এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  অন্য যৌনতা

  • বস্টনে বংগে : প্রথম পর্ব

    বর্ন ফ্রি লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্য যৌনতা | ১৯ মার্চ ২০১৩ | ১১১৮ বার পঠিত
  • পর্ব এক - জান পহেচান

    মাইরি বলছি, বস্টনে আসার আগে আমি খুব ভাল ছেলে ছিলাম। সকালে উঠিয়া আমি, যাক সে কথা, তারপর সারাদিন কাজকম্ম করে, সন্ধ্যেবেলা বাড়ি ফিরে স্টার আনন্দ আর মীরাক্কেল দেখে ঘুমুতে যেতাম। বাজে জিনিস দেখতাম না (রাত্রে ছাড়া :P), বাজে কথা শুনতাম না, বলতাম না এমনকি বাজে জিনিস ফেসবুকে পর্যন্ত পোস্টাতাম না। তারপর ভাল ছেলেমেয়েদের সাথে যা হয় আমার সাথেও তাই হল। চলে এলাম আম্রিকা। বাংলা ছেড়ে বস্টনে। আর সেই শুরু। আমার অধঃপতনের। আর সে পতন এমন পতন যে সে কেচ্ছার কথা মুখে বলা যায় না। শুনলে আঙুল দিতে হয়, কানে। তবে কি এইসব কেচ্ছা কেলেঙ্কারি এমন জিনিস, তা সে অন্যের-ই হোক আর নিজের, ঠিক শেয়ার না করে সুখ পাওয়া যায় না। অনেকটা ফুচকার মত। একমাত্র আদ্যন্ত লুজার অথবা আঁতেল না হলে কেউ একা একা ফুচকা খায় না। তাই ভাবলাম আমার এই বস্টনের বাঁদরামো বেনামে লিখে শেয়ার করা যাক। যার তেঁতুলের আচার খেতে ভাল লাগে সে পড়বে আর যার লাগে না সে ‘দেশটার কী হল’ বলে পাতা উলটে চলে যাবে। আমার পেটের ভাত হজম হওয়া নিয়ে কথা।

    তো বস্টনের গপ্পো বলতে গেলে প্রথমেই যেটা বলতে হবে তা হল আমার অ্যাপার্টমেন্টের কথা। পয়সা বাঁচাতে (থুড়ি সেন্ট বাঁচাতে) আমি একটা পাঁচজনের সঙ্গে শেয়ার করা বাড়ি ভাড়া নিয়েছি। যেহেতু এটা আমার প্রথমবার দেশের বাইরে তাই চেয়েছিলাম একটা মিশ্র সংস্কৃতির বাড়িতে থাকতে। তো ভগবান/জেসাস আমার ইচ্ছে অপূর্ণ রাখেন নি। আমাদের বাড়িতে আমরা দুজন মেয়ে তিনজন ছেলে, তিনজন স্ট্রেট, একজন গে একজন লেসবিয়ান, দুজন কাপল, একজন ভারতীয়, চারজন আমেরিকান, একজন হিন্দু, দুজন খ্রিস্টান, দুজন ইহুদি, আর আমি যাকে আমার সম্ভাব্য বয়ফ্রেন্ড হিসেবে দেখছি সেই পাকিস্তানি মুসলিম ছেলেটিকে ধরলে একেবারে সর্বধর্মসমন্বয়। এবার এই বাক্যটা আরেকবার মন দিয়ে পড়লেই বুঝে যাবেন আমিই আমাদের বাড়ির বস্টনে বং-গে। 

    তবে বিশ্বাস করুন, দেশে থাকতে আমি গে ছিলাম না। মানে ঘরের দরজা বন্ধ করে যা করতাম করতাম, কিন্তু বাইরে গলার কলার তুলে গে-বাজি করে বেড়াব, উঁহু সে বুকের পাটা ছিল না। মনে আছে একবার বার টার খেয়ে গে প্যারেড মার্চে হেঁটেছিলাম। সে মুখোশ টুখোশ পরে যা তা কাণ্ড। নাম প্রাইড মার্চ, বাংলা করলে দাঁড়াল আত্মসন্মান মিছিল, তাতে মুখোশ পরে আত্মাকে যথাসম্ভব ঢেকেঢুকে তারপর পা মেলানর সাহস হয়েছিল। আর এখানে আসতে না আসতে-ই ন্যাজ গজাল। এলাম মে মাসে, আর জুন মাসে চলে গেলাম বস্টন প্রাইড মার্চে গ্যাটম্যাট করে হাঁটতে। তাও আবার হাঁটা বলে হাঁটা। যেখানে কাজ করি তাদের প্রতিনিধিত্ব করে হাতে সেই ইন্সটিটিউটের নাম লেখা প্ল্যাকার্ড ধরে ভেঁপু বাজাতে বাজাতে হাঁটা। সে এক বিশাল উৎসবের দিন। গুগল থেকে মাইক্রসফট, সবাই সেই মিছিলে হাজির। শহরের মেয়র এসে বক্তিতে-টক্তিতে দিয়ে মিছিলের শুরু করে দিলেন। তারপর শুরু হল হাঁটা। রাস্তার চারপাশে মানুষজনের কী ভিড়। কেউ হাত নাড়ছে, কেউ ভেঁপু বাজাচ্ছে, কেউ গাইছে কেউ নাচছে। কারোর হাতে পতাকা তো কারোর গলায় সাত রঙের হার। ছেলে, মেয়ে, বাচ্চা-বুড়ো কেউ বাকি নেই। কেউ এসেছে মায়ের কোলে তো কেউ এসেছে হুইলচেয়ারে। এমনকি, বাড়ির পোষা কুকুরের গলায় সাত রঙের চেন লাগিয়েও হাজির কেউ কেউ। আকাশে সাতরঙ্গা বেলুন, চার্চে সাত রঙের পতাকা, গাড়িতে গাড়িতে সাত রঙের স্টিকার। সাত রঙের রামধনু, সমস্ত বৈচিত্র্যকে স্বীকার করে নেওয়ার প্রয়াস, সমস্ত পার্থক্যকে সম্মান দেওয়ার অঙ্গীকার। ম্যায়নে, তেরে লিয়ে হি সাত রংগকে সপ্‌নে চুনে, সপ্‌নে সুরিলে সপ্‌নে। স্বপ্ন দেখার মতই যেন মনে পড়ে গেল আমার দেশের কথা। দেশে থাকতেও তো হেঁটেছিলাম প্রাইড প্যারেডে। সে হাঁটা আর এ হাঁটায় যেন জন্মান্তরের পার্থক্য। সেখানে রাস্তায় লোকের মুখে ছিল শুধুই কৌতূহল আর কৌতুক, আর এখানে উৎসাহ আর সমর্থন। সেখানের হাঁটায় ছিল অধিকার পাওয়ার সংগ্রাম, আর এখানের পথ চলায় অধিকার লাভের উল্লাস। সেখানে হাতের মুঠোয় ছিল লড়াইয়ের প্রতিজ্ঞা আর এখানে হাতের ওপর বন্ধুর ভালবাসার হাত। অনুযোগ করে লাভ নেই, এখানে অনেকটা পথ হেঁটে তবেই এই অধিকার পাওয়া গেছে। সেই পথের কিছুটা তো দেশে আমাদের হাঁটতে হবেই। কষ্ট করে না পেলে, সে পাওয়ায় ভালবাসা থাকে না।

    তবে এই অবধি পড়ে এরকম ভেবে নেওয়ার কোন কারণ নেই যে এখানে সব পেয়েছির দেশ। সমকামিতা এখানে একটা বড় রাজনৈতিক ইস্যু। সমকামীদের কিছু অধিকার আছে এই ব্যাপারে সবাই একমত (কিছু চার্চ ছাড়া)। কিন্তু সেই অধিকারের সীমানা কতদূর, কোনখানে টানা হবে লক্ষ্মণরেখা, তা নিয়ে বিরোধের অন্ত নেই। আমাদের ছোটবেলায় ছাদে কিছু পোষা লক্কা পায়রা ছিল। তাদের জন্য দানাপানি ছিল, দেখাশোনা ছিল, এমনকি ওড়বার আকাশও ছিল। খালি শর্ত ছিল একটাই, যত খুশি উড়ে বেড়াও, কিন্তু তালি বাজলেই ডানা গুটিয়ে ফেরত চলে আসতে হবে। তুমি ভাববে এই সম্পূর্ণ আকাশ তোমার, ভাবো, ভাবনাতে কোন ক্ষতি নেই, কিন্তু তোমার আকাশের সীমানা আমার দু-হাতের তালির মাপে আঁটা। তোমাকে আমি সব অধিকার দেব, কিন্তু বিয়ের অধিকার? সে শুধু বাইবেল নির্দেশিত নারী-পুরুষের জন্য। বিয়ের অধিকার না পাওয়া গেল তো কী এসে গেল? কিছুই না, খালি আমার মেলে দেওয়া ডানা তোমার দুটো হাতের মাঝে এসে ছটফটিয়ে আটকে গেল।

    যাক সে কথা, সে কথায় পরে আসব। আজকে শুধু বস্টনের গে উৎসবের কথা। প্রাইড মার্চে ভেবেছিলাম, অন্ততঃ একটা দুটো অ্যান্টি-গে স্লোগান, প্ল্যাকার্ড দেখতে পাব। ও হরি, কোথায় কী? এ তো দেখি শহর জুড়ে সবাই সাপোর্টার। ভেবেছিলাম বেশ একটা শহীদ শহীদ ফিলিংস আসবে, নাহ্‌ সে সবের বালাই নেই। আসলে, বস্টন ম্যাসাচুসেট্‌স রাজ্যের প্রাণকেন্দ্র। আর ম্যাসাচুসেটস (এখানে সবাই ছোট করে ম্যাস বলে) আমেরিকার প্রথম স্টেট যেখানে গে ম্যারেজ আইনি স্বীকৃতি পেয়েছিল। বস্টন তাই খোলা হাওয়ার শহর। সেই খোলা হাওয়া নাকি অনেকটাই আটকে যায় দক্ষিণে, বিশেষত টেক্সাসে গেলে। তা আমার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত, অস্টিন টেক্সাসে একবারই গেছিলাম, তিনদিনের এক কনফারেন্সে, সেই আমার প্রথম কোন গে বার-এ যাওয়া, কিন্ত সে গল্পও অন্যত্র।

    আজকে সির্ফ নয় ছয়ের কথা। নয় ছয় মানে নাইন্থ জুলাই, এই বছরের বস্টন প্রাইড মার্চের দিন।

    বস্টনের প্রাইড মার্চে সবথেকে যা দেখে আনন্দ পেয়েছি তা হল সমপ্রেমি পরিবার। দুই মা মিলে তাদের বাচ্চার পেছন পেছন দৌড়চ্ছেন অথবা একজন বাবা বাচ্চাকে উঁচু করে ধরে রেখেছে্ন আর একজন ন্যাপি পালটে দিচ্ছেন, এরকম দৃশ্য দেখতে দেখতে একবারের জন্যও মনে হয় নি এর মধ্যে কোন অস্বাভাবিকতা আছে,  কোথাও কিছু অসংলগ্ন হচ্ছে। যেন এই তো সাধারণ, এই তো প্রকৃতির নিয়ম, এমনটাই তো হওয়ার কথা ছিল। প্রেমের ভুবনজোড়া ফাঁদে কে কখন পা দেবে, নিষিদ্ধ আপেলের টুকরো কোন দুজন ভাগ করে খাবে, সে হিসেব নির্দিষ্ট করে দিতে, যদি কোনো সৃষ্টিকর্তা থাকেন, তিনিও বোধ হয় চান নি। আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে তথাকথিত বিশ্ববিধাতা চন্দ্র-সূর্য-গ্রহ-তারার চলন গমন-কে এমন নিঁখুত মাপে বেঁধে রেখেছেন, মানুষের প্রেমকে বাঁধার সময় তাঁর সুতোয় কম পড়ে গিয়েছিল। মানবপ্রেমের এই যে জগত পরিব্যাপ্ত রূপ, তা প্রকৃতির বাইরে হতে পারে না, প্রকৃতির বিরূদ্ধে হতে পারে না, তা ফাগুনের হাওয়ায় ছড়িয়ে যাওয়া, সমস্ত সীমাকে মুছে দেওয়া প্রকৃতির আপনহারা বাঁধনছেঁড়া প্রকাশ। সমস্ত বাধা-বিঘ্ন, ঝড়-ঝঞ্ঝাকে উপেক্ষা করে দাঁড়িয়ে থাকা মানবপ্রকৃতির সেই স্নিগ্ধ অথচ প্রত্যয়ী প্রেমময়তাকে আমার শত-সহস্র কুর্ণিশ।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • অন্য যৌনতা | ১৯ মার্চ ২০১৩ | ১১১৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Anirban Roy Choudhury | 34.107.78.178 (*) | ১৯ মার্চ ২০১৩ ১০:৫৩77356
  • ভালো লাগলো :)
  • এস জি | 138.151.71.18 (*) | ২১ মার্চ ২০১৩ ০৫:৫৮77358
  • বাঃ খাসা! অধঃপাতে যাওয়ার গপ্প আরো লিখতে থাকুন। :) ভারতীয়দের মতন একটি আদ্যোপান্ত ইনোয়ার্ডলি সোশাল জাতির সন্তান হয়েও আপনি এই বিশ্ব-নাগরিকত্ব কে একেবারে অ্যাপার্ট্মেন্ট অব্দি পৌঁছে দিয়েছেন দেখে ভারি আমোদ পেলাম।
  • Born Free | 24.96.78.22 (*) | ২১ মার্চ ২০১৩ ০৬:৪২77359
  • যাহ, ঘেটে ঘ। এস জি দা/দি, ইনোয়ার্র্ড লি সোশাল কারে কয়?
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 (*) | ২২ মার্চ ২০১৩ ০২:৪৫77361
  • এই রকম অকপটে লিখে যান।...লেখাটি খুব ভালো। চলুক।
  • sosen | 111.63.211.173 (*) | ২২ মার্চ ২০১৩ ০৩:৫৩77360
  • এই লেখাটা মোটে প্রথম পর্ব, তাই মতামত দিলাম না, চলুক ---ছবিগুলো ভালো লাগলো।
  • কৃশানু | 213.147.88.10 (*) | ২২ মার্চ ২০১৩ ০৪:০৪77362
  • সুন্দর লেখা।
  • কান্তি | 212.90.109.63 (*) | ২২ মার্চ ২০১৩ ০৫:৩৪77363
  • পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি। তারপর কিছু মন্তব্য।
  • born free | 24.99.134.155 (*) | ২৩ মার্চ ২০১৩ ০৪:১৪77367
  • থ্যন্কু ঃ)
  • aranya | 154.160.5.25 (*) | ২৩ মার্চ ২০১৩ ০৫:৪৮77364
  • বাঃ। ভাল লাগল।
  • san | 24.98.87.26 (*) | ২৩ মার্চ ২০১৩ ০৭:৪৩77365
  • বাঃ।
  • মৌ | 24.99.247.110 (*) | ২৩ মার্চ ২০১৩ ১২:৩১77366
  • বেশ ভাল লাগলো। দারুন...।
  • sri | 127.194.7.98 (*) | ১৭ জুলাই ২০১৩ ০১:৫৯77374
  • হেব্বি!
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ১৭ জুলাই ২০১৩ ০৩:৩১77375
  • পরবর্তী পর্ব কোথায়? পর্ব চার আগেই দেখেছি। বাকিগুলো?
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ১৭ জুলাই ২০১৩ ০৩:৪৩77377
  • ধন্যবাদ
  • Ghotna | 212.81.18.30 (*) | ১৭ জুলাই ২০১৩ ০৫:২১77369
  • খুব ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে। দুটি প্রশ্ন আছে - যদিও ব্যক্তিগত, অসুবিধা হলে উত্তর দিতে হবে না।

    প্রথমঃ আপনি লিখেছেন "আমি যাকে আমার সম্ভাব্য বয়ফ্রেন্ড হিসেবে দেখছি সেই পাকিস্তানি মুসলিম ছেলেটিকে ধরলে একেবারে সর্বধর্মসমন্বয়।" - তার মানে মুসলিম ছেলেটিও কি গে? সে কি তার মুসলিম ধর্ম বজায় রেখে তার দেশের কমিউনিটিতে মিশতে পারবে? বস্টনে গোঁড়া ধর্মীয় সংগঠনগুলির কি রকম অবস্থা?

    দ্বিতীয়ঃ আপনার নিজের কোনো অসুবিধা হবে না দুটি বিভিন্ন ধর্মের সমন্বয় করে থাকতে? আমরা কলকাতার বাঙ্গালীরা বিভিন্ন পূজোর ছুটি চুটিয়ে এনজয় করলেও আসলে সবাই আমরা পুরোপুরি নাস্তিক। কিন্তু পকিস্তানিদের সম্বন্ধে একটু সংশয় আছে।
  • Ghotna | 212.81.18.30 (*) | ১৭ জুলাই ২০১৩ ০৫:৩০77370
  • সরি - একটা ছোট্টো ভুল নজরে পড়লো। এত ভালো লেখাটা হয়েছে যে মনে হচ্ছে এটা শুধরে দিলে ঠিক হয়।

    "আজকে সির্ফ নয় ছয়ের কথা। নয় ছয় মানে নাইন্থ জুলাই, এই বছরের বস্টন প্রাইড মার্চের দিন।" - "নয় ছয়" নাকি "নয় সাত?" যদিও শিবরাম চক্কোত্তির মতো 'পান'টা মিস হবে, তবে তথ্যের অসংগতি চোখের আরাম দেবে। কিছু মনে করবেন না প্লিজ!
  • Trina | 80.172.225.30 (*) | ১৭ জুলাই ২০১৩ ০৭:০১77371
  • বাঃ বেশ ভাল লাগলো।
  • Born Free | 168.144.176.250 (*) | ১৭ জুলাই ২০১৩ ০৭:২৮77372
  • যাদের ভালো লেগেছে এবং লাগেনি সব্বাইকে থ্যাঙ্কু।
    ঘোতনা babu, ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য extra ধন্যবাদ। ওটা আসলে ৯থ জুন হবে, জুলাই নই। পান ঠিক থাকবে, সুপুরি বদলাতে হবে।
    এর পর আসছি, মুসলীম ছেলেটির প্রসঙ্গে। সে নিজে কনজারভেটিভ হলে বোধ হয় তাকে আমি সম্ভ্যাব্য বয়ফ্রেন্ড হিসেবে দেখতাম-ই না। ছেলেটি দারুন ভাবে মুক্তমনা। আর নাস্তিক, আস্তিক, সংকীর্ণতা, উদারতা ইত্যাদি বোধ হয় দেশ-কাল-ধর্ম ইত্যাদির সীমানার বাইরে। সব্বাইকে এক ধার সে দেগে দেওয়াটা ঠিক হবে না।
    পরবর্তী পর্ব-গুলো কেমন লাগছে জানাবেন,
    ধন্যবাদ
  • Adim Atma | 127.194.14.205 (*) | ১৭ জুলাই ২০১৩ ০৮:০৪77373
  • ভালো লাগলো। ফে বু তে শেয়ার করলাম
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন