এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • "ভাল যুদ্ধে'র ধাঁধা

    আর্য্য ভট্টাচার্য্য লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯ | ৭১৮ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • ৫ই নভেম্বর ২০০৮, আমেরিকার ঐতিহাসিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক পরেই, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কার্জাই বারাক ওবামাকে একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন। সেই বার্তার সারমর্ম ছিল - সাধারণ মানুষ মারা বন্ধ হোক। "This is my first demand of the new president of the United States - to put an end to civilian casualties" । হামিদ কার্জাইয়ের সেই বার্তার কোন উত্তর দেওয়া হয় নি। কিন্তু বেড়ে গেছে মৃত্যু সংখ্যা। ইউনাইটেড নেশনের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০০৯ সালের প্রথম ৬ মাসে মারা গেছে ১,০১৩ জন সাধারণ মানুষ, ২০০৮ সালের থেকে প্রায় ২৪ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে ন্যাটোর সৈন্য বাহিনীর প্রখর পাহারায় সদ্য শেষ হল আফগানিস্তানের দ্বিতীয় নির্বাচন।
    গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে কিছু ত্যাগ তো স্বীকার করতেই হবে। এই যুদ্ধ কতটা প্রয়োজনীয়, কেন এই যুদ্ধ স্বেচ্ছায় নয় বরং বাধ্য হয়ে করতে হচ্ছে, আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি সেই দেশের ও মানব সভ্যতার জন্য কতটা খারাপ, যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে সে দেশের গণতন্ত্র, দেশ বিদেশের মিডিয়ায় চোখ রাখলেই বোঝা যায় সেসব কথা। হয় কনসেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং নয়ত নিরবচ্ছিন্ন নীরবতা। প্রচলিত এই দুই প্রান্তিক অক্ষের মাঝে দাঁড়িয়ে কিছু তথ্যে ও তত্ত্বে চোখ বুলিয়ে দেখাই যাক না মেলে কিনা এই ধাঁধা।

    গ্রেট গেম

    একটু পিছিয়ে যাই। ঊনবিংশ শতকের শেষের দিক বা বিংশ শতকের গোড়ার দিক। প্রযুক্তি তখনো রকেট কিম্বা বোমারু বিমান হয়ে দেখা দেয় নি। যুদ্ধ হত ঘোড়ায় চড়ে, রাইফেল নিয়ে। মানুষ তখনো মরত, কিন্তু হাজারে হাজারে নয়। সেই তখনো আফগানিস্তানে যুদ্ধ চলতই। গ্রেট ব্রিটেন আর রাশিয়া মধ্য প্রাচ্যে এবং ভারতীয় উপমহাদেশে নিজেদের সাম্রাজ্যবাদী অধিকার কায়েম করার জন্য মরিয়া হয়ে যুদ্ধ করত আফগানিস্তানে। ১৮৩৮ সালে ব্রিটেন যুদ্ধ ঘোষণা করে তখনকার আফগান রাজা সুজা শাহর বিরুদ্ধে। সেই হল শুরু - 'দ্যা গ্রেট গেম'। চলতে থাকল উচ্চাকাঙ্খী রাজাদের সাম্রাজ্য বিস্তারের প্রচেষ্টা। কখনো ব্রিটিশ সৈন্য, কখনো অনাহূত অতিথির মতন রাশিয়ান ডিপ্লোমেটিক মিশন। আশ্চর্য্যের বিষয়, আফগানিস্তানকে কেউই পরাজিত করতে পারল না। ওদিকে কালের চাকা গড়িয়ে চলল, পৃথিবী পদার্পন করল বিংশ শতকে। শোনা গেল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের দামামা। জার্মানী তার সর্বগ্রাসী শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল মধ্য প্রাচ্যে। রাশিয়ার বুঝতে দেরি হল না যে জার্মানীর মতন শক্তির সাথে লড়াই করতে হলে চাই ব্রিটেনের সহায়তা। রাশিয়া ও ব্রিটেনের হয়ে আফগানিস্তানের রক্ষণাবেক্ষণের ভার পড়ল ব্রিটেনের হাতে। ১৯০৭ সালের অ্যাংলো-রাশিয়ান কনভেনশনে যুযুধান দুই পক্ষ ঠিক করে এবার থেকে শুরু হোক শান্তিপূর্ণ যুদ্ধ। শেষ হল প্রথম অধ্যায়ের 'গ্রেট গেম'। শুরু হল রাজনৈতিক যুদ্ধ - জার্মানী বনাম ব্রিটেন।
    ১৯১৭ সালের বলশেভিক বিপ্লবের সাথে সাথেই শেষ হল ব্রিটেনের সাথে আফগানিস্তানের সমস্ত শান্তি চুক্তি। শুরু হল নতুন করে - "দ্য গ্রেট গেম"। ১৯১৯ সালে শুরু হল আবার নতুন করে যুদ্ধ - আফগান বনাম ব্রিটেন। বার বার চেষ্টা করেও বিশ্বের তাবড় তাবড় শক্তিরা কাবু করতে পারল না আফগানদের। রণভূমে বেশি সময় না কাটিয়ে ১৯১৯ সালেই 'রাওয়ালপিন্ডি চুক্তি' সই করা হল। আবারও নতুন করে বন্ধ হল যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে শুরু হল এক নতুন খেলা। উন্নততর 'গ্রেট গেম' - মধ্য প্রাচ্যের তেল নিয়ে আমেরিকা, রাশিয়া এবং চীনের মধ্যে। শুরু হল তালিবানদের তালিবানি। কুলোকে বলে সোভিয়েত মদত পুষ্ট মুজাহিদিনদের ক্ষমতা হ্রাস করতেই নাকি তালিবানদের উত্থান।

    কেন আফগানিস্তান?

    খুবই স্বাভাবিক প্রশ্ন বারবারই আফগানিস্তান কেন? সবথেকে বড় কারণ আফগানিস্তানের ভৌগলিক অবস্থান - মধ্য প্রচ্যের ধনী দেশ ও তাদের তেলের ভাণ্ডারের একেবারে কা®ছে। আফগান সীমান্তে রয়েছে একদিকে ইরান ও অন্যদিকে তুর্কমেনিÙতান, য্‌থাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রাকৃতিক গ্যাসের ভাণ্ডার। ২০০৭ সালে 'ইউনাইটেড স্টেটসের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি রিচার্ড বাউচার বলেন "One of our goal is to stabilize Afganistan". দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াকে এক সূত্রে বাঁধা যাতে সুষম বন্টন হয় এনার্জীর। এই প্রস্তাবিত পাইপ লাইনের নাম TAPI (T- তুর্কমেনিস্তান, A- আফগানিস্তান, P - পাকিস্তান, I - ইন্ডিয়া)। পরের বছর থেকে শুরু হবে এই বিশাল কাজ। অন্য দিকে সারা পৃথিবী জুড়ে গ্যাসের আকাল।
    বলাই বাহুল্য আজকের আফগানিস্তানের দিকে নজর শুধু দু একজনের নয়। মধ্য প্রাচ্যে নিজ ক্ষমতা কায়েম করার জন্য সব শক্তিই বেছে নিয়েছে প্রায় কোনরকম সরকার না থাকা এই দেশটিকে। তাই আজকের 'গ্রেট গেম' আর ঠিক দাবা খেলার মতন দ্বিপাক্ষিক নয়। নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির 'সেন্টার অন ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশনের ডাইরেক্টর বার্ণেট রুবিন এবং পাকিস্তানি সাংবাদিক, লেখক এবং 'প্যাসিফিক কাউন্সিল অফ ইন্টারন্যাশনাল পলিসি'র ফেলো রশিদ আহমেদ মনে করেন এই খেলাটাকে এখন আফগানিস্তানের বিখ্যাত খেলা 'বু z কাশি' বলা যেতে পারে। যে খেলায় আফগানিস্তান হচ্ছে মাঠের মাঝের ছাগল, যার দিকে নজর সবার। তাই ওঁরা মনে করেন হাজারে হাজারে সৈন্য পাঠিয়ে কোন লাভ নেই। সমস্যার সমাধান হতে পারে একমাত্র কূটনৈতিক ভাবে। আমেরিকার উচিত 'ওয়ার অন টেরর' রেটরিক ছেড়ে বেরিয়ে এসে নতুন সমাধানের কথা ভাবা - 'ফ্রম গ্রেট গেম টু গ্রেট বার্গেন'।

    লয়া জিগরা

    বিভিন্ন খবরে প্রকাশ, তালিবানদের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধের অন্যতম উদ্দেশ্য আফগানিস্তানে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা। বিংশ শতকের আর্বান গালি অভিধানের নতুনতম সংযোজন হল 'তালিবানি' - যা কিছু অগণতান্ত্রিক, বা যা কিছু নারীবিদ্বেষী তারই নতুন নাম। এ নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই যে তালিবানদের রীতি রেওয়াজ মধ্যযুগীয়। কিন্তু সে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কারা? 'আফগান উইমেন্স কাউন্সিল' বা 'এজেন্সি কো-অর্ডিনেশন বডি ফর আফগান রিলিফ' এর মতন সংস্থার সম্মিলিত বক্তব্য - "Afghanicide – the killing of Afghanistan – must be stopped" । সমাধান সূত্র যদি কিছু থাকে তার পথ শান্তির। নিজের স্বজনের জীবনের বিনিময়ে তারা চায় না গণতন্ত্র। সে আমরা যতই চাই না কেন। তারা চায় লয়া জিগরা - ''গ্র্যান্ড কাউন্সিল"" - নিজেদের সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা, রকেটের আঘাত নয়।
    ন্যাটো বাহিনীর কাছে এই যুদ্ধ যতটা সহজ মনে হয়েছিল, বাস্তবে ততটা কিন্তু হয় নি। ন্যাটো বাহিনীকে এই যুদ্ধে দুই ধরণের মোকাবিলা করতে হয়েছে, এক, তালিবান ও দুই, সাধারণ লোকের তীব্র প্রতিবাদ। এই কিছুদিন আগে পশ্চিমি দুনিয়া একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল আফগানিস্তানে। তাতে দেখা গেছে ৭৫ শতাংশ আফগান চায় 'লয়া জিগরা' র মাধ্যমে সমঝোতা। "Put down the weapons. And we don’t mind if you’re here, but for aid and development. We don’t want any more fighting." কিন্তু তবুও অব্যাহত রয়েছে যুদ্ধ, বন্ধ হয় নি মানুষের মৃত্যু। গণতন্ত্রেরই নামে ধর্ষিত হচ্ছে গণতন্ত্র।

    ভালো যুদ্ধ বনাম খারাপ যুদ্ধ

    icasualties.org ওয়েবসাইটের মতে ২০০৯ সালে এখনো অবধি মারা গেছে ২৯৫ জন ন্যাটোর সৈন্য। ২০০১ সালে এই যুদ্ধ শুরু হওয়া ইস্তক আজ অবধি এটাই সব থেকে খারাপ বছর। জুলাই মাসে পপুলার আমেরিকান মিডিয়ায় একটা ভিডিও দেখা গিয়েছিল। এক আমেরিকান সৈন্য যাকে তালিবানরা কিডন্যাপ করেছে বক্তব্য রেখেছিল আমেরিকান দেশবাসীর উদ্দেশ্যে। তার বক্তব্য ছিল - "my fellow American, you have the power to bring us home." শোনা যাচ্ছে সৈন্যদের একটা বড় অংশ আর চায় না যুদ্ধ করতে। কিন্তু এই যুদ্ধ যে ভালো যুদ্ধ। তাই আমেরিকান সরকার ঠিক করেছে এই ভালো যুদ্ধ জিততে পাঠানো হবে আরও সৈন্য। ১৫,০০০ থেকে ৪৫,০০০ সৈন্য যোগ দেবে সম্মুখ সমরে। দরকার পরলে খরচ বাড়ুক।
    আজ অবধি সমস্ত প্রমাণ চোখে আঙুল দিয়ে দেখায় যে ন্যাটো বাহিনীর অত্যাচারের শিকার আফগানদের একটা বড় অংশ যোগ দেয় তালিবানদের সঙ্গে। ন্যাটোর সৈন্য বাড়ালে অত্যাচার বাড়বে এবং ঐকিক নিয়মে বাড়বে তালিবানের সংখ্যাও। সাধারণ বুদ্ধির অংক কি তাই বলে না? কিন্তু এ অংক যুদ্ধের, সাধারণ বুদ্ধির নিয়ম মানে না। অতি সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে প্রায় ৫১ শতাংশ সাধারণ আমেরিকান আর এই যুদ্ধ চায় না। তাতে কি? ভালো কাজে কে সাথে আছে, না আছে, অত দেখলে হয় না। তাই ভালো এই যুদ্ধে জিততে বাড়াতে হবেই সৈন্য সংখ্যা।
    এইসব ঘটনার মধ্যে আফগানিস্তানে দ্বিতীয় নির্বাচন হল এ বছর আগস্ট মাসে। প্রায় ১০০,০০০ বিদেশী সৈন্যের বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়িয়ে ভোট দিল আফগানিস্তানের মানুষ। ঐদিন প্রায় ৭৩ টি সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটে সারা আফগানিস্তান জুড়ে। সরকারী মতে ২৬ জন মানুষ মারা গেছে, কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ ধরলে সংখ্যাটা বোধহয় আরও বেশি। ভোট দিলেন মাত্র ৩৫ শতাংশ মানুষ। কিছু কিছু জায়গায় এই সংখ্যা ১০ এরও কম। এখনো অবধি ভোটের রেজাল্ট জানা যায় নি। কিন্তু যা যা তথ্য পাওয়া গেছে তাতে আর যাই হোক এই ভোটকে গণতন্ত্রের প্রতীক বলে ধরে নিতে কষ্ট হয়। শক্তিশালী ন্যাটো বাহিনী গণতন্ত্র কায়েম করার জন্য যুদ্ধ শুরু করার আট বছর পরেও কিন্তু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হল না। সত্যি ই কি মনে হয় সৈন্য বাড়িয়ে আরও মন দিয়ে যুদ্ধ করলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব?
    যাদের দেশ তারা যুদ্ধ চায় না, যারা যুদ্ধ করছে সেই সৈন্যরা চায় না, বিদেশ নীতিতে যাঁরা বিশেষজ্ঞ তাঁদের মতেও যুদ্ধ করে সমাধান হবে না এই সমস্যার। আমেরিকার পপুলার মিডিয়ায় প্রতিনিয়ত বোঝানো হচ্ছে কত জরুরী এই সমস্যা। তা সত্ত্বেও আমেরিকার ৫১ শতাংশ সাধারণ মানুষ এই যুদ্ধ চায় না। তবুও যুদ্ধ চলেছে। কেন? 'গ্রেট গেমে'র ট্র্যাডিশন? মধ্য প্রাচ্যের তেলের লাইন? কনস্পিরেসি? আফিম চাষ? সারা পৃথিবীর কাছে নিজের ক্ষমতা জাহিরের উপায় বিশেষত যখন অর্থনৈতিক প্রভাব ক্রমহ্রাসমান? জানা নেই। শুধু বুঝতে পারি অংক মেলে না। আজকের এই 'ভালো যুদ্ধে' কার কার ভালো হচ্ছে শুধু সেটাই ধাঁধা।
    ১। দ্য গ্রেট গেম - রাডিয়ার্ড কিপলিং তাঁর ১৯০১ সালে প্রকাশিত আফগান যুদ্ধের পটভূমিতে রচিত উপন্যাস 'কিম'এ প্রথম ব্যবহার করেন এই শব্দবন্ধনী।
    ২। 'বু z কাশি' - আফগান দেশের একটি খেলা যেখানে মাঠের মাঝখানে রাখা থাকে একটি ছাগল আর বীর আফগানরা ঘোড়ায় চড়ে পোলো খেলার ভঙ্গীতে তুলে নিতে চায় সেই ছাগলটিকে।

    সূত্র:
    http://cbs5.com/national/afghanistan.civilian.deaths.2.856777.html
    http://www.npr.org/templates/story/story.php?storyId=103974617
    http://www.belfasttelegraph.co.uk/news/local-national/life-in-helmand-afghanistan-soldiers-stories-14472804.html
    http://www.nytimes.com/2009/08/30/us/30antiwar.html
    "The Fragmentation of Afghanistan": ISBN-13: 978-0300095197 - by Professor Barnett R. Rubin.
    "Blood on the Doorstep" : ISBN-13: 978-0870784743 - by Professor Barnett R. Rubin.
    "Descent into Chaos": ISBN-13: 978-0670019700 - by Ahmed Rashid.

    সেপ্টেম্বর ৬, ২০০৯
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯ | ৭১৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন