এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • লজ্জা ও ঘৃণার কালো ইতিহাস

    ঝিনুক চক্রবর্তী লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৫ আগস্ট ২০১৪ | ১৬০৪৪ বার পঠিত
  •  কোলকাতা বইমেলার আয়োজক পাবলিশার্স ও বুকসেলার্স গিল্ড এর মুখপত্র ‘পুস্তক মেলা’য় প্রকাশিত এই লেখাটিকে লোপাট করা হয়েছিল।পৃষ্ঠা কেটে সেখানে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল অন্য বইয়ের সমালোচনা।‘পুস্তক মেলা’য় একই সংখ্যার (ষষ্ঠ বর্ষ, প্রথম সংখ্যা, বৈশাখ – আষাঢ় ১৪০৯ ) দুটি কপিই আমাদের হাতে আছে ঐতিহাসিক প্রমাণ হিসাবে। – তুষার ভট্টাচার্য সম্পাদিত ‘অপ্রকাশিত মরিচঝাঁপি’ থেকে। 


     ------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


    ‘এই উদ্বাস্তরা অন্য রাজ্য থেকে আসা অবাঙ্গালি অধিবাসীদের মতো কলকাতার রেলস্টেশন বা ফুটপাথ দখল করতে চান নি, তারা সত্যি সত্যিই পুনর্বাসনের পরিকল্পনা নিয়েই সুন্দরবনের মরিচঝাঁপি দ্বীপে যাচ্ছিলেন। কিন্তু হাসনাবাদে না যেতে দিয়ে, বর্ধমানের কাশীপুরে গুলি চালিয়ে ৬ জনকে মেরে, জোর করে অনেক উদ্বাস্তুকে দণ্ডকারণ্যে ফেরত পাঠান। বামফ্রন্ট নেতারা ভারত সেবাশ্রম সংঘ, রামকৃষ্ণ মিশন, মাদার টেরেসা, লুথারিয়ান চার্চ – কাউকে সেবাকাজ করতে দেয় নি। এমন কী শিশুদের বৃদ্ধদের দুধ দিতে দেয় নি। ফলে হাসনাবাদে প্রায় দেড় হাজার শিশু ও বৃদ্ধ বিনা চিকিৎসায় মারা যান।’– শক্তি সরকার (সুন্দরবনের প্রাক্তন সাংসদ)। সূত্রঃ নিরঞ্জন হালদার সম্পাদিত ‘মরিচঝাঁপি’,পৃষ্ঠা ৫২-৫৩।


    ‘পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় উদ্বাস্তুদের থামানো হয়েছে। তাঁদের অধিকাংশকে বেশ সফল ভাবে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেইরকম একটি দলকে আমি হাসনাবাদ স্টেশনে দেখি, যারা ফেরত ট্রেনে ওঠার জন্য সরকারি অফিসে লাইন দিয়েছে স্বেচ্ছায়। তারা প্রায় প্রত্যেকেই তিন-চার দিন খায়নি। তাদের মনোবল ভেঙ্গে দেওয়া গেছে স্রেফ ক্ষুধার অস্ত্রে। তারা গোটা পশ্চিমবাংলাকে অভিসম্পাত দিতে দিতে ফিরে গেল।’– সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। সূত্রঃ ‘মরিচঝাঁপি সম্পর্কে জরুরি কথা – আনন্দবাজার পত্রিকা, ১১.৯.১৯৭৮।


    ‘যে সমস্ত পরিবার আজ ওখানে (দণ্ডকারণ্যে) ফিরে আসছেন, তাঁদের প্রায় সকল পরিবার থেকে শিশু অথবা বৃদ্ধ অথবা দুই-ই তাঁরা পথে পথে চিরদিনের মতো হারিয়ে এসেছেন। তাঁদের শোক, দুঃখবোধও এই প্রচণ্ড আঘাতে ও প্রতারণায় বিফল। ফেরতগামী ট্রেনে পশ্চিমবঙ্গ সরকার থেকে ২-৩ জন করে অফিসার পাঠানো হচ্ছে শরণার্থীদের তদারকি করার জন্য। তাঁদের মুখেই শুনলাম, ফিরবার পথে মৃত শিশুদের তাঁরা ট্রেন থেকে ফেলে দিয়েছেন। পরবর্তী কোনো স্টেশনে তাদের সদগতির জন্য অপেক্ষা করেনি।’ পান্নালাল দাশগুপ্ত। সূত্র যুগান্তর, ২৫ শে জুলাই, ১৯৭৮।


    ইতিহাস দাগ রেখে যায়। সে-দাগ মোছে না কখনও। একদিন না একদিন তা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। করেই। আপাতভাবে আড়াল করে রাখলেও সময়ই তাকে টেনে খুঁড়ে বের করে আনে। মানুষই ইতিহাস সৃষ্টি করে, আঁচড় কাটে। চাপা পড়ে থাকা ক্ষত উঠে আসে যখন, শিউরে উঠতে হয়। এমনও হয় তাহলে। অস্বীকার করা যায় না কিছুতেই। হয়েছে তো এমনই।


    সময়ের পরিবর্তনে মানুষ হয়তো অবস্থান বদলায়, কিন্তু ইতিহাস বদলায় না। মানুষ লজ্জিত হয়। ইতিহাসই মানুষকে ধিক্কার দেয় কখনও কখনও। একটি করে পৃষ্ঠা উল্টেছি আর লজ্জায় ধিক্কারে ঘৃণায় ক্ষোভে শোকে অবনত করেছি মুখ। প্রগতিশীল বামপন্থার আড়ালে তবে এত অন্ধকার।


    ‘সমস্ত সরকারি বাধা অতিক্রম করে ১৯৭৮ সালের এপ্রিলে ৩০ হাজারের মতো নরনারী, শিশু, বৃদ্ধ মরিচঝাঁপি দ্বীপে পৌঁছান। নিজেদের শ্রম ও সামর্থ্যে তারা ১৯৭৯ সালের মে মাস পর্যন্ত থাকতে পারেন। – দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় জার্মান কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে যে-ভাবে বন্দীদের না খেতে দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল, সেইভাবে মরিচঝাঁপির মানুষদের মেরে ফেলার চক্রান্ত শুরু হয়। ১৯৭৮ সালের সেপ্টেম্বরে ঝড় বন্যার মধ্যেও ৬, ৭, ৮ সেপ্টেম্বর জ্যোতি বসুর সরকার পুলিশ লঞ্চের সাহায্যে উদ্বাস্তুদের নৌকাগুলি ডুবিয়ে দেয়। … ১৯৭৯ সালের ২৪ শে জানুয়ারি ব্লকেড করে পাশের দ্বীপ থেকে আসা খাদ্য ও পানীয় জল আনা বন্ধ করা হয়। পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট রাজত্বে ৩১শে জানুয়ারী (১৯৭৯) প্রথম গুলি চলে। মরিচঝাঁপির লোকদের ছাপানো এই অক্ষরমালাকে ‘মিথ্যে বানানো পরিকল্পিত কুৎসা’ বুলে উড়িয়ে দিতে পারলে কোনো কষ্ট হত না। কিন্তু ওই যে ইতিহাস। অমোঘ শক্তি তার। নির্মম সত্যের ওপর দাঁড়িয়ে সে। গায়ের জোরে অস্বীকার করার চেষ্টা করলেও মনে মনে সত্যের কাছে মাথা নোয়াতেই হয়।


    আমরা তাহলে পেরেছিলাম।


    আবাল্য স্বপ্নভূমি-বীজভূমি নিজস্ব উঠোনটুকু কেড়ে নিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে ‘উদ্বাস্তু করেছিল’ যে স্বাধীনতা, তার সব দায় তাহলে ঐ হতভাগ্য মানুষগুলোর। সাতজন্মের পাপের ফল, নাকি দুর্ভাগ্য ওঁদের। আমরা যারা স্বাধীনতার ক্ষীরটুকু চাটতে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম, স্বাধীন গদিতে আপ্লুত হলাম, তাদের কাছে ওই সবহারানো নেই – মানুষগুলো রাতারাতি শরণার্থী হয়ে গেল।


    দাঙ্গা-কাটাকাটি সে না হয় হয়েছে, কিন্তু রাষ্ট্র তো পুনর্বাসনের চেষ্টা করেছে যথাসাধ্য। সুজলা-সুফলা-সবুজ নদীমাতৃক ভূমিপুত্রদের খুলনা যশোর ফরিদপুর জেলার নমঃশূদ্র-পৌণ্ড্রক্ষত্রিয় কৃষকদের পুনর্বাসন দেওয়া তো হল পাথর-কাঁকর-টিলা-অধ্যুষিত দণ্ডকারণ্যে।


    অহো, সরকার যে করেনি তা-তো নয়।


    কিন্তু দণ্ডকারণ্যের এই পুনর্বাসন বাঙালি কৃষক উদ্বাস্তুদের কাছে হয়ে উঠেছিল ‘নির্বাসন’। পশ্চিমবঙ্গের শিবিরবাসী এইসব উদ্বাস্তুদের ১৯৬১ সালে দণ্ডকারণ্যে পাঠানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ডোল বন্ধ করে দিলে তাঁরা পশ্চিমবঙ্গে পুনর্বাসনের দাবিতে অনশন করে। ১৯৬১ সালের ১৩ই জুলাই উদ্বাস্তুদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে জ্যোতি বসু অনিচ্ছুক উদ্বাস্তুদের দণ্ডকারণ্যে পাঠানো বন্ধ করার জন্য পশ্চিমবঙ্গের তদানীন্তন রাজ্য পুনর্বাসন মন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেনকে একটি চিঠিতে লিখেছিলেনঃ “…although it was stated by the Government the West Bengal has reached a saturation point. I feel, therefore, that the rest may be found rehabilitation here provided there is willingness on the part of the Govt.”(যদিও পশ্চিমবঙ্গ সরকার বারবার বলছেন যে, এই রাজ্যে উদ্বাস্তু পুনর্বাসনের জন্য একতিল জমি নেই, তথাপি মনে করি সরকারের অভিপ্রায় থাকলে অবশিষ্ট উদ্বাস্তুরা এ রাজ্যে পুনর্বাসন পেতে পারে।)


    সে সময় পশ্চিমবঙ্গে উদ্বাস্তু শিবিরগুলি বন্ধ করে দিতে কেন্দ্রীয় সরকারও বদ্ধপরিকর। ১৯৫৯ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু কলকাতায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে বলেছিলেনঃ ‘যদি মাথায় আকাশ ভাঙ্গিয়া পড়ে এবং কলকাতার পথে পথে দাঙ্গাও শুরু হয়, তাহা হইলেও আমরা উদ্বাস্তু ক্যাম্পগুলি বন্ধ করে দিব বলিয়া স্থির করিয়াছি।’ (সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা, ২২.১০.১৯৫৯)।


    কেন্দ্রীয় সরকারের অনমনীয় মনোভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সেদিন জ্যোতি বসু উদ্বাস্তুদের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালের ২১ শে জুন কলকাতায় জ্যোতি বসুর সভাপতিত্বে বামপন্থী দলগুলি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলঃ ‘তাদের (উদ্বাস্তুদের) পুনর্বাসনের সব দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নিতে হবে।’ (সূত্রঃ মরিচঝাঁপি – নিরঞ্জন হালদার, পৃ-৩৩)।


    জ্যোতি বসুর এই দরদ(!)এর কথা মাথায় রেখেই বোধহয় ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে ১৯৭৮ সালের প্রথমদিকে দণ্ডকারণ্যে নির্বাসিত উদ্বাস্তু মানুষজন পুনর্বাসিত হওয়ার আকাঙ্খায় পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনের দিকে রওনা দেন।


    হায় রে আশা! গদিতে বসলে নেতাকে যে রাজার মতোই আচরণ করতে হয়। এই বুঝি গণতন্ত্রের নিয়ম।


    ১৯৭৮ সালের ১৮ই এপ্রিল দশ হাজার উদ্বাস্তু পরিবার সুন্দরবনের কুমিরমারি পার হয়ে মরিচঝাঁপিতে আশ্রয় নেন। তাঁরা পুনর্বাসনের জন্য সরকারের কাছে কোনো সাহায্য চান নি। তাঁদের দাবি ছিল ‘আমাদের শুধু মরিচঝাঁপিতে ভারতবর্ষের নাগরিক হিসাবে থাকতে দাও।’ তাঁদের ভরসা ছিল, এখানে পাঁচ ফুটের বেশি উঁচু জোয়ার আসে না। এখানকার কাছাকাছি গ্রামের লোকজন যদি পাঁচ ফুট বাঁধ দিয়ে নোনাজল ঠেকিয়ে একশো বছর ধরে চাষ করতে পারেন, তাহলে তাঁরা পারবেন না কেন? তাছাড়া মাছ ধরার সুযোগ তো আছে।


    পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট সরকার কী সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন, তাঁরা তখন জানতেন না, হায়।


    সিপিআই(এম) এর রাজ্য কমিটি তখন রাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন ‘দণ্ডকারণ্যের যে-সব উদ্বাস্তু পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন, প্রয়োজন হলে,তাদের বল প্রয়োগ করে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সরিয়ে দিন।’ কমিটির তিন দিনের অধিবেশনের পর দলের সম্পাদক প্রমোদ দাশগুপ্ত সাংবাদিকদের বলেছিলেন “এইসব উদ্বাস্তুদের নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে”। (সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা, ২.৭.১৯৭৮)।


    এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়িত হতে দেরি হল না। ১৯৭৮ সালের ১৯ অগস্ট বহু পুলিশ ও কুড়িটির লঞ্চের সাহায্যে সামরিক কায়দায় নদীপথ অবরোধ করা হল এবং উদ্বাস্তুরা তাতেও দমে না দেখে ৬ই সেপ্টেম্বর সেইসব লঞ্চ নিয়ে উদ্বাস্তুদের রসদ জ্বালানি কাঠ ও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বোঝাই করা ২০০টি নৌকা ডুবিয়ে দেওয়া হল। (সূত্রঃ মরিচঝাঁপি কি মরীচিকা? শৈবাল গুপ্ত। নিরঞ্জন হালদার সম্পাদিত ‘মরিচঝাঁপি, পৃ। ২৬-২৭ )।


    নৃশংসতার ছবি পাওয়া যায় সমসাময়িক সংবাদপত্রেও “উদ্বাস্তুরা যে ঘরগুলি তৈরি করেছিলেন তার সংখ্যা কোনোক্রমে এক হাজারের কম নয়। ঘরগুলির অধিকাংশই দৈর্ঘ্যে ১০০-১৫০ হাত, প্রস্থে ১২-১৪ হাত। ঘরগুলি শুধু ভেঙ্গে দেওয়া হয় নি, পুড়িয়েও দেওয়া হয়েছে। পুলিশ অকথ্য অমানুষিক অত্যাচার, লাঠিপেটা, নারীধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুঠতরাজের মাধ্যমে ১০-১৫ দিন ধরে অনবরত সন্ত্রাস ও ভীতি প্রদর্শন করেও উদ্বাস্তুদের সম্পূর্ণ উৎখাত করতে সক্ষম হয়নি। (যুগান্তর, ২০ ফাল্গুন, ১৩৮৪)।


    ‘যেন যুদ্ধক্ষেত্রে এসে উপস্থিত হয়েছি।অথবা শত্রুদেশের সীমানায়। মাঠে মাঠে সশস্ত্র পুলিশের ছাউনি, পুলিশ চাইলেই আপনাকে হাত উঁচু করে হাঁটতে হবে। খানাতল্লাসি করবে। ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে আটক করবে। জেরা করবে। অথচ জায়গাটি সরকার ঘোষিত বনাঞ্চল নয়। এই জায়গাটার নাম কুমিরমারি। মরিচঝাঁপির লাগোয়া এক জনবহুল দ্বীপ। বামপন্থী সি পি আই এর মুখপত্র ‘কালান্তর’ পত্রিকায় ‘চার ভাঁটার পথঃ নিষিদ্ধ দ্বীপ’ শিরোনামে দিলীপ চক্রবর্তী ধারাবাহিক সংবাদ পরিবেশন করতে গিয়ে যে বর্ণনা দেন তা না পড়লে শিউরে উঠতে হয়।


    “...ওখানকার মানুষরা চৌদ্দ দিন এপারে আসেনি। ভাত খেতে পারেনি। জলও পায়নি। পুলিশ ঘিরে রেখেছে দ্বীপ। প্রথম প্রথম ২-৩ দিন বেশি শব্দ হয় নি।এরূপ কান্না শোনা যেত রোজ।কু মীর আর কামট-ভরা নদী পার হয়ে কিছু লোক লুকিয়ে আসত রাতে-চাল ইত্যাদির খোঁজে। জলের খোঁজে।এরপর তাও বন্ধ হল। জালিপাতা আর যদু পালং খেয়ে থেকেছে ওরা,মরেছেও অনেক। ওদের কান্না এখান থেকে রোজই শুনতে পাই।


    “... ২৪ শে জানুয়ারি থেকে সরকার দ্বীপ অবরোধ করে। ৩১ শে জানুয়ারি গুলি চলে। ৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের ইনজংশন অনুযায়ী জল-অন্ন আনার উপর থেকে বাধা প্রত্যাহৃত হয়।কিন্তু এর পরেও কড়াকড়ি চলছে। ...একমাত্র ১৬ ফেব্রুয়ারি তারিখেই চাল আনতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন অনন্ত মণ্ডল, অরবিন্দ রায়, নিরঞ্জন বাড়ৈ, কার্তিক সরকার, রণজিৎ মণ্ডল, কৃষ্ণদুলাল বিশ্বাস। ...২৪ জানুয়ারি সরকারের পক্ষ থেকে দ্বীপ অবরোধ করার পর ওখানে অনাহারে মারা গিয়েছেন ৪৩ জন।‘ (সূত্রঃ কালান্তর,২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯)। 


    ‘ব্লকেডের সময় ওরা তখন কী খেত শুনবে? এক ধরনের ঘাস সেদ্ধ করে তাই দিয়ে সবাই পেট ভরায়।ঘাসের নামটা মনে পড়ছে না – ওখানে ওটা নাকি অপর্যাপ্ত জন্মায়। তখন কাশীকান্ত মৈত্র পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতা ছিলেন,তাঁকে ঘাসটা দেখাতে পেরেছিলাম।’ (সূত্রঃ সাংবাদিক নিরঞ্জন হালদারকে লিখিত কমলা বসুর চিঠি)।


    ২৪শে জানুয়ারি ১৯৭৯ থেকে মরিচঝাঁপির নেতাজীনগরে অনাহারে মৃত ব্যক্তিদের নামের তালিকায় রয়েছেন ১৩৬ জন।অখাদ্য কুখাদ্য খেয়ে বিনা চিকিৎসায় মৃত ব্যক্তির তালিকায় ২৩৯ জন।ধর্ষিতা মহিলাদের তালিকায় ২৩ জন।নিখোঁজ ব্যক্তিদের তালিকায় ১২৮ জন। ৩১শে জানুয়ারি ১৯৭৯ গ্রেফতার হয়ে বসিরহাট ও আলিপুর জেলে আটক ব্যক্তিদের তালিকায় ৫২ জন। পরবর্তী সময় জেলে আটক ১৩০ জন। ২৪ শে জানুয়ারি ১৯৭৯ জল সংগ্রহ করতে গিয়ে আটক ৩০ জন। ২৪ শে জানুয়ারি থেকে ১১ই ফেব্রুয়ারি (১৯৭৯) পর্যন্ত পুলিশ-কর্তৃক ছিনতাই হওয়া নৌকার সংখ্যা ১৬৩। – এজাতীয় অসংখ্য প্রামাণ্য তথ্য।


    লজ্জায়, অবরুদ্ধ কান্নায় একের পর এক পৃষ্ঠা ওল্টাই, আর কেবলই মনে হয়, কেউ এসে চিৎকার করে বলুক – এ মিথ্যে মিথ্যে মিথ্যে।


    মানুষের অমানবিক প্রবৃত্তিতেই সংঘটিত হয় গণহত্যা। সেই কালো ইতিহাস একদিন উঠে আসে সাদা আলোয়। চব্বিশ বছর পরে এভাবে সমস্ত প্রামাণ্য বিশ্বাস্য নথি-সহ উঠে এল মরিচঝাঁপি।


    এ লজ্জা কোথায় লুকোব! ইস! আমি যে ভারতীয়, এই বাংলারই একজন। আর কী আশ্চর্য, মরিচঝাঁপি এই বাংলাতেই। প্রগতিশীল বাংলায় ‘মরিচঝাঁপি’ নিয়ে একটা ঝড় উঠবে না!


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৫ আগস্ট ২০১৪ | ১৬০৪৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • cb | 120.32.40.52 (*) | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ০৪:১৭88653
  • পোটকে, শশশ!!!!!!!!!!!
  • pinaki | 90.254.154.67 (*) | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ০৪:২১88661
  • না না, যতদিন না আপনাদের মত সাপোর্টারদের মিউজিয়ামে না পাঠানো যাচ্ছে ততদিন মিশন একম্প্লিশড এর প্রশ্নই ওঠে না। ঃ-)
  • PT | 213.110.246.230 (*) | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ০৪:৩১88662
  • সেতো বটেই, সেতো বটেই....

    একটা দল জরুরী অবস্থা জারী করেছিল, ক্ষমতাচ্যুত হয়ে আবার হাজার দেড়েক শিখকে হত্যা করে ক্ষমতায় এল। আরেকটা দল প্রথমে বাবরী গুঁড়িয়ে ১৪৪ টা আসন পেল তারপরে ২০০০ বা কে জানে কত নিরপরাধ মানুষকে জ্যান্ত জ্বালিয়ে বা ত্রিশূল দিয়ে খুঁচিয়ে মেরে ক্ষমতা দখল করল। আর আমরা এই প্রগতিশীল গনতন্ত্রের মাধ্যমে "মিশন" একম্প্লিশ করার পথেই তো হাঁটছি।
    "এ কোন সকাল, রাতের চেয়েও অন্ধকার?"
  • PM | 233.223.157.80 (*) | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ০৪:৩২88663
  • গুরুর "লাইক" অপসনের অভাবে # এর পোস্ট কে ইচ্ছা থাকলেও লাইক করতে পারলাম না। বিরোধীতাও কখনো কখনো চমতকার লাগে পরিবেষ্নার গুনে।

    কিন্তু প্রশ্নটা সিপিএমের কি হবে তা নয়। প্রশ্ন টা রাজ্যের মানুষের কি হবে ? তিন বছরে রাজ্যে কোনো ইন্ভেস্ট্মেন্ট হয় নি, পরবর্ত্তী প্রজন্মের কি হবে? ২০০৫-০৬ তে কলকাতার এম্প্লয়মেন্ট ইন্ডেক্স দেশে প্রথম ছিলো( তার আগের বহুদিনের ক্ষরা কাটিয়ে)।

    নাগরিক নিরপত্তা যা হাল তা নিয়েও কি মানুষ আগের থেকে ভালো আছে?
  • PM | 233.223.157.80 (*) | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ০৪:৩৮88664
  • "না না, যতদিন না আপনাদের মত সাপোর্টারদের মিউজিয়ামে না পাঠানো যাচ্ছে ততদিন মিশন একম্প্লিশড এর প্রশ্নই ওঠে না। ঃ-)"

    আপনার এই সহজ সরল "গনতান্ত্রিক " ক্লীনসিং মিশনের স্বীকারোক্তির জন্য ধন্যবাদ।

    তবে এটা বোঝা গেলো আমার তোলা প্রশ্ন গুলোর উত্তর নেই ঃ)
  • ranjan roy | 132.176.128.177 (*) | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ০৫:৩৩88665
  • পিটি,
    কোনটার অর্থ বুঝতে পারছেন না?
    ১) কারাত-ইয়েচুরি-বিমান এখন যে প্রকাশ্যে এম-এল এর সাথে এবং গত বিধানসভা নির্বাচনে মমতার জোটসঙ্গী এসইউসির সাথে জোট বেঁধে আন্দোলন করতে ঘোষণা করেছেন-- এটা বুঝতে পারছেন না?
    ২) আর আমি বিজেপি শাসিত ছত্তিশগড়ে কি করি তাও আপনি এখানে গুরুর পাতায় এসে জেনে গেছেন?
    --ধন্য আপনার তৃতীয় চক্ষু!
    ৩) তবে আমি এটুকু বলতে পারি (আপনি গুরুর পাতায় যা লিখেছেন তার ভিত্তিতে) আপনি ২০১৬ তে সিপিএম এর অন্তর্জলী যাত্রা করাতে কোমর বেঁধে লেগেছেন!

    ভাগ্যিস সিপিএম নেতৃত্ব আপনার দরদের আড়ালে আসল চেহারা চিনে ফেলেছে-- তাই আপনি যা যা বলছেন ঠিক তার উল্টো অবস্থান নিচ্ছে।

    জয় হো!
  • জটাশঙ্কর ওঝা | 99.0.103.94 (*) | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ০৫:৩৮88666
  • শ্যামের নিতান্ত অনিচ্ছাসত্ত্বেও রাম তাহার সহিত জোট বাঁধিল! কে যে কাহারে কি বুঝায় বুঝা ভার!
  • # | 127.194.201.30 (*) | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ০৫:৪৬88667
  • "মানুষ যদি মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী আর মোদীকে প্রধানমন্ত্রী মেনে নিয়ে সুখে আর আনন্দে থাকে তাহলে আমার কিই বা বলার থাকতে পারে?" - পিটি, আমি আপনার সমব্যথী। তাই বলি, হতাশার চাদর ছিঁড়ে বাইরে আসুন। মেনে নিন কঠিন নিষ্ঠুর বাস্তব কে। মেনে নিন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বা সূর্যকান্ত মিশ্র এরা কেউই ভবিষ্যতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে উঠতে পারবেন না। "সারা ভারতের মানুষ কংগ্রেসকেও প্রত্যাখান করেছে আর প্রায় ৭০% মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে" তবু, মেনে নিন সর্বভারতীয় ভোট মানচিত্রে বামফ্রন্টের কোনো আশা নেই, পশ্চিমবঙ্গে তো দূর অস্ত। মন শক্ত করুন। দ্রুত আরোগ্য লাভ করুন।

    পিনাকি ও অবশ্য ১৪ই মার্চের আগের মাসদুয়েক কিভাবে নন্দীগ্রাম মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠেছিল, একটি দেশ ও রাজ্যের সমস্ত শাসন ও নিয়মতান্ত্রিক আর্গল ভেঙে রাষ্ট্রযন্ত্রের সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে স্বয়ংশাসিত হয়ে উঠেছিল সে বিষয়ে মুখ খুলবেন না। খুলবেন কি? নন্দীগ্রাম কাণ্ডের নিরপেক্ষ আইনি তদন্তের দাবি জানালাম। ইন্ডিয়ান পিনাল কোড অনুযায়ী যারা পরিকল্পক, যারা অন্যায়কারী, সেই অন্যায়ে প্ররোচনাদাতা, ইন্ধন, উস্কানি ও মদতদাতা তাদের প্রত্যেকের যথাবিহিত শাস্তির দাবি জানালাম। গলা মেলাবেন কি?
  • সিকি | 132.177.228.207 (*) | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ০৫:৫২88668
  • সে বিষয়েও অনেকে মুখ খুলেছিলেন সেই সময়ে। মানুষ "কেন" একটি দেশ ও রাজ্যের সমস্ত শাসন ও নিয়মতান্ত্রিক অর্গল ভেঙে রাষ্ট্রযন্ত্রের সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে স্বয়ংশাসিত হবার কথা মনে আনতে বাধ্য হয়, সেই প্রশ্ন কি সবার আগে করা উচিত নয়? "কীভাবে" প্রশ্নটা তো আসে তার পরে।

    যাক, বহু, বহু বাইট খচ্চা হয়ে গেছে সেই সময়ে। গুরুর সার্ভার তার পরে দুবার ঠিকানা বদলে ফেলেছে। আবার চাকা আবিষ্কার করতে বসতে যাঁদের উৎসাহ আছে, তাঁদের বেস্ট অফ লাক।
  • জটাশঙ্কর ওঝা | 99.0.103.94 (*) | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ০৫:৫৪88669
  • # শেষ তিনটি বাক্যে ভীষণ রকম একমত।
  • PM | 233.223.157.80 (*) | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ০৬:০৪88670
  • সিকি, খুব দুর্বল যুক্তি। ২০০৭ সালে দিদিও তো তদন্ত তদন্ত করে গল ফাটিয়েছিলো। এমনি নয় সিবিআই তদন্ত। এপাতাতেও অনেকে গল মিলিয়েছিলো।

    পরিবর্ত্তনের পরে দিদি আর ওপোথ মাড়াননি। বরং সিবিআই তদন্ত আটকেছেন, সিবিআই যে সব অফিসারকে দোষী বলেছিলো তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত পর্য্যন্ত করা হয় নি।

    মজার কথা কি বলুনতো , গুরুর নিরপেক্ষ বিবেকরাও তা নিয়ে ২০১১ সালের পরে আর নন্দীগ্রাম তদন্ত নিয়ে উচ্চ- বাচ্চ করেননি- আন্দোলন তো দূরের কথা প্রতিকী প্রতিবাদ পর্য্যন্ত করেন নি কেউ।

    এই তো অবস্থা কালীদা---- ঃ)
  • pinaki | 90.254.154.99 (*) | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ০৬:২০88671
  • উরিস্লা। 'ক্লীনসিং মিশন'। ঃ-) গোলা তো। ঐ যে অম্বিকেশের কার্টুনে লেখা ছিল 'ভ্যানিশ'। মমতা দাবী করলেন তাঁকে খুনের চক্রান্ত হচ্ছে।

    চিন্তা নেই। মিউজিয়ামে মমতাকেও রাখা হবে পাশে। ;-)
  • s | 117.131.42.250 (*) | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ১২:৫৮88651
  • ওনার দল কিস্যু করে নি। মানুষগুলো নিজেদের মধ্যে মারামারি করে খুন হয়েছে। সিবিআই তো বলেই দিয়েছে।

    শুধু ওনার চানক্য তত্বের সন তারিখ গুলায় গেসে। নন্দীগ্রামে গুলি চলে ১৪ মার্চ ২০০৭ আর কারাত সমর্থন তোলে জুলাই ২০০৮। সুতরাং পোনোববাবু তার অতবড় বন্ধু বুদ্ধবাউকে তাড়াতে ২০০৭ য়ে 'মিথ্যাচার' এর স্ক্রিপ্ট লিখবেন এসব ওনারাই ভাবতে পারেন।

    তার থেকে ভাবুন এই মরিচঝাঁপির সময় আজকের মত ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া হলে কি হত। আপনাদের বড় বড় নেতাদের বোলবালা একদম জনগনের সামনে কাছা খুলে ধরা পড়ে যেত। জনতাও হয়ত পরের ভোটে ছাগল হয়ে জ্যোতিবাবুর পশ্চাৎদ্দেশে সজোরে ঢুঁসো মারত।
  • PT | 213.110.246.23 (*) | ০৩ নভেম্বর ২০১৪ ০২:১৬88672
  • "কারাত-ইয়েচুরি-বিমান এখন যে প্রকাশ্যে এম-এল এর সাথে এবং গত বিধানসভা নির্বাচনে মমতার জোটসঙ্গী এসইউসির সাথে জোট বেঁধে আন্দোলন করতে ঘোষণা করেছেন-- এটা বুঝতে পারছেন না?"
    এই হাস্যকর কথাবর্তাগুলো লেখা দয়া করে বন্ধ করুন। আবাপ যেভবে গপ্প লিখছে আপনি সেইভাবেই গুরুতে উগরে দিচ্ছেন।
    আপনার কি মনে হচ্ছে যে এম-এল আর এস-ইউ-সিকে গলায় গামছা দিয়ে টেনে এনে সিপিএম জোট করছে? এম-এল আর এস-ইউ-সি তিনোর কাছে যেরকম কষিয়ে লাথি খেয়েছে তাতে আগামী দশ বছরে তাদের নেতারা চেয়ারে বসতে পেছনে ব্যথা পাবে।
    আর সিপিএম যা যা "ভুল" করেছে সেগুলো এরা না করে থাকলে, জনগণের আশীর্বাদে এদের ফুলে-ফলে পল্লবিত হওয়ার কথা। তা তো হয়নি। অর্থাৎ যে বামেরা "ঠিক ঠিক" কাজ করেছে মানুষ তাদেরও সমর্থন করছে না। অর্থাৎ সমস্যা অন্যত্র।
    এই গভীর সমস্যার বিষয়টা নিয়ে আরেকটু তলিয়ে ভাবা দরকার নয় কি?

    আর চিন্তা করবেন না। সিপিএমের অন্তর্জলী যাত্রায় আপনি আনন্দ পেলেও, এই ছোট বাম দল গুলো কুটোর মত ভেসে যাবে। আমি আগে সন্দেহ করেছিলাম। কিন্তু এখন নিশ্চিত যে আপনি এবং আপনার মত রাজনীতিতে বিশ্বাসীরা সব ধরণের বামেদের আটকানোর জন্য সত্যি সত্যি বিজেপিকে পব-তে বরণডালা হাতে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
  • PT | 213.110.246.23 (*) | ০৩ নভেম্বর ২০১৪ ০২:৩৭88673
  • #
    অনেক পরে এই আলোচনাতে এসেছেন। কাজেই ঐসব "মুক্তাঞ্চল" হোয়ার ঢপ নিয়ে বিস্তৃত তক্কাতক্কি হয়েছে। সেগুলো পড়ে নেবেন। সকলের খবরের সোর্স "সংহতি" নামক একটৈ পত্রিকায় প্রকাশিত খবর যেখানে পরের মুখে ঝাল খাওয়া (reportedly) গপ্প লিখেছেন একদল অতিবাম বা বিভিন্ন ধরণের মাওব্যথীরা। সেসব গপ্প এত বছর পরে ধোপে টেকানো খুব মুশকিল।

    "তাই বলি, হতাশার চাদর ছিঁড়ে বাইরে আসুন"
    পিটি এই চাদর মুড়ি দিয়ে ভেতরে বসে আছে এমন গোপন খবরটি আপানাকে কে জানাল?
  • Ishan | 183.17.193.253 (*) | ০৩ নভেম্বর ২০১৪ ০৩:০৭88674
  • মরিচঝাঁপি থেকে তো বহু বহু দূর চলে গেছে। এই বেচারি লেখাটাকে মুক্তি দিলে হয়না? :-)
  • PT | 213.110.246.23 (*) | ০৩ নভেম্বর ২০১৪ ০৩:২৭88675
  • কেউ দয়া করে লজ্জা ঘৃণার একটা টই উড়িয়্র দিন। দু জায়গায় একই কথা নিয়ে তক্ক করতে বেজায় অসুবিধে হচ্ছে।
  • adasaaqwsw | 111.125.195.36 | ০৮ অক্টোবর ২০২০ ১০:২৫98178
  • visit my site for latest news update.


    https://www.newsupdated.in/

  • Kausik Banerjee | ০২ জানুয়ারি ২০২১ ২২:৩৪101475
  • "লজ্জা ও ঘৃণার কালো ইতিহাস" - এই ইতিহাসের সত্যকে মুছে  দেওয়ার অপচেষ্টা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না! কিন্তু আভাস পাওয়া যায় - সেই চেষ্টা সমানেই চলে আসছে। মানবাধিকার কর্মী নিরঞ্জন হালদার মশায়ের সঙ্গে নানা সভায় দেখা হত, তাঁর প্রয়াস প্রশংসনীয়।বিশিষ্ট ঔপন্যাসিক অমিতাভ ঘোষের Hungry tide বইটিতেও এই সময়টি ও মানবিক সংকটের মনস্তাত্বিক দিকটি ধরার চেষ্টা দেখা যায়। 

  • ˄ | 134.238.18.211 | ১৮ মে ২০২২ ১৩:৩০507805
  • ˄
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন