এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • এই অবস্থায় ডাক্তার কিভাবে নীতিনিষ্ঠ থাকতে পারেন?

    Punyabrata Goon লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৪ জুন ২০১৫ | ১৩০৫ বার পঠিত
  • চিকিৎসক-জীবনে আমি যে দুটো জনস্বাস্থ্য কর্মসূচীতে কাজ করেছি সেই শহীদ হাসপাতাল ও শ্রমিক-কৃষক মৈত্রী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নৈতিকভাবে চিকিৎসা-পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। যে ডাক্তার-বন্ধুরা আমার মতো কোনও গণসংগঠনের সঙ্গে থেকে ডাক্তারী করেন না, তাঁদের নীতিনিষ্ঠ থাকার কথা বললে অনেক সময় বলেন—প্রাইভেট প্র্যাকটিশ করে বা প্রাইভেট হাসপাতালে কাজ করে নীতিনিষ্ঠ থাকা যায় না। সত্যিই কি তাই?! একজন ব্যক্তিগত ভাবে কতোটা সৎ থাকতে পারেন আর কিভাবে?

    কোথায় চেম্বার করবেন?
    অনেক ডাক্তার ওষুধের দোকানে চেম্বার করেন। ওষুধের দোকানে চেম্বার করা ড্রাগ এন্ড কসমেটিক্স আইনে নিষিদ্ধ। আরেকটা বড় অসুবিধা আছে, দোকানী অনেক ক্ষেত্রেই ডাক্তারকে বলে দেন কোন ওষুধের কোন ব্র্যান্ড লিখবেন, যে ব্র্যান্ডে তাঁর লাভ বেশী অবশ্যই সেই ব্র্যান্ড লিখতে বলেন তিনি। দোকানীর ইচ্ছায় অনেক সময় কাশির সিরাপ, এনজাইম প্রিপারেশন বা টনিকের মতো অপ্রয়োজনীয় ওষুধ লিখতে বাধ্য হন ডাক্তার। তাই ওষুধের দোকানে চেম্বার না করাই ভালো।
    ভালো হল এমন কোথাও রোগী দেখা যা ডাক্তারের নিয়ন্ত্রণে, ডাক্তার যেখানে ব্যবসায়ীর নিয়ন্ত্রণে নন।

    •ব্যক্তিগত চেম্বারের রোগী দেখার ঘর কমপক্ষে ১০০ বর্গফুটের হতে হবে। ২০০৩-এ পশ্চিমবঙ্গ ক্লিনিকাল এস্টাব্লিশমেন্ট রুলস প্রকাশের আগে থেকে যেসব চেম্বার আছে সেগুলো অবশ্য ৮০ বর্গফুটের হলে চলবে।
    •পরযাপ্ত অপেক্ষা করার জায়গা ও রিসেপশনের জায়গা থাকতে হবে। হাওয়া চলাচলের ব্যবস্থা, পরযাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকা চাই। জায়গাটা আরামদায়ক হওয়া চাই। রোগীদের জন্য টয়লেট থাকতে হবে।
    •ডাক্তারের ফি কতো তা প্রদর্শিত থাকা চাই।

    অনেক ক্ষেত্রে এতো মাপজোক মানা সম্ভব নয়, সব মাপজোক মেনে চেম্বার বানাতে অনেক খরচ। মাপজোক না মেনে চেম্বার করলে তা আইনবিরুদ্ধ হয়তো হবে, কিন্তু অনৈতিক নয়।

    রোগ-নির্ণয়ের জন্য ইতিহাস নেওয়া, শারীরিক পরীক্ষা করা
    ডাক্তারী শিক্ষার ক্লিনিকাল বছরগুলোর শুরুতে ডাক্তারী ছাত্র-ছাত্রীদের ইতিহাস নেওয়া আর শারীরিক পরীক্ষা করা (history-taking and clinical methods) শেখানো হয়। ডাক্তার হওয়ার পর তাঁদের অধিকাংশ সেসব ভুলে যান। অথচ যথাযথ ইতিহাস-গ্রহণে রোগ-নির্ণয়ে ভুলের সম্ভাবনা কমে, কম ল্যাবরেটরী পরীক্ষা করাতে হয়, কম ওষুধ লেখা যায়, এসবের ফলে রোগীর খরচও অনেকটা কমে।

    শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ, সরবেড়িয়ার সুন্দরবন শ্রমজীবী হাসপাতাল, বাঁকুড়ার ফুলবেড়িয়ার আমাদের হাসপাতাল একাজের জন্য এক ধরনের ফর্ম ব্যবহার করে। ডাক্তার তেমনটা করতে পারেন তাঁর ব্যক্তিগত প্র্যাকটিসেও।

    যদি রোগীর সংখ্যা বেশী হয়, ডাক্তার নিজে যদি পুরোটা করতে না পারেন, তাহলে একজন কর্মীকে শিখিয়ে পড়িয়ে নিতে পারেন। কাজটা ভাল হবে, একজনের কর্মসংস্থানও হবে।

    অনুসরণ করা দরকার প্রামাণ্য চিকিৎসাবিধি ও অত্যাবশ্যক ওষুধের তালিকা
    প্রামাণ্য চিকিৎসাবিধি কথাটা খটোমটো, ইংরেজী প্রতিশব্দ থেকে মানে বোঝা সহজ—Standard Treatment Guidelines—ডাক্তার কোন রোগে কি পরীক্ষা করাবেন, কি চিকিৎসা করবেন, কোন ওষুধ দেবেন, কখন রেফার করবেন তা নির্দিষ্ট করা থাকে এই নির্দেশিকায়। উন্নত দেশগুলোতে অনেক দিন ধরেই Standard Treatment Guidelines প্রচলিত। এমন নির্দেশিকা আমাদের দেশের কোনও কোনও রাজ্যেও সরকার তৈরী করছেন। প্রাথমিক চিকিৎসার Standard Treatment Guidelines আছে পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খন্ড, ছত্তিশগড়ের মতো কিছু রাজ্যে, যদিও সেগুলো বহুল-প্রচলিত, বহুল-প্রচারিত নয়। এমন কোন একটা Standard Treatment Guidelines মেনে চিকিৎসা করা উচিত।
    কোন ওষুধ লিখবেন, কোনটা লিখবেন না, ঠিক করতে কোনও এক অত্যাবশ্যক ওষুধের তালিকা ব্যবহার করা উচিত—বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বা ভারতের জাতীয় তালিকা। তাহলে অপ্রয়োজনীয় বা দামী ওষুধ লেখার সম্ভাবনা কমবে।

    কখন কোন পরীক্ষানিরীক্ষা?
    কখন কোন পরীক্ষা করানো হবে তা ঠিক করতেও Standard Treatment Guidelines-এর সাহায্য নেওয়া উচিত। ঠিকমতো ইতিহাস নিলে, শারীরিক পরীক্ষা করলে পরীক্ষানিরীক্ষার প্রয়োজন কমে—অধিকাংশ সাধারণ রোগে পরীক্ষানিরীক্ষা ছাড়াই চিকিৎসা করা যায়, যদি করাতেই হয় তাহলে অল্প কিছু পরীক্ষা করালেই হয়।
    আরেকটা গুরুতর অন্যায় হল—ডায়াগনোস্টিক সেন্টার থেকে কমিশন খাওয়া। যে অঞ্চলে আমাদের কাজ, সেই উলুবেড়িয়া মহকুমায় ল্যাবরেটরী পরীক্ষায় ৫০%, আল্ট্রাসোনোগ্রাফিতে ২৫%, সিটি স্ক্যানে ৩৩%--এই রকম কমিশন ডাক্তার পেতে পারেন। মনে রাখবেন কমিশন নেওয়া-দেওয়া কেবল অন্যায় নয়, আইন-বিরুদ্ধও। ডাক্তার ডায়াগনোস্টিক সেন্টারকে বলতে পারেন তাঁর রোগীদের দেয় অর্থ থেকে কমিশনের অংকটা বাদ দিয়ে নিতে। এমনটা সম্ভবপর।

    ওষুধ লেখা প্রসঙ্গে
    ওষুধ লেখার আগে ডাক্তারের কতোগুলো প্রশ্নের জবাব পাওয়ার চেষ্টা করা উচিতঃ
    ১। রোগীর কি সত্যিই ওষুধের দরকার আছে?
    ২। ওষুধ ঠিক কি জন্য দেওয়া হবে—রোগ সারানোর জন্য? রোগের কষ্ট কমানোর জন্য? নাকি রোগীকে বোঝানোর জন্য যে তাঁর জন্য কিছু করা হচ্ছে?
    ৩। ওষুধটা কি রোগীর জন্য ও তাঁর নির্দিষ্ট অসুখের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ওষুধ?
    ৪। ওষুধটা কি একই ধরনের সবচেয়ে কমদামী ওষুধ? যদি না হয়, তাহলে এরচেয়ে কমদামী কোনও ওষুধ দিয়ে কি একই কাজ পাওয়া যেতে পারে?
    ৫। এই ওষুধের জন্য রোগীকে কোন কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সহ্য করতে হতে পারে?
    ৬। ওষুধ ব্যবহারে যে লাভ হবে তা কি ওষুধ ব্যবহারে সম্ভাব্য ঝুঁকির চেয়ে বেশী?
    ৭। রোগী আর যা যা ওষুধ ব্যবহার করেন সেগুলোর সঙ্গে এই ওষুধের কোনও আন্তঃবিক্রিয়া আছে কি?
    এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পেয়ে ডাক্তার যদি ওষুধ লেখেন, তাহলে অনৈতিক কিছু হওয়ার সম্ভাবনা কমে।

    জেনেরিক নামে প্রেসক্রিপশন লেখা
    জেনেরিক নামেই ওষুধ লেখা উচিত। কিন্তু ডাক্তার জেনেরিক নামে ওষুধ লিখলেই কি রোগী জেনেরিক ওষুধ পাবেন? না, অধিকাংশ ওষুধ জেনেরিক নামে উৎপাদিতই হয় না। এমনকি ২০১১-এ প্রকাশিত জাতীয় অত্যাবশক ওষুধের তালিকার ৩৪৮টা ওষুধের অধিকাংশই জেনেরিক নামে পাওয়া যায় না। ডাক্তার জেনেরিক নামে ওষুধ লিখলে দোকানী সেই ব্র্যান্ডটা দেবেন যাতে তাঁর লাভ বেশী।
    তার চেয়ে ভালো হল কমদামী ব্র্যান্ড লেখা। CIMS বা MIMS বা Drug Today থেকে কোনও ওষুধের কমদামী ব্র্যান্ড খুঁজে বার করা যায়। অথবা সাহায্য নেওয়া যায় -এর মতো কোনও ওয়েবসাইটের।
    ডাক্তার তাঁর কাছাকাছি কোনও ওষুধের দোকানকে বলতে পারেন এই কমদামী ব্র্যান্ডগুলো রাখতে। কেউ রাখতে রাজী না হলে, নিজেই রাখতে পারেন রোগীদের সরবরাহ করার জন্য।

    ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াও ডাক্তার ওষুধ বিক্রি করতে পারেন
    ড্রাগ এন্ড কসমেটিক্স অ্যাক্ট, ১৯৪০-র চতুর্থ অধ্যায়ে ওষুধ ও প্রসাধনী উৎপাদন, বিক্রি ও সরবরাহ নিয়ে বলা হয়েছে। ড্রাগ এন্ড কসমেটিক্স রুলস, ১৯৪৫-এর একাদশ খন্ডে বলা হয়েছে অ্যাক্টের চতুর্থ অধ্যায়ের নিয়ম থেকে কিভাবে ছাড় পাওয়া যেতে পারে।
    বলা হয়েছে যে ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াই একজন রেজিস্টার্ড মেডিকাল প্র্যাকটিশনার নিজের রোগীদের ওষুধ সরবরাহ করতে পারেন, অন্য এক রেজিস্টার্ড মেডিকাল প্র্যাকটিশনারের অনুরোধে তাঁর রোগীদের ওষুধ সরবরাহ করতে পারেন, যদি সে ওষুধ সেই বিশেষ রোগীর অসুস্থতার জন্য তৈরী হয়ে থাকে। তবে তিনি ওষুধের দোকান খুলে বসতে পারবেন না, ওষুধ আমদানী-উৎপাদন-সরবরাহ-বিক্রি বড় মাপে করতে পারবেন না।
    এই ছাড় পেতে গেলে অবশ্য কিছু বিষয় মানতে হয়ঃ
    ১। ওষুধ কিনতে হবে লাইসেন্স-প্রাপ্ত ডিলার বা উৎপাদকের কাছ থেকে, ওষুধ কেনার নথিতে ওষুধের নাম, পরিমাণ, ব্যাচ নম্বর, প্রস্তুতকর্তার নাম-ঠিকানা থাকতে হবে। এইসব নথি ড্রাগ ইন্সপেক্টর পরীক্ষা করতে পারেন, প্রয়োজন মনে করলে পরীক্ষা করার জন্য ওষুধের নমুনাও নিতে পারেন।

    ২। ওষুধ যদি শিডিউল G, H বা X-ভুক্ত হয় তাহলে এছাড়াওঃ
    ক) যে রেজিস্টার্ড মেডিকাল প্র্যাকটিশনার ওষুধটা সরবরাহ করেছেন তাঁর নাম-ঠিকানা ওষুধের লেবেলে থাকতে হবে।
    খ) ওষুধ যদি শরীরের বাইরে লাগানোর জন্য হয় তাহলে লেবেলে লিখতে হবে ‘For external use only’, যদি শরীরের ভেতরে গ্রহণ করার জন্য তাহলে লেবেলে ডোজ অর্থাৎ মাত্রা লিখতে হবে।
    গ) ওষুধটার নাম বা ফর্মুলেশনটার উপাদানগুলো এবং তাদের পরিমাণ, কি মাত্রায় ওষুধটা দেওয়া হয়েছে, রোগীর নাম, সরবরাহের তারিখ, যিনি প্রেসক্রিপশন করেছেন তাঁর নাম—এসব এক বিশেষ রেজিস্টারে নথিবদ্ধ করতে হবে ওষুধ সরবরাহের সময়।
    ঘ) রেজিস্টারে নথিভুক্তির সময় একটা নম্বর দিতে হবে, সেই নম্বর লিখতে হবে ওষুধের পাত্রের লেবেলে।
    ঙ) রেজিস্টারে শেষ নথিভুক্তির দিন অথবা প্রেসক্রিপশনের দিন থেকে দুই বছর অবধি রেজিস্টার এবং প্রেসক্রিপশন থাকলে প্রেসক্রিপশন সংরক্ষণ করতে হবে।

    ৩। ওষুধের লেবেলে যেভাবে বলা হয়েছে সেভাবে ওষুধ যথাযথ সংরক্ষণ করতে হয়।

    মনে হতে পারে এমনটা করা ঝক্কির। কিন্তু একজনকে রোগীদের ওষুধ সরবরাহ, ওষুধ কেনার নথি রাখা, রেজিস্টার রাখার কাজে নিয়োগ করা যায়। যে দামে ডাক্তার ওষুধ কিনবেন তার এবং ওষুধের MRP-এর মাঝে যে প্রচুর ফারাক তাতে এই ব্যক্তিকে বেতন দিয়েও ডাক্তারের লাভ থাকবে।

    মেডিকাল রিপ্রেজেন্টেটিভ
    মেডিকাল রিপ্রেজেন্টেটিভকে নিজের শিক্ষকের জায়গায় বসানো উচিত নয় ডাক্তারদের। ওষুধ কোম্পানীর পয়সায় কনফারেন্সে যাওয়া বা দেশ-বিদেশ ভ্রমণ তো দূরের কথা, ছোটখাট কোনও উপহার বা ফিজিশিয়ান্স’ স্যাম্পেলও নেওয়া উচিত নয় মেডিকাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কাছ থেকে। মনে হতে পারে নিলে কিই বা মহাভারত অশুদ্ধ হবে, কিন্তু কোনও না কোনও ভাবে ডাক্তার প্রভাবিত হবেনই এমনটা নিলে। আর তেমনটা হওয়া কাম্য নয়।

    (এই লেখা যাঁরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন, এমন চিকিৎসকদের করণীয় প্রসঙ্গে। পরে কখনও সরকারী বা কর্পোরেট হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের করণীয় নিয়ে আলোচনা করা যাবে।)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৪ জুন ২০১৫ | ১৩০৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Salil Biswas | 53.251.168.44 (*) | ০৬ জুন ২০১৫ ০২:২৪67104
  • এই লেখার আমি বহুল প্রচার করব ... কাজ হবে না জেনেও।
  • সে | 188.83.87.102 (*) | ০৬ জুন ২০১৫ ০৭:২১67105
  • খুব দরকারী লেখা।
  • avi | 113.24.86.57 (*) | ০৬ জুন ২০১৫ ১১:১২67103
  • ভালো লাগলো।
  • সুকি | 129.160.188.215 (*) | ০৭ জুন ২০১৫ ০১:১৯67106
  • লেখা আমার মত পাবলিকের জন্য তথ্য সমৃদ্ধ - কিন্তু লেখক লিখছেন "এই লেখা যাঁরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন, এমন চিকিৎসকদের করণীয় প্রসঙ্গে" - তো সেই প্রসঙ্গে কিছু প্রশ্ন আসে মনে। যেমন, আমি তো মনে করি এই প্রবন্ধে উল্লিখিত বেশীর ভাগ জিনিসই ডাক্তারদের জন্য অত্যন্ত বেসিক জ্ঞান।

    ঔষধ লেখা প্রসঙ্গে ডাক্তারদের যে সাতটি প্রশ্ন রেখেছেন,

    ১। রোগীর কি সত্যিই ওষুধের দরকার আছে?
    ২। ওষুধ ঠিক কি জন্য দেওয়া হবে—রোগ সারানোর জন্য? রোগের কষ্ট কমানোর জন্য? নাকি রোগীকে বোঝানোর জন্য যে তাঁর জন্য কিছু করা হচ্ছে?
    --------

    এই সব যদি একজন প্র্যাক্টিস করা ডাক্তারকে প্রবন্ধ পড়ে জানতে হয়, তা হলেই তো চিত্তির!
  • সুমিতা সরকার | 122.79.39.172 (*) | ১৪ জুলাই ২০১৫ ০৩:১৪67107
  • খুব প্রয়োজনীয় লেখা। আরও লিখুন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন