এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  কূটকচালি

  • পুজোর হুজুগ ৪ -- সাবেকি পুজো

    দীপ্তেন লেখকের গ্রাহক হোন
    কূটকচালি | ০৬ অক্টোবর ২০১১ | ১৪০৫ বার পঠিত


  • পুজো কি শুধু আজকের? আসুন একটু পিছিয়ে দেখা যাক।

    ফ্যাশান পুজো

    কেশ বিন্যাসটাই দেখুন। অন্তত: পাঁচ আঙুল লম্বা চুল। তাতে বিনুনি করা। আর একটি খুব মোটা টিকি। বড় হাতলওয়ালা করাতের মতন দাঁত, তেমন একটি চিরুনি মাথায় গোঁজা। গলায় সরু হার। আঙুলে আংটি। কানে দুটো দুটো দুল, দলবীটক আর সীসপত্রক। সারা গায়ে কুমকুম ঘষে একটা হলদেটে আভা বেরোচ্ছে, বা বা নয়নাভিরাম। পরনের কাপড়টি ও হলুদ রংএর। পায়ে মোম দিয়ে বিজানেও হরির কাজ করা লোহার নাল লাগানো জুতো,খট খট শব্দ হবে কিন্তু পায়ে ব্যথা লাগবে না। সঙ্গে ল্যাপটপ নেই। আছে সদা-সর্বদার তাম্বুল বাহক ভৃত্য। তার ও গলায় মালা, তবে সেটি বড়ো পুঁতির মালা। তার নখগুলি রঙিন। হাতে শাঁখের মোটা বালা।

    দেখুন মহারাষ্ট্রের এক রাজকুমারের পোশাক আশাক। মাথায় ছোটো পাগড়ি। আর গায়ে কুমকুম আছে কিন্তু আদেখলার মত নয়, মৃদু ভাবে। জুলফিতে খুব ঘন করে জাফরানি প্রলেপ। পায়ে ,হাঁটুর নীচে একটা মোটা পট্টি লাগানো (কয়েক দশক আগেও কনেস্টবল আর চাপরাসিরা পরতেন)। গলায় টীটি পাখির মুখ ওলা মোটা সোনার হার। পায়ে চুর্চুর শব্দ করা চটি।

    সত্যি আজকালকার ছেলে ছোকরারা খুব ফ্যাশান করে। এ এক হুজুগ। প্রৌঢ়রা দু:খ পান। মেয়েমানুষে সাজগোজ করবে, গয়নাগাটি পরবে সে না হয় হল। কিন্তু পুরুষেরা ফেসিয়াল করবে আর বিকট ভাবে সাজুগুজ করবে? এই পাশ্চাত্যের হনুকরন অসহ্য। ফোঁস ফাঁস কতো দীর্ঘশ্বাস পড়ে -- "এমনটি ছিল না তো আমাদের কালে।' এখন এর পোশাকি নাম না কি মেট্রোসেক্সুয়াল মেল। কতো রঙ্গ দেখব খেঁদি।

    তবে উপরের যে সাজুগুজুর কথা বলা হল, সে ঠিক আজকের নয়। কবেকার কথা? অষ্টম শতাব্দীর শেষ ভাগ। সে সময়ের কথা লিখেছেন কাশ্মীরের সভাকবি দামোদর গুপ্ত। "কুট্টনীমতন' গ্রন্থে।

    বললে হবে? ঐতিহ্য আছে না?

    পেটপুজো

    অবশ্য ঐতিহ্য থাকলেই বা শুনছে কে? ধরুন গিয়ে ,স্বাস্থ্য বাতিক। এটা খাবেন না, ওটা ছোঁবেন না। সবেতেই নাকি কোলেস্টেরল বাড়ে, রক্তচাপ হয় উর্ধগামী, হৃদযন্ত্র হয় কাতর। যেমতি রেড মিট।

    ঐতিহ্য মানলে এমনটা করা যেত? পুরা ভারতে এমনটি ছিল না। মুনি ঋষিরা হুলিয়ে খেয়েছেন গরু ,মহিষ,ঘোড়া। অনেকানেক শ্লোক আছে, একটা দুটোই থাক।
    "যে কাষ্ঠদন্ড মাংস পাক পরীক্ষার্থে ভান্ডে দেওয়া হয়,যে সকল পাত্রে ঝোল রক্ষিত হয়, যে সকল আচ্ছাদন দ্বারা উষ্ণতা রক্ষিত হয়.... এরা সকলেই অশ্বের মাংস প্রস্তুত করছে।' ঋগ্বেদ ১/১৬২/১৩
    বা ১/১৬২/১২ "যারা চারিদিক থেকে অশ্বের পাক দর্শন করে,যারা বলে তার গন্ধ মনোরম হয়েছে - এখন নামাও,... তাদের সংকল্প আমাদের সংকল্প হোক।
    ১০/৮৬/১৩ "... তোমার বৃষদিগকে ইন্দ্র ভক্ষন করুন।
    অথবা ১০/৮৬/১৪ "আমার জন্য পঞ্চদশ এমন কি বিংশ বৃষ পাক করে দেয়, আমি খেয়ে শরীরের সুস্থতা সম্পাদন করি, আমার উদরের দুই পার্শ্ব পূর্ণ হয়।'

    এমন অজস্র বর্ণনা আছে ,পুরাণে,উপনিষদে এবং মহাভারতেও। এর মধ্যে শান্তি পর্বের রনিদেবের কথাই বিশেষ উল্লেখযোগ্য। এই অতিথিপরায়ন হোস্টের হেঁসেলে রোজ একুশ হাজার বৃষ ও অন্যান্য পশু কোতল হতো,তাতেও কুলোতো না। সেই পশুর রক্ত থেকেই চর্মদ্বতী নদের সৃষ্টি হয়। ভাবুন একবার। কি দাপট। অথচ বিদেশী কিতাব পড়ে আর সাহেবদের কথা শুনে আমরা এই সুমহান ঐতিহ্য ছেড়ে ঢ্যাঁঢ়শ আর গাজর খাই। ছি:।

    মিডিয়া পুজো

    আর মিডিয়া নিয়ে হৈ চৈ। সেও একটা নতুন হুজুগ। মিডিয়াই না কি সবাইকে ল্যাজে খেলাচ্চে। সরকারের পতন থেকে জাপানে সুনামি,এ সবই নাকি মিডিয়ার কান্ডো। সবই নাকি ম্যানিপুলেশনের ব্যাপার।

    তাহলে ঐতিহ্যের কথা শুনুন। সেবারে সেই দেবাসুরের যুদ্ধে মহারাজ রজিকে নিজেদের দলে নেবার জন্য দেবতাদের কি হুলোহুলি। রজি বললেন, বেশ, রাজি আছি আপনাদের দলে যোগ দিতে। কিন্তু অসুরদের হারিয়ে দেবার পর আমাকে ইন্দ্রত্ব দিতে হবে। ফাইনালি অসুররা হেরে গেল আর রজি ইন্দ্রত্ব পেয়ে গেলেন। তিনি মারা গেলে তার ছেলেরা স্বর্গলোকে গিয়ে বলেন এটা আমাদের পৈত্রিক রাজত্ব। বলে স্বর্গের দখল নিয়ে নিলেন।

    এবার অরিজিনাল ইন্দ্র গেলেন বৃহস্পতির কাছে, কেঁদে পড়লেন। বললেন ইন্দ্রত্ব তো গেছেই এখন আমার সর্বস্বই চলে গেছে। একটা কিছু করুন।

    বৃহস্পতি তো অবাক। এদ্দুর গড়িয়েছে? আরে, আগে বলবে তো। যাগ্গে, এখনই ব্যবস্থা করছি, অতো চিন্তা কোরো না তো।

    অতএব বৃহস্পতি নামলেন ফিল্ডে। "তিনি প্রথমত: এইরূপ একখানি ধর্মশাস্ত্র প্রস্তুত করিলেন যাহাতে ঈশ্বরের ও অর্থশাস্ত্রের প্রসঙ্গও নাই। উহা কেবল ধর্মভেদেই পরিপুর্ণ। ক্ষীণবুদ্ধি রজেয়গন সতত ঐ ধর্মশাস্ত্র শ্রবণ করিত। সে তর্কশাস্ত্র নিতান্ত অসৎ।... এইরূপে বৃহস্পতি কৃত নব্য গ্রন্থ শ্রবণ করাতে তাঁহাদিগের পূর্বোক্ত ধর্মশাস্ত্রের উপর আর শ্রদ্ধা রহিলো না। উপদেষ্টার নিকৃষ্ট উপদেশকেই উৎকৃষ্ট জ্ঞান করিতে লাগিলেন।' এইভাবে রজির ছেলেরা অধর্মপরয়ান, ব্রহ্মবিদ্বেষী ও হীন পরাক্রম হয়ে পড়লেন। তখন ইন্দ্র এসে "কামক্রোধপরায়ন' রজিপুত্রদের হারিয়ে দিয়ে নিজের রাজত্ব ফের দখল করে নিলেন।

    জানাচ্ছেন হরিবংশ পুরাণ। "আয়ুবংশ বর্ণন, আঠাশতম অধ্যায়"। দিনকে রাত করা কি আজকের কথা?

    নীতিপুজো

    আর হ্যাঁ, জালিয়তি। ঐ যে কি সব স্ক্যাম ট্যামের কথা বলেন। আরো সব ভয়ঙ্কর কথা শোনা যাচ্ছে, ঘুষ দেওয়া নাকি বন্ধ হয়ে যাবে। ওম্মা। অতো সোজা নাকি?

    ধরুন গিয়ে ষষ্ঠ শতাব্দী। হর্ষবর্ধনের রাজত্ব। সম্রাট তো বেরিয়েছেন রাজত্ব দেখতে। দেখছেন গ্রামে অরাজকতা। চাষ বাসে গন্ডগোল। চামুন্ডামন্ডপের ভাঙা দেউল। গোয়ালে গরু নেই। আর বনভুমিতে? "কাঠ কুড়ানি ও কাঠুরেরা কাঠ কাটতে গিয়েছিল বনে, বনরক্ষকেরা তাদের কাছে উৎকোচ না পাওয়াতে তাদের সর্বস্ব - ঐ কোদালগুলো ও কেড়ে নিয়ে চলে যাচ্ছে।' (হর্ষচরিত,বাণভট্ট,অনুবাদ : প্রবোধেন্দুনাথ ঠাকুর)।

    শুধুই মানুষ? দেবতারাই কি পিছিয়ে আছেন?

    সে এক সময়। অগ্নি দেবতা ছিলেন স্বর্গে আর যম দেবতা ছিলেন ভুলোকে। "এর ফলে মানুষের পাকাদি কার্য্য হত না। আর পিতৃগণের রাজা হওয়া হত না। এর পরিবর্তন করতে ইচ্ছা করে দেবতারা তাদের ডেকে উৎকোচ দানে প্রলুব্ধ করল। অন্নাদির দ্বারা অগ্নিকে ভুলোকে এবং রাজ্যের জন্য যমকে স্বর্গে যাবার প্রলোভ দেখাল।' অবশেষে শান্তি ফিরল। (কৃষ্ণযজুর্বেদ,২য় কান্ড,৬/১১)

    আরো স্ক্যাম ছিল। "দেবতা আর অসুরদের মধ্যে যুদ্ধ আরম্ভ হয়েছিল। দেবগণ জয় লাভ করে অসুরদের মণিমুক্তা প্রভৃতি শ্রেষ্ঠ ধন রক্ষার জন্য অগ্নিতে নিক্ষেপ করলেন। কারন যদি কোনো যদি কোনো প্রকারে অসুরদের জয় হয় তবে এ ধন তাদের বিপদে কাজে লাগবে। অগ্নি সে ধন আত্মসাৎ করবার ইচ্ছায় তা নিয়ে পলায়ন করল।' শেম শেম অগ্নিদেব। পরে অবশ্য দেবতারা "বল পূর্বক' সেই ধন অগ্নির কাছ থেকে উদ্ধার করেন। (কৃষ্ণযজুর্বেদ ১/৫/১০)

    এরকম ঘটনা ঘটত প্রায়ই। দেখুন না, "দেবতাদের মধ্যে কেউ কেউ আছেন যারা যজ্ঞভাগ না পেয়ে অসন্তুষ্ট হয়ে সহ্য করতে না পেরে যজ্ঞ বিনাশ করে, আবার কেউ কেউ যজ্ঞের দ্রব্যাদি চুরি করে অনত্র চলে যায়। তার মধ্যে যজ্ঞবিঘাতক যে দেবতারা পৃথিবীর কোন স্থানে লুকিয়ে আছে,তাদের হাত থেকে অগ্নি আমাদের রক্ষা করুন।" (ঐ, ৩য় কান্ড, ৫ম প্রপাঠক, ৫ম অনুবাক)।

    আর দেবতা অসুরদের বিশ্বযুদ্ধে ? দেবতাদের দলে মানুষ ও পিতৃগণ, আর অসুরদের দিকে রাক্ষস আর পিশাচেরা। দেবতারা "রাক্ষসদের উৎকোচ দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের অধীন করে।' নট ওনলি দ্যাট, সেই যুদ্ধে জিতে তারা আর রাক্ষসদের পাওনা মিটান নি, স্রেফ তাড়িয়ে দেন। (ঐ, ২য় কান্ড ,৬প্রপাঠক, ১ম অনুবাক)

    আর সব দোষ হয় আমাদের? হ্যাঁ?


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • কূটকচালি | ০৬ অক্টোবর ২০১১ | ১৪০৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন