এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • পশ্চিমবঙ্গঃ চিকিৎসা পরিষেবা ও সরকারী নীতি

    Punyabrata Goon লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২০ জুলাই ২০১৪ | ১২৬১ বার পঠিত
  • স্বাস্থ্য মানে কেবল চিকিৎসা-পরিষেবা নয়, কিন্তু রোগীর চিকিৎসা করে এমন একজন চিকিৎসক হিসাবে আমি পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসা-পরিষেবা, বিশেষত সরকারী চিকিৎসা পরিষেবাতেই আমার আলোচনা সীমিত রাখব।

    ২০১১-এ নতুন সরকার গঠনের পর থেকে স্বাস্থ্য দপ্তরের পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রীর হাতে, তাই সরকারী নীতি-নির্ধারণে স্বাস্থ্য যথেষ্ট গুরুত্ব পাবে, এমনটাই আশা করা যায়।

    •২০১২-র ফেব্রুয়ারী মাসে সরকারী ডাক্তারদের জেনেরিক নামে ওষুধ লিখতে নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রথম পর্যায়ে জেনেরিক প্রেসক্রিপশন শুরু করা হয় কলকাতা মেডিকাল কলেজ, আর জি কর মেডিকাল কলেজ ও ন্যাশানাল মেডিকাল কলেজে।
    •নবজাতক ও শিশুমৃত্যুর হার কমানোর জন্য ডা ত্রিদিব বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক উচ্চস্তরীয় টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়।
    •আরেকটা উচ্চস্তরীয় টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয় দ্বিতীয় স্তরের হাসপাতালগুলোর উন্নয়নের জন্য, এর নেতৃত্বে আছেন ডা সুব্রত মৈত্র।
    •২০১১-র আগে সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট ছিল ৬টা।এখন তা বেড়ে হয়েছে ৪০টা, এ বছরের শেষে সেই সংখ্যা ৫০-এ পৌঁছনোর কথা।
    •এছাড়া বিভিন্ন সরকারী হাসপাতালে সিক নিওনেটাল স্টেবিলাইজিং ইউনিট স্থাপিত হয়েছে ১২৭টা। এ বছরের শেষে আরও ১৭৩টা ইউনিট স্থাপিত হওয়ার কথা।
    •১১ই ডিসেম্বর, ২০১২ থেকে আগস্ট, ২০১৩-র মধ্যে ৩৫টা সরকারী হাসপাতালে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান স্থাপিত হয়েছে, যেগুলো থেকে রোগীরা ১৪২টা অত্যাবশ্যক ওষুধ ৪৮ থেকে ৬৭.২৫% কম দামে কিনতে পারেন। তাছাড়াও এসব দোকানে পাওয়া যায় অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টিতে ব্যবহার্য স্টেন্ট, পেস-মেকার, অস্থিচিকিৎসায় ব্যবহার্য ইমপ্ল্যান্ট, ইত্যাদি। আরও ৮৬টা সরকারী হাসপাতালে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
    •এর পাশাপাশি আছে ন্যায্য মূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা। ৮৪টা ব্লক প্রাইমারী স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও গ্রামীণ হাসপাতালে প্রয়োজনীয় প্যাথোলজিকাল পরীক্ষা ও এক্স-রের ব্যবস্থা হয়েছে পিপিপি মডেলে। ২২টা সিটি স্ক্যান মেশিন ও ৮টা এমআরআই মেশিন বসেছে।
    •যে সব হাসপাতালে ব্যবস্থা নেই, সে সব কিছু সরকারী হাসপাতালে ডিজিটাল এক্স-রে, সিটি স্ক্যান ও এমআরআই মেশিন বসানো হবে। ডায়ালিসিস-এর ব্যবস্থা করা হবে। সরকার মেশিন কিনবে, পরিচালনা করবে বেসরকারী প্রতিষ্ঠান।
    •মেডিকাল কলেজের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৭, সিটের সংখ্যা ২২০০।
    •৭ টা স্বাস্থ্য জেলা হয়েছে—বিষ্ণুপুর, ঝাড়গ্রাম, নন্দীগ্রাম, ডায়মন্ড হারবার, আসানসোল, রামপুরহাট ও বসিরহাট।
    •জেলা হাসপাতাল ও মেডিকাল কলেজ হাসপাতালগুলোকে রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বীমা যোজনার অন্তর্গত করা হয়েছে। ১৩টা জেলা হাসপাতাল, ৫টা মেডিকাল কলেজ ও ২টো মহকুমা হাসপাতালে এই পরিষেবা এখন পাওয়া যাচ্ছে।
    •২০১৪-র ৯ই জানুয়ারী জারী হওয়া এক সরকারী মেমোরান্ডামে বলা হয়েছে যে সরকারী হাসপাতালে আউটডোর ও ইন্ডোরের ফ্রি বেডগুলোতে বিনামূল্যে অত্যাবশ্যক ওষুধ সরবরাহ করা হবে। সরকারী ওষুধের তালিকায় জীবনদায়ী ওষুধের সংখ্যা ৪৮, অত্যাবশ্যক ক ৬৭, অত্যাবশ্যক খ ৬৮ এবং অত্যাবশ্যক গ ৫৬টা।
    •৩রা মার্চ, ২০১৪-এ জারী হওয়া এক আদেশে বলা হয়েছে এখন থেকে সরকারী হাসপাতালে ডাক্তারের লেখা ওষুধের পুরো কোর্স পাওয়া যাবে।

    কিন্তু বাস্তবটা ঠিক কি রকম?
    •গ্রাম ও শহরে স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিরাট বৈষম্য। রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ থাকেন, সেখানে পাশকরা আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের চিকিৎসক ১৩১১৭ জন, অথচ শহরাঞ্চলে ডাক্তারের সংখ্যা ৩৯৩৪৯ জন। আসলে কিন্তু গ্রামে আরও কমসংখ্যক ডাক্তারকে পাওয়া যায়, গ্রামের সরকারী হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাঁদের পোস্টিং তাঁদের অনেকেই সপ্তাহে ২-৩দিন গ্রামে থাকেন, বাকী দিন শহরে। গ্রামের হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা ১৬,৮৬২, শহরে ৯২,১০০।
    •চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সমাজ-জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন।
    •জেনেরিক নামে প্রেসক্রিপশন একটা ইতিবাচক পদক্ষেপ হলেও অধিকাংশ ওষুধ জেনেরিক নামে পাওয়া যায় না। রোগী কোন ব্রান্ডের ওষুধ পাবেন তা জেনেরিক প্রেসক্রিপশনে নির্ভর করে ওষুধের দোকানীর ওপর, দোকানীর যে ব্র্যান্ডে লাভ বেশী সাধারণত সেই ব্র্যান্ড পান রোগী।
    •শিশুমৃত্যু কমানোর জন্য এসএনসিইউ ভালো হাতিয়ার হতে পারে, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেগুলোতে ডাক্তার ও নার্স বাড়ন্ত। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিকাঠামোও পর্যাপ্ত নয়।
    •ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান, ন্যায্য মূল্যের পরীক্ষা-নিরীক্ষা—প্যাথোলজি, রেডিওলজি, ডিজিটাল এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, এমআরআই স্ক্যান এবং ন্যায্য মূল্যে ডায়ালিসিস পরিষেবা—এই সবগুলোই প্রাইভেট-পাব্লিক পার্টনারশিপ অর্থাৎ সরকারী পরিকাঠামো ব্যবহার করে স্বাস্থ্য-ব্যবসায়ীদের মুনাফা লোটা। সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য যোজনা কমিশনের উচ্চ-স্তরীয় বিশেষজ্ঞ দলের সুপারিশ কিন্তু পিপিপি-র বিরুদ্ধে।
    •ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানগুলোর ইতিবাচক প্রভাব অবশ্যই স্বীকার করতে হবে—এইগুলোর চাপে পশ্চিমবঙ্গের ওষুধের দোকানিদের সংগঠন বিসিডিএ (বেঙ্গল কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্টস’ এসোশিয়েসন) বাধ্য হয়েছে এমআরপি-র চেয়ে কমে ওষুধ বিক্রি করতে। অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টিতে ব্যবহার্য স্টেন্ট, হার্টব্লকে ব্যবহার্য পেস-মেকার-এর দাম প্রায় কুড়ি হাজার টাকা করে কমে গেছে, অসাধু ডাক্তারদের কমিশন খাওয়া কমেছে। কিন্তু ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানের বিরুদ্ধেও বলার আছে—যে ১৪২টা অত্যাবশ্যক ওষুধের কথা বলা হয়েছে, আসলে কিন্তু ওষুধের সংখ্যা ১৩৩টা, বাকী ৯টার পুনরাবৃত্তি আছে। এই ১৩৩টার মধ্যেও আবার একই ওষুধের বিভিন্ন রূপ আলাদা আলাদা তালিকাভুক্ত হয়েছে, ব্যাপারটা এরকম—অ্যামোক্সিসিলিন-এর ৫০০ মিলিগ্রাম ক্যাপসুল, ২৫০ মিলিগ্রাম ক্যাপসুল, ১২৫ মিলিগ্রাম বড়ি ও সিরাপ—মোট ৪ বার তালিকাভুক্ত হয়েছে অ্যামোক্সিসিলিন। তালিকা ভালো ভাবে বিশ্লেষণ করে আমরা দেখেছি আসলে কাজের ওষুধের সংখ্যা ৯০টা। এই ৯০টা ওষুধের মধ্যে আবার ৬৮টাই কেবল ভারতের জাতীয় অত্যাবশ্যক ওষুধের তালিকাভুক্ত। জাতীয় তালিকায় ওষুধের সংখ্যা ৩৪৮টা।
    •নতুন মেডিকাল কলেজের কিছু বেসরকারী। সরকারী মেডিকাল কলেজে সাড়ে ৪ বছর ডাক্তারী পড়তে খরচ হয় ৪০,৫০০ টাকা। বেসরকারী কলেজে জয়েন্ট এন্ট্রান্স দিয়ে ভর্তি হলে প্রায় ৫ লাখ, কলেজের প্রবেশিকা দিয়ে ভর্তি হলে প্রায় ২২ লাখ, এনআরআই কোটায় ৫৫ লাখ—অর্থাৎ বেসরকারী মেডিকাল কলেজ স্থাপনের পেছনে মুনাফাই প্রধান উদ্দেশ্য। সরকারী মেডিকাল কলেজে সিট বাড়ানো হলেও লেকচার থিয়েটার, ল্যাবরেটরী, হস্টেল, শিক্ষক কোন কিছুই বাড়ানো হয় নি। নতুন সরকারী মেডিকাল কলেজ খোলা হয়েছে পরিকাঠামো না বানিয়েই।
    •মেডিকাল পাঠক্রমেও কোনও বড় রকম পরিবর্তন হয় নি। প্রান্তিক মানুষজনের স্বাস্থ্যসমস্যা সেখানে গুরুত্ব পায় না। যেমন ২০১২-র সরকারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে মোট ২৩০৩৫ জন সাপের কামড় খান, মারা যান ৩২৮ জন। অথচ ডাক্তারদের সর্পদংশনে এভিএস চিকিৎসা শেখানো হয় না। পেশাগত রোগগুলো যথাযোগ্য স্থান পায় না পাঠক্রমে। এমন কি নতুন মেডিকাল গ্রাজুয়েটরা অনেকেই ডায়রিয়া বা সর্দিকাশির মতো সাধারণ রোগগুলোর চিকিৎসায় দক্ষ নন।
    •রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বীমা যোজনা দিয়ে গরীব মানুষের চিকিৎসার একটা চেষ্টা চলছে। কিন্তু অনেক গরীব মানুষই এখনও RSBY কার্ড পাননি। এই যোজনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগও প্রচুর। কার্ড পুনর্নবীকরণের জন্য টাকা লাগে না, টাকা নেওয়া হচ্ছে। বীমায় যে সব প্যাকেজ আছে, সেই প্যাকেজে চিকিৎসা করে কার্ড থেকে টাকা কাটার পর অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে রোগীর কাছ থেকে। কোনও কোনও জেলায় বীমার টাকা পেতে বেসরকারী হাসপাতাল-নার্সিং হোমের ডাক্তাররা প্রয়োজন ছাড়াই মহিলাদের হিস্টেরেক্টমি অপারেশন করে দিচ্ছেন। সরকারী হাসপাতালে RSBY কার্ডের সুবিধা পেতে গেলে সুপারিন্টেন্ডেন্টের অনুমতি নিতে হয়, অনুমতি-পত্রে সই করানোর জন্য দালাল আছে...।
    •বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়ার ৯ই জানুয়ারী, ২০১৪-র মেমোরান্ডাম ও পুরো কোর্সের ওষুধ দেওয়ার ৩রা মার্চ, ২০১৪-র আদেশ সরকারী হাসপাতালে পৌঁছায় নি বলে নদীয়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বন্ধু-সংগঠনগুলো জানিয়েছেন।
    •৯ই জানুয়ারীর মেমোরান্ডামে প্রামাণ্য চিকিৎসা বিধি (Standard Treatment Guidelines)-র কথা বলা হয়েছে। এমন বিধি তৈরী আছে কেবল প্রাথমিক স্তরের চিকিৎসার জন্য, তাও তা বহুল-প্রচারিত নয়।

    চিকিৎসা-পরিষেবার সমস্যাগুলো অনেক গভীরে, ছোটখাট সংস্কারে কিছু হওয়ার নয়। চাই সবার জন্য স্বাস্থ্য, রাষ্ট্র সমস্ত নাগরিকের স্বাস্থ্যরক্ষার দায়িত্ব নেবে এমন একটা ব্যবস্থা। সেখানে সমস্ত ডাক্তার হবেন রাষ্ট্রের নিযুক্ত, আপনার রোগ হলে কোন ডাক্তারের কাছে যাবেন তা হবে পূর্ব-নির্ধারিত, তিনি ওষুধ বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা লিখবেন প্রামাণ্য চিকিৎসা বিধি মেনে, কোন বিশেষজ্ঞের কাছে বা হাসপাতালে ভর্তির জন্য তিনি পাঠাবেন তাও পূর্ব-নির্ধারিত, কোনও ধাপেই আপনাকে পয়সা দিতে হবে না। কর থেকে সংগৃহীত অর্থে চলবে সমস্ত চিকিৎসা-পরিষেবা। অর্থাৎ স্বাস্থ্য-পরিষেবার রাষ্ট্রীয়করণ চাই।

    (জনস্বাস্থ্য ও সরকারী নীতি নিয়ে দু’দিনের এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হল ১৭-১৮ই জুলাই, ২০১৪ সল্ট লেকে ইন্সটিটিউট অফ ডেভেলাপমেন্টাল স্টাডিজ কলকাতা-য়। দ্বিতীয় দিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা অবধি এক প্যানেল আলোচনা হয় একই বিষয়ে। বক্তাদের মধ্যে ছিলেন অর্থনীতিবিদ জাঁ দ্রেজ, পশ্চিমবঙ্গের পূর্বতন বিশেষ স্বাস্থ্য সচিব দিলীপ ঘোষ, নারী ও শিশুকল্যাণ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী ডা শশী পাঁজা, রাজ্য অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান ও মাল্টিডিসিপ্লিনারী এক্সপার্ট গ্রুপ অন হেলথ-এর সদস্য অধ্যাপক অভিরূপ সরকার, ইন্সটিটিউট অফ হাইজিন এন্ড পাব্লিক হেলথ-এর স্বাস্থ্য-শিক্ষা বিভাগের প্রধান ডা মধুমিতা দোবে এবং ছিলাম আমি।
    প্যানেল আলোচনার পর সর্বজনীন স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাষণ দেন অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন।)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২০ জুলাই ২০১৪ | ১২৬১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • gajen samaddar | 149.222.138.188 (*) | ২২ জুলাই ২০১৪ ০২:৩১74612
  • তবে যে লোকে বলে এই সরকার কোনো কাজ করেনা? গত ৩৪ বছরে যা hoyni, সব I ৩৪ মাসে করে ফেলেছে স্বাস্থ্যে। এই লেখা তাকে ভালো করে ছাপানো উচিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন