এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  কূটকচালি

  • হিন্দুস্তানে বামৈস্লামিক ষড়যন্ত্রের স্বরূপ

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    কূটকচালি | ১২ মার্চ ২০১৮ | ২৭২১ বার পঠিত
  • হিন্দুস্তানে বামৈস্লামিক ষড়যন্ত্রের সূত্রপাত হয় ১৫২৬ খ্রীষ্টাব্দে, যখন উজবেকিস্তান থেকে মঙ্গোলিয়া তথা চিন, এবং কেজিবির যৌথ গুপ্তচর বাবর কাবুল হয়ে হিন্দুস্তান আক্রমণ করেন। ধুন্ধুমার যুদ্ধ হয়। তখন হিন্দুস্তানের রাজধানী দেহলির রাজা ছিলেন ধার্মিক ইব্রাহ্মিণ লোদী। বামৈস্লামিকরা যথারীতি সংগ্রাম সিংহ নামক এক বিশ্বাসঘাতক হিন্দু দালালকে বশ করে ফেলে। যখন প্রচন্ড যুদ্ধ চলছে, সেই অবস্থায় দালালের সাঙ্গোপাঙ্গোরা হঠাৎ 'আমাদের সংগ্রাম চলছে চলবে' বলে লোদীর বিরুদ্ধেই স্লোগান দিতে শুরু করে। ধাক্কা সামলাতে না পেরে লোদী যুদ্ধে হেরে যান। তাঁর বংশধররা চলে যান গুজরাতে। কেজিবি এবং চৈনিক চরদের নজর এড়াতে তাঁদের পদবী লোদী থেকে পাল্টে মোদী করে নিতে হয়। তাতে তাঁরা প্রাণে বাঁচেন।

    যুদ্ধ যেখানে হয়েছিল, জায়গাটির নাম ছিল জলপথ। সিংহাসনে বসতে না বসতেই বদলে নাম করে দেওয়া হয় পানিপথ। দেহলির নাম পাল্টে হয় দিল্লি। রামের জন্মভূমি অযোধ্যার নাম পাল্টে করে দেওয়া হয় ফৈজাবাদ। এখানেই শেষ নয়, কেজিবির নির্দেশে বাবর সোজা চলে যান অযোধ্যায়। রামের জন্মভূমির উপর যে মন্দির ছিল তাকে ভেঙে, গুঁড়িয়ে তৈরি করেন এক খুব খারাপ ধরণের এক মসজিদ। ১৯৯২ সালে মহাবিদ্রোহের আগে পর্যন্ত মসজিদটি ওখানেই ছিল।

    হিন্দুস্তানবাসী এই অধার্মিক শাসনকে সহজে মেনে নেয়নি। বাবর মারা যেতেই আর এক ধার্মিক বীর সুর শাহ দেহলি দখল করে নেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি তৈরি করেন হিন্দুস্তানের প্রথম হাইওয়ে, জিটি রোড। এই প্রকল্পের আদলেই পরবর্তীতে স্বর্ণ চতুর্ভুজ সড়ক মহাযোজনার সূত্রপাত হয়। দুঃখের কথা এই, যে, এই হিন্দু মহাপুরুষ বেশিদিন রাজত্ব করতে পারেননি। কালিঞ্জর দুর্গের কাছে সন্ত্রাসবাদীরা তাঁকে গান পাউডার দেগে হত্যা করে। পৃথিবীতে সেই প্রথম সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ। রাজস্থানের মরুভূমির এক মরুদ্যানের কাছে এই হামলা হয়েছিল বলে এর নাম ছিল ওয়েসিস অ্যাটাক। নাম বদলে এখন একেই বলা হয় আইসিস আক্রমণ। আইসিসের আক্রমণের প্রথম শহীদ সুর শাহ অযোধ্যার মন্দির পুনরুদ্ধার করতে পারেননি। কিন্তু খুবই রামভক্ত ছিলেন বলে তাঁর স্মৃতিসৌধ তৈরি করা হয় সাসারামে। সুর শাহের বংশধররাও গুজরাতে চলে যান। মোদী বংশের মত শাহ বংশও সেখানে খুব বিখ্যাত হয়। পরবর্তীকালে এই দুই বংশধররাই বাবরি মসজিদ ভেঙে গুঁড়িয়ে সমস্ত পরাজয়ের শোধ তোলেন। গুজরাতি এবং হিন্দি ভাষায় লিখিত 'বাল অমিত' গ্রন্থে এই দিগ্বিজয়ের সম্পূর্ণ বিবরণ পাওয়া যায়।

    সুর শাহের মৃত্যুর পর সমগ্র হিন্দুস্তানে দুঃখের দিন নেমে আসে। চিন এবং কেজিবির চররা এখানে বংশ পরম্পরায় রাজত্ব করতে থাকে। অজস্র মন্দির ভেঙে ফেলা হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল দেহলির কাছে অগ্রদেশের বিখ্যাত শিবমন্দির তেজঃমহল। শোনা যায় এটি ছিল বিশ্বের উচ্চতম মন্দির। এর মধ্যে অবস্থিত লিঙ্গটিই নাকি এত বড় ছিল যে যমুনার অন্যপার থেকে দেখা যেত। লিঙ্গের অগ্রে অবস্থিত বলে গোটা জনপদেরই নাম হয় অগ্রদেশ। আগাগোড়া শ্বেতপাথরের তৈরি মহাতেজা লিঙ্গটি ছিল মহাশক্তির আধার। শিবরাত্রির সময় জল ঢালার জন্য লিঙ্গের অগ্রদেশ থেকে প্রয়াগ সঙ্গমস্থল পর্যন্ত মহিলাদের লাইন পড়ত। কেউ কেউ দশমাস অপেক্ষা করে তারপর একে স্পর্শ করতে পারতেন এবং তৎক্ষণাৎ তাঁদের পুত্রলাভ হত। যাঁরা লাইনে দাঁড়িয়েও ধৈর্য হারিয়ে ফিরে যেতেন, বাড়ি পৌঁছনোর আগেই তাঁদের মাথায় হত বজ্রপাত। এই জাগ্রত মন্দিরটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন সম্রাট শাজাহান। মন্ত্রঃপূত লিঙ্গটিকে ভাঙার সাহস কেউ করেননি। সেটিকে অবিকৃত রেখেই চারদিকে মিনার তৈরি ফেলা হয়। তার নাম হয় তাজমহল। জায়গার নাম বদলে করা হয় আগ্রা। শিবলিঙ্গের মুন্ডটি থেকেই গম্বুজাকৃতি এক বিশেষ স্থাপত্য চালু হয় ভারতবর্ষে। হিন্দু ঐতিহ্যকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে এর নাম দেওয়া হয় পারসিক বা ইসলামী স্থাপত্য। হিন্দু লিঙ্গের গায়ে খোদাই করে দেওয়া হয় গোটা কোরান। এই অপরাধে শিবের অভিশাপে স্থপতি ইশা আফান্দি নুলো হয়ে যান। কিন্তু চিন এবং রাশিয়ার চক্রান্তে তাজমহলকে শাজাহানের কৃতিত্ব হিসেবেই ইতিহাস বইতে লেখা হতে থাকে। পুরোনো ইতিহাস মুছে যায়। অটোক্যাড, স্যাটেলাইট ইমেজ ইত্যাদি নানা উচ্চমানের প্রযুক্তির মাধ্যমে উদ্ধার করা নিচের বিজ্ঞাসম্মত ছবিগুলি দেখলেই চক্রান্তের ব্যাপারটি বোঝা যাবে।



    পরবর্তী সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে ষড়যন্ত্র চরমে ওঠে। তাঁর এক ভাই সুজা ছিলেন বঙ্গাল মুলুকের সুবেদার। সুজাকে খুন করার পর আওরঙ্গজেবের নজর আসে পূর্ব দিকে। একের পর এক ধর্মীয় স্থানকে তিনি হেয় করেন। পবিত্র হিন্দু তীর্থ কাশীর মন্দির ধ্বংস করে সেখানে আনারস চাষের ব্যবস্থা করা হয়। মন্দিরে আনারস ফলছে শুনে আওরঙ্গজেব নাকি উৎফুল্ল হয়ে বলেন ‘বনা আনারস’। সেই থেকে জায়গাটির নাম হয় বনারস। গোটা বঙ্গাল মুলুকে রাষ্ট্রভাষার বদলে চালু করা হয় অচল বাংলা। রামকে হেয় করার জন্য সেই ভাষায় বোকা ছাগলের নাম দেওয়া হয় রামছাগল। পুরোনো হিন্দু তীর্থক্ষেত্র গয়া কে ব্যঙ্গ করে রাজনীতিবিদদের আয়ারাম-গয়ারাম বলা শুরু হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটে পূর্ব প্রান্তের ত্রিপুরাতে। হাজার হাজার বছর আগে মণিপুরে এসেছিলেন মহাভারতের মহাবীর অর্জুন। রাজকন্যা চিত্রাঙ্গদাকে লুকিয়ে বিয়ে করার জন্য তিনি ত্রিপুরার গহীন জঙ্গলের মধ্যে তৈরি করেন দেবী নলিনীর বিখ্যাত মন্দির। মন্দিরটি ছিল বিরাট পুষ্করিণীর মধ্যে, সেখানে বনপদ্ম ফুটত। 'নলিনীর বিল' থেকেই জায়গাটির নাম বিলনলিয়া বা বিলোনিয়া। শুধু রামায়ণ নয়, সঙ্গে মহাভারতকেও হেয় করার জন্য আওরঙ্গজেব এই মন্দিরটি ধ্বংস করে ফেলেন। শুধু তাইই নয়, বঙ্গালের পশ্চিম দিকের মতো, এখানেও চালু করে দেওয়া হয় চিরস্থায়ী প্রোমোটাররাজ। ইতিহাসে একেই চিরস্থায়ী বন্দোবস্তো বলা হয়। এই প্রোমোটাররা শুধু মন্দির ভাঙে তাইই নয়, গোটা হ্রদ বুজিয়ে ফেলে তার উপর রাস্তা, গোল চক, এইসব বানিয়ে দেয়। এমনকি দেবী নলিন এর লিঙ্গ পাল্টে, উচ্চারণের বর্ণবিপর্যয় ঘটিয়ে, তার নাম দেওয়া হয় দেব লেনিন। একসময়ে যেখানে পুকুরের পদ্মের উপরে বসে চাঁপার মতো আঙুলে দেবী নলিনী বীণা বাজাতেন, সেখানে বসানো হয় কেজিবির এক রাশিয়ান দাড়িওয়ালা লোকের মূর্তি। এই লোকটিকে শোষিতের মুক্তিসূর্য ঘোষণা করে হিন্দু দেবদেবীর বিকল্প হিসেবে দেখানো শুরু করা হয়। কেজিবির চক্রান্ত সম্পূর্ণ হয়।

    পরবর্তীকালে রাশিয়ার মহাফেজখানা ঘেঁটে, লেনিনমূর্তি উল্টে নানারকম ফরেনসিক রিপোর্ট পরীক্ষা করে ভক্তরা পরিষ্কার দেখিয়ে দিয়েছেন, তথাকথিত দেব লেনিন আসলে কোনো মূক্তিসূর্য নন, বাম ও ইসলামী যৌথ চক্রান্তের অংশ। একেই এক কথায় বামৈস্লামিক বলা হয়। নিচের ছবি দেখলেই ব্যাপারটি পরিষ্কার বোঝা যাবে।



    এই সমস্ত বর্ণনা থেকে এ কথা জলের মতো স্পষ্ট যে হিন্দুস্তানের ভাগ্যাকাশে বামৈস্লামিক ষড়যন্ত্র তার কালো ছায়া দীর্ঘদিন ধরে বিস্তার করেছে। স্থাপত্য, সঙ্গীত এমনকি দেবীমূর্তিও এরা চুরি করে নিয়েছে। ছিনিয়ে নিয়েছে ঐতিহ্য। সতীদাহের মতো ঐতিহ্যবাহী প্রথা তারা রদ করেছে, ভারতীয় নারী আজ আর পুড়ে মরতে পারেনা। চালু করেছে বিধবা বিবাহ। কয়েক হাজার বছরের পুরোনো জাতিভেদপ্রথা আজ উঠে যাবার মুখে। গোটা জাতিই আজ ধ্বংসের সামনে।

    তবে সৌভাগ্যক্রমে, এই চক্রান্ত চাপা থাকেনি। ভারতবর্ষের নানা বুদ্ধিমান লোকেরা, লোদী এবং শাহ বংশের বংশধরদের নেতৃত্বে ব্যাপারটি ধরে ফেলেছেন। তাই ১৯৯২ সালে মহাবিদ্রোহের সময় বাবরি মসজিদ পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সেই ধ্বংসস্তূপের উপর দাঁড়িয়ে দুই সাধ্বীর গলা জড়াজড়ি করে নৃত্য হিন্দুস্তানবাসীরা ভোলেনি। ভোলেনি ‘ইয়ে তো সির্ফ ঝাঁকি হ্যায়/ কাশী মথুরা বাকি হ্যায়’ যুদ্ধ জিগিরের কথাও। নলিনী শব্দের অর্থ পদ্ম। এমনকি ভক্তরা এই প্রতীক নিয়ে প্রচুর যুদ্ধের শেষে ত্রিপুরার বিধর্মী বিগ্রহটিকেও উপড়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছেন। এখন বাকি আছে শুধু তাজমহল ভেঙে অগ্রদেশ পুনরুদ্ধার। পুরোনো ঐতিহ্যের পুনর্জাগরণ। সে কাজও আশা করা যাচ্ছে দ্রুতই সুসম্পন্ন হবে। বানরসেনায় যোগদান করে আপনিও সেই শুভকাজে অংশীদার হতে পারেন।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • কূটকচালি | ১২ মার্চ ২০১৮ | ২৭২১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কালকেতু | 55.249.82.111 (*) | ১২ মার্চ ২০১৮ ০১:৩১85125
  • সেরা সেরা!
  • | 116.210.224.41 (*) | ১২ মার্চ ২০১৮ ০৪:০৪85126
  • হা হা হা হা হা হা হা এটা জব্বর হইছে
  • | 116.210.224.41 (*) | ১২ মার্চ ২০১৮ ০৪:০৫85127
  • তবে চাড্ডিদের যা ঘিলুর পরিমাণ! বলা যায় না, হোয়াটস্যাপ ইউনিভার্সিটিতে হয়ত এটাই অথেন্টিক ইতিহাস বলে ঘুরতে শুরু করল।
  • লম্বকর্ণ | 57.15.164.226 (*) | ১২ মার্চ ২০১৮ ০৪:১২85128
  • সাতদিন সময় দিন, অফিসে বড্ড চাপ। এর থেকে বেটার স্যাটায়ার নামাব বামৈস্লামিকদের নিয়ে। আপনাদের বাবা মার্ক্সের কসম। ততক্ষণ অবধি নিজেরাই নিজেদের পিঠ চাপড়ান। শুভমস্তু।
  • আরিব্বাস | 37.63.218.30 (*) | ১২ মার্চ ২০১৮ ০৪:৫৪85129
  • এ কে রে? কিচ্ছু না লিখে নিজেই নিজের পিঠ চাপড়াচ্ছে? ও দাদা নিয়ান্তই লিকে ফেললে লিঙ্কটা একটু দিয়ে যাবেন।

    মুল লেখাটো হাহাপগে হয়েছে।
  • সান্ত্বনা | 90.254.154.67 (*) | ১২ মার্চ ২০১৮ ০৫:৩১85130
  • লম্বকর্ণর কি খুব জ্বলেছে? আহা ষাট ষাট।
  • | 59.248.241.150 (*) | ১২ মার্চ ২০১৮ ০৫:৩৫85131
  • কী খোরাক মাইরি!! জব্বর লেখাখান!
  • শঙ্খ | 126.206.220.55 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৮ ০৩:৫৩85136
  • হেঃ হেঃ হেঃ একঘর হয়েছে।
  • Du | 57.184.23.62 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৮ ০৪:৩৩85132
  • হাহাপগে যাকে বলে।ঃ)))))
  • শিবাংশু | 55.249.72.121 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৮ ০৪:৪৩85137
  • ইতিহাস কংগ্রেসের সভাপতি হবার প্রতিভা যখন আইটি কেড়ে নেয়, কষ্ট হয়। তবে বামৈস্লামিক ষড়যন্ত্রের প্রথম শিকার মহামান্য ঠাকুর পৃথ্বীরাজ চৌহান।

    লোদী বা শাহের বংশধরদের এই লেখা বুঝে ওঠার ক্ষমতা ঠাকুর কি দিয়েছেন?
  • avi | 57.15.76.206 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৮ ০৪:৪৯85138
  • একঘর ইতিহাস। :))
    লোদীর সত্যিকার এক বংশধরের সাথে কিছুদিন ইন্টার্ন থাকার সময় কাজ করেছিলাম। তারা নাকি মুঘল আমলে রাজস্থানের কোন এক জায়গায় থেকে গিয়েছিল, একটা সেক্ট কলকাতায় আসে পরে। ওদের বাড়ি ছিল সেন্ট্রাল এভিনিউতে, মেডিক্যাল কলেজের উল্টোদিকে। অতি সুভদ্র ছেলে ছিল লোদী জুনিয়র।
  • anandaB | 154.160.130.93 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৮ ০৫:৩১85139
  • দারুণ হয়েছে, আমার সবচেয়ে পছন্দ হয়েছে "রামের জন্মভূমির উপর যে মন্দির ছিল তাকে ভেঙে, গুঁড়িয়ে তৈরি করেন এক খুব খারাপ ধরণের এক মসজিদ।" এই লাইনটা

    কিন্তু যতবার শিরোনাম এর দিকে চোখ পড়ছে ততবার মনে পড়ছে "পল্লীগ্রামস্থ প্রজাদের দুরবস্থা বর্ণন" :) কেন মনে হচ্ছে এখনো পর্যন্ত কোনো সদুত্তর খুঁজে পাইনি :)

    আর ওই লেখাটা কে লিখেছিলেন কিছুতেই মনে পড়ছে না (পেটে আসছে, কিন্তু মুখে আসছে না)
  • avi | 57.15.5.93 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৮ ০৬:০৭85140
  • অক্ষয়কুমার দত্ত।
  • anandaB | 154.160.130.93 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৮ ০৬:২০85141
  • থ্যাংক ইউ অভি, কিন্তু আমার somehow মনে হচ্ছে নাম টা অবাঙালি ছিল, খুব সম্ভব সখারাম গনেশ দেউস্কর (একটু আগে মনে হল :) )
    তবে আপনার ঠিক হবার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না
  • ? | 127.194.197.243 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৮ ০৬:৪৫85142
  • পোবোন্ধের যে নামটা লিখলেন, সেটা কপি করে গুগুলে ফেললেও তো এত কনফিউশন থাকে না!!
  • অর্জুন অভিষেক | 149.5.231.237 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৮ ০৬:৪৯85143
  • ইতিহাসের কত লুপ্ত অধ্যায় সুপ্ত হয়ে পড়ে আছে।

    সৈকত বন্দোপাধ্যায় কবর খুঁড়ে এই অসাধ্য সাধন করেছেন।

    লেখাটি ভারতীয় ইতিহাসমালার একটি রত্ন।

    সেলাম।
  • অর্জুন অভিষেক | 149.5.231.237 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৮ ০৬:৫৮85144
  • সখারাম গণেশ দেউস্কর ছিলেন জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক। জাতীতে মরাঠী কিন্তু জীবনের অধিকাংশ সময়ে কাটিয়েছেন বাংলায়।

    'হীতবাদী' পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন এবং তাঁর 'দেশের কথা' বইটা খুব জনপ্রিয় হয়। ব্রিটিশ সরকার বইটার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

    বইটা পুনর্মুদ্রণ হয়েছে। কয়েক বছর আগে বইমেলায় দেখলাম ।
  • রুখসানা কাজল | 37.147.204.250 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৮ ০৭:৫৯85145
  • দারুন দারুন
  • Tim | 140.126.225.237 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৮ ০৯:৩৫85146
  • লেখা তো ভালোই হয়েছে, কিন্তু এ দিয়ে কী করবো? একটা সামান্য দুলাইনের ফ্যাক্ট চেক করার এনার্জি নেই যে জাতির, তাদের এই খিল্লি বোঝাবে কে? হয়ত এইটাই কিছুমাস পর অথেন্টিক ইতিহাস বলে হোয়া তে চলে আসবে।
  • de | 69.185.236.55 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৮ ০৯:৪০85133
  • দারুণ! দারুণ! ঃ)))

    এটার ইংরাজী ভার্সনটা লিখে একটু দেশে ছড়ানো হৌক!
  • PP | 159.142.103.12 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৮ ১১:১৬85147
  • এক্টা কোশ্নো ছিলো। লিঙ্গটি কি কন্ডোম পোরনো ছিলো? মানে ঐ টুপির মত ব্যাপার খানি আগে হোতেই ছিলো না শাজাহানের কৃতিত্ব?
    পুঃ এটাকে খিল্লি ভাববেন না
  • অরিজিৎ | 57.15.218.114 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৮ ১২:৪৩85134
  • দারুণ দারুণ।এটা একঘর হয়েছে।বাবা লম্বকর্ণের আনার অফিস কি হে? আইটি সেল কি তাড়িয়ে দিল নাকি?
  • বিপ্লব রহমান | 133.108.244.71 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৮ ১২:৫৩85135
  • ফ্যানাটিক ফারাবীর "জ্বিন জাতির ইতিহাস"ও ফেল!

    http://m.somewhereinblog.net/mobile/blog/farabi2012/29636650

    হা হা প গে
  • প্রতিভা | 125.96.159.150 (*) | ১৪ মার্চ ২০১৮ ০২:০১85148
  • আমার কথাগুলো শিবাংশু লিখে দিয়েছেন আগেই। মনে হচ্ছে এ লেখার অভিঘাতেই গোরক্ষপুরে গন্ডগোল।
  • কৌশিক ঘোষ | 55.64.220.205 (*) | ১৭ মার্চ ২০১৮ ০৫:৪১85149
  • এককথায় অপূর্ব। চাই যে এই লেখা সবাই পড়ুক। আরো লিখুন, সৈকত।
  • চাপালি ঘোষ | 68.145.190.226 (*) | ২০ মার্চ ২০১৮ ০৭:০৮85150
  • মুঘলদের সেনাবাহিনীতে তাহলে হিন্দু সেনাপতি কেমনে হত?
    আকবরের আমলে যে মসজিদ গুলো মন্দিরে পরিণত হয়েছিল সেই মন্দির গুলোই শুধু মসজিদে পরিণত করা হয়েছিল ।
    ইংরেজ পূর্ব কোন ইতিহাস আছে গোড়া হিন্দুদের বক্তব্য ছাড়া যেখানে বলা হয়েছে আওরঙ্গজেব মন্দির ধ্বংসকারি?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন