এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • সাম্র্যাজ্যবাদের বেহালা

    আর্য্য ভট্টাচার্য্য লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ৩১ মে ২০০৯ | ৭৮০ বার পঠিত
  • দৃশ্যপট এক: ওরা দশজনের পরিবার বেঁচে আছে শুধু রুটি আর জলের ওপর। রাস্তায় হাঁটতে গেলে ভয় পায় এই বুঝি বা ফাটল মাইন। এই পরিবারটি ভাগ্যবান, অথবা হতভাগ্য। ভাগ্যবান কারণ ঐ বাকী ১.৪৫ মিলিয়ন লোকের মতন ওদের এখনো বাড়ি, ঘরদোর, চাষবাস ছেড়ে অন্য জায়গায় যেতে হয় নি। হতভাগ্য কারণ খাবার নেই, জল নেই, বেঁচে থাকার নিশ্চয়তাও নেই।

    দৃশ্যপট দুই: হাসপাতাল বন্ধ, ইলেকট্রিসিটি নেই বললেই চলে। নির্জন রাস্তায় জ্বলছে আগুন - পোড়ানো হচ্ছে মৃতদেহ। শহরে ঢোকার মূল রাস্তাটি কাটা, ফলে খাবার, ওষুধ কিছুরই যোগান নেই।

    দৃশ্যপট তিন: ৬৮ বছরের বৃদ্ধ ফজল করিম, এখন বাস ইয়ার হুসেন ক্যাম্প, ঠাঠা রোদ্দুরে দাঁড়িয়ে আল্লার কাছে দোয়া করছিলেন যেন তাঁর জমি ও ফসল ঠিক থাকে।

    দৃশ্যপট চার: সতীশ সিং ১৩ বছরের কিশোর, কথা বলছে এক সাংবাদিকের সাথে। ""জানেন আমি ওদের দেখেছি, শালোয়ার আর কুর্তা পরেছিল। মুখটা কালো কাপড়ে ঢাকা, চোখ দুটো শুধু দেখা যাচ্ছে, হাতে ছিল বন্দুক। বাজারের কাছাকাছি একজনকে ওরা ধরল আর মাথাটা কেটে ফেলল""। সাংবাদিক জিগ্যেস করলেন ""কাউকে বলনি কেন""? চকিত উত্তর ""পাগল নাকি, বাবা আর ভীরজি বলে দিয়েছে তালিবান দের নিয়ে একটাও কথা না বলতে, বললেই ঘরে বন্দি করে দেবে অথবা ইন্ডিয়া পাঠিয়ে দেবে""।

    দৃশ্যপট পাঁচ: সাত বছরের আতিফ দেখল হঠাৎ আলোর ঝলকানি আর প্রচন্ড শব্দ, আর খানিক পরেই অনেক মানুষের চীৎকার, রক্ত, মৃতদেহ। সুইসাইড বম্বিং।

    সতীশ সিং কিম্বা আতিফ আরও হাজার হাজার শিশু ও কিশোরের একজন যাদের নতুন পরিচয় ""ইন্টারনালি ডিসপ্লেসড পারসন"" (IDP)। এরা যখন নিজেদের মধ্যে খেলে তখন কেউ কেউ হয় তালিবান আর বাকীরা মিলিটারি।

    দৃশ্যপট ছয়: রেহমত নুর, বয়সের ভারে নুইয়ে পরা এক বৃদ্ধা, ভয়ে পান, কুঁকড়ে যান, রাতে দু:স্বপ্ন দেখে আঁতকে উঠেন - ডিপ্রেসনের পেশেন্টৃ। উনিও একজন IDP ।

    না, এই দৃশ্যপটগুলি বহমন গোধাভির কোনো যুদ্ধ বিরোধী সিনেমা নয়। বেশি দুরে নয়, আমাদের প্রতিবেশি দেশ পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রূঢ় বাস্তব। আজ অবধি প্রায় দুই মিলিয়ন লোক ঘরছাড়া, অনেকে মারাও গেছে, স্কুল, কলেজ বন্ধ, সবাই থাকছে ক্যাম্পে। ওদের সকলেরই পরিচয় IDP । কারণ যুদ্ধ চলেছে - 'ওয়ার অন টেরর'। এই দুনিয়াকে সকলের বাসযোগ্য করতে তালিবান মুক্ত করতেই হবে। পাকিস্তানের প্রায় ২০ শতাংশ লোক কৃষির উপর নির্ভরশীল। আর মে-জুনই হল ফসল পোঁতার সময়। এই বছর তো বটেই আগামী আরও কতদিন কৃষি মার খাবে জানা নেই। সাধারণ মানুষের ভবিষ্যত ঘোর অনিশ্চিত।

    ২০০৯ সালের জানুয়ারী মাসে আমেরিকার প্রথম কালো রাষ্ট্রপতি হলেন বারাক হুসেন ওবামা। হার্ভার্ড ল স্কুলের গ্র্যাজুয়েট, বুদ্ধিতে, চিন্তায় ঝকঝকে এক যুবক। আমেরিকার ঘরে ঘরে খুশীর হাওয়া বইল, সারা পৃথিবীর লোক হাঁফ ছেড়ে বাঁচল জর্জ বুশের জমানা শেষ হওয়াতে। মানবতার প্রতিভূ ওবামা অ্যাডিমিনিস্ট্রেটেশন হোয়াইট হাউসে ঢুকতে না ঢুকতেই ঘোষণা করে দিলেন গুয়ানতানামোর জেল উঠে যাবে, আর কোনো টেররিস্টদের ওয়াটার বোর্ডিং চলবে না। খবরের কাগজ, টিভি চ্যানেল চতুর্দিকে ঢাকঢোল সহযোগে সেই কথাই বলা হয়ে চলেছে বারবার। আমেরিকার মেন স্ট্রীম মিডিয়ার মতে একটু 'বাম' ঘেঁষা ওবামা। সত্যিই কি তাই?

    তা প্রকাশ্য দিবালোকে যখন এইসব চলছে আর চলছে বিপর্যস্ত অর্থনীতি সামাল দেবার বিভিন্ন দাওয়াই, তখন অনেকটা সবার অলক্ষ্যেই আমেরিকার বোমারু বিমান আর মিসাইলের সাঁড়াশী আক্রমণে জর্জরিত হচ্ছিল পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল এবং আফগানিস্তান। এর শুরু অনেক আগেই বুশ জমানায়। কারণ আমেরিকার ইন্টেলিজেন্সের মতে তালিবানরা আবারও প্রচণ্ড শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। আর ঘাঁটি বেঁধেছে আফগানিস্তান আর পাকিস্তানের সীমান্ত অঞ্ছলে এবং পাকিস্তানের মধ্যে। ওবামা এসেই প্রথমে মিসাইল আর বোমারু বিমানের টার্গেট এরিয়াটা আরও অনেক বড় করে দিলেন, ঢুকল বালুচিস্তান। ২৩ শে জানুয়ারী ২০০৯, ঘন্টা খানেকের ব্যবধানে উত্তর ওয়াজিরিস্তানের ঝাকড়ি শহরে আর দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের অন্য একটি শহরে মিসাইলা হানায় মারা গেল ১৮ জন নিরীহ মানুষ। ধ্বংস হল অনেক বাড়ি। গার্ডিয়ান কাগজে বেরল ওবামাই এই মিসাইল চালানোর হুকুম দিয়েছিলেন। ১৬ই মে, ২০০৯ পেশোয়ারে আবার চলল মিসাইল হানা। এবারে মারা গেল ১১ জন সাধারণ মানুষ। ২০০৮ সালের আগস্ট মাস থেকে সব মিলিয়ে মারা গেছে ২৬৩ জন সাধারন মানুষ। আশ্চর্য্যের কিছু নেই, ওবামা নির্বাচনী বিতর্কের সময়েই বলেছিলেন

    "If we have actionable intelligence about high-value terrorist targets and President Musharraf won't act, we will'। মানবতার প্রতিভূ ওবামা এখন কাজ করছেন।

    পৃথিবীর গরীবতম দেশগুলোর অন্যতম আফগানিস্তানে ওয়ার অন টেরর আরও পুরোনো। ২০০২ সাল থেকে আজ অবধি ৪০০০ এরও বেশি নিরীহ মানুষ মারা গেছে। কিন্তু তাতেও তালিবানদের বাগে আনা যায় নি। ওসামা বিন লাদেন বেঁচে আছেন কিনা জানা নেই, কিন্তু মাঝে মাঝেই ওঁর ভিডিও এবং আমেরিকার উদ্দেশ্যে হুমকি রক্তজল করে দেয় হোয়াইট হাউসের বাসিন্দাদের। তাই রেহাই নেই প্রায় সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত এই দেশটিরও। মার্কিনী বোমারু বিমান চালিয়ে যাচ্ছে উপর্যূপরি অভিযান। সাধারণ মানুষ মরছে শয়ে শয়ে। তবে এইটা নিয়ে একটা বিতর্ক আছে বটে। কোন হানায় কতজন লোক মারা গেল সেই হিসেব টা কেউই ঠিক মতন দিতে পারছে না। আলজাজিরা যদি বলে ১৭০ তো আমেরিকার বন্ধু আফগান সরকার বলে ১০ জন। ভাগ্যিস মানুষ মরার হিসেব দশমিকে করা যায় না। তাই খানিকটা সরল হয়েছে এই বিতর্ক।

    সম্মুখ সমরে যখন শক্তিশালী আমেরিকার রণ কৌশলে মারা যাচ্ছে শয়ে শয়ে নিরীহ মানুষ তখন শান্তির দূত ওবামা যুদ্ধ বাবদ আরো ৭৫.৮ বিলিয়ন ডলারের চাহিদা পেশ করলেন কংগ্রেসের কা্‌েছ, ২০০৯ অর্থনৈতিক বছর শেষ হবার আগেই। শোনা যাচ্ছে কংগ্রেস এই চাহিদা মঞ্জুর তো করবেই, সম্ভবত যোগ করবে আরো অর্থ। কখন? যখন প্রবল অর্থনৈতিক মন্দায় ও দেনায় জর্জরিত আমেরিকা। যদিও ২০০৯ সালের মোট যুদ্ধ বাজেট (১৪৪ বিলিয়ন ডলার) এখনও ২০০৮ সালের যুদ্ধ বাবদ মোট খরচের ( ১৮৬ বিলিয়ন ডলার) থেকে কম, এর থেকে এমন সিদ্ধান্তে আসা যায় না যে ওবামা তথা আমেরিকার যুদ্ধ নীতিতে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হতে চলেছে। বেশ কিছু অশুভ সংকেত এখনই স্পষ্ট। ২০০৯ সালের আফগানিস্তান যুদ্ধের বাজেট ৪৬.৯ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের থেকে ৩১ শতাংশ বেশি। ২০০৯ সালের সাপ্লিমেন্টাল বাজেটে ওবামা যে অতিরিক্ত ৭৫.৮ বিলিয়ন ডলার দাবী করেছেন, তার মধ্যে রয়েছে আর্মি কনস্ট্রাক্‌শন প্রোজেক্ট ও এয়ার ফোর্সের সম্প্রসারণ এবং বেশ কিছু মিসাইলের সংখ্যা বাড়ানো। ওবামার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল অন্যায় ভাবে অধিগৃহীত ইরাক থেকে সেনা অপসারণ। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ২০১১ র আগে তো সেনা সরছেই না, তার থেকেও বেশি দেরী হলে ওঁরা অবাক হবেন না। শান্তির দূত?

    অন্যদিকে কূটনৈতিক চাপ বাড়ছে সদ্য নির্বাচিত জারদারী সরকারের উপর, তালিবানদের নির্মূল করতেই হবে পাকিস্তান থেকে। বিশ্বের সর্বশক্তিশালী গণতন্ত্রের কাছে মাথা নুইয়ে জারদারী সরকার গত এপ্রিল মাসে আক্রমণ করেছে তালিবানদের। তারই ফলশ্রুতি উপরের মর্মান্তিক দৃশ্যপটগুলি। ইউনাইটেড নেশন, আমেরিকা, ব্রিটেন অবশ্যি অনেক অনেক মিলিয়ন ডলারের সাহায্য করছে। হাজার হোক ওয়ার অন টেরর বলে কথা। একটু 'বাম' ঘেঁষা যুদ্ধ যদিও। হচ্ছে কিন্তু মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে না, মানুষ মরছে অথচ খবরের কাগজের হেডলাইন হচ্ছে না। মিডিয়া জুড়ে তো মানবতার পুজো চলেছে - টেররিস্টদের আর ওয়াটার বোর্ডিং করা হবে না, অর্থনীতির সংস্কার চলেছে, আর বেড়ে চলেছে ব্র্যান্ড ওবামার টিআরপি। ইম্পিরিয়ালিজমের ভায়োলিন বেজেই চলেছে সে নীরোই হোক, বুশই হোক, টনি ব্লেয়ারই হোক কিম্বা বারাক হুসেন ওবামা। ওবামা শুধু 'বাম' হাতে ধরে 'ডান' হাতে বাজাচ্ছেন (ডেভিড রথকফের ভায়োলিন মডেল)। আর আগুনে পুড়ে চলেছে কখনো রোম, কখনো ইরাক, কখনো আফগানিস্তান বা আজকের পাকিস্তান। আমরা দেখতে না পেলেই হল।

    সূত্রাবলী:


    ১. https://www.dawn.com
    ২. https://www.progressivefox.com/?p=396
    ৩. https://www.thestar.com/News/World/article/576172
    ৪. http://www.guardian.co.uk/world/2009/jan/24/pakistan-barack-obama-air-strike
    ৫. http://www.huffingtonpost.com/2009/05/16/bombing-us-strike-kill-do_n_204252.html
    ৬. https://www.reuters.com/article/domesticNews/idUSN0132206420070801
    ৭. http://www.counterpunch.org/leys05042009.html

    মে ৩১, ২০০৯


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ৩১ মে ২০০৯ | ৭৮০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন