এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  পড়াবই  হরেকরকমবই

  • হরেকরকম বই — ১

    রন্তিদেব রায়
    পড়াবই | হরেকরকমবই | ০২ আগস্ট ২০২০ | ২৬৬৫ বার পঠিত
  • পুস্তক পরিচিতি - ১ | পুস্তক পরিচিতি - ২
    পুস্তকপরিচিতিগুলি লিখেছেন রন্তিদেব রায়


    যুক্তির কথা, কল্পনার কথা, কবিতার কথা



    গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক কোনো বক্তৃতা দিলে তাঁর কথা যে শ্রোতার একাগ্র মনোনিবেশ দাবি করে সে কথা বলার মতো বাহুল্য আর হয় না। কিন্তু মুশকিল হল, তাঁর মতো তীক্ষ্ণ চিন্তাবিদদের বহু বক্তব্যই প্রায়শই হয়ে ওঠে বহুমাত্রিক, একবারমাত্র শুনেই যার মর্মোদ্ধার গভীর আগ্রহী শ্রোতার পক্ষেও কঠিন হয়ে ওঠে। কথাগুলিতে বারবার ফিরে যেতে হয়। একমাত্র ছাপার অক্ষরে পেলেই তা সম্ভব হয়। এ বই ঠিক তাই। অধ্যাপক চক্রবর্তী স্পিভাকের—নিজের বিষয়ে যাঁর কৌতুকময় কথা: ‘দার্শনিক নই, কবিতাও লিখি না। কবিতা ভালো ভাবে পড়তে শিখিয়েছেন শিক্ষকরা এবং কবিতা মাইনে নিয়ে পড়াই—একটি অত্যন্ত জরুরি বক্তৃতার পরিমার্জিত মুদ্রিত রূপ। ২০১৮ সালে দেওয়া দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় স্মারক বক্তৃতা। বিষয়—যুক্তি ও কল্পনাশক্তি। গভীর বিষয়, যার গোড়াতে তিনি হাস্যোচ্ছলেই স্মরণ করিয়েদিলেন—কবিতা ভালো ভাবে পড়তে শিখতে হয়। এরপর কী বললেন তিনি তার সার-সংক্ষেপ করার প্রচেষ্টা না করে বরং উদ্ধৃত করা যেতে পারে বিষয়টি আর-একটু বিস্তারে ঠিক কী—‘সংক্ষেপে আমার বক্তব্য এই যে কল্পনাশক্তির ব্যায়াম নিয়মমতো শেখানো হয় না বলে সাধারণ মানুষের মনে (আমি দেবীপ্রসাদের কথা বলছি না, তিনি অসাধারণ ছিলেন, এবং সমর সেনও) বামপন্থা এখন আত্মরক্ষা এবং স্বার্থাধিকারের পথ বই আর কিছু না। সারাজগতের শোষণ থামানোর যে-অদম্য ইচ্ছে মার্কস সাহেব লিখেছিলেন, আজকের দুর্ধর্ষ পুঁজিবাদের সামনে সেই ইচ্ছের অঙ্কুর পোঁতা অসম্ভব। বাকি সময়টুকুতে এই ধারণাটাকেই ব্যাখ্যা করব’। কী সেই ব্যাখ্যা তা জানতে হলে বইটি না পড়ে গত্যন্তর নেই। শুধু এইটুকু—সেই ব্যাখ্যার পরতে পরতে জড়িয়ে আছে কেবলই কবিতাপাঠ নয়, কবিতার পাঠ। যেমন, ‘রোদে রাঙা ইঁটের পাঁজা তার উপরে বসল রাজা/ ঠোঙা ভরা বাদামভাজা খাচ্ছে কিন্তু গিলছে না।/ গায়ে আঁটা গরমজামা পুড়ে পিঠ হচ্ছে ঝামা/ রাজা বলে বৃষ্টি নামা—নইলে কিচ্ছু মিলছে না।’ বাঙালির মুখে মুখে ঘোরা এ সব পঙ্‌ক্তি নিয়ে অধ্যাপক স্পিভাকের কথা—‘এ তো ক্লাইমেট চেঞ্জ-এর প্রতি হুমকি, ফরাসি বিপ্লবের উত্তরাধিকার, নেতার ক্ষমতাবৃদ্ধি। ‘নইলে কিচ্ছু মিলছে না’—যুক্তির আক্ষেপ। Statistical প্রশ্ন—‘নেড়া বেলতলায় যায় ক-বার?’ এবং তার উত্তর statistical average—‘হরেদরে হয়তো মাসে নিদেনপক্ষে পঁচিশবার।’ ইঁটের পাঁজার ওপর বসে আমরা হাউমাউ করে নেতাবাজি করে চলেছি। কিন্তু ভোটের কল চলছে অন্য তেলে। যুক্তি উন্নাসিক, আর কল্পনার নতজানু হয়ে প্রার্থনা করে অপরা শক্তির জন্য, যাতে অকারণে ‘অপর’ তার উপর ভর করে, ব্যর্থ হয়; কিন্তু ব্যর্থতা থেকে শেখে—ভাঙা-গড়া ভবিষ্যতের জন্য। এই তো ইতিহাস।’ আর এ বইয়ের পরমপ্রাপ্তি এই বক্তৃতায় প্রাসঙ্গিক এমন তিনটি কবিতার নাতিদীর্ঘ পৃথক পৃথক বিশ্লেষণ। দুটির কবি বিনয় মজুমদার—‘মায়ের’ ও ‘ফিরে এসো চাকা’। একটির কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়—‘কীসের জন্য’।



    যুক্তি ও কল্পনাশক্তি
    গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক
    অনুষ্টুপ
    ২০০ টাকা



    আজকের কলকেতার রসিক বারমাস্যা



    হুতোমের ছেড়ে যাওয়া চশমায়, চোদ্দোশো পঁচিশ-ছাব্বিশের কলকাতাকে দেখেছেন নবীন লেখক শুভ আঢ্য। বইটির সূচিপত্র রাখা হয়েছে বাংলার বারোটি মাসের নামে। অতি সরস ভঙ্গিতে কলকাতাবাসী বাঙালির জীবনের বারোমাস্যার কথা এই বই। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠের ঘামের গন্ধ-মাখা গণেশপুজো, নববর্ষের বেঙ্গলি কুইজিন, পঁচিশে বৈশাখের সংস্কৃতি চর্চা-টর্চার পাশাপাশি এসেছে জামাই রেজিমেন্টের বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা। আবার আষাঢ়-শ্রাবণের ফেসবুক কাব্যি, বর্ষা চাই বর্ষা চাই করে নিউজ চ্যানেলগুলোর হেদিয়ে মরা, পোয়াতি ইলিশ সহযোগে জমে উঠেছে। ভাদু পুজোর রমরমা, স্বাধীনতাদিবসের মোচ্ছব কাটতে না কাটতেই এসে পড়ে আশ্বিনে পুজোর কার্নিভ্যাল। নতুন আমদানি হওয়া গ্রেট ইন্ডিয়ান ধামাকাও বা পিছিয়ে থাকবে কেন? ধনতেরাসের জৌলুসে শুধু ফিঙে-দোয়েলদের আর দেখা যায় না, এই যা। অঘ্রানে ঘটা করে ‘নো শেভ নভেম্বর’ করা আল্ট্রা-মডের দল আর অন্যদিকে থাকে নিত্যনতুন লোশন নিয়ে কনফিউজড হওয়া মহিলামহল। পৌষে সুপর্ণাকে নিয়ে টানাটানির মধ্যেই কলকাতা গাঁয়ের চণ্ডীমণ্ডপ নন্দনে বসে সংস্কৃতির আখড়া। পিছু পিছু আসে বড়োদিনের জিশুপুজোও। এরপর দিব্যি ঢুকে পড়া যায় সার্কাসের তাঁবুতে। মাঘে বাবুঘাটে জড়ো-হওয়া সাধুদের কৌপিন থেকে ভোজবাজির মতো বেরিয়ে আসে একটার পর একটা অ্যান্ড্রয়েড ফোন। বেশ কিছু বছর আগেও ফাগুনের বসন্তোৎসবের ঠিকানা ছিল বিশ্বভারতী আর এখন তা এসে ঠেকেছে রবীন্দ্রভারতীতে। পার্কে পার্কে ঝোপেঝাড়ের আবডালে আরও ঘন হয়ে বসে কপোত-কপোতীরা। হাওয়া গরম হতে থাকা মানেই চৈত্রের এসে পড়া। একটা নাইটি কিনলে একগোছা সেফটিপিন ফ্রি! এভাবেই একসময় শেষ হয় বছর। বাঙালির ইতিহাস ক্রমশ এগিয়ে চলে। সব মিলিয়ে বাংলা রম্যরচনার ধারায় ‘বেড়ালের মকশো’ একটি চমকপ্রদ সংযোজন।



    বেড়ালের মকশো
    শুভ আঢ্য
    ধানসিড়ি
    ১৭৫ টাকা



    সাহিত্যপাঠ ও সাহিত্যভাবনার এক ভিন্ন দৃষ্টিকোণ



    সাহিত্য আমরা কেন পড়ি, এর কোনো এককথার উত্তর নেই। বস্তুত এ নিয়ে তত্ত্বও বিস্তর। বহু মানুষ যেমন নিখাদ বিনোদনের জন্যই সাহিত্য পড়ে থাকেন, তেমনই বহু পাঠকের কাছে সাহিত্য ভীষণ জরুরি একান্ত আশ্রয়। সাহিত্য যেমন ইতিহাসকে, সমাজকে প্রতিফলিত করে, তেমনই আবার খতিয়ে দেখলে দেখা যাবে, ইতিহাসের বিবর্তনে, সমাজের পরিবর্তনে সাহিত্যের একেবারে সক্রিয় অবদান কোনো অংশে কম নয়। কাজেই, সব দেশের সব ভাষাতেই যে সাহিত্য-সৃষ্টি হয় তার পাঠক ও লেখকের যে সরাসরি সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার বাইরেও উভয়েরই সঙ্গে তৈরি হয় এক তৃতীয়জনের সম্পর্ক—সাহিত্য আলোচকের। অবশ্য সাহিত্যের সব আলোচকই পাঠক, যদিও পাঠকদের একটি অতিক্ষুদ্র অংশ সাহিত্যের আলোচক। এই বই ওই তৃতীয় সম্পর্কের। এ ক্ষেত্রে আলোচকের ভূমিকা নিলেও বইটির লেখক সুরঞ্জন প্রামাণিক নিজে প্রতিষ্ঠিত গল্পকারও। একজন সাহিত্যস্রষ্টা যখন অন্যের সাহিত্য-সৃষ্টির বিষয়ে আলোচনা করেন তা ভিন্ন মাত্রা পায় বইকি। বইয়ের কথামুখে লেখক জানিয়ে দিয়েছেন এ বইতে সংকলিত বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর লেখালিখিগুলির উদ্দেশ্য—সাহিত্যের মাধ্যমে সমাজকে জানা-বোঝা। পাশাপাশি তিনি এ ইঙ্গিতও দিয়ে দিয়েছেন গোড়াতেই যে, আলোচনাগুলি তাত্ত্বিক। আর এ বইয়ের যেটি দ্বিতীয় প্রবন্ধ, তার নাম ‘সাহিত্য তত্ত্বে লেখক-পাঠক সম্পর্ক’। প্রথমটির নাম ‘গল্পতত্ত্ব’, যেখানে তাঁর মনে হয়েছে—‘গল্প হল লেখকের বেঁচে থাকা বাঁচিয়ে রাখার সাপেক্ষে অভিজ্ঞতা ও আকাঙ্ক্ষার বয়ান, আশঙ্কারও’। বইটিতে সংকলিত ষোলোটি প্রবন্ধের মধ্যে রয়েছে দলিত সাহিত্য-আন্দোলন নিয়ে আলোচনা, জগদীশ গুপ্তের শিল্পবাস্তবতা নিয়ে চর্চা, রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রেক্ষিতে সতীনাথ ভাদুড়ীর সাহিত্যের পাঠ, এই পণ্যসংস্কৃতির দিনকালে সাহিত্য কেন পাঠসংকটের মুখোমুখি তা নিয়ে আলোচনা ও ইত্যাকার আরও অনেক বিষয়। চিন্তাশীল সাহিত্য-পাঠকের নিজস্ব সাহিত্য-ভাবনায় এ বই আরও অনেক নতুন মাত্রা যোগ করবে।



    শিল্পসাহিত্যের ভাবনাসূত্র: অন্য দৃষ্টিকোণ
    সুরঞ্জন প্রামাণিক
    উবুদশ
    ২০০ টাকা



    বাংলার সাহিত্য, সংস্কৃতি ও চিন্তাবিদেরা



    কোরক সাহিত্যপত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত চোদ্দোটি প্রবন্ধের সংকলন নিয়ে এই বই। প্রাবন্ধিক পিনাকী ভাদুড়ি বাংলার সাহিত্য-সংস্কৃতি এবং বিভিন্ন সময়ের বিশিষ্টজনদের নিয়ে তাঁর চিন্তাভাবনা লিপিবদ্ধ করেছেন। রামমোহন-বিদ্যাসাগর-বঙ্কিম এঁদের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের পাশাপাশি এসেছে সাহিত্যিক সংলাপও। মধুসূদনের জীবনসাহিত্য নিয়ে তৎকালীন বঙ্গসমাজের বিচিত্র প্রতিক্রিয়া এবং রঙ্গমঞ্চের নাটকীয় উপাদানের পরিচয় যেমন পাওয়া যায়, তেমনই সরাসরি সাহিত্যের লোক না হয়েও শ্রীরামকৃষ্ণের গালগল্পের কথকতার মধ্যে অন্তর্নিহিত সহজসরল জীবনদর্শন খুবই মনমুগ্ধকর। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের রহস্য এবং ঐতিহাসিক উপন্যাসগুলি বহুচর্চিত হলেও কিশোরদের জন্য লেখা গল্পগুলিতে এক ভিন্ন শরদিন্দুকে পাওয়া যায়। পাঠক এই গল্পকার শরদিন্দুর এক নতুন দিকের পরিচয় পাবেন। উপেন্দ্রকিশোর, সুকুমারী রায় এবং লীলা মজুমদার প্রধানত ছোটোদের জন্য লিখেছেন তবে সে রসের সাগরে হামেহাল নেমে পড়েন বড়োরাও। নানা মিল-অমিল থাকলেও এঁরা ছড়িয়ে পড়েছেন রসে রসিকতায়। মনোজ বসু এবং নরেন্দ্রনাথ মিত্র সমাজের নিম্ন এবং মধ্যবিত্ত স্তরের মানুষের সুখদুঃখকে স্পষ্ট করে তুলেছেন। সেই অবদমিত যুগের ইতিহাস পাওয়া যায় এঁনাদের লেখায়। এসেছে সৈয়দ মুজতবা আলির পাণ্ডিত্য এবং সুরসিক স্বত্তার নানাদিকের কথা। সমরেশ বসু যেমন নিজের নাম ব্যবহার করেছেন তাঁর বহু সাহিত্যসৃষ্টিতে তেমনই লিখেছেন কালকূট ছদ্মনামে। ধরন আলাদা হলেও তাঁদের ধারণা আলাদা নয়। পরিমল গোস্বামী, শিবরাম চক্রবর্তী, দীপ্তেন্দ্রকুমার সান্যালের মতো লেখকরা বুদ্ধিদীপ্ত হাস্যরস নানা ভঙ্গিতে প্রকাশ করেছেন। সাহিত্য এবং জীবনকে তাঁরা দেখেছেন এক ভিন্নতর আঙ্গিকে। সব মিলিয়ে ‘প্রবন্ধ চতুর্দশ’ বইটিতে সাহিত্যযাপনের বর্ণময়তা ফুটে উঠেছে।



    প্রবন্ধ চতুর্দশ
    পিনাকী ভাদুড়ী
    কোরক
    ১৫০ টাকা



    ইংরেজি হরর-সাহিত্যের পথিকৃৎ এম আর জেমস বাংলা তরজমায়



    ইংরেজি অলৌকিক সাহিত্যের ইতিহাসে এম আর জেমস উল্লেখযোগ্য নাম। তাঁর জন্ম ১৮৬২ সালে, মৃত্যু ১৯৩৬-এ। মধ্যযুগ এবং খ্রিস্টধর্মের ইতিহাসের উপর অগাধ পাণ্ডিত্য সত্ত্বেও তিনি মূলত পরিচিত হরর-সাহিত্যের একজন পথপ্রদর্শক হিসেবে। তাঁর লেখা ভূতের গল্পের বিখ্যাত সংকলনগুলির মধ্যে রয়েছে— Ghost Stories of an Antiquary (1904), More Ghost Stories of an Antiquary (1911), A Thin Ghost and Others (1919), and A Warning to the Curious and Other Ghost Stories (1925)। জেমস ও তাঁর সৃষ্ট চরিত্রদের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হল অনুসন্ধিৎসা। মূলধারার রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক প্রবাহে নয়, বরং ইতিহাসের বিস্মৃত প্রায়-অন্ধকার পটভূমিকায় তিনি পাঠকদের আমন্ত্রণ জানান। কঠোর রক্ষণশীল প্রোটেস্ট্যান্ট পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠা সত্ত্বেও খ্রিস্টবিরোধিতার ইতিহাস, শয়তান ও অ্যান্টিক্রাইস্ট তাঁর গল্পের উপজীব্য বিষয় হয়ে ওঠে। খুবই চমকপ্রদ ভাবে অলৌকিক হরর-সাহিত্যের সঙ্গে রোমান্টিসিজমের এক আশ্চর্য মেলবন্ধন ঘটান তিনি।এহেন এম আর জেমস-এর সৃষ্ট বিপুল সংখ্যক কাহিনি থেকে বাছাই-করা পাঁচটি গল্পের বঙ্গানুবাদ নিয়ে এই সংকলন ‘ছায়া কায়া ভয়’। বর্তমানে বাংলা সাহিত্যে অতিপ্রাকৃত, হরর-থ্রিলারধর্মী গল্প-উপন্যাসের জনপ্রিয়তা ক্রমবর্ধমান হওয়া সত্ত্বেও কোনো অজ্ঞাত কারণে পাশ্চাত্য ভৌতিক সাহিত্যের মহারথী এম আর জেমস বাঙালি পাঠকের কাছে উপেক্ষিতই থেকে গেছেন। বিচ্ছিন্নভাবে দু-একটি গল্প ছাড়া বাংলায় তাঁর কোনো পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ সংকলন নেই। সেই দিক দিয়ে অনুবাদক রাজর্ষি গুপ্তর এই কাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বইয়ের একেবারে শুরুতে জেমস-এর জীবন এবং তাঁর সাহিত্যকর্মের বিভিন্ন দিক অত্যন্ত প্রাঞ্জল ভাবে আলোচনা করেছেন তিনি। নিশ্চিত ভাবেই তাঁর হাত ধরে সাধারণ বাঙালি পাঠক জেমসকে চেনার পাশাপাশি পাশ্চাত্য হরর-সাহিত্যের এক অনাস্বাদিত রোমাঞ্চকর দুনিয়ার সন্ধান পাবেন।



    ছায়া কায়া ভয় (এম আর জেমস-এর অলৌকিক গল্পের সংকলন)
    অনুবাদক: রাজর্ষি গুপ্ত
    ঋত প্রকাশন
    ২৫০ টাকা



    বাড়িতে বসে বইগুলি পেতে হোয়াটসঅ্যাপে বা ফোনে অর্ডার করুন +919330308043 নম্বরে।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
    পুস্তক পরিচিতি - ১ | পুস্তক পরিচিতি - ২
  • পড়াবই | ০২ আগস্ট ২০২০ | ২৬৬৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন