এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • বেসু প্রসঙ্গে

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়
    আলোচনা | বিবিধ | ৩০ মার্চ ২০০৮ | ৭৬৫ বার পঠিত
  • পুরাতন বিই কলেজ, অধুনা বেসুতে যা ঘটে চলেছে, তা একই সঙ্গে ট্র্যাজিক এবং হাস্যকর। বেসু যখন জ্বলছে, কর্তৃপক্ষ তখন ডুগডুগি বাজাচ্ছেন। ক্যাম্পাসে রক্তারক্তি চলছে, বাইরে থেকে পেশীশক্তির আমদানি হচ্ছে অবাধে, ক্রমশ: জড়িয়ে পড়ছেন শিক্ষকরাও, আর কর্তৃপক্ষ অতন্দ্র শার্লক হোমসের ন্যায় কে বা কারা "বেসুকে নন্দীগ্রাম হতে দেব না' বলে এসএমএস চালাচালি করছে,তার রহস্য উদ্‌ঘাটনে ব্যস্ত। দুইদল ছাত্রের মধ্যে মারপিট হচ্ছে, সমাধানের সহজ উপায় কি? কর্তৃপক্ষের মতে সোজা উপায় হল দশটার সময় হস্টেল শুদ্ধু ছেলেকে ঘাড় ধরে কলেজ থেকে বার করে দাও। বাস ভাড়া করে হাওড়া আর শিয়ালদা স্টেশনে ছেড়ে দিয়ে এসো। এবার নিজের ম্যাও তারা নিজেরা সামলাক, বারাসত, বহরমপুর, শিলিগুড়ি,জাহান্নমে, গোল্লায়, উচ্ছন্নে যেখানে খুশি যাক, দেখার দরকার নেই। আর একান্তই যারা যেতে পারলনা, বা গেলনা, তাদের জন্য ক্যাম্পাসে র‌্যাফ নামাও। ধরে ঠ্যাঙাও। কিছু করে দেখাও। রসিকতা করা হচ্ছে ভাবার কোনো কারণ নেই। এই অভূতপূর্ব ব্যাপারটি বেসু কর্তৃপক্ষ সত্যি করে দেখিয়েছেন। শুধু এখানেই শেষ না। পরিস্থিতি অস্বাভাবিক, ক্যাম্পাসে চলছে মার-দেওয়া ও মার-খাবার কার্নিভ্যাল। তার মধ্যে পড়া ও পরীক্ষা দেওয়া অসম্ভব বলে দাবী তুলেছে একদল ছাত্র। এই দাবীতে এসপ্ল্যানেডে দু-তিনশো ছেলেমেয়ে ধর্ণামঞ্চে বসছে রোজ, শিক্ষক সংগঠনও পুলিশ-র‌্যাফ সরানোর দাবীতে ধর্ণায়, আর কর্তৃপক্ষের সহজ বিশ্লেষণ, না পড়লে তো পরীক্ষা দেওয়া যাবেইনা। যেন, বেসুর ছেলে-মেয়েরা প্রতিটি পরীক্ষার আগেই গোলমাল বাধিয়ে পরীক্ষা ভন্ডুল করে দেয়। আর শিক্ষকরা প্রতিবারই তার সমর্থনে ধর্ণায় বসেন। এতগুলি লোক, ছাত্র ও শিক্ষক যখন একই দাবীতে একজোট, তখন সমস্যাটা স্রেফ "পড়াশুনো করেনি, তাই পরীক্ষা ভন্ডুল করতে চাইছে' এরকম নয়, হতে পারেনা, একথা আর মাথায় গজাল মেরে কে ঢোকাবে। কোন বাপ কা ব্যাটা বা মাঈ কা লাল? আসলে সমস্যায় নয়, কর্তৃপক্ষের নজর বরং পরীক্ষার খাতায়। কারা নাকি সাদা খাতা জমা দিয়েছে। কারা নাকি খাতায় নন্দীগ্রামের কথা লিখে এসেছে। যারা লিখেছে, শোনা যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে নাকি ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। পরীক্ষকরা খাতা পেলেননা, কে কি লিখেছে খাতায় ঈশ্বরই জানেন, এখনই ব্যবস্থা নেবার কথাবার্তা উঠে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয় না মামার বাড়ি, কর্তৃপক্ষ না যাত্রাপার্টির কর্ণধার, বোঝা কঠিন।

    হাসির কথা নয়, যেকোনো রকম সিদ্ধান্ত নেবার প্রশ্নে কর্তৃপক্ষ একই রকম কনসিস্টেন্ট। কঠিন সমস্যা ও তার সমাধানের একশ একটি সহজ উপায় তাঁদের বিলক্ষণ জানা আছে। যেমন, কলেজে গোলমালের মূল কারণ দুটো তাঁরা বহু কষ্টে খুঁজে বার করেছেন। এক, মদ। বেসুতে মারদাঙ্গা থামানোর প্রধান হাতিয়ার হিসাবে জারি করা হয়েছে মদের উপর নিষেধাজ্ঞা । যুক্তি সিম্পল। "ছাত্ররা বদ, কারণ তারা মদ খায়'। আর মদ খেয়ে মাতাল হয়েই শুরু হয় যাবতীয় মারদাঙ্গা। দুই, অসংযত রাত্রিযাপন। যে কারণে, রাত দশটার পর হস্টেলের বাইরে থাকলেই কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। সোজা বাংলায়, শ্রেণীসংগ্রাম না, রাজনৈতিক খারাখারি না। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও না, পৃথিবীর সকল অনিষ্টের মূলে আছে নারী,সুরা ও অসংযত জীবনযাপন। তাই গান্ধীবাদী হোন। ব্রহ্মচর্য পালন করুন। মদ খাবেন না, খেতে দেবেন না। অসংযমী হবেন না। হস্টেলের বাইরে রাত কাটাবেন না। তাহলেই পৃথিবীর যাবতীয় ঝগড়া-ঝাটি-দু:খ-কষ্টের শেষে শান্তিকল্যাণ নেমে আসবে। একদিন ঝড় থেমে যাবে। পৃথিবী আবাআআর শান্ত হবে। ব্যস।

    আসলে সমস্যা নয়, তার সমাধানও নয়, নজর অন্যত্র। জোড়াতালি, ম্যানেজ এবং ধামাচাপা, এই হল লক্ষ্য। এ এক অতি পুরাতন ট্র্যাডিশান। এখানে ছুলির দাগ সযতনে ঢেকে রাখা হয় মেকাপে। ঝিন-চ্যাক পোশাকের আড়ালে থাকে ময়লা অন্তর্বাস। আর অন্তর্বাসের নিচে পুরে রাখা হয় দাদ,হাজা,পুরোনো পাপ। মাঝে মাঝে চুলকুনি ফুটে বেরোলে চুপচাপ কিনে আনা হয় হাতুড়ে মলম। চিকিৎসার নামে ধ্যাষ্টামো হয়। এখন গোলমাল প্রাণপনে চাপা দিয়ে রাখার চেষ্টা হবে, আর এদিক সেদিক দিয়ে হারবার্ট সরকারের শ্মশানযাত্রার মতো ডিনামাইট বাইচান্স ফেটে গেলেই হবে হাতুড়ে চিকিৎসা। কলেজে মারদাঙ্গা হলে মদের উপর নিষেধাজ্ঞা হবে। যেন এই প্রথম জানা গেল কলেজের ছেলেপুলে মদ খায়। কর্তৃপক্ষ একটু চেষ্টা করলেই জানতে পারতেন, পুরাতন বিই কলেজের ছেলেমেয়েরা স্মরণাতীত কাল থেকেই হুলিয়ে মদ খায়। রাত-বিরেতে মাঠে-ঘাটে-রাস্তায় বসে-শুয়ে থাকে। ঝোপেঝাড়ে প্রেম ও শরীর করে। বিই কলেজীয় সংস্কৃতি বলে কিছু যদি থাকে, এগুলো তার অংশ। এবং এর জন্য কস্মিনকালেও কলেজের আইনশৃঙ্খলার কোনো অবনতি হয়নি। বেসু কোনো নীতিশিক্ষাদানের প্রতিষ্ঠান নয়, কখনও সেখানে সিলেবাসে মরাল সায়েন্স ছিলনা। নৈতিক ভাবে অধ:পতিত হয়েও, মদ খেয়ে ও রাত্তিরে হল্লাবাজি করেও, ছেলেপুলে দিব্বি করে খাচ্ছে জগতে। আরেকটু চেষ্টা করলে, কর্তৃপক্ষ এও জানতে পারতেন, যে, সাম্প্রতিককালের এই গোলমাল, মদ নয়, এ আসলে তাঁদেরই পুরোনো পাপের ফল। সাম্প্রতিক কালে যতগুলি বড়ো গোলমাল হয়েছে ঐতিহ্যশালী এই প্রতিষ্ঠানটিতে, তার প্রায় প্রত্যেকটির পরেই ঢাক-ঢোল পিটিয়ে তৈরি হয়েছে তদন্ত কমিটি বা দেওয়া হয়েছে প্রকৃত অপরাধীকে খুঁজে বার করে শাস্তি দেবার আশ্বাস। এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই সেই কমিটি বা আশ্বাসগুলি প্রসব করেছে অশ্বডিম্ব। অপরাধ করেও যদি বার বার পার পেয়ে যায় কেউ, এবং তার পর দু:সাহসে বৃহত্তর অপরাধের দিকে হাত বাড়ায়, তাহলে দোষ কার? গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে আরেকটি কারণও। দু-তিন বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়টির স্নাতক বিভাগে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ। ছাত্রদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ অভাব-অভিযোগকে কর্তৃপক্ষের কাছে নিয়ে যাবার মতো কোনো স্বীকৃত ছাত্র সংস্থা নেই। ছাত্রদের সঙ্গে প্রশাসনের সমস্ত যোগসূত্রকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপর ছাত্র বিক্ষোভ হলে সেই দোষ কার? মদের? না, পড়াশুনো না করার? এখানে মদকে দোষ দিতে হলে পশ্‌চিমবঙ্গের খরার জন্যও চেরাপুঞ্জিকে দোষ দেওয়া যেত পারে, বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর জন্য দায়ী করা যেতে পারে ধূমপানকে।

    আসলে এত বাজে সময় কারই বা আছে। নইলে অতীত খুঁড়ে বার করা যেত সেই ৯৪ সালের কিস্যা। ১৯৯৪ সালে তৎকালীন ডিমড ইউনিভার্সিটির কর্তৃপক্ষ একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যে, প্রতিটি বর্ষের জন্য থাকবে আলাদা-আলাদা হস্টেল। এর আগে, প্রথম থেকে তৃতীর বর্ষের ছাত্ররা একই হস্টেলে একই ছাদের নিচে বসবাস করত। সে সিদ্ধান্ত নিয়েও যথেষ্ট জলঘোলা হয়। কিছু এঁচোড়ে-পাকা ছাত্র, সেই সময়েও দাবী করেছিল, যে, আবাসিক কোনো কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় এভাবে চলেনা। আলাদা-আলাদা হস্টেলের খাপে আলাদা-আলাদা বছরের ছেলেদের গুঁজে দিলে তাদের মধ্যে সম্পর্কটাকে একেবারে শেষ করে দেওয়া হবে। এবং এর ফল ভালো হতে পারেনা। তো, সেসময়ে তৎকালীন প্রশাসন এই দাবী নাকচ করে দেয়। এবং নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকে। লক্ষ্যণীয় এই, যে, ১৯৯৭ সাল থেকেই বিই কলেজ/বেসু ছাত্র সংঘর্ষের জন্য আবার উঠে আসে শিরোনামে। তখন সংঘর্ষ হত দুই ইয়ারের দুই দল ছেলের মধ্যে। মার এবং পাল্টা মারের সংস্কৃতি ক্রমশ: রাজনীতিতেও ঢুকে পড়ে। কলেজের মধ্যে জোরে না পারলে বাইরের পেশীশক্তিকে নিয়ে আসা হয় কলেজের মধ্যে। ইত্যাদি ইত্যাদি।

    তো, এসব নিয়ে কথা বাড়িয়ে লাভ নেই। সোজা কথা হল, মিডিয়ায় যেমন দেখানো হচ্ছে, যে উশৃঙ্খল ছাত্ররাই যাবতীয় গোলমালের মূল, অতএব ব্যাটাদের সিধে করো পিটিয়ে, কেস আদপেই তা না। বরং এ সবই এক হঠাৎ-হওয়া-বিশ্ববিদ্যালয়ের হাল-ভাঙা প্রশাসনের পাপের ফল। বিই কলেজ থেকে ডিমড ইউনিভার্সিটি হয়ে বেসু হয়েছে। প্রিন্সিপাল ডিরেক্টর থেকে ভিসি হয়েছেন। কিন্তু স্বীকার করে নেওয়া ভালো, রেসিডেন্সিয়াল একটি কলেজ বা ইউনিভার্সিটি, যেখানে চব্বিশ-ঘন্টাই ছেলেমেয়েরা ক্যাম্পাসে থাকে, সেখানে ছেলেমেয়েদের কিভাবে হ্যান্ডল করতে হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কর্তারা সেটা শেখেননি। তাঁরা সন্ধ্যের পর ঝোপে-ঝাড়ে টর্চ মেরেছেন, ইউনিফর্ম চালু করে ডিসিপ্লিন আনতে চেয়েছেন, ছেলেপুলেকে নীতিশিক্ষা দিয়ে ফাটিয়ে দিতে চেয়েছেন, কিন্তু বিই কলেজের পালসটা বোঝেননি। বা বোঝার চেষ্টা করেননি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো মান্ধাতার পদ্ধতিতে কোনো রেসিডেন্সিয়াল ইউনিভার্সিটি চালানো যায়না, এটা তাঁরা বোঝেননি। তাঁদের সেই না-পারা, না-বোঝা এখন ব্যাকফায়ার করছে। এবং ছাত্রদের গলার আওয়াজ শোনা যাবেনা কলেজে, গলা তুললে ছেলেপুলেকে র‌্যাফ দিয়ে পিটিয়ে শায়েস্তা করব, বা ফার্স্ট গেটের বাইরে দেখে নেব, এই অ্যাটিটিউডে চললে গোলমাল আরও বাড়বে। কমবেনা।

    মার্চ ৩০, ২০০৮
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ৩০ মার্চ ২০০৮ | ৭৬৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন