এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • এক বক্তার বৈঠক

    সম্বিৎ বসু লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৩ মে ২০১০ | ১৩৩৮ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • শম্ভু মিত্র (সংগ্রাহক: শঙ্খ ঘোষ); এক-বক্তার বৈঠক; (কলকাতা: তালপাতা, ২০০৮); পৃষ্ঠাসংখ্যা ১৬৪; মূল্য ১০০ টাকা

    আমাদের প্রজন্ম যে শুধু শম্ভু মিত্র মশাইয়ের অভিনয় দেখেনি তা নয়, বাংলা থিয়েটারে ওনার অভিনয়ধারার কোন ডাকসাইটে অভিনেতার দেখাও পাওয়া যায় নি। কুমার রায়ের পরিণত বয়সের অভিনয় অবশ্য দেখা গেছে। কিছুটা অমর গাঙ্গুলিরও। কিন্তু পরবর্তী প্রজন্মের যে সব অভিনেতারা, কিছুটা হলেও, শম্ভুবাবুর সঙ্গে কাজ করেছেন - যেমন সৌমিত্র বসু, শাঁওলি মিত্র প্রমুখরা - তাঁদের বড় কাজ প্রায় আর চোখেই পড়ে না।

    এ খেদ বড় করে গেঁড়ে বসে শঙ্খ ঘোষ সংগৃহিত এক-বক্তার বৈঠক বইখানা পড়লে। শম্ভু মিত্রর আগের বইগুলো, বিশেষত: নাটক রক্তকরবী কি সন্মার্গ সপর্যা পড়লে একজন সেরেব্র্যাল অভিনেতার আত্মকথনে নাটক হয়ে ওঠার গল্প যে শুধু পাওয়া যায় তা নয়, ওনার চিন্তার স্বচ্ছতা ও নাটকের মতন আবেগভিত্তিক শি ল্পকলার প্রকাশে কি পরিমাণ বুদ্ধির ব্যবহার আছে সে জেনে উদ্বেল হতে হয়।

    কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রিত বক্তৃতার লিখিতরূপ কাকে বলে নাট্যকলা যে বই হয়সেবে পাওয়া যায়, এক-বক্তার বৈঠক বইটি সেই গোত্রের। মুখের কথাকে লিখিততরূপে ধরা। আশংকা থাকে একজন অভিনেতার, বিশেষত: শম্ভু মিত্রর মতন অভিনেতার, কথনকে কি সেইভাবে লেখায় ধরা সম্ভব? যখন বই লিখেছেন, তখন জানেন তাঁর বক্তব্য বহন করার জন্যে দীর্ঘ-চর্চিত ও পরিশীলিত কন্ঠের সাহায্য তিনি পাবেন না। করতে পারবেন না অনুশীলিত মুখ ও দেহের পেশীর ব্যবহার।

    কাজেই ভাষাকে সেইভাবেই ব্যবহার করেছেন। কিন্তু কথিকা বা সাক্ষাৎকারে তো সে ভাবনা নেই। নিজেও বলেছেন, "হুবহু আমার কথা যদি তুলেও দেওয়া যায় তবু তাতে কোন্‌ কথাটা আমি ব্যঙ্গ করে বলেছি আর কোন্‌ কথাটা অনেক থেমে থেমে বাধো-বাধো অনুভবে বলেছি, আর কোন্‌টা গড়গড় করে, এসব ধরা পড়ে না।' কাজেই ঠিক কতটা ধরা পড়ল তাঁর বক্তব্য? তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ, যতটা ধরা পড়ল সে কি যথেষ্ট?

    এর ওপর শম্ভু মিত্রর এই বক্তব্য টেপ করা হয়েছিল আজ থেকে পঁয়তিরিশ বছর আগে। কালের চাপে সেই টেপের বেশ কিছু অংশ উদ্ধার করা যায় নি। কাজেই কথাগুলো অংশবিশেষে খাপছাড়া। সম্পাদক হিসেবে (নিজেকে "সংগ্রাহক' বলে নামাংকিত করেছেন বইতে) শঙ্খ ঘোষ অনেক জায়গাতেই অল্প কথায় প্রেক্ষিত ধরিয়ে দিয়েছেন বটে, কিন্তু সর্বত্র যে তা খুব কাজের হয়েছে এমন কথা বলা যায় না।

    সূচীর বদলে বইতে যে প্রসঙ্গক্রম আছে তা এইরকম -

    ইডিপাস, জার্মানিতে, এখানে; ইমোশন আর সেন্টিমেন্ট; পশ্চিমের চোখে এদেশের নাটক; কবিতার কথা; অভিনয়ের অবলম্বন; সোভিয়েটের অভিজ্ঞতা; ভালো অভিনয় চেনা; শিশিরকুমারের সঙ্গে; মুক্তধারা, রক্তকরবী; প্রফুল্ল আর বিশ্বাসঘাতকতা; রক্তকরবী-র প্রযোজনা; খালেদ চৌধুরী; দলের অভিনেতারা; ভিন্নরকম নাটক, ভিন্নরকম অভিনয়; গানে বা কবিতায়; মা-বাবার কথা; তৈরি হওয়ার সময়; যাত্রার অভিজ্ঞতা; খোলা জায়গার পরীক্ষা; চাঁদ বণিক; সংযোজন।

    এই প্রসঙ্গক্রম দেখলেই বোঝা যায় যে মোটামুটি তিনরকম জিনিস নিয়ে কথা বলেছেন শম্ভুবাবু - বিশেষ কোন প্রযোজনা, নাটক বা আর্ট সম্বন্ধে সাধারণ আলোচনা আর একেবারে ব্যক্তিগত বিষয়। যেখানে সাধারণ আলোচনা করেছেন, সেগুলো ওনার নিজের অভিজ্ঞতা ও চিন্তায় জারিত হয়ে এমন রূপ নিয়েছে যে পাঠককে ভাবতে বাধ্য করে। যেমন 'ইমোশন আর সেন্টিমেন্ট' নিয়ে বলছেন -

    "আমরা কিরকম ভয় করি ইমোশনকে। হ্যাঁ? ভাবি যে, কোনো শক্‌ড ইমোশান বা কোনো শক্‌ড জাজমেন্ট তো আছে, তাকে নিয়েই মানুষ বাঁচে। সেইগুলো ঢুকলেই যেন খারাপ হয়ে যাবে। তখন, যখনই করে, তখন একটা ডি-হাইড্রেটেড চেষ্টা করি - ডি-হাইড্রেটেড রূপের চেষ্টা করি। এবং সেইটেকে মনে করি খুব ইন্টেলেকচুয়াল ব্যাপার হল।'

    অন্য জায়গায় হিন্দি গান নিয়ে বলছেন - "ওই যে পাঁচটা গলা আছে - ওই পাঁচটা গলা ভারতবর্ষে তো - এমন তো নয় যে ওদের একটা পালক পিতা আছে যে ইচ্ছে করে ওদেরই কেবল দিচ্ছে, এমন তো নয়। একদম স্ট্রিকট কম্পিটিশন। না? কত লোক এসে যেতে পারত। এই পাঁচজনকে তো হটাতে পারছে না কেউ। এই পাঁচজনের গলায় কি-ই-ই না করতে পারে - কি না করতে পারে! তাতে দেখবেন অনেক মিউজিকাল ইডিয়ম্‌স - অনেক নতুন বার করছে। অনেক তার মধ্যে চ্যাংড়ামিও করছে। আপনার মনে হবে যে গভীর ভাবটাব কোথায় গেল। নেই, গভীরভাব নেই হয়তো। কিন্তু এমন একটা সচলতা এনেছে, সরসতা এবং সচলতা, সে রাহুলদেব বর্মণের ইয়েতেও আছে ... এটা যদি আমরা শিখতাম, তালে ভালো হতো। নকল করার তো কোনো দরকার নেই। কিন্তু ওই যে কৌশলটা, যদি আমি শিখতাম। এবং আমার নিজের মিউজিকাল ইডিয়ম তৈরি করতাম - যে ইডিয়মগুলো ফট করে গলায় আসবে না বটে - অন্য লোকের আর কি - তাহলে বাংলা গান একটা নতুন হত।'

    এটাই শম্ভু মিত্রর আর্টের মূল কথা। চর্বিতচর্বন নয়। নতুন করে ভেবে কিছু করা। নতুন হতে হবে, ভাবনাও থাকতে হবে। বিভিন্ন প্রসঙ্গে, নানা ফর্মে এই কথা বারবার উঠে এসেছে - "(যেমন ফিল্‌মে করা হয়।) আমি জানি যে দেখলে পরে একটা ইমোশন জাগাতে হবে। যেগুলো স্বীকৃত। একটা মেয়ে একদম শাদা শাড়ি পরে দাঁড়িয়ে আছে, হাওয়ায় চুলগুলো উড়ছে, মুখটা শুকনো। দেখালে, বেশ তাকে কেমন দু:খের প্রতীক বলে মনে হবে। এই-যে জানা ছবি, এইটেকে দেখালে আমি ভালো ছবিকার হব। এই তো? কিন্তু এতে ভাঙাটা কোথায়? ছাঁচ ভেঙে ফেলাটা কী করে আসবে? ছাঁচ ভেঙে ফেলতে গেলে পরে আমার চিন্তাটা না প্রকাশ করলে তো হবে না?'

    এই ধরণের চিন্তাকে কথায় সাজিয়ে বলা রয়েছে বলে যে কোন ধরণের আর্টপিপাসুর পক্ষে এ বইয়ের মজা খুব। এবং এ বই একবার পড়া হয়ে গেল আর "হয়ে গেছে" বলে তাকে তুলে রাখলাম তাও নয়। প্রতিবার নতুন পাঠ পাওয়া যায়। প্রথমবার কন্টেক্সটের কচকচিতে কিছু পথভ্রষ্ট হবার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু দ্বিতীয়বার পড়তে গেলে পথ চেনা হয়ে যায় - কোন জায়গাগুলোতে মনে মনে ঢ্যাঁড়া কেটে রেখেছি, মনে পড়ে যায়।

    নাটকের, বা সামগ্রিকভাবে পারফরমিং আর্টের, নন্দনতত্ত্ব আর তার ব্যবহারিক প্রয়োগ নিয়ে কিছু আলোচনা থাকলে ব্যক্তিগতভাবে আমার আরও ভাল লাগত। ইঙ্গিত এসেছে মাঝেমাঝে। শম্ভু মিত্রর অন্যান্য লেখাপত্র পড়লেও এরকম আভাস পাওয়া যায় যে ওনার মত মানুষের কাজে হয়তো কখনও কখনও ইন্টেলেকচুয়ালিজম আর এসথেটিক্সের দ্বন্দ্ব এসেছে। বিশেষত যখন গড়পড়তা শিক্ষিত বাঙালির সমষ্টিগত চেতনায় "গ্রুপ থিয়েটার" - এবং সেই সূত্রে পুরো নবনাট্য আন্দোলনই - একধরণের ইন্টেলেকচুয়াল (এবং, বলা ভাল, এলিটিস্ট) আস্ফালনে পরিণত হয়েছিল। তাছাড়া ছিল অচলায়তন, যাঁর সঙ্গে সময়ে সময়ে ওনাকে লড়াই করতে হয়েছে। যেমন রক্তকরবী প্রযোজনায় পোষাকের ব্যবহারে শেষ পর্যন্ত নন্দলাল বসুর মধ্যস্থতায় শান্তিনিকেতনি গুরুদেব-কালচারের নান্দনিক চিন্তার বিরুদ্ধে যেতে পেরেছিলেন। বইয়ের এই খামতি থাকা সত্বেও যা পাওয়া গেল তা দীর্ঘদিনের চিন্তাভাবনা সঙ্গী হয়ে থাকবে।

    উপরি পাওনা কিছু অ্যানেকডোট। শিশিরকুমার ভাদুড়ির সঙ্গে একটি কথোপকথন - সীতা নাটকে বশিষ্ঠর ভূমিকা করার ব্যাপারে - তো অতি মনোহর। উদ্ধৃতি দেওয়ার লোভ সামলালাম। আর ছোট করে উপরে পাওয়া গেল শঙ্খ ঘোষের সূচনাকথা। কথোপকথনের ইতিহাস। এবং ছোট কিন্তু অতি-উৎকৃষ্ট সংযোজনটি। শম্ভু মিত্রর লেখা ও বলা এবং শম্ভু মিত্রর ওপর সংগ্রহযোগ্য বইয়ের তালিকায় এক-বক্তার বৈঠক ওপরদিকে থাকবে। হিরণ মিত্রর প্রচ্ছদে তালপাতা-র প্রকাশনাটি দেখে বাংলা বইয়ের প্রকাশনার ব্যাপারে গর্বিত হওয়া যায়।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৩ মে ২০১০ | ১৩৩৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • lcm | ২০ মে ২০২৩ ২৩:৪০519944
  • "... ওই যে পাঁচটা গলা আছে - ওই পাঁচটা গলা ভারতবর্ষে তো - ... "

    এই পাঁচটা গলা - কারা ?
  • সুদীপ্ত | ২১ মে ২০২৩ ১১:৩৩519951
  • lcm কে:
    মুকেশ, মহম্মদ রফি, তালাত মামুদ, লতা মঙ্গেশকর, কিশোরকুমার - শঙ্খ  ঘোষ পাতার টীকায় লিখে দিয়েছেন
     
    লেখাটা পড়ে ভালো লাগল, এই বইটা বড্ড প্রিয়। ফেসবুকে এটার কথা লিখেছিলাম পড়ার পর। ২০১৬ না ২০১৭ র বইমেলায় কেনা, তালপাতার বইগুলো বেশ ভালো ছিল।
     
    জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্রের একটা কবিতা পড়েছিলাম এই বইতে -
     
    'আমার এ রাত তো ভ্রমর।
    বৃন্তচ্যুত অন্ধকার 
    মধুগর্ভ হলো তার
    কামনার ডাকে।...'
     
    মনে পড়ল।
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন