশি প্রাধান্য দেন। এটা ছোট ভুল ছিল। তাঁর সেই অসাবধানতায় মথুরানগরে বায়োলজিক্যাল যুদ্ধের বীজ বপন করে যায় 貴霜 পলায়নরত জনতা। নিদারুণ মারীগুটিকার শিকার হন নগরবধূ বাসবদত্তা ও আরো অনেকে। তবে, সে অন্য গল্প। পরবর্তী যুগে এই কাহিনীর অবলম্বনে কবিতা লেখা হয়েছে, যদিও মূল ষড়যন্ত্র ও বীরত্বের কাহিনী সেখানে অনুল্লেখিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৩:৫১732605
  • খাইসে! লেখার মধ্যে মধ্যে ম্যান্ডারিন জাতীয় কিছু লিখে দিলে বুঝবো কেমনে?? চীনা বর্ণ বা শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ দাও।

    ইন্টারেস্টিং বিষয়। পড়ছি।
  • বেঙ্গলি | 2409:4061:2e08:1dfb:ef5a:b837:6a94:251b | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৫:০৭732607
  • আহা, বিদেশী শক্তির জন্য চাই বিদেশী বানান।

    প্লাস, প্রথমেই বোঝা যেত সেক্ষেত্রে যে কাদের কথা হচ্ছে। তাই, কার্টেসি টু গুগল ট্রান্সলেটর...

  • | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৬:৩৯732608
  • :-))
    ফাজিল কোথাকার!
  • b | 14.139.196.11 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৬:৪৫732609
  • মার ব্যাটাকে মার। একটাও যেন না ফসকায়।
  • রঞ্জন | 122.162.96.204 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৭:৪৭732612
  • b এর রণহুংকারে  গলা মেলালাম। অসা।

  • :|: | 174.254.192.229 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১০:৫৩732620
  • এটা কি তিব্বতে তথাগতর মতো ধারাবাহিক হবে? তাইলে দারুন হবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন